পরিচ্ছেদঃ ৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।

১৩৭১. আল-হাসান ইবন আলী (রহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম সাহাবীদেরকে রমযান মাসের (রাতে) নামায আদায়ের ব্যপারে উৎসাহিত করতেন; তবে তিনি তা আদায়ের ব্যাপারে অধিক গুরুত্ব (ফরয-ওয়াজিবের ন্যায়) আরোপ করতেন না। তিনি বলতেনঃ যে ব্যক্তি রমযান মাস ঈমানের সাথে এবং মর্যাদা লাভের আশায় দণ্ডায়মান হয়ে তারাবীহ নামায আদায় করে, আল্লাহ তাআলা তাঁর জীবনের পূর্ববর্তী সমস্ত (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকালের পরেও এই নামাযের বিধান একইরূপ থাকে। অতঃপর আবু বাকর (রাঃ) এর খিলাফতকালেও তদ্রূপ থাকে এবং উমার (রাঃ) এর খিলাফতের প্রথম দিকেও ঐরূপ ছিল। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ)।

باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، - قَالَ الْحَسَنُ فِي حَدِيثِهِ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُرَغِّبُ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِعَزِيمَةٍ ثُمَّ يَقُولُ ‏"‏ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏ ‏.‏ فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ كَانَ الأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ فِي خِلاَفَةِ أَبِي بَكْرٍ - رضى الله عنه - وَصَدْرًا مِنْ خِلاَفَةِ عُمَرَ رضى الله عنه ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا رَوَاهُ عُقَيْلٌ وَيُونُسُ وَأَبُو أُوَيْسٍ ‏"‏ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ ‏"‏ ‏.‏ وَرَوَى عُقَيْلٌ ‏"‏ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ وَقَامَهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي، ومحمد بن المتوكل، قالا حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، - قال الحسن في حديثه ومالك بن انس - عن الزهري، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يرغب في قيام رمضان من غير ان يامرهم بعزيمة ثم يقول ‏"‏ من قام رمضان ايمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه ‏"‏ ‏.‏ فتوفي رسول الله صلى الله عليه وسلم والامر على ذلك ثم كان الامر على ذلك في خلافة ابي بكر - رضى الله عنه - وصدرا من خلافة عمر رضى الله عنه ‏.‏ قال ابو داود وكذا رواه عقيل ويونس وابو اويس ‏"‏ من قام رمضان ‏"‏ ‏.‏ وروى عقيل ‏"‏ من صام رمضان وقامه ‏"‏ ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to commend prayer at night during Ramadan, but did not command it as duty. He would say: If anyone prays during the night in Ramadan because of faith and seeking his reward from Allah, his previous sins will be forgiven for him. When the Messenger of Allah (ﷺ) died, this was the practice, and it continued thus during Abu Bakr's caliphate and early part of 'Umar's.

Abu Dawud said: This tradition has been transmitted by 'Uqail, Yunus, and Abu Uwais in like manner. The version of 'Uqail goes: He who fasts during Ramadan and prays during the night.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।

১৩৭২. মাখলাদ (রহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাঃ) এই হাদীছের সনদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং মর্যাদা লাভের আশায় রমযান মাসের রোযা রাখে, তার পূর্ববর্তী জীবনের সমস্ত (সগীরা) গুনাহ মার্জিত হবে। আর যে ব্যক্তি “লায়লাতুল কদরে” ঈমানের সাথে এবং আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের জন্য নামায আদায় করবে, তার পূর্ববর্তী জীবনের সমুদয় (সগীরা) গুনাহ মার্জিত হবে। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, ইবন মাজা)।

باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ ‏.‏

حدثنا مخلد بن خالد، وابن ابي خلف، - المعنى - قالا حدثنا سفيان، عن الزهري، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، يبلغ به النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ من صام رمضان ايمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه ومن قام ليلة القدر ايمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو داود وكذا رواه يحيى بن ابي كثير عن ابي سلمة ومحمد بن عمرو عن ابي سلمة ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:

The Prophet (ﷺ) as saying: If anyone fasts during Ramadan because of faith and in order to seek his reward from Allah, his previous sins will be forgiven to him. If anyone prays in the night of the power (lailat al-qadr) because of faith and in order to seek his reward from Allah his previous sins will be forgiven for him.

Abu Dawud said: This tradition has been transmitted in a similar manner by Yahya b. Abi Kathir and Muhammad b. 'Amr from Abu Salamah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।

১৩৭৩. আল্-কানবী (রহঃ) ..... নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে (তারাবীহ) নামায আদায় করেন। ঐ সময় তাঁর সাথে অন্যান্য লোকেরাও নামায আদায় করেন। পরবর্তীতে রাতে উক্ত নামায আদায় করাকালে অনেক লোকের সমাগম হয়। অতঃপর তৃতীয় রাতেও লোকেরা উক্ত নামায (তারাবীহ) আদায় করার জন্য জমায়েত হলে সেদিন তিনি মসজিদে গমন করেন নাই। অতঃপর প্রত্যুষে তিনি সকলকে লক্ষ করে বলেনঃ তোমরা যা করেছ তা আমি অবলোকন করেছি। আমি একারণেই নামায জামাআতের সাথে আদায় করার জন্য আসিনাই যে, আমার ভয় হচ্ছিল তোমাদের উপর তা ফরয করা হয় কি না (তবে কষ্টকর বোঝা হয়ে দাঁড়াবে)। এটা রমযান মাসের (তারাবীহ নামায আদায়ের) ঘটনা। (বুখারী)

باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي الْمَسْجِدِ فَصَلَّى بِصَلاَتِهِ نَاسٌ ثُمَّ صَلَّى مِنَ الْقَابِلَةِ فَكَثُرَ النَّاسُ ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ ‏ "‏ قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي صَنَعْتُمْ فَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الْخُرُوجِ إِلَيْكُمْ إِلاَّ أَنِّي خَشِيتُ أَنْ يُفْرَضَ عَلَيْكُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ ‏.‏

حدثنا القعنبي، عن مالك بن انس، عن ابن شهاب، عن عروة بن الزبير، عن عاىشة، زوج النبي صلى الله عليه وسلم ان النبي صلى الله عليه وسلم صلى في المسجد فصلى بصلاته ناس ثم صلى من القابلة فكثر الناس ثم اجتمعوا من الليلة الثالثة فلم يخرج اليهم رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما اصبح قال ‏ "‏ قد رايت الذي صنعتم فلم يمنعني من الخروج اليكم الا اني خشيت ان يفرض عليكم ‏"‏ ‏.‏ وذلك في رمضان ‏.‏


Narrated 'Aishah, wife of Prophet (ﷺ):
That the Prophet (ﷺ) once offered (tarawih) prayer in the mosque and the people also prayed along with him. He then prayed on the following night, and the people gathered in large numbers. They gathered on the third night too, but the Messenger of Allah (ﷺ) did not come out to them. When the morning came, he said: I witnessed what you did, and nothing prevented me from coming out to you except that I feared that this (prayer) might be prescribed to you. That was in Ramadan.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।

১৩৭৪. হান্নাদ (রহঃ) ..... আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা রমযান মাসে মসজিদে বিচ্ছিন্নভাবে নামায আদায় করত। ঐ সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম একদা আমাকে মসজিদে মাদুর বিছিয়ে দিতে বলেন এবং তিনি তার উপর নামায আদায় করেন। অতঃপর রাবী পূর্ণ ঘটনা বিবৃত করতে দিয়ে বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ হে জনগণ! আলহামদু লিল্লাহ! অদ্য রজনীতে আমি আল্লাহর ইবাদাত করতে গাফেল হই নাই এবং আমার নিকট তোমাদের অবস্থা সম্পর্কে কিছুই গোপন নাই।

باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّاسُ يُصَلُّونَ فِي الْمَسْجِدِ فِي رَمَضَانَ أَوْزَاعًا فَأَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَضَرَبْتُ لَهُ حَصِيرًا فَصَلَّى عَلَيْهِ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَتْ فِيهِ قَالَ - تَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم - ‏ "‏ أَيُّهَا النَّاسُ أَمَا وَاللَّهِ مَا بِتُّ لَيْلَتِي هَذِهِ بِحَمْدِ اللَّهِ غَافِلاً وَلاَ خَفِيَ عَلَىَّ مَكَانُكُمْ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هناد بن السري، حدثنا عبدة، عن محمد بن عمرو، عن محمد بن ابراهيم، عن ابي سلمة بن عبد الرحمن، عن عاىشة، قالت كان الناس يصلون في المسجد في رمضان اوزاعا فامرني رسول الله صلى الله عليه وسلم فضربت له حصيرا فصلى عليه بهذه القصة قالت فيه قال - تعني النبي صلى الله عليه وسلم - ‏ "‏ ايها الناس اما والله ما بت ليلتي هذه بحمد الله غافلا ولا خفي على مكانكم ‏"‏ ‏.‏


Narrated 'Aishah:
The people used to pray (tarawih prayer) in the mosque during Ramadan severally. The Messenger of Allah (ﷺ) commanded me (to spread a mat). I spread a mat for him and he prayed upon it. The narrator then transmitted the same story. The Prophet (ﷺ) said: O People, praise be to Allah, I did not pass my night carelessly, nor did your position remain hidden from me.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।

১৩৭৫. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রমযান মাসে রোযাব্রত পালন করেছি। তিনি রমযান মাসের প্রথম দিকে (তারাবীহ নামায) আমাদের সাথে আদায় করেন নাই। অতঃপর উক্ত মাসের মাত্র সাতটি রাত অবশিষ্ট থাকতে তিনি আমাদের নিয়ে নামায (তারাবীহ) আদায় করেন; এভাবে রাতের এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয়। অতঃপর তিনি ষষ্ঠ রাতে (অর্থাৎ পরের রাত) আমাদের সাথে (তারাবীহ) নামায আদায় করেন নাই। পরে পঞ্চম রাতে তিনি আমাদের সাথে নামায আদায় করাকালে রাতের অর্ধাংশ অতিবাহিত করেন।

রাবী বলেনঃ ঐ সময় আমি তাঁকে বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! অদ্য রজনীতে আপনি যদি আমাদের সাথে সারা রাত নামায আদায় করতেন, তবে কত উত্তম হত। তখন তিনি বলেনঃ কেউ জামাআতের সাথে (ইশার নামায) আদায় করে ঘরে প্রত্যাবর্তন করলে তাকে সারা রাতের জন্য নামাযী হিসাবে গণ্য করা হয়। রাবী বলেনঃ তিনি চতুর্থ রাতে (২৭শে রমযান) মসজিদে আসেন নাই (তারাবীর নামায আদায়ের জন্য)।

অতঃপর তৃতীয় রাতে তিনি তাঁর স্ত্রী ও পরিবার-পরিজনদেরকে এবং অন্যান্য লোকদেরকে একত্রিত করে জামাআতের সাথে (তারাবীর) নামায আদায় করেন (এবং তার সময় এত দীর্ঘ হয় যে,) আমাদের আশংকা হচ্ছিল যে, হয়ত আমারা “ফালাহ্”-র সুযোগ হারিয়ে ফেলব। রাবী বলেন, আমি তখন জিজ্ঞাসা করিঃ ’ফালাহ’ কি? তিনি বলেনঃ সেহরী খাওয়া। অতঃপর তিনি উক্ত মাসের বাকী দিনগুলিতে (২৯ ও ৩০) আমাদের সাথে জামাআতে আর তারাবীহ আদায় করেন নাই। (তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজা)।

باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا شَيْئًا مِنَ الشَّهْرِ حَتَّى بَقِيَ سَبْعٌ فَقَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ فَلَمَّا كَانَتِ السَّادِسَةُ لَمْ يَقُمْ بِنَا فَلَمَّا كَانَتِ الْخَامِسَةُ قَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ شَطْرُ اللَّيْلِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا قِيَامَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا صَلَّى مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ حُسِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا كَانَتِ الرَّابِعَةُ لَمْ يَقُمْ فَلَمَّا كَانَتِ الثَّالِثَةُ جَمَعَ أَهْلَهُ وَنِسَاءَهُ وَالنَّاسَ فَقَامَ بِنَا حَتَّى خَشِينَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلاَحُ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا الْفَلاَحُ قَالَ السُّحُورُ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا بَقِيَّةَ الشَّهْرِ ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا يزيد بن زريع، اخبرنا داود بن ابي هند، عن الوليد بن عبد الرحمن، عن جبير بن نفير، عن ابي ذر، قال صمنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم رمضان فلم يقم بنا شيىا من الشهر حتى بقي سبع فقام بنا حتى ذهب ثلث الليل فلما كانت السادسة لم يقم بنا فلما كانت الخامسة قام بنا حتى ذهب شطر الليل فقلت يا رسول الله لو نفلتنا قيام هذه الليلة ‏.‏ قال فقال ‏ "‏ ان الرجل اذا صلى مع الامام حتى ينصرف حسب له قيام ليلة ‏"‏ ‏.‏ قال فلما كانت الرابعة لم يقم فلما كانت الثالثة جمع اهله ونساءه والناس فقام بنا حتى خشينا ان يفوتنا الفلاح ‏.‏ قال قلت ما الفلاح قال السحور ثم لم يقم بنا بقية الشهر ‏.‏


Narrated AbuDharr:

We fasted with the Messenger of Allah (ﷺ) during Ramadan, but he did not make us get up at night for prayer at any time during the month till seven nights remained; then he made us get up for prayer till a third of the night had passed. When the sixth remaining night came, he did not make us get up for prayer. When the fifth remaining night came, he made us stand in prayer till a half of the night had gone.

So I said: Messenger of Allah, I wish you had led us in supererogatory prayers during the whole of tonight.

He said: When a man prays with an imam till he goes he is reckoned as having spent a whole night in prayer. On the fourth remaining night he did not make us get up. When the third remaining night came, he gathered his family, his wives, and the people and prayed with us till we were afraid we should miss the falah (success).

I said: What is falah? He said: The meal before daybreak. Then he did not make us get up for prayer during the remainder of the month.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।

১৩৭৬. নাসর ইব্ন আলী (রহঃ) ..... আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রমযান মাসের (শেষ) দশ দিনে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম সারা রাত জাগ্রত থাকতেন, স্ত্রীদের নিকট হতে দূরে অবস্থান করতেন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে জাগিয়ে দিতেন (ইবাদাতের জন্য)। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, ইবন মাজা)।

باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَدَاوُدُ بْنُ أُمَيَّةَ، أَنَّ سُفْيَانَ، أَخْبَرَهُمْ عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ، - وَقَالَ دَاوُدُ عَنِ ابْنِ عُبَيْدِ بْنِ نِسْطَاسٍ، - عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ أَحْيَا اللَّيْلَ وَشَدَّ الْمِئْزَرَ وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَأَبُو يَعْفُورٍ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ نِسْطَاسٍ ‏.‏

حدثنا نصر بن علي، وداود بن امية، ان سفيان، اخبرهم عن ابي يعفور، - وقال داود عن ابن عبيد بن نسطاس، - عن ابي الضحى، عن مسروق، عن عاىشة، ان النبي صلى الله عليه وسلم كان اذا دخل العشر احيا الليل وشد المىزر وايقظ اهله ‏.‏ قال ابو داود وابو يعفور اسمه عبد الرحمن بن عبيد بن نسطاس ‏.‏


Narrated 'Aishah:

When the last ten days of Ramadan came, the Prophet (ﷺ) kept vigil and prayed during the whole night, and tied the wrapper tightly, and awakened his family (to pray during the night).

Abu Dawud said: The name of Abu Ya'fur is 'Abd al-Rahman b. 'Ubaid b. Nistas.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।

১৩৭৭. আহমাদ ইবন সাঈদ (রহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রমযানের রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম স্বীয় গৃহ হতে বের হয়ে দেখতে পান যে, মসজিদের এক পাশে কিছু লোক নামায আদায় করছে। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ এরা কি করছে? তাঁকে বলা হয়ঃ এদের কুরআন মুখস্ত না থাকায় তাঁরা উবাই ইবন কা’বের (রাঃ) পিছনে (মুক্তাদী হিসাবে) তারাবীর নামায আদায় করছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারা ঠিকই করছে।*

باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا أُنَاسٌ فِي رَمَضَانَ يُصَلُّونَ فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ ‏"‏ مَا هَؤُلاَءِ ‏"‏ ‏.‏ فَقِيلَ هَؤُلاَءِ نَاسٌ لَيْسَ مَعَهُمْ قُرْآنٌ وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ يُصَلِّي وَهُمْ يُصَلُّونَ بِصَلاَتِهِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَصَابُوا وَنِعْمَ مَا صَنَعُوا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَيْسَ هَذَا الْحَدِيثُ بِالْقَوِيِّ مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ ضَعِيفٌ ‏.‏

حدثنا احمد بن سعيد الهمداني، حدثنا عبد الله بن وهب، اخبرني مسلم بن خالد، عن العلاء بن عبد الرحمن، عن ابيه، عن ابي هريرة، قال خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم فاذا اناس في رمضان يصلون في ناحية المسجد فقال ‏"‏ ما هولاء ‏"‏ ‏.‏ فقيل هولاء ناس ليس معهم قران وابى بن كعب يصلي وهم يصلون بصلاته ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اصابوا ونعم ما صنعوا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو داود ليس هذا الحديث بالقوي مسلم بن خالد ضعيف ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:

The Messenger of Allah (ﷺ) came out and saw that the people were praying during (the night of) Ramadan in the corner of the mosque. He asked: Who are these people ? It was said to him that those were people who had not learnt Quran. But Ubayy b. Ka'b is praying and they would pray behind him. The Prophet (ﷺ) said: They did right and it is good what they did.

Abu Dawud said: This tradition is not strong, the narrator Muslim b. Khalid is weak.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে