পরিচ্ছেদঃ ১৪৬. নামাযের মধ্যে পূর্ণ তাকবীর পাঠ সম্পর্কে।
৮৩৫. সুলায়মান ইবনু হারব ..... মুতাররিফ হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি ও ইমরান ইবনু হুসায়েন (রাঃ) আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) এর পশ্চাতে নামায আদায় করি তিনি সিজদা ও রুকুতে গমনকালে তাকবীর বলতেন এবং তিনি দুই রাকাত নামায সম্পন্ন করে উঠার সময় তাকবীর বলতেন। নামাযান্তে ফিরে আসার সময় ইমরান (রাঃ) আমার হাত ধরে বলেনঃ ইতিপূর্বে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে যেরূপে নামায আদায় করেছেন, তিনিও সে নিয়মে নামায পড়লেন। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ)।
باب تَمَامِ التَّكْبِيرِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ مُطَرِّفٍ، قَالَ صَلَّيْتُ أَنَا وَعِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ، خَلْفَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ - رضى الله عنه - فَكَانَ إِذَا سَجَدَ كَبَّرَ وَإِذَا رَكَعَ كَبَّرَ وَإِذَا نَهَضَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ فَلَمَّا انْصَرَفْنَا أَخَذَ عِمْرَانُ بِيَدِي وَقَالَ لَقَدْ صَلَّى هَذَا قِبَلَ أَوْ قَالَ لَقَدْ صَلَّى بِنَا هَذَا قِبَلَ صَلاَةِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم .
Mutarrif said:
I and ‘Imran b. Husain offered prayer behind ‘All b. AbI Talib(may Allah be pleased with him). When he prostrated, he uttered the takbir (Allah is most great) and when he bowed, he uttered the takbir and when he stood up at the end of two rak’ahs, he uttered the takbir. When we finished our prayer, ‘Imran caught hold of my hand, and said: He has led us in prayer just now like the prayer offered by Muhammed(may peace by upon him).
পরিচ্ছেদঃ ১৪৬. নামাযের মধ্যে পূর্ণ তাকবীর পাঠ সম্পর্কে।
৮৩৬. আমর ইবনু উছমান ..... আবূ বকর ইবনু আব্দুর রহমান এবং আবূ সালামা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তারা বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) ফরয ও অন্যান্য নামায আদায়ের সময় দাঁড়ানো ও রুকূ করাকালে তাকবীর বলতেন। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলার পর “রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ” বলতেন সিজদায় যাওয়ার পূর্বে। অতঃপর সিজদায় যেতে “আল্লাহু আকবার” বলতেন। সিজদা হতে মাথা উত্তোলন এবং পুনরায় সিজদায় গমনকালে তিনি তাকবীর বলতেন, অতঃপর সিজদা হতে মাথা উঠাবার সময় তাকবীর বলতেন। দ্বিতীয় রাকাতের বৈঠক হতে দন্ডায়মান হবার সময়ও তিনি “আল্লাহু আকবার” বলতেন। প্রত্যেক রাকাতেই “আল্লাহু আকবার” বলতেন। নামাযান্তে তিনি বলতেনঃ আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার জীবন! তোমাদের তুলনায় আমার নামায রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামাযের সাথে অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত এরূপে নামায আদায় করেন। (বুখারী, নাসাঈ, মুসলিম)।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইমাম মালেক আলী ইবনু হুসাইনের সূত্রে এটাকে সর্বশেষ বাক্য বলেছেন। আব্দুল আলা যুহরীর সূত্রে এ ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেছেন।
باب تَمَامِ التَّكْبِيرِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبِي وَبَقِيَّةُ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَأَبُو سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، كَانَ يُكَبِّرُ فِي كُلِّ صَلاَةٍ مِنَ الْمَكْتُوبَةِ وَغَيْرِهَا يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ثُمَّ يَقُولُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ قَبْلَ أَنْ يَسْجُدَ ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ حِينَ يَهْوِي سَاجِدًا ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَسْجُدُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ مِنَ الْجُلُوسِ فِي اثْنَتَيْنِ فَيَفْعَلُ ذَلِكَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ حَتَّى يَفْرُغَ مِنَ الصَّلاَةِ ثُمَّ يَقُولُ حِينَ يَنْصَرِفُ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَقْرَبُكُمْ شَبَهًا بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنْ كَانَتْ هَذِهِ لَصَلاَتُهُ حَتَّى فَارَقَ الدُّنْيَا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا الْكَلاَمُ الأَخِيرُ يَجْعَلُهُ مَالِكٌ وَالزُّبَيْدِيُّ وَغَيْرُهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ وَوَافَقَ عَبْدُ الأَعْلَى عَنْ مَعْمَرٍ شُعَيْبَ بْنَ أَبِي حَمْزَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ .
Abu bakr b. ‘Abd al-Rahman and abu Salamah said:
Abu Hurairah would utter the takbir in every prayer, whether obligatory or non-obligatory, He would utter the takbir when he stood, and he would utter the takbir when he bowed, then he would say: “Allah listens to him who praises Him”; he then would say before prostrating himself; “ Our Lord, to Thee be praise”; then he would say while falling in prostration: “Allah is most great”; he then would utter the takbir when he raised his head after prostration, and then utter the takbir when he prostrated, and then utter takbir the takbir when he stood up at the end of two rak’ahs after sitting down. He used to do so in every rak’ah until he finished his prayer. Then he would say at the end of the prayer: By Him in Whose hands lies my life, I am closer to the Messenger of Allah(ﷺ) in respect of his prayer. Such was the prayer he used to offer until he departed from the world.
Abu Dawud said: Malik, al-Zubaidi and others have narrated so that they form the last words from al-Zuhri on the authority of ‘Ali b, Husain. And this is supported by the version reported by ‘Abd al-A’la from Ma’mar and SHu’aib b. Abi Hamzah on the authority of Al-Zuhri.
পরিচ্ছেদঃ ১৪৬. নামাযের মধ্যে পূর্ণ তাকবীর পাঠ সম্পর্কে।
৮৩৭. মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্শার .... আব্দুর রহমান ইবনু আবযা থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে নামায আদায় করেন। তিনি তাকবীর পূর্ণভাবে বলেননি। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেনঃ এর অর্থ এই যে, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রুকু হতে মাথা উঠিয়ে যখন সিজদায় যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখন পূর্ণরূপে তাকবীর উচ্চারণ করতেন না। তিনি সিজদা হতে দাঁড়াবার সময়ও পূর্ণররূপে তাকবীর উচ্চারণ করতেন না।
باب تَمَامِ التَّكْبِيرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَابْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عِمْرَانَ، - قَالَ ابْنُ بَشَّارٍ الشَّامِيِّ وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْعَسْقَلاَنِيُّ - عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ لاَ يُتِمُّ التَّكْبِيرَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ مَعْنَاهُ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ وَأَرَادَ أَنْ يَسْجُدَ لَمْ يُكَبِّرْ وَإِذَا قَامَ مِنَ السُّجُودِ لَمْ يُكَبِّرْ .
‘Abd al Rahman b. Abza said that he offered prayer along with the Messenger of Allah(ﷺ) but he did not complete the takbir.
Abu Dawud said:
This means that when he raised his head after bowing and when he was about to prostrate, he did not utter the takbir, and when he stood up after prostration, he did not utter the takbir.