পরিচ্ছেদঃ ৮. যাকাত আদায়কারী যাকাতদাতাদের নিকট কোন স্থানে যাকাত গ্রহণ করবে।
৭.অনুচ্ছেদঃ উটের বয়স সম্পর্কে
ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি রায়্যাশী, আবু হাতীম ও অন্যুদের নিকট হতে এই বর্ণনা শুনেছি এবং নাদর ইব্ন শুমায়েল ও আবু উবায়দের গ্রন্থে পেয়েছি, কোন কোন কথা তাদের একজনেই বলেছেন। তাঁরা বলেন, উটের বাচ্চাকে (যতকক্ষণ মাতৃগর্ভে থেকে) ’আল-হাওয়্যার’, ’আল-ফাসীল (যখন ভূমিষ্ঠ হয়) ও বিন্ত মাখাদ (যে বাচ্চা দ্বিতীয় বছরে পদার্পন করেছে), আর তিন বছর বয়সে পদার্পণকারী বাচ্চাকে ’বিনতে লাবূন’ বলা হয়। অতঃপর উটের বয়স পূর্ণ তিন বছর হতে চার বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত বলা হয়, হিক্ক ও হিক্কাহ্। কেননা তখন হিক্কাহ বাহনের যোগ্য হয় বাচ্চা ধারণের উপযোক্ত হয় এবং যৌবনে পৌঁছে। কিন্তু হিক্কাহ ছয় বছরে না পৌঁছা পর্যন্ত প্রাপ্তবয়ষ্ক হয় না এবং হিক্কাহ্কে ’তুরুকাতুল ফাহল’ও বলা হয়। কেননা ঐ সময় পুরুষ উট এর উপর কুঁদে পড়ে।
অতঃপর যখন তার বয়স পাঁচ বছর পড়ে তখন তাকে জাযাআহ্ বলে এবং পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তাকে এই নামেই অখ্যায়িত করা হয়। অতঃপর যখন তা ছয় বছরে পদার্পণ করে এবং সামনের দাঁত উঠে তখন তাকে ’ছানা’ বলে – ছয় বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত। অতঃপর যখন তার বয়স সাত শুরু হয় তখন হতে সাত বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত পুরুষ উটকে বলা হয় ’রুবাঈ’ এবং স্ত্রী উষ্ট্রীকে বলা হয় ’রুবাইয়া’। অতঃপর তা যখন আট বছরে পদার্পণ করে তখন থেকে তাকে ’সাদীস’ বলে আট পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত। যখন তা নয় বছরে পদার্পণ করে তখন তাকে ’বাযিল্’ বলা হয়। কারণ তখন তাঁর কুঁজ নির্গত হতে থাকে।
অতঃপর উট যখন দশ বছরে পদার্পণ করে তখন তাকে ’মুখলিফা’ বলে। এর পরে উটের আর কোন নামকরণ নাই। অবশ্য এর পরে তাকে এক বছরের বাযিল, দুই বছরের বাযিল; এক বছরে মুখ্লি্ফ, দুই বছরের মুখ্লিফ, তিন বছরের মুখলিফ, চার বছরের মুখলিফ এবং পাঁচ বছরের মুখলিফ বলা হয়ে থাকে। গর্ভবতী উষ্ট্রীকে ’হালাফা’ বলে। আবু হাতেম বলেন, জুযূআহ্ হল কাল প্রবাহের একটি সময়, কোন দাঁতের নাম নয়। উটের বয়সের পরিবর্তে হয় সুহাইল (Canopus) তারকা উদিত হওয়ার সাথে সাথে। আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, আর-রিয়াশী আমাদেরকে নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করে শুনানঃ (অর্থ)
“রাতের প্রথম প্রহরে যখন সুহাইল তারকা উদিত হয়, তখন ইব্ন লাবূন হিক্কা হয়ে গেলে এবং হিক্কাহ জাযাআহ্ হয়ে গেল। হুবা ছাড়া এমন কোন বয়স নাই যা (সুহাইল তারকা উদয় থেকে) গণনা করা যায় না, হুবা সেই উষ্ট্রী শাবককে বলা হয় যা সুহাইল তারকা উদয়কালে ভুমিষ্ঠ হয় না, বরং অন্য সময় ভূমিষ্ঠ হয়।
১৫৯১. কুতায়বা ইব্ন সাঈদ (রহঃ) .... আমর ইব্ন শুআয়েব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও পিতামহের সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যাকাত আদায়কারী (যাকাত প্রদানকারীকে) দূরে টেনে নিবে না এবং যাকাতদাতা নিজের মাল দূরে সরিয়ে রাখবে না (যাতে লেনদেনে কষ্ট না হয়); আর তাদের যাকাতের মাল, তাদের ঘর-বাড়ি ব্যতীত অন্য কোথাও হতে গ্রহণ করা চলবে না।
باب أَيْنَ تُصَدَّقُ الأَمْوَالُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ جَلَبَ وَلاَ جَنَبَ وَلاَ تُؤْخَذُ صَدَقَاتُهُمْ إِلاَّ فِي دُورِهِمْ " .
'Amr bin Shu'aib, on his father's authority, said that his grandfather reported the Prophet (ﷺ) as saying:
There is to be no collecting of sadaqah (zakat) from a distance, nor must people who own property remove it far away, and their sadaqahs are to be received in their dwelling.
পরিচ্ছেদঃ ৮. যাকাত আদায়কারী যাকাতদাতাদের নিকট কোন স্থানে যাকাত গ্রহণ করবে।
১৫৯২. আল-হাসান ইব্ন আলী ইয়াকূব ইব্ন ইব্রাহীমের সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে, মুহাম্মাদ ইব্ন ইসহাকের সূত্রেلاَ جَلَبَ وَلاَ جَنَبَ সম্পর্কে বর্ণনা করতে শুনেছিঃ চতুষ্পদ জন্তুর অবস্থানের স্থানেই এগুলোর যাকাত দিতে হবে। আর যাকাত আদায়কারীর নিকট এগুলো নিতে হবে না এবং মালের যাকাত প্রদানকারীগণ এগুল দূরে সরিয়ে রাখবে না। আর যাকাত আদায়কারী যাকাত দাতাদের নিকট হতে দূরে সরিয়ে রাখবে না। আর যাকাত আদায়কারী যাকাত দাতাদের নিকট হতে দূরেও অবস্থান করবে না, বরং চতুষ্পদ জন্তু যেখানে থাকে সেখান হতেই যাকাত আদায় করবে। (তিরমিযী, নাসাঈ)।
باب أَيْنَ تُصَدَّقُ الأَمْوَالُ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، فِي قَوْلِهِ " لاَ جَلَبَ وَلاَ جَنَبَ " . قَالَ أَنْ تُصَدَّقَ الْمَاشِيَةُ فِي مَوَاضِعِهَا وَلاَ تُجْلَبُ إِلَى الْمُصَدِّقِ وَالْجَنَبُ عَنْ غَيْرِ هَذِهِ الْفَرِيضَةِ أَيْضًا لاَ يُجْنَبُ أَصْحَابُهَا يَقُولُ وَلاَ يَكُونُ الرَّجُلُ بِأَقْصَى مَوَاضِعِ أَصْحَابِ الصَّدَقَةِ فَتُجْنَبُ إِلَيْهِ وَلَكِنْ تُؤْخَذُ فِي مَوْضِعِهِ .
Explaining the meaning of Jalab and janab Muhammad bin Ishaq said The meaning of jalab said is that the zakat of animals should be collected at their places (dwellings), and they (animals) should not be pulled to the collector of zakat. The meaning of janab is that the animals are removed at a distance (from the collector). The owners of the animals should do so. The collector of zakat should not stay at a distance from the places of the people who bring their animals to him. The zakat should be collected in its place.