পরিচ্ছেদঃ ১৭৭. নামাযরত অবস্থায় হাঁচির জওয়াব দেওয়া।
৯৩০. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... মুয়াবিয়া ইবনুল হাকাম আস-সুলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে নামায আদায় করি। এ সময় এক ব্যক্তি হাঁচি দিলে আমি “ইয়ারহামুকাল্লাহ” (আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন) বলি। তখন অন্যান্য লোকেরা আমার প্রতি বক্র দৃষ্টিতে তাকায়। তখন আমি অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে তাদের বলি, তোমরা আমার প্রতি এরূপ বক্র দৃষ্টিতে তাকাচ্ছ কেন? তখন তারা তাদের রানের উপর হাত মারছিল, ফলে আমি বুঝতে পারি যে, তারা আমাকে চুপ করতে বলেছে।
রাবী উসমান (রহঃ) বলেন, আমি যখন বুঝতে পারলাম যে, তারা আমাকে চুপ থাকে বলেছে, তখন আমি নিজেই চুপ করে থাকলাম। নামায সমাপ্তির পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে মারেন নাই আমাকে ধমক বা গালিও দেন নাই। অতঃপর তিনি বলেন, মনে রাখবে এটা নামায, এর মধ্যে কথাবার্তা বলা অনুচিত। বরং নামাযের মধ্যে কেবল তাসবীহ, তাকবীর, কুরআনের আয়াত পাঠ করা যেতে পারে। অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুরূপ কিছু বলেছেন।
তখন আমি বলি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি অন্ধকার যুগের অতি নিকটের লোক, আল্লাহ তায়ালা অনুগ্রহ করে আমাদের দ্বীন ইসলামের গ্রহণের সুযোগ দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে এখনও অনেক লোক এরূপ আছে যারা গণকের নিকট গমন করে থাকে। জবাবে তিনি বলেন, এটা এমন একটা ধারণা যা তাদের অন্তরে সৃষ্টি হয়ে থাকে, তা যেন তাদেরকে কোন কাজ থেকে বিরত না রাখে। তখন আমি বলি আমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে, যারা রেখা টেনে ভাগ্য-বিধি নির্ধারণ করে থাকে। জবাবে তিনি বলেন, পূর্ববর্তী কোন কোন নবীও এর সাহায্য নিয়েছেন, কাজেই যার রেখা তার ভাগ্যের অনুকূল হবে, তা তার জন্য যথেষ্ট। তখন আমি বলি, আমার একটি দাসী আছে যে ওহুদ ও জাওনিয়াহ নামক স্থানে বকরী চরায়।
একদা আমি সেখানে গিয়ে দেখি নেকড়ে একটি বকরী নিয়ে গেছে এবং আমি আদম সন্তান হিসাবে এজন্য দুঃখিত ও রাগান্বিত হয়ে তাকে চপেটাঘাত করি। তা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাকে ঘোরতর অপরাধ হিসাবে গণ্য করেন। তখন আমি বলি, আমি কি তাকে আযাদ করে দিব? তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই দাসীকে তাঁর নিকট আনার নির্দেশ দেন। তখন আমি তাকে তাঁর খিদমতে উপস্থিত করলে তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করেন; আল্লাহ তায়ালা কোথায় অবস্থান করেন? জবাবে সে বলে, আসমানে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আমি কে? জবাবে দাসী বলে, আপনি আল্লাহর রাসূল। তখন তিনি বলেন, তাকে আযাদ করে দাও, কেননা সে একজন ইমানদার স্ত্রীলোক। (মুসলিম, নাসাঈ)।
باب تَشْمِيتِ الْعَاطِسِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - الْمَعْنَى - عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ فَرَمَانِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَاثُكْلَ أُمِّيَاهُ مَا شَأْنُكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ فَجَعَلُوا يَضْرِبُونَ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَعَرَفْتُ أَنَّهُمْ يُصَمِّتُونِي - فَقَالَ عُثْمَانُ - فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُسَكِّتُونِي لَكِنِّي سَكَتُّ قَالَ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - بِأَبِي وَأُمِّي - مَا ضَرَبَنِي وَلاَ كَهَرَنِي وَلاَ سَبَّنِي ثُمَّ قَالَ " إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَحِلُّ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ هَذَا إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ " . أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا قَوْمٌ حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ وَقَدْ جَاءَنَا اللَّهُ بِالإِسْلاَمِ وَمِنَّا رِجَالٌ يَأْتُونَ الْكُهَّانَ . قَالَ " فَلاَ تَأْتِهِمْ " . قَالَ قُلْتُ وَمِنَّا رِجَالٌ يَتَطَيَّرُونَ . قَالَ " ذَاكَ شَىْءٌ يَجِدُونَهُ فِي صُدُورِهِمْ فَلاَ يَصُدُّهُمْ " . قُلْتُ وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ . قَالَ " كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهُ فَذَاكَ " . قَالَ قُلْتُ جَارِيَةٌ لِي كَانَتْ تَرْعَى غُنَيْمَاتٍ قِبَلَ أُحُدٍ وَالْجَوَّانِيَّةِ إِذِ اطَّلَعْتُ عَلَيْهَا إِطْلاَعَةً فَإِذَا الذِّئْبُ قَدْ ذَهَبَ بِشَاةٍ مِنْهَا وَأَنَا مِنْ بَنِي آدَمَ آسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ لَكِنِّي صَكَكْتُهَا صَكَّةً فَعَظَّمَ ذَاكَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ أَفَلاَ أُعْتِقُهَا قَالَ " ائْتِنِي بِهَا " . قَالَ فَجِئْتُهُ بِهَا فَقَالَ " أَيْنَ اللَّهُ " . قَالَتْ فِي السَّمَاءِ . قَالَ " مَنْ أَنَا " . قَالَتْ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ . قَالَ " أَعْتِقْهَا فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ " .
Mu’awiyah b. al-Hakam al-Sulami said:
I was praying with the Messenger of Allah(ﷺ). A man in the company sneezed, and I said: May Allah have mercy on you! The people gave me disapproving looks, so I said: Woe is to me! What do you mean by looking at me? They began to strike their hand on their thighs; then I realised that they were urging me to be silent. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer – for whom I would give my father and mother as ransom-he did not beat, scold or revile me, but said: No talk to people in lawful in this prayer, for it consists only in glorifying Allah, declaring His greatness, and reciting the Qur'an or words to that effect said by the Messenger of Allah (ﷺ). I said: Messenger of Allah, we were only recently pagans, but Allah has brought Islam to us, and among us there are men who have recourse to soothsayers (kahins). He replied: Do not have recourse to them. I said: Among us are there are men who take omens. He replied: That is something which they find, but let it not turn them away (from what they intended to do). I said: among us there are men who draw lines. He replied: There was a prophet who drew lines; so if the line of anyone tallies with this line, that might come true. I said: A slave-girl of mine used to tend goats before (the mountain) Uhud and al-Jawaniyyah. Once when I reached her (suddenly) I found that a wolf had taken away a goat of them. I am a human being; I feel grieved as others do. But I gave her a good knocking. This was unbearable for the Messenger of Allah (ﷺ). I asked: Should I set her free ? He replied: Bring her to me. So I brought her to him. He asked (her): Where is Allah ? She said: In the heaven. He said: Who am I ? She replied: You are the Messenger of Allah. He said: Set her free, for she is believer.
পরিচ্ছেদঃ ১৭৭. নামাযরত অবস্থায় হাঁচির জওয়াব দেওয়া।
৯৩১. মুহাম্মাদ ইবনে ইউনুস (রহঃ) .... মুয়াবিয়া ইবনুল হাকাম আস-সুলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে আগমনের পর আমাকে শরীয়তের হুকুম আহকাম সম্পর্কে শিক্ষাদান করা হয়। এ সময় আমায় এরূপ শিক্ষা দেয়া হয় যে, যখন তুমি হাঁচি দিবে তখন “আলহামদু লিল্লাহ” বলবে এবং যখন অন্য কাউকে হাঁচি দেয়ার পর “আলহামদু লিল্লাহ” বলতে শুনবে, তখন তুমি “ইয়ারহামুকাল্লা” বলবে। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে নামায আদায় করা কালে এক ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে “আলহামদুলিল্লাহ” বললে আমি তার জবাবে উচ্চস্বরে “ইয়ারহামুকাল্লা” বলি। তখন উপস্থিত জনগণ আমার প্রতি বক্র দৃষ্টিতে তাকাতে থাকে, যা আমার জন্য খুবই কষ্টদায়ক ছিল। তখন আমি তাদের সম্বোধন করে বলি: তোমরা প্রতি এরূপ দৃষ্টিতে কেন তাকাচ্ছ?
রাবী বলেন, অতঃপর লোকেরা তাসবীহ ও সুবহানাল্লাহ বলেন। অতঃপর নামায সমাপান্তে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নামাযের সময় কে কথা বলেছ? জবাবে তাঁকে জানানো হয় যে, এই বেদুঈন লোকটি কথা বলেছে। রাবী বলেন, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কাছে ডেকে বলেনঃ মনে রেখ, নামাযের মধ্যে কেবল মাত্র কুরআন পাঠ ও আল্লাহর জিকিরই হয়ে থাকে। কাজেই যখন তুমি নামায আদায় করবে, তখন তোমার এরূপ অবস্থা হওয়া দরকার। রাবী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অধিক দয়ালু ও বিনয়ী কোন শিক্ষক কখনও দেখি নাই।
باب تَشْمِيتِ الْعَاطِسِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُونُسَ النَّسَائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ لَمَّا قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عُلِّمْتُ أُمُورًا مِنْ أُمُورِ الإِسْلاَمِ فَكَانَ فِيمَا عُلِّمْتُ أَنْ قَالَ لِي " إِذَا عَطَسْتَ فَاحْمَدِ اللَّهَ وَإِذَا عَطَسَ الْعَاطِسُ فَحَمِدَ اللَّهَ فَقُلْ يَرْحَمُكَ اللَّهُ " . قَالَ فَبَيْنَمَا أَنَا قَائِمٌ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ فَحَمِدَ اللَّهَ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ رَافِعًا بِهَا صَوْتِي فَرَمَانِي النَّاسُ بِأَبْصَارِهِمْ حَتَّى احْتَمَلَنِي ذَلِكَ فَقُلْتُ مَا لَكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ بِأَعْيُنٍ شُزْرٍ قَالَ فَسَبَّحُوا فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ قَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ " . قِيلَ هَذَا الأَعْرَابِيُّ فَدَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي " إِنَّمَا الصَّلاَةُ لِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَذِكْرِ اللَّهِ جَلَّ وَعَزَّ فَإِذَا كُنْتَ فِيهَا فَلْيَكُنْ ذَلِكَ شَأْنَكَ " . فَمَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَطُّ أَرْفَقَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
Mu’awiyah b. al-Hakam al-Sulami said ; when I came to the Messenger of Allah (ﷺ) I learnt many things about islam. One of the things that I was taught was that it was that it was pointed out me. When you sneeze, praise Allah (I,e, say “praise be to Allah”); and when someone sneezes and praises Allah, say “ May Allah have mercy on you. Meanwhile I was standing along with the Messenger of Allah (may peace be upon him) during prayer, all of a sudden a man sneezed, and he praised Allah. So I said, “may Allah have mercy on you”, in a loud voice. The people gave me disapproving looks so much so that I took ill of it. So I said :
what do you mean by looking at me with furtive glances. Then they glorified Allah. When the prophet (ﷺ) finished his prayer, he asked; who was the speaker? The Prophet told him; this Bedouin. The Messenger of Allah (ﷺ) called me and said to me: Prayer is meant for the recitation of the Quran, and making mention of Allah. When you are in it (prayer), this should be your work therein. I never saw an instructor more lenient than the Messenger of Allah (ﷺ)