পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭২৯. মুহাম্মাদ ইবনু সুলায়মান .... ওয়ায়েল ইবনু হুজ্র (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শীতের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমতে উপস্থিত হই। এ সময় আমি দেখি যে, তাঁর সাহাবীগণ নামাযের মধ্যে তাদের কাপড়ের ভিতর থেকে নিজ নিজ হাত উত্তোলন করছিলেন।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الشِّتَاءِ فَرَأَيْتُ أَصْحَابَهُ يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ فِي ثِيَابِهِمْ فِي الصَّلاَةِ .
Wa’il b. Hujr said:
I came to the Prophet(ﷺ) during winter; I saw his companions raise their hands in their clothes in prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৩০. আহমদ ইবনু হাম্বল .... মুহাম্মাদ ইবনু আমর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হুমায়েদ আস-সাইদী (রাঃ)-কে দশজন সাহাবীর উপস্থিতিতে যাদের মধ্যে আবূ কাতাদা (রাঃ)-ও ছিলেন- বলতে শুনেছিঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায সম্পর্কে আপনাদের চেয়ে সমধিক অবগত আছি। তাঁরা বলেন, তা কিরূপে? আল্লাহর শপথ! আপনি তাঁর অনুসরণের ও সাহচর্যের দিক দিয়ে আমাদের চাইতে অধিক অগ্রগামী নন। তিনি বলেন, হ্যাঁ। অতঃপর তারা বলেন, এখন আপনি আপনার বক্তব্য পেশ করুন। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযে দাঁড়াতেন তখন তিনি, তাঁর হস্তদ্বয় কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে পূর্ণরূপে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। তিনি কিরাআত পাঠের পর তাকবীর বলে রুকূতে যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলে নিজের উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। রুকূতে গিয়ে তিনি দুই হাতের তালু দ্বারা হাঁটুদ্বয় মজবুতভাবে ধরতেন।
অতঃপর তিনি এমনভাবে রুকু করতেন যে, তাঁর মাথা পিঠের সাথে সমান্তরাল থাকত। অতঃপর তিনি মাথা উঠিয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলে স্বীয় উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। পুনরায় আল্লাহু আকবার বলে তিনি সিজদায় গিয়ে উভয় বাহু স্বীয় পাজরের পাশ হতে দূরে সরিয়ে রাখতেন। অতঃপর সিজদা হতে মাথা উঠিয়ে বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর বসতেন এবং সিজদার সময় পায়ের আংগুলগুলি নরম করে কিবলামুখী করে রাখতেন। তিনি আল্লাহু আকবার বলে (দ্বিতীয়) সিজদা হতে উঠে বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর সোজা হয়ে বসতেন। অতঃপর তিনি সর্বশেষ রাকাতে স্বীয় বাম পা ডান দিকে বের করে দিয়ে বাম পাশের পাছার উপর ভর করে বসতেন। তখন তারা সকলে বলেন, হ্যাঁ, আপনি ঠিক বলেছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই রূপেই নামায আদায় করতেন।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهَذَا حَدِيثُ أَحْمَدَ قَالَ - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ، فِي عَشْرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو قَتَادَةَ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالُوا فَلِمَ فَوَاللَّهِ مَا كُنْتَ بِأَكْثَرِنَا لَهُ تَبَعًا وَلاَ أَقْدَمَنَا لَهُ صُحْبَةً . قَالَ بَلَى . قَالُوا فَاعْرِضْ . قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يُكَبِّرُ حَتَّى يَقِرَّ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ يَقْرَأُ ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يَرْكَعُ وَيَضَعُ رَاحَتَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ يَعْتَدِلُ فَلاَ يَصُبُّ رَأْسَهُ وَلاَ يُقْنِعُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيَقُولُ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ يَقُولُ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . ثُمَّ يَهْوِي إِلَى الأَرْضِ فَيُجَافِي يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا وَيَفْتَحُ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ إِذَا سَجَدَ وَيَسْجُدُ ثُمَّ يَقُولُ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . وَيَرْفَعُ رَأْسَهُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ إِلَى مَوْضِعِهِ ثُمَّ يَصْنَعُ فِي الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ إِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ كَمَا كَبَّرَ عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ ثُمَّ يَصْنَعُ ذَلِكَ فِي بَقِيَّةِ صَلاَتِهِ حَتَّى إِذَا كَانَتِ السَّجْدَةُ الَّتِي فِيهَا التَّسْلِيمُ أَخَّرَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَقَعَدَ مُتَوَرِّكًا عَلَى شِقِّهِ الأَيْسَرِ . قَالُوا صَدَقْتَ هَكَذَا كَانَ يُصَلِّي صلى الله عليه وسلم .
Abu Humaid al-Sa’idi once told a company of ten of the companions of the Messenger of Allah (ﷺ) ; Abu Qatadah was one of them:
I am one among you who is more informed of the way the Messenger of Allah (ﷺ) prayed. They said: Why, By Allah, you did not follow him more than us, nor did you remain in his company longer than us? He said: Yes. They said: Then describe (how the Prophet prayed). He said: When the Messenger of Allah (ﷺ) stood up to pray, he raised his hands so as to bring them opposite his shoulders, and uttered the takbir (Allah is the most great), until every bone rested in its place properly: then re recited (some verses from the Quran); then he uttered the takbir (Allah is most great), raising his hands so as to bring them opposite his shoulders; then he bowed; placing the palms of his hands on his knees and keeping himself straight, neither raising nor lowering his head; then raised his head saying: “Allah listens to him who praise Him”; then raised his hands so as to bring them exactly opposite to his shoulders; then uttered: “Allah is most great”; then lowered himself to the ground (in prostration), keeping his arms away from his sides; then raised his head, bent his left foot and sat on it, and opened the toes when he prostrated: then he uttered: “Allah is most great”; then raised his head, bent his left foot and sat on it so that every bone returned to its place properly; then he did the same in the second (rak’ah). At the end of the two Rak’ahs he stood up and uttered the takbir (Allah is most great), raising his hands so as to bring them opposite to his shoulders; then he bowed, placing the palms of his hands on his knees and keeping himself straight, neither raising or lowering his head: then raised his head saying: “Allah listens to him who praises Him”; then raised his hands so as to bring them exactly opposite his shoulders; then uttered: “Allah is most great”; then lowered himself to the ground (in prostration), keeping his arms away from his sides; then raised his head, bent his left foot and sat on it, and opened the toes when he prostrated himself; then he prostrated; then uttered: “Allah is most great”; then raised his head, bent his left foot and sat on it so that every bone returned to its place properly; then he did the same in the second (rak’ah). At the end of two rak’ahs he stood up and uttered the takbir (Allah is most great), raising his hands so as to bring them opposite to his shoulders in the way he had uttered the Takbir (Allah is most great) at the beginning of the prayer; then he did that in the remainder of his prayer; and after prostration which if followed by the taslim (salutation) he out his left foot and sat on his left hip. They said: You have spoken the truth. This is how he(peace be upon him) used to pray.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৩১. কুতায়বা ইবনু সাঈদ ..... মুসাদ্দাদ ইবনু আমার আল-আমিরী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাহাবায়ে কিরামের মজলিসে উপস্থিত থাকাকালে সেখানে রাসূলুল্লহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায সম্পর্কে আলোচনা হয়। তখন আবূ হুমায়েদ (রাঃ) বলেন অতঃপর রাবী পূর্বোক্ত হাদীছটির কিছু অংশ বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যখন তিনি রুকূ করতেন তখন তাঁর হাতের তালু দ্বারা হাঁটু মজবুতভাবে ধরতেন এবং হাতের আংগুলগুলি পরস্পর বিচ্ছিন্ন রাখতেন এবং এ সময় তিনি স্বীয় মাথা পিঠের সমান্তরালে রাখতেন। রাবী বলেন, অতঃপর যখন তিনি দুই রাকাত নামায আদায়ের পর বসতেন, তখন বাম পায়ের উপর বসতেন এবং ডান পায়ের পাতা দাঁড় করিয়ে রাখতেন। অতঃপর তিনি যখন চতুর্থ রাকাতের পর বসতেন, তখন তিনি নিজের উভয় পা ডান দিকে বের করে দিতেন এবং বাম পাশের পাছার উপর ভর দিয়ে বসতেন।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي حَبِيبٍ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو الْعَامِرِيِّ، قَالَ كُنْتُ فِي مَجْلِسٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَذَاكَرُوا صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ فَذَكَرَ بَعْضَ هَذَا الْحَدِيثِ وَقَالَ فَإِذَا رَكَعَ أَمْكَنَ كَفَّيْهِ مِنْ رُكْبَتَيْهِ وَفَرَّجَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ ثُمَّ هَصَرَ ظَهْرَهُ غَيْرَ مُقْنِعٍ رَأْسَهُ وَلاَ صَافِحٍ بِخَدِّهِ وَقَالَ فَإِذَا قَعَدَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ قَعَدَ عَلَى بَطْنِ قَدَمِهِ الْيُسْرَى وَنَصَبَ الْيُمْنَى فَإِذَا كَانَ فِي الرَّابِعَةِ أَفْضَى بِوَرِكِهِ الْيُسْرَى إِلَى الأَرْضِ وَأَخْرَجَ قَدَمَيْهِ مِنْ نَاحِيَةٍ وَاحِدَةٍ .
‘Amr al-Amiri said:
I (once) attended the meeting of the companions of the Messenger of Allah(ﷺ). They began to discuss his prayer. Abu Humaid then narrated a part of the same tradition and said: When he bowed he clutched his knees with his palms, and he opened his fingers; then he bent his back without raising his upwards, and did not turn his face (on any side). When he sat at the end of two rak’ahs he sat on the sole of his left foot and raised the right, and after the fourth he placed his left hip on the ground and spread out both his feet one side.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৩২. ঈসা ইবনু ইব্রাহীম আল-মিসরী .... মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা হতে হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেন, তিনি সিজদার সময় স্বীয় হস্তদ্বয় বিছানার মত বিছিয়ে দিতেন না এবং শরীরের সাথে একেবারে মিলিয়েও রাখতেন না, বরং মাঝামাঝি অবস্থায় রাখতেন এবং পায়ের আংগুলগুলি কিবলামুখী করে রাখতেন।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، نَحْوَ هَذَا قَالَ فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَ يَدَيْهِ غَيْرَ مُفْتَرِشٍ وَلاَ قَابِضِهِمَا وَاسْتَقْبَلَ بِأَطْرَافِ أَصَابِعِهِ الْقِبْلَةَ .
The above mentioned tradition has also been reported by Muhammad b. ‘Amr b. ‘Ata’ through a different chain of narrators. This version adds:
“When he prostrated himself he neither placed his arms on the ground nor closed them; putting forward his fingers towards the qiblah.”
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৩৩. আলী ইবনুল হুসায়ন ইবনু ইব্রাহীম ...... আব্বাস (রহঃ) অথবা আইয়াশ ইবনু সাহল (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি সাহাবীদের এক মজলিসে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তাঁর পিতা এবং আবূ হুরায়রা (রাঃ), আবূ হুমায়েদ আস-সাইদী এবং আবূ উসায়েদ (রাঃ)-ও উপস্থিত ছিলেন। এই সূত্রে উপোরোক্ত হাদীছ কিছুটা হ্রাসবৃদ্ধি সহ বর্ণিত আছে। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি (নবী) রুকূ হতে মাথা উঠিয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হাম্দ” বলে স্বীয় হস্তদ্বয় উপরে উঠাতেন। অতঃপর তিনি আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেতেন এবং হাতের তালু, হাঁটু ও পায়ের পাতার উপর ভর করে সিজদা করতেন। অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে তিনি পাছার উপর ভর করে বসতেন এবং অপর পা-খানি সোজা করে রাখতেন। অতঃপর তাকবীর বলে সিজদা করতেন এবং পুনরায় তাকবীর বলে সিজদা হতে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। তিনি এ সময় আর বসতেন না। এইরূপে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুই রাকাতের পর বসে যখন দাঁড়াতে ইচ্ছা করতেন, তখন আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়াতেন এবং এইভাবে নামাযের শেষের দুই রাকাত সম্পন্ন করতেন। এই বর্ণনায় শেষ বৈঠকেও বাম পাশের পাছার উপর বসার কথা উল্লেখ নাই।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ، حَدَّثَنِي زُهَيْرٌ أَبُو خَيْثَمَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ، حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَحَدِ بَنِي مَالِكٍ عَنْ عَبَّاسٍ، - أَوْ عَيَّاشِ - بْنِ سَهْلٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ كَانَ فِي مَجْلِسٍ فِيهِ أَبُوهُ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَفِي الْمَجْلِسِ أَبُو هُرَيْرَةَ وَأَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ وَأَبُو أُسَيْدٍ بِهَذَا الْخَبَرِ يَزِيدُ أَوْ يَنْقُصُ قَالَ فِيهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ - يَعْنِي مِنَ الرُّكُوعِ - فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ " . وَرَفَعَ يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . فَسَجَدَ فَانْتَصَبَ عَلَى كَفَّيْهِ وَرُكْبَتَيْهِ وَصُدُورِ قَدَمَيْهِ وَهُوَ سَاجِدٌ ثُمَّ كَبَّرَ فَجَلَسَ فَتَوَرَّكَ وَنَصَبَ قَدَمَهُ الأُخْرَى ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ ثُمَّ كَبَّرَ فَقَامَ وَلَمْ يَتَوَرَّكْ ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ قَالَ ثُمَّ جَلَسَ بَعْدَ الرَّكْعَتَيْنِ حَتَّى إِذَا هُوَ أَرَادَ أَنْ يَنْهَضَ لِلْقِيَامِ قَامَ بِتَكْبِيرَةٍ ثُمَّ رَكَعَ الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ وَلَمْ يَذْكُرِ التَّوَرُّكَ فِي التَّشَهُّدِ .
Abbas or ‘Ayyash b. Sahl as-Sa’idi said that he was present in a meeting which was attended by his father who was one of the companions of the Prophet(ﷺ), Abu Hurairah, Abu Humaid al-Sa’idi and Abu Usaid. He narrated the same tradition with a slight addition or deletion. He said:
He then raised his head after bowing and uttered:”Allah listens to him who praises Him, to Thee, our Lord, be the praise,” and raised his hands. He then uttered: “Allah is most great”; then he prostrated himself and rested on his palms, knees, and the end of his toes while prostrating: then he uttered the Takbir (Allah is most great), and sat down on his hips and raised his other foot; then he uttered the takbir and prostrated himself; then he uttered takbir and stood up, but did not sit on his hips. He (the narrator) then narrated the rest of the tradition. He further said: Then he sat down at the end of two rak’ahs; when he was about to stand after two rak’ahs, he uttered the takbir; then he offered the last two rak’ahs of the prayer. The narrator did not mention about his sitting on the hips spreading out his feet.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৩৪. আহমদ ইবনু হাম্বল ..... আব্বাস হাম্বল সাহল বলেন, আবূ হুমায়েদ, আবূ উসায়েদ, সাহল ইবনু সা’দ এবং মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা (রাঃ) কোন এক মজলিসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায আদায়ের ধরণ সম্পর্কে আলোচনা করেন। এ সময় আবূ হুমায়েদ (রাঃ) বলেন, আমি তোমাদের চাইতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায সম্পর্কে অধিক অবহিত। অতঃপর কিছু অংশ এখানে বর্ণনা করা হল। রাবী বলেন, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ করার সময় স্বীয় হস্ত দ্বারা হাঁটু শক্তভাবে আটকিয়ে ধরতেন। অতঃপর তিনি স্বীয় হস্তদ্বয় তাঁর পার্শদেশ থেকে বিছিন্ন করে রাখতেন।
রাবী বলেন, অতঃপর তিনি সিজদার সময় নাক ও কপাল মাটির সাথে মিলিয়ে রাখেন এবং হস্তদ্বয় পাশ হতে দূরে সরিয়ে রাখেন। অতঃপর তিনি এমনভাবে মাথা উঠাতেন যে, শরীরের সমস্ত সংযোগ স্থান স্ব-স্ব স্থানে স্থাপিত হত। অতঃপর বসে তিনি তাঁর বাম পা বিছিয়ে দিতেন এবং ডান পায়ের সম্মুখ ভাগ কিবলামুখী করে রাখতেন এবং ডান হাতের তালু ডান পায়ের উরুর উপর রাখতেন এবং বাম হাত বাম পায়ের উপর এবং তাশাহুদ পাঠের সময় শাহাদাত আংগুল দ্বারা ইশারা করতেন।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এই হাদীছ উত্বা (রহঃ) আবদুল্লাহ হতে এবং তিনি আব্বাস ইবনু সাহল হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তারা সেখানে বাম পাশের পাছার উপর বসার কথা উল্লেখ করেন নি।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، أَخْبَرَنِي فُلَيْحٌ، حَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ اجْتَمَعَ أَبُو حُمَيْدٍ وَأَبُو أُسَيْدٍ وَسَهْلُ بْنُ سَعْدٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَذَكَرُوا صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ بَعْضَ هَذَا قَالَ ثُمَّ رَكَعَ فَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ كَأَنَّهُ قَابِضٌ عَلَيْهِمَا وَوَتَّرَ يَدَيْهِ فَتَجَافَى عَنْ جَنْبَيْهِ قَالَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَمْكَنَ أَنْفَهُ وَجَبْهَتَهُ وَنَحَّى يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ حَتَّى رَجَعَ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ حَتَّى فَرَغَ ثُمَّ جَلَسَ فَافْتَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَأَقْبَلَ بِصَدْرِ الْيُمْنَى عَلَى قِبْلَتِهِ وَوَضَعَ كَفَّهُ الْيُمْنَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُمْنَى وَكَفَّهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى وَأَشَارَ بِأُصْبُعِهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ لَمْ يَذْكُرِ التَّوَرُّكَ وَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ فُلَيْحٍ وَذَكَرَ الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ نَحْوَ جِلْسَةِ حَدِيثِ فُلَيْحٍ وَعُتْبَةَ .
‘Abbas b. Sahl. Said:
Abu Humaid, Abu Usaid, Sahl. B Sa’d and Muhammad b. Maslamah (once) got together and discussed how the Messenger of Allah(ﷺ) used to offer his prayer. Abu Humaid said: I am more informed than any of you regarding the prayer offered by the Messenger of Allah (ﷺ). Then he mentioned a part of it, and said: He then bowed and placed his hands upon his knees as if he caught hold of them; and bent them, keeping (his arms) away from his sides. He them prostrated himself and placed his nose and forehead (on the ground); and kept his arms away from his side, and placed his palms (on the ground opposite his shoulders; he then raised his head that every bone returned to its proper place; (he then prostrated twice) until he finished this prostrations). Then he sat down and spread out his left foot, putting forward the front of his right foot towards the qiblah placing the palm of his right hand on his right knee, and the palm of his left hand on his left knee, and he pointed with his finger.
Abu Dawud said: This tradition has been narrated by Ibn al-Mubarak from Fulaih who heard ‘Abbas . Sahl narrating it; but I do not remember it. I think he made the mention of ‘Isa b. ‘Abd Allah who heard ‘Abbas b. Sahl saying: I accompanied Abu Humaid al-Sa’idi.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৩৫. আমর ইবনু উছমান ...... আবূ হুমায়েদ (রাঃ) হতে পূর্ববর্তী হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, যখন তিনি সিজদা করতেন, তখন স্বীয় পেট রান হতে বিচ্ছিন্ন রাখতেন।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এই হাদীছ ইবনুল মুবারক ও অন্যান্য সূত্র হতেও বর্ণিত হয়েছে।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنِي عُتْبَةُ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِيسَى، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ السَّاعِدِيِّ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ وَإِذَا سَجَدَ فَرَّجَ بَيْنَ فَخِذَيْهِ غَيْرَ حَامِلٍ بَطْنَهُ عَلَى شَىْءٍ مِنْ فَخِذَيْهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ ابْنُ الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنَا فُلَيْحٌ سَمِعْتُ عَبَّاسَ بْنَ سَهْلٍ يُحَدِّثُ فَلَمْ أَحْفَظْهُ فَحَدَّثَنِيهِ أُرَاهُ ذَكَرَ عِيسَى بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ قَالَ حَضَرْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ
Abu Humaid reported to the same effect. He said:
When he (the Prophet) prostrated he kept his thighs wide and did not let his belly touch the thighs.
Abu Dawud says that Ibn Mubarak narrated this hadith from ‘Abbas b. Sahl, which he did not remember well. It is thought that he has mentioned ‘Isa b. ‘Abd Allah, ‘Abbas b. Sahl and Abu Humaid al-Sa’idi.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৩৬. মুহাম্মাদ ইবনু মামার ..... আব্দুল জব্বার তাঁর পিতা ওয়ায়েল (রাঃ) হতে এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে পূর্বোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। রাবী বলেন, যখন তিনি সিজদা করতেন, তখন তিনি যমীনের উপর হাত রাখার আগে স্বীয় হাঁটু স্থাপন করতেন। যখন তিনি সিজাদাহ্ করতেন, তখন স্বীয় দুই হাতের তালুর মধ্যবর্তী স্থানে কপাল রাখতেন এবং হস্তদ্বয় বগল হতে দুরে সরিয়ে রাখতেন। আসেম ইবনু কুলায়েব তাঁর পিতা হতে এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে উপরোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। রাবী বলেন, যথা সম্ভব মুহাম্মাদ ইবনু জাহাদার বর্ণনায় উল্লেখ আছে যে, যখন তিনি দাঁড়াতেন তখন রান ও হাঁটুর উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতেন।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فَلَمَّا سَجَدَ وَقَعَتَا رُكْبَتَاهُ إِلَى الأَرْضِ قَبْلَ أَنْ تَقَعَ كَفَّاهُ - قَالَ - فَلَمَّا سَجَدَ وَضَعَ جَبْهَتَهُ بَيْنَ كَفَّيْهِ وَجَافَى عَنْ إِبْطَيْهِ . قَالَ حَجَّاجٌ وَقَالَ هَمَّامٌ وَحَدَّثَنَا شَقِيقٌ حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ هَذَا وَفِي حَدِيثِ أَحَدِهِمَا - وَأَكْبَرُ عِلْمِي أَنَّهُ حَدِيثُ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ - وَإِذَا نَهَضَ نَهَضَ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَاعْتَمَدَ عَلَى فَخِذَيْهِ .
Wa’il b. Hujr reported in this tradition from the Prophet(ﷺ):
When he prostrated, his knees touched the ground before his palms touched it; when he prostrated himself, he placed his forehead on the ground between his palms, and kept his armpits away from his sides.
Hajjaj reported from Hammam and Shaqiq narrated a similar tradition to us from ‘Asim b. Kulaib on the authority of his father from the Prophet(ﷺ).
And another version narrated by one of them has-and I think in all probability that this version has been narrated by Muhammad b. Juhadah-when he got up (after prostration), he got up with his knees and gave his weight on his thighs.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৩৭. মুসাদ্দাদ .... আব্দুল জারীর ইবনু ওয়ায়েল থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাকবীর বলার সময় তাঁর উভয় হাতের বৃদ্ধাংগুলী কানের নিম্নভাগ পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি। (নাসাঈ)।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ فِطْرٍ، عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْفَعُ إِبْهَامَيْهِ فِي الصَّلاَةِ إِلَى شَحْمَةِ أُذُنَيْهِ .
Narrated Wa'il ibn Hujr:
I saw the Messenger of Allah (ﷺ) raising his thumbs in prayer up to the lobes of his ears.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৩৮. আব্দুল মালিক ইবনু শুআয়ব ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাযের জন্য তাকবীরে তাহ্রীমা বলতেন, তখন স্বীয় উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উত্তোলন করতেন। অতঃপর রুকূতে গমনকালে এবং রুকূ হতে সোজা হবার সময়ও দুই হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন এবং দুই রাকাতের পর যখন দন্ডায়মান হতেন, তখনও হাত উত্তোলন করতেন।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَبَّرَ لِلصَّلاَةِ جَعَلَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا رَكَعَ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ وَإِذَا رَفَعَ لِلسُّجُودِ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ وَإِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ .
Narrated AbuHurayrah:
When the Messenger of Allah (ﷺ) uttered the takbir (Allah is most great) for prayer (in the beginning), he raised his hands opposite to his shoulders; and when he bowed, he did like that; and when he raised his head to prostrate, he did like that; and when he got up at the end of two rak'ahs, he did like that.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৩৯. কুতায়বা ইবনু সাঈদ .... মায়মূন আল-মাক্কী হতে বর্ণিত। তিনি আবদুল্লাহ্ ইবনুয যুবায়র (রাঃ)-কে তাদের নামায পড়াতে দেখেন। তিনি দাঁড়ানোর সময় রুকূ হতে সোজা হওয়ার সময় এবং দন্ডায়মান হওয়ার সময় তাঁর উভয় হাত উত্তোলন করতেন। অতঃপর আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর নিকট গিয়ে তাকে ইবনুুয যুবায়েরের নামায সম্পর্কে বলি যে, এইরূপে হাত তুলে নামায আদায় করতে আর কাকেও দেখিনি। তখন তিনি বলেন, যদি তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায আদায়ের পদ্ধতি অবলোকন করতে চাও, তবে ইবনুুয যুবায়েরের নামাযের অনুসরণ কর। (আহমদ)।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي هُبَيْرَةَ، عَنْ مَيْمُونٍ الْمَكِّيِّ، أَنَّهُ رَأَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ وَصَلَّى بِهِمْ يُشِيرُ بِكَفَّيْهِ حِينَ يَقُومُ وَحِينَ يَرْكَعُ وَحِينَ يَسْجُدُ وَحِينَ يَنْهَضُ لِلْقِيَامِ فَيَقُومُ فَيُشِيرُ بِيَدَيْهِ فَانْطَلَقْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ إِنِّي رَأَيْتُ ابْنَ الزُّبَيْرِ صَلَّى صَلاَةً لَمْ أَرَ أَحَدًا يُصَلِّيهَا فَوَصَفْتُ لَهُ هَذِهِ الإِشَارَةَ فَقَالَ إِنْ أَحْبَبْتَ أَنْ تَنْظُرَ إِلَى صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاقْتَدِ بِصَلاَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ .
Narrated Abdullah ibn Abbas:
Maymun al-Makki said: that he saw Abdullah ibn az-Zubayr leading in prayer. He pointed with his hands (i.e. raised his hands opposite to the shoulders) when he stood up, when he bowed and when he prostrated, and when he got up after prostration, he pointed with his hands (i.e. raised his hands).
The I went to Ibn Abbas and said (to him) I saw Ibn az-Zubayr praying that I never saw anyone praying. I then told him about the pointing with his hands (raising his hands). He said: If you like to see the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ) follower the prayer as offered by Abdullah ibn az-Zubayr.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৪০. কুতায়বা ইবনু সাঈদ ...... নাদ্র ইবনু কাছীর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু তাউস (রহঃ) খায়েফের মসজিদে আমার পাশে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করেন। তিনি প্রথম সিজদায় গেলেন, অতঃপর সিজদা থেকে মাথা উঠানোকালে মুখমণ্ডল বরাবর উভয় হাত উত্তোলন করলেন। তা আমার নিকট অপছন্দনীয় লাগলে আমি উহায়েব ইবনু খালিদকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি উহায়েব (রহঃ) আবদুল্লাহকে বলেন, তুমি এমন একটি কাজ করেছ, যা আমি ইতিপূর্বে আর কাউকে করতে দেখিনি। আবদুল্লাহ্ ইবনু তাউস (রহঃ) বলেন, আমি আমার পিতাকে এরূপ করতে দেখিছি এবং আমার পিতা বলেছেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে এরূপ করতে দেখেছি। আমি নিশ্চিত জানি যে, তিনি আরো বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরূপ করতেন।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ كَثِيرٍ، - يَعْنِي السَّعْدِيَّ - قَالَ صَلَّى إِلَى جَنْبِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ فِي مَسْجِدِ الْخَيْفِ فَكَانَ إِذَا سَجَدَ السَّجْدَةَ الأُولَى فَرَفَعَ رَأْسَهُ مِنْهَا رَفَعَ يَدَيْهِ تِلْقَاءَ وَجْهِهِ فَأَنْكَرْتُ ذَلِكَ فَقُلْتُ لِوُهَيْبِ بْنِ خَالِدٍ فَقَالَ لَهُ وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ تَصْنَعُ شَيْئًا لَمْ أَرَ أَحَدًا يَصْنَعُهُ فَقَالَ ابْنُ طَاوُسٍ رَأَيْتُ أَبِي يَصْنَعُهُ وَقَالَ أَبِي رَأَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَصْنَعُهُ وَلاَ أَعْلَمُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُهُ .
Narrated Abdullah ibn Abbas:
Nadr ibn Kathir as-Sa'di said: Abdullah ibn Tawus prayed at my side in the mosque of al-Khayf. When he made the first prostration, he raised his head after it and raised his hands opposite to his face. This came as something strange for me. I, therefore, said it to Wuhayb ibn Khalid.
Then Wuhayb ibn Khalid said to him: You are doing a thing that I did not see anyone do. Ibn Tawus then replied: I saw my father doing it, and my father said: I saw Ibn Abbas doing it. I do not know but he said: The Prophet (ﷺ) used to do it.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৪১. নাস্র ইবনু আলী ..... নাফে (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন তিনি তাকবীর বলে দুই হাত উপরের দিকে উঠাতেন। অতঃপর তিনি রুকূ হতে মাথা তোলার সময় “সামিআল্লাহু নিমান হামিদাহ্” বলতেন। অতঃপর তিনি দুই রাকাত নামায শেষ করার পর যখন দাঁড়াতেন তখন তিনি উভয় হাত উত্তোলন করতেন এবং এই বর্ণনা সূত্র রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত পৌছেছেন (অর্থাৎ হাদীছটি মারফু)। (বুখারী)।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, সত্য বর্ণনা এই যে, হাদীছটি ইবনু উমার (রাঃ) এর বক্তব্য, মারফু হাদীছ নয়। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেন, প্রথম হাদীছে দুই রাকাত নামায আদায়ের পর দাঁড়ানোর সময় হাত উঠানো সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে- তা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত নয়। ছাকাফী উবায়দুল্লাহ হতে বর্ণনা করেছেন এবং এই বর্ণনাসূত্র ইবনু উমার (রাঃ) পর্যন্ত পৌছেছে এবং এখানে এরূপ উল্লেখ হয়েছে যে, যখন তিনি দুই রাকাত নামায সমাপ্তির পর দন্ডায়মান হতেন, তখন উভয় হাত বক্ষ পর্যন্ত উত্তোলন করতেন এবং এই রিওয়ায়াত সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেন, লাইছ, মালিক, আইউব ও ইবনু জুরায়েজ প্রমুখ রাবীগণ এই হাদীছের বর্ণনা সূত্র সাহাবী পর্যন্ত পৌছিয়েছেন। হাম্মাদ একাই এই হাদীছকে মারফু হাদীছ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। রাবী ইবনু জুরায়েজ বলেন, আমি নাফেকে জিজ্ঞাসা করি যে, ইবনু উমার (রাঃ) তাকবীরে তাহ্রীমা বলার সময় কি তাঁর হাত অন্য সময়ের চাইতে অধিক উত্তোলন করতেন? তিনি বলেন, না; বরং সব সময়ই তিনি একইরূপে হাত উঠাতেন। আমি বলি আমাকে ইশারাপূর্বক দেখান। তিনি স্বীয় বক্ষদেশ বা তার চাইতে কিছু নীচে পর্যন্ত ইশারা করে দেখান।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ إِذَا دَخَلَ فِي الصَّلاَةِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَإِذَا رَكَعَ وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ وَإِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ وَيَرْفَعُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الصَّحِيحُ قَوْلُ ابْنِ عُمَرَ وَلَيْسَ بِمَرْفُوعٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى بَقِيَّةُ أَوَّلَهُ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ وَأَسْنَدَهُ وَرَوَاهُ الثَّقَفِيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ أَوْقَفَهُ عَلَى ابْنِ عُمَرَ وَقَالَ فِيهِ وَإِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ يَرْفَعُهُمَا إِلَى ثَدْيَيْهِ وَهَذَا هُوَ الصَّحِيحُ . قال أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَمَالِكٌ وَأَيُّوبُ وَابْنُ جُرَيْجٍ مَوْقُوفًا وَأَسْنَدَهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَحْدَهُ عَنْ أَيُّوبَ وَلَمْ يَذْكُرْ أَيُّوبُ وَمَالِكٌ الرَّفْعَ إِذَا قَامَ مِنَ السَّجْدَتَيْنِ وَذَكَرَهُ اللَّيْثُ فِي حَدِيثِهِ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ فِيهِ قُلْتُ لِنَافِعٍ أَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَجْعَلُ الأُولَى أَرْفَعَهُنَّ قَالَ لاَ سَوَاءً . قُلْتُ أَشِرْ لِي . فَأَشَارَ إِلَى الثَّدْيَيْنِ أَوْ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ .
Nafi’ said on the authority of Ibn ‘Umar that when he began prayer, he uttered the takbir( Allah is most great) and raised his hands; and when he bowed( he raised his hands); and when he said:
“Allah listens to him who praises Him,” (he raised his hands); and when he stood up at the end of two rak’ahs, he raised his hands. He (Ibn ‘Umar) traced that back to the Messenger of Allah (ﷺ).
Abu Dawud said: What is correct is that the tradition reported by Ibn ‘Umar does not go back to the Prophet (may peace beupon him). Abu Dawud said: The narrator Baqiyyah reported the first part of this tradition from ‘Ubaid Allah and traced it back to the Prophet (ﷺ); and the narrator al-Thaqafi reported it from ‘Ubaid Allah as a statement of Ibn ‘Umar himself(not from the Porphet). In this version he said: When he stood at the end of two rak’ahs he raised them up to his breasts. And this is the correct version.
Abu Dawud said: This tradition has been transmitted as a statement of Ibn ‘Umar (and not of the Prophet) by al-Laith b. Sa’d, Malik, Ayyub, and Ibn Juraij; and this has been narrated as a statement of the Prophet (ﷺ) by Hammad b. Salamah alone on the authority of Ayyub. Ayyub and Malik did not mention his raising of hands when he stood after two prostrations, but al-Laith mentioned it in his version. Ibn Juraij said in this version: I asked Nafi’: Did Ibn ‘Umar raise (his hands) higher for the first time? He said: No, I said: Point out to me. He then pointed to the breasts or lower than that.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৪২. আল-কানবী ..... নাফে (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) নামায আরম্ভের প্রাক্কালে স্বীয় হস্তদ্বয় কাঁধ পর্যন্ত উত্তোলন করলেন। তিনি রুকূ হতে মাথা উঠাবার সময় হস্তদ্বয়কে একটু কম উপরে উঠাতেন।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমার জানামতে রাবী মালিক ব্যতীত আর কেউ হস্ত কম উত্তোলনের কথা উল্লেখ করেননি।
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ إِذَا ابْتَدَأَ الصَّلاَةَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا دُونَ ذَلِكَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَذْكُرْ رَفْعَهُمَا دُونَ ذَلِكَ
Nafi’ said:
When ‘Abd Allah b. ‘Umar began his prayer, he raised his hands opposite to his shoulders; and when he raised his head after bowing, he raised them lower than that.
Abu Dawud said: So as far as I know, no one narrated the words “he raised them lower that that” except Malik.