পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যাক্তি সম্পর্কে।

৫৮২. আবূল ওয়ালীদ ...... আবূ মাসউদ আল-বদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ উপস্থিত লোকদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব (তার কিরাআত) সম্পর্কে সর্বাধিক অভিজ্ঞ ব্যক্তি তাদের ইমামতি করবে। যদি এ বিষয়ে সকলে সমান যোগ্যতার অধিকারী হয়, তবে যিনি প্রথম হিজরতকারী ব্যক্তি তিনি ইমাম হবেন। যদি তাতেও সকলে সমান হয়, তবে যিনি অধিক বয়স্ক হবেন তিনই ইমামতি করবেন। কোন ব্যক্তি যেন অন্য কোন স্থানে অথবা অন্যের আধিপত্যের স্থানে ইমামতি না করে। কারো জন্য নির্ধারিত আসনে তার অনুমতি ব্যতিরেকে যেন আসন গ্রহণ না করে। অর্থাৎ ইমাম বা অন্য কারো জন্য নির্ধারিত বিছানায় যেন না বসে। (মুসলিম, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, নাসাঈ)।

باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ رَجَاءٍ، سَمِعْتُ أَوْسَ بْنَ ضَمْعَجٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْبَدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ وَأَقْدَمُهُمْ قِرَاءَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَلْيَؤُمَّهُمْ أَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْهِجْرَةِ سَوَاءً فَلْيَؤُمَّهُمْ أَكْبَرُهُمْ سِنًّا وَلاَ يُؤَمُّ الرَّجُلُ فِي بَيْتِهِ وَلاَ فِي سُلْطَانِهِ وَلاَ يُجْلَسُ عَلَى تَكْرِمَتِهِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ فَقُلْتُ لإِسْمَاعِيلَ مَا تَكْرِمَتُهُ قَالَ فِرَاشُهُ ‏.‏

حدثنا ابو الوليد الطيالسي، حدثنا شعبة، اخبرني اسماعيل بن رجاء، سمعت اوس بن ضمعج، يحدث عن ابي مسعود البدري، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يوم القوم اقروهم لكتاب الله واقدمهم قراءة فان كانوا في القراءة سواء فليومهم اقدمهم هجرة فان كانوا في الهجرة سواء فليومهم اكبرهم سنا ولا يوم الرجل في بيته ولا في سلطانه ولا يجلس على تكرمته الا باذنه ‏"‏ ‏.‏ قال شعبة فقلت لاسماعيل ما تكرمته قال فراشه ‏.‏


Abu Mas’ud al-Badri reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
The one of you who is most versed in the Books of Allah should act as imam for the people; and the one who is the earliest of them in reciting (the Qur’an); if they are equally versed in reciting it, then the earliest of them to emigrate (to Medina); if they emigrated at the same time, then the oldest of them. No man must lead another in prayer in his house (i.e. in the house of a latter) or where the latter has authority, or sit in his place of honor without his permission. Shu’bah said: I asked Isma’il: what is the meaning of his place of honor? He replied: his throne.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যাক্তি সম্পর্কে।

৫৮৩. ইবনু মুআয ..... শোবা (রহঃ) হতে উপরোক্ত হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে। তাঁর বর্ণনায় আরও আছেঃ অন্যের ইমামতির স্থানে অনুমতি ব্যতীত যেন ইমামতি না করে। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়া-শোবা হতে অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেন যে, ইমামতির জন্য যোগ্যতম হল কুরআন সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তি।

باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ

حَدَّثَنَا ابْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فِيهِ ‏"‏ وَلاَ يَؤُمُّ الرَّجُلُ الرَّجُلَ فِي سُلْطَانِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا قَالَ يَحْيَى الْقَطَّانُ عَنْ شُعْبَةَ ‏"‏ أَقْدَمُهُمْ قِرَاءَةً ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابن معاذ، حدثنا ابي، حدثنا شعبة، بهذا الحديث قال فيه ‏"‏ ولا يوم الرجل الرجل في سلطانه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو داود كذا قال يحيى القطان عن شعبة ‏"‏ اقدمهم قراءة ‏"‏ ‏.‏


The version of this tradition narrated through a different chain by Shu’bah has the words:
“A man should not lead the another man in prayer.

Abu Dawud said: Yahya al-Qattan narrated from Shu’bah in a similar way, i.e. the earliest of them in recitation.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শু'বা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যাক্তি সম্পর্কে।

৫৮৪. আল-হাসান ইবনু আলী ...... আবূ মাসউদ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে উপরোক্ত হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ যদি সকলে কিরাআতের মধ্যে সমান হয় তবে যে ব্যক্তি সুন্নাহ্ (হাদীছ) সম্পর্কে বেশী অভিজ্ঞ সেই ইমামতি করবে, এতেও যদি সকলে সমান হয় তবে প্রথম হিজরতকারী ব্যক্তি ইমামতি করবে। এই হাদীছে “ফাআকদামুহুম কিরাআতান” শব্দের উল্লেখ নাই। (মুসলিম, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, নাসাঈ)।

باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ ضَمْعَجٍ الْحَضْرَمِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ ‏"‏ فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ فَإِنْ كَانُوا فِي السُّنَّةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً ‏"‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ ‏"‏ فَأَقْدَمُهُمْ قِرَاءَةً ‏"‏

حدثنا الحسن بن علي، حدثنا عبد الله بن نمير، عن الاعمش، عن اسماعيل بن رجاء، عن اوس بن ضمعج الحضرمي، قال سمعت ابا مسعود، عن النبي صلى الله عليه وسلم بهذا الحديث قال ‏"‏ فان كانوا في القراءة سواء فاعلمهم بالسنة فان كانوا في السنة سواء فاقدمهم هجرة ‏"‏ ‏.‏ ولم يقل ‏"‏ فاقدمهم قراءة ‏"‏


This tradition has been transmitted through a different chain by Abu Mas’ud This version has words ; “If they are equally versed in recitation, then the one who has most knowledge of the Sunnah ; if they are equal with regard to (the knowledge of) the Sunnah, then the earliest of them to emigrate (to medina)”. He did not narrate the words; “ The earliest of them in recitation”.

Abu Dawud said:
Hajjaj b. Artata reported from Isma’il: Do not sit in the place of honour of anyone except with his permission.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যাক্তি সম্পর্কে।

৫৮৫. মূসা ইবনু ইসমাঈল ...... আমর ইবনু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা লোকজনের সমবেত কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলাম। এ সময় এক প্রতিনিধি দল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আগমন করে। তাঁরা প্রত্যাবর্তনের সময় আমাদের পাশ দিয়ে গমনকালে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এইরূপ বলেছেন। রাবী বলেন, এ সময় আমার বয়স কম ছিল এবং স্মরণশক্তি ছিল প্রখর। ফলে এ সময়ে আমি কুরআনের অনেকাংশ কন্ঠস্থ করে ফেলি।

রাবী বলেন, একদা আমার পিতা তাঁর গোত্রের প্রতিনিধি হিসেবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট যান। তখন তিনি তাদেরকে নামাযের নিয়ম-কানুন শিক্ষা দেন এবং এ কথাও বলেন যে, তোমাদের মধ্যে যার অধিক কুরআন মুখস্ত আছে- সে যেন ইমামতি করে। আমি অধিক কুরআন মুখস্থকারী ও বিশুদ্ধরূপে পাঠকারী হিসেবে তারা আমাকেই ইমামতির দায়িত্ব প্রদান করেন।

অতঃপর আমি তাদের ইমামতি করতে থাকি। এ সময় আমার গায়ে হলুদ বর্ণের একটি ছোট চাঁদর ছিল। নামাযের সময় যখন আমি সিজদায় যেতাম তখন তা খুলে যেত। মহিলাদের মধ্যে একজন বলেন, তোমরা তোমাদের ইমামের সতর ঢাকার ব্যাবস্থা কর। অতঃপর তারা আমার জন্য একটি ইয়ামন দেশীয় জামা খরিদ করেন; ষার ফলে ইসলাম গ্রহণের পর আমি এর চাইতে অধিক খুশী আর হই নাই। আমি এমন সময় হতে তাদের ইমামতি করতে আরম্ভ করি যখন আমার বয়স ছিল মাত্র ৭ বা ৮ বছর। (বুখারী, নাসঈ)।

باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ، قَالَ كُنَّا بِحَاضِرٍ يَمُرُّ بِنَا النَّاسُ إِذَا أَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَكَانُوا إِذَا رَجَعُوا مَرُّوا بِنَا فَأَخْبَرُونَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَذَا وَكَذَا وَكُنْتُ غُلاَمًا حَافِظًا فَحَفِظْتُ مِنْ ذَلِكَ قُرْآنًا كَثِيرًا فَانْطَلَقَ أَبِي وَافِدًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ فَعَلَّمَهُمُ الصَّلاَةَ فَقَالَ ‏ "‏ يَؤُمُّكُمْ أَقْرَؤُكُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَكُنْتُ أَقْرَأَهُمْ لِمَا كُنْتُ أَحْفَظُ فَقَدَّمُونِي فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَعَلَىَّ بُرْدَةٌ لِي صَغِيرَةٌ صَفْرَاءُ فَكُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ تَكَشَّفَتْ عَنِّي فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ النِّسَاءِ وَارُوا عَنَّا عَوْرَةَ قَارِئِكُمْ ‏.‏ فَاشْتَرَوْا لِي قَمِيصًا عُمَانِيًّا فَمَا فَرِحْتُ بِشَىْءٍ بَعْدَ الإِسْلاَمِ فَرَحِي بِهِ فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَأَنَا ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ أَوْ ثَمَانِ سِنِينَ ‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا حماد، اخبرنا ايوب، عن عمرو بن سلمة، قال كنا بحاضر يمر بنا الناس اذا اتوا النبي صلى الله عليه وسلم فكانوا اذا رجعوا مروا بنا فاخبرونا ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال كذا وكذا وكنت غلاما حافظا فحفظت من ذلك قرانا كثيرا فانطلق ابي وافدا الى رسول الله صلى الله عليه وسلم في نفر من قومه فعلمهم الصلاة فقال ‏ "‏ يومكم اقروكم ‏"‏ ‏.‏ وكنت اقراهم لما كنت احفظ فقدموني فكنت اومهم وعلى بردة لي صغيرة صفراء فكنت اذا سجدت تكشفت عني فقالت امراة من النساء واروا عنا عورة قارىكم ‏.‏ فاشتروا لي قميصا عمانيا فما فرحت بشىء بعد الاسلام فرحي به فكنت اومهم وانا ابن سبع سنين او ثمان سنين ‏.‏


‘Amr b. Salamah said ; we lived at a place where the people would pass by us when they came to the prophet (ﷺ). When they returned they would again pass by us. And they used to inform us that the Messenger of Allah (ﷺ) said so –and-so. I was a boy with a good memory. From the( process) I memorized a large portion of the Qur’an. Then my father went to the Messenger of Allah(ﷺ) along with a group of his clan. He (the Prophet) taught them prayer. And he said:
The one of you who knows most of the Qur’an should act as your imam. I knew the Qur’an better than most of them because I had memorized it. They, therefore, put me in front of them, and I would lead them in prayer. I wore a small yellow mantle which, when I prostrated myself, went up on me, and a woman of the clan said: Cover the back side of your leader from us. So they bought an ‘Ammani shirt for me, and I have never been so pleased about anything after embracing Islam as I was about that (shirt). I used to lead them in prayer and I was only seven or eight year old.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যাক্তি সম্পর্কে।

৫৮৬. আন-নুফায়লী ....... আমর ইবনু সালামা (রাঃ) হতে এই হাদীছটি বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমি আমার সম্প্রদায়ের ইমামতি করতাম একটি চাঁদর পরিধাণ করে। যা ফাটা ও তালিযুক্ত ছিল। এমতাবস্থায় যখন আমি সিজদায় যেতাম তখন আমার পশ্চাৎদেশ অনাবৃত হয়ে যেত।

باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ فِي بُرْدَةٍ مُوصَلَةٍ فِيهَا فَتْقٌ فَكُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ خَرَجَتِ اسْتِي ‏.‏

حدثنا النفيلي، حدثنا زهير، حدثنا عاصم الاحول، عن عمرو بن سلمة، بهذا الخبر قال فكنت اومهم في بردة موصلة فيها فتق فكنت اذا سجدت خرجت استي ‏.‏


This tradition has also been transmitted through a different chain by ‘Amr b. Salamah. This version says:
“I used to lead them in prayer with a sheet of cloth on me that was patched and torn. When I prostrated myself, my buttocks were disclosed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যাক্তি সম্পর্কে।

৫৮৭. কুতায়বা ..... আমর ইবনু সালামা (রাঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তাঁরা প্রতিনিধি হিসাবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমতে উপস্থিত হন। তাঁরা সেখান হতে প্রত্যাবর্তনের সময় বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের নামাযে কে ইমামতি করবে? তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কুরআন সম্পর্কে অধিক অভিজ্ঞ বা অধিক জ্ঞানী- সে ইমামতি করবে। রাবী বলেন, এ সময় আমার সম্প্রদায়ের মধ্যে কুরআন সম্পর্কে আমিই অধিক অভিজ্ঞ ছিলাম। তাই তারা আমাকে ইমাম নিযুক্ত করেন, কিন্তু তখন আমার বয়স ছিল খুবই কম। তখন আমার পরনে একটি ছোট চাঁদর থাকত এবং বয়সের সল্পতা হেতু আমি তাদের সাথে উঠাবসা না করলেও আমি তাদের জামাআতে ইমামতি করতাম এবং জানাযার নামাযও পড়াতাম।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াযীদ ইবনু হারূনের সূত্রে বর্ণিত হাদীছে “আন আবীহি” শব্দের উল্লেখ নেই।

باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرِ بْنِ حَبِيبٍ الْجَرْمِيِّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَلِمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُمْ وَفَدُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَرَادُوا أَنْ يَنْصَرِفُوا قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ يَؤُمُّنَا قَالَ ‏"‏ أَكْثَرُكُمْ جَمْعًا لِلْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ ‏"‏ أَخْذًا لِلْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنَ الْقَوْمِ جَمَعَ مَا جَمَعْتُهُ - قَالَ - فَقَدَّمُونِي وَأَنَا غُلاَمٌ وَعَلَىَّ شَمْلَةٌ لِي فَمَا شَهِدْتُ مَجْمَعًا مِنْ جَرْمٍ إِلاَّ كُنْتُ إِمَامَهُمْ وَكُنْتُ أُصَلِّي عَلَى جَنَائِزِهِمْ إِلَى يَوْمِي هَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ مِسْعَرِ بْنِ حَبِيبٍ الْجَرْمِيِّ عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ قَالَ لَمَّا وَفَدَ قَوْمِي إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَقُلْ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏

صحيح لكن قوله عن أبيه غير محفوظ (الألباني

حدثنا قتيبة، حدثنا وكيع، عن مسعر بن حبيب الجرمي، حدثنا عمرو بن سلمة، عن ابيه، انهم وفدوا الى النبي صلى الله عليه وسلم فلما ارادوا ان ينصرفوا قالوا يا رسول الله من يومنا قال ‏"‏ اكثركم جمعا للقران ‏"‏ ‏.‏ او ‏"‏ اخذا للقران ‏"‏ ‏.‏ قال فلم يكن احد من القوم جمع ما جمعته - قال - فقدموني وانا غلام وعلى شملة لي فما شهدت مجمعا من جرم الا كنت امامهم وكنت اصلي على جناىزهم الى يومي هذا ‏.‏ قال ابو داود ورواه يزيد بن هارون عن مسعر بن حبيب الجرمي عن عمرو بن سلمة قال لما وفد قومي الى النبي صلى الله عليه وسلم لم يقل عن ابيه ‏.‏ صحيح لكن قوله عن ابيه غير محفوظ (الالباني


‘Amr b. Salamah reported on the authority of his father (Salamah) that they visited the Prophet (ﷺ). When they intended to return, they said:
Messenger of Allah, who will lead us in prayer? He said: The one of you who knows most of the Qur’an, or memorizes most of the Qur’an, (should act as your imam). There was none in the clan who knew more of the Qur’an than I did. They, therefore, put me in front of them and I was only a boy. And I wore a mantle, Whenever I was present in the gathering of Jarm (name of his clan), I would act as their Imam, and lead them in their funeral prayer until today.

Abu Dawud said: This tradition has been narrated by ‘Amr b. Salamah through a different chain of transmitter. This version has: “When my clan visited the Prophet( may peace be upon him) ....” He did not report it on the authority of his father.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যাক্তি সম্পর্কে।

৫৮৮. আল-কানবী .... নাফে (রহঃ) ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মুহাজিরদের প্রথম দলটি যখন কুবার নিকটবর্তী আসবাহ নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু অলাইহে ওয়া সাল্লামের আগেই অবতরণ করেন-তখন তাঁদের ইমামতি করতেন সালেম (রাঃ), যিনি ছিলেন আবূ হুযায়ফা (রাঃ) এর আযাদকৃত গোলাম। তাদের মধ্যে তিনই ছিলেন কুরআন সম্পর্কে সমধিক অভিজ্ঞ।

রাবী হাইছামের বর্ণনায় আরও আছেঃ ঐ দলে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এবং আবূ সালামা ইবনু আব্দুল আসাদ প্রমুখ বিশিষ্ট সাহাবীরাও ছিলেন। (বুখারী)।

باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ، ح وَحَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَالِدٍ الْجُهَنِيُّ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ لَمَّا قَدِمَ الْمُهَاجِرُونَ الأَوَّلُونَ نَزَلُوا الْعَصْبَةَ قَبْلَ مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ يَؤُمُّهُمْ سَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ وَكَانَ أَكْثَرَهُمْ قُرْآنًا ‏.‏ زَادَ الْهَيْثَمُ وَفِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الأَسَدِ ‏.‏

حدثنا القعنبي، حدثنا انس يعني ابن عياض، ح وحدثنا الهيثم بن خالد الجهني، - المعنى - قالا حدثنا ابن نمير، عن عبيد الله، عن نافع، عن ابن عمر، انه قال لما قدم المهاجرون الاولون نزلوا العصبة قبل مقدم النبي صلى الله عليه وسلم فكان يومهم سالم مولى ابي حذيفة وكان اكثرهم قرانا ‏.‏ زاد الهيثم وفيهم عمر بن الخطاب وابو سلمة بن عبد الاسد ‏.‏


Ibn ‘Umar said:
when the first emigrants came (to Madina), they stayed at al-‘Asbah (a place near Madina) before the advent of the Messenger of Allah (ﷺ). Salim, the client of Abu Hudhaifah, acted as their imam, as he knew the Qur’an better than all of them, al-Haitham(the narrator) added: and ‘Umar b. al-Khattab and Abu Salamah b. ‘Abd al-Asad were among them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যাক্তি সম্পর্কে।

৫৮৯. মূসা’দ্দাদ ..... মালিক ইবনু হুয়ায়রিছ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে অথবা তাঁর সাথীকে বলেনঃ নামাযের সময় উপস্থিত হলে আযান ও ইকামতের পর তোমাদের মধ্যেকার বয়স্ক ব্যক্তি নামাযে ইমামতি করবে। রাবী মাসলামার হাদীছে উল্লেখ আছে যে, ঐ সময় আমরা সকলেই প্রায় সমান ইলমের অধিকারী ছিলাম। ইসমাঈল হতে বর্ণিত হাদীছে উল্লেখ আছে যে, রাবী খালিদ বলেন, তখন আমি আবূ কিলাবাকে বলি, ’কুরআনে অধিক অভিজ্ঞ’ এ শব্দটি কেন উল্লেখ করা হয় নাই? তিনি বলেন, মালিক ও তাঁর সাথী উভয়ই কুরআনে সম-জ্ঞানের অধিকারী থাকায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের কথা এখানে উল্লেখ করেন নাই (বরং বয়সের কথা বলেছেন)।

باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ مُحَمَّدٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ - عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ أَوْ لِصَاحِبٍ لَهُ ‏ "‏ إِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَأَذِّنَا ثُمَّ أَقِيمَا ثُمَّ لْيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا ‏"‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ مَسْلَمَةَ قَالَ وَكُنَّا يَوْمَئِذٍ مُتَقَارِبَيْنِ فِي الْعِلْمِ ‏.‏ وَقَالَ فِي حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ قَالَ خَالِدٌ قُلْتُ لأَبِي قِلاَبَةَ فَأَيْنَ الْقُرْآنُ قَالَ إِنَّهُمَا كَانَا مُتَقَارِبَيْنِ ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا اسماعيل، ح وحدثنا مسدد، حدثنا مسلمة بن محمد، - المعنى واحد - عن خالد، عن ابي قلابة، عن مالك بن الحويرث، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال له او لصاحب له ‏ "‏ اذا حضرت الصلاة فاذنا ثم اقيما ثم ليومكما اكبركما ‏"‏ ‏.‏ وفي حديث مسلمة قال وكنا يومىذ متقاربين في العلم ‏.‏ وقال في حديث اسماعيل قال خالد قلت لابي قلابة فاين القران قال انهما كانا متقاربين ‏.‏


Malik b. al-Huwairith said that the Prophet( may peace be upon him) told him or some of his companions:
When the time of prayer comes, call the Adhan, then call the iqamah, then the one who is oldest of you should act as your imam.

The version narrated by Maslamah goes : He said: On that day we were almost equal in knowledge.

The version narrated by Isma’il says: Khalid said: I said to Abu Qilabah: where is the Qur’an(i.e. why did the Prophet(ﷺ) not say: The one who knows the Qur’an most should act as imam)? He replied: Both of them were equal in the knowledge of the Qur’an.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যাক্তি সম্পর্কে।

৫৯০. উছমান ইবনু আবূ শায়বা .... ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেঃ তোমাদের মধ্যেকার উত্তম ব্যক্তি যেন আযান দেয় এবং বিশুদ্ধরূপে কুরআন পাঠকারী যেন তোমাদের ইমামতি করে। (ইবনু মাজাহ)।

باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عِيسَى الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لِيُؤَذِّنْ لَكُمْ خِيَارُكُمْ وَلْيَؤُمَّكُمْ قُرَّاؤُكُمْ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا عثمان بن ابي شيبة، حدثنا حسين بن عيسى الحنفي، حدثنا الحكم بن ابان، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ليوذن لكم خياركم وليومكم قراوكم ‏"‏ ‏.‏


Narrated Abdullah ibn Abbas:

Let the best among you call the adhan for you, and the Qur'an-readers act as your imams.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে