পরিচ্ছেদঃ ৮৫: গোপনীয়তা রক্ষা করার গুরুত্ব

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿وَأَوۡفُواْ بِٱلۡعَهۡدِۖ إِنَّ ٱلۡعَهۡدَ كَانَ مَسۡ‍ُٔولٗا﴾ [الاسراء: ٣٤]

অর্থাৎ “প্রতিশ্রুতি পালন করো; নিশ্চয়ই প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে।” (সূরা বানী ইস্রাঈল ৩৪ আয়াত)


১/৬৯০। আবূ সা’ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ সেই ব্যক্তি হবে, যে স্ত্রীর সঙ্গে মিলন করে এবং স্ত্রী তার সঙ্গে মিলন করে। অতঃপর সে তার (স্ত্রীর) গোপন কথা প্রকাশ করে দেয়।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ حِفْبَابُ حِفْظِ السِّرِّظِ السِّرِّ - (85)

وَعَن أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « إنَّ مِنْ أشَرِّ النَّاسِ عِنْدَ اللهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ القِيَامَةِ الرَّجُلَ يُفْضِي إِلَى الْمَرْأةِ وتُفْضِي إِلَيْهِ، ثُمَّ يَنْشُرُ سِرَّهَا » رواه مسلم

وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « ان من اشر الناس عند الله منزلة يوم القيامة الرجل يفضي الى المراة وتفضي اليه، ثم ينشر سرها » رواه مسلم

(85) Chapter: Secrecy of Private Matters (Guarding Secrets)


Allah, the Exalted, says:
"And fulfill (every) covenant. Verily! The covenant, will be questioned about.'' (17:34)

Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "The most evil of the people to Allah on the Day of Resurrection will be the man who consorts with his wife and then publicizes her secret."

[Muslim].

Commentary: Islam treats conjugal union as a sacred and secret act, both in social and moral terms. Indeed, the sanctity of conjugal rights contributes to the consolidation of moral norms and social cohesion. Yet, what passes between wife and husband on the consummation night is usually taken in a light vein in our societies. In the morning, both of them relate their sexual experience to their friends respectively. This is moral indecency which is incompatible with human dignity and civilized behaviour. This Hadith reckons it as a grave sin which must be
eschewed. The bed-experience must be kept private by the married couple to the exclusion of a third person.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) The Book of Good Manners

পরিচ্ছেদঃ ৮৫: গোপনীয়তা রক্ষা করার গুরুত্ব

২/৬৯১। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত। যখন উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর কন্যা হাফসা রাদিয়াল্লাহু ’আনহা বিধবা হয়ে গেলেন, তখন তিনি বললেন যে, আমি ’উসমান ইবনে ’আফ্ফানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং হাফসাকে বিবাহ করার জন্য দরখাস্ত দিয়ে তাঁকে বললাম, ’আপনি ইচ্ছা করলে আপনার বিবাহ আমি উমারের কন্যা হাফসার সাথে দিয়ে দিচ্ছি?’ তিনি বললেন, ’আমি আমার (এ) ব্যাপারে বিবেচনা করব।’ সুতরাং আমি কয়েকটি রাত্রি অপেক্ষা করলাম। অতঃপর তিনি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললেন, ’আমার এখন বিয়ে না করাটাই ভাল মনে করছি।’ (উমার বলেন,) অতঃপর আমি আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর সাথে দেখা করে বললাম, ’যদি আপনি ইচ্ছা করেন, তাহলে আমি আপনার বিবাহ হাফসার সাথে দিয়ে দই।’ আবূ বকর চুপ থাকলেন এবং কোন উত্তর দিলেন না। সুতরাং আমি ’উসমান অপেক্ষা তাঁর প্রতি বেশী দুঃখিত হলাম।

তারপর কয়েকটি রাত্রি অপেক্ষা করলাম। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তাকে বিবাহের পায়গাম দিলেন। ফলে আমি হাফসার বিবাহ তাঁর সাথেই দিয়ে দিলাম। তারপর আবূ বকর আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, ’আপনি আমাকে হাফসাকে বিবাহ করার দরখাস্ত দিয়েছিলেন এবং আমি কোন উত্তর দইনি। সেজন্য হয়তো আপনি আমার উপর দুঃখিত হয়েছেন? আমি বললাম, ’হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ’আমার আপনাকে উত্তর না দেওয়ার কারণ এই ছিল যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাকে বিবাহ করার ব্যাপারে আলোচনা করেছিলেন। সুতরাং আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোপন কথা প্রকাশ করতে চাচ্ছিলাম না। যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাকে বর্জন করতেন, তাহলে নিশ্চয়ই আমি তাকে গ্রহণ করতাম।’ (বুখারী) [1]

بَابُ حِفْبَابُ حِفْظِ السِّرِّظِ السِّرِّ - (85)

وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أنَّ عُمَرَ رضي الله عنه حِيْنَ تأيَّمَتْ بِنْتُهُ حَفْصَةُ، قَالَ: لَقِيتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفّانَ رضي الله عنه، فَعَرَضْتُ عَلَيْهِ حَفْصَةَ، فَقُلْتُ: إنْ شِئْتَ أَنْكَحْتُكَ حَفْصَةَ بِنْتَ عُمَرَ ؟ قَالَ: سأنْظُرُ فِي أمْرِي . فَلَبِثْتُ لَيَالِيَ ثُمَّ لَقِيَنِي، فَقَالَ: قَدْ بَدَا لِي أنْ لاَ أتَزَوَّجَ يَوْمِي هَذَا . فَلَقِيتُ أَبَا بَكْرٍ رضي الله عنه، فَقُلتُ: إنْ شِئْتَ أنْكَحْتُكَ حَفْصَةَ بنْتَ عُمَرَ، فَصَمتَ أَبُو بَكْرٍ رضي الله عنه، فَلَمْ يَرْجِعْ إلَيَّ شَيْئاً ! فَكُنْتُ عَلَيْهِ أوْجَدَ مِنِّي عَلَى عُثْمَانَ، فَلَبِثَ لَيَالِيَ ثُمَّ خَطَبَهَا النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم، فَأنْكَحْتُهَا إيَّاهُ. فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرٍ، فَقَالَ: لَعَلَّكَ وَجَدْتَ عَلَيَّ حِيْنَ عَرَضْتَ عَلَيَّ حَفْصَةَ فَلَمْ أرْجِعْ إِلَيْكَ شَيْئاً؟ فَقُلتُ: نَعَمْ، قَالَ: فَإنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أرْجِعَ إِلَيْكَ فِيمَا عَرَضْتَ عَلَيَّ إِلاَّ أنِّي كُنْتُ عَلِمْتُ أنَّ النبيَّ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَهَا، فَلَمْ أكُنْ ِلأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم، وَلَوْ تَرَكَهَا النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم لَقَبِلْتُهَا . رواه البخاري

وعن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما: ان عمر رضي الله عنه حين تايمت بنته حفصة، قال: لقيت عثمان بن عفان رضي الله عنه، فعرضت عليه حفصة، فقلت: ان شىت انكحتك حفصة بنت عمر ؟ قال: سانظر في امري . فلبثت ليالي ثم لقيني، فقال: قد بدا لي ان لا اتزوج يومي هذا . فلقيت ابا بكر رضي الله عنه، فقلت: ان شىت انكحتك حفصة بنت عمر، فصمت ابو بكر رضي الله عنه، فلم يرجع الي شيىا ! فكنت عليه اوجد مني على عثمان، فلبث ليالي ثم خطبها النبي صلى الله عليه وسلم، فانكحتها اياه. فلقيني ابو بكر، فقال: لعلك وجدت علي حين عرضت علي حفصة فلم ارجع اليك شيىا؟ فقلت: نعم، قال: فانه لم يمنعني ان ارجع اليك فيما عرضت علي الا اني كنت علمت ان النبي صلى الله عليه وسلم ذكرها، فلم اكن لافشي سر رسول الله صلى الله عليه وسلم، ولو تركها النبي صلى الله عليه وسلم لقبلتها . رواه البخاري

(85) Chapter: Secrecy of Private Matters (Guarding Secrets)


'Abdullah bin 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
My father 'Umar (May Allah be pleased with him) said: When (his daughter) Hafsah (May Allah be pleased with her) became a widow, I met 'Uthman bin 'Affan (May Allah be pleased with him) and offered Hafsah for marriage to him. 'Uthman said: "I shall think over the matter." I waited for a few days and then 'Uthman met me and said: "It occurred to me that I should not marry at present." Then I met Abu Bakr (May Allah be pleased with him) and said to him: "If you are willing, I shall marry my daughter Hafsah to you." Abu Bakr (May Allah be pleased with him) remained silent and did not utter any word to me in reply. I grew more angry with him than with 'Uthman. I had waited for only a few days when Messenger of Allah (ﷺ) asked for her hand in marriage and I married her to him. Thereafter, I met Abu Bakr (May Allah be pleased with him) who said, "Perhaps you were angry with me when you offered Hafsah to me and I said nothing in reply." I said, "Yes, that is so." He said, "Nothing stopped me to respond to your offer except that I knew that Messenger of Allah (ﷺ) had mentioned her and I could not disclose the secret of Messenger of Allah (ﷺ). Had Messenger of Allah (ﷺ) left her, I would have accepted her."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: To keep a secret and not to disclose it to people is the theme of this chapter as reflected in this Hadith. The Hadith has also other points which invite our attention. Firstly, a man can offer his daughter's hand to a righteous person. Secondly, it is undesirable for parents to send a message to another party for the wedlock of their daughter when talks with someone else are already continuing in this regard. Thirdly, if Messenger of Allah (PBUH) wanted to marry a woman but could not realize his intention for a reason or another, it was permissible for a Muslim to marry her because, juristically speaking, such a woman could not be counted as the Prophet's wife.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) The Book of Good Manners

পরিচ্ছেদঃ ৮৫: গোপনীয়তা রক্ষা করার গুরুত্ব

৩/৬৯২। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ’আনহা বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীরা সকলেই তাঁর কাছে ছিল। ইত্যবসরে ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু ’আনহা হেঁটে (আমাদের নিকট) এল। তার চলন এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চলনের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখে স্বাগত জানালেন এবং বললেন, ’আমার কন্যার শুভাগমন হোক।’ অতঃপর তিনি তাকে নিজের ডান অথবা বাম পাশে বসালেন। তারপর তিনি তাকে কানে কানে গোপনে কিছু বললেন। ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু ’আনহা জোরেশোরে কাঁদতে আর‎ম্ভ করলেন। সুতরাং তিনি তার অস্থিরতা দেখে পুনর্বার তাকে কানে কানে কিছু বললেন। ফলে (এবার) সে হাসতে লাগল। (আয়েশা বলেন,) অতঃপর আমি ফাতেমাকে বললাম, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের মাঝে (তাদেরকে বাদ দিয়ে) তোমাকে গোপনে কিছু বলার জন্য বেছে নেওয়া সত্ত্বেও তুমি কাঁদছ?’ তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উঠে গেলেন, তখন আমি তাকে বললাম, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কী বললেন?’ সে বলল, ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোপন কথা প্রকাশ করব না।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুবরণ করলে আমি ফাতেমাকে বললাম, ’তোমার প্রতি আমার অধিকার রয়েছে। তাই আমি তোমাকে কসম দিয়ে বলছি যে, তুমি আমাকে বল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কী বলেছিলেন?’ সে বলল, ’এখন বলতে কোন অসুবিধা নেই।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমবারে কানাকানি করার সময় আমাকে সংবাদ দিয়েছিলেন যে, ’’জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম প্রত্যেক বছর একবার (অথবা দু’বার) করে কুরআন শোনান। কিন্তু এখন তিনি দু’বার শুনালেন। সুতরাং আমি বুঝতে পারছি যে, আমার মৃত্যু সন্নিকটে। সুতরাং তুমি (হে ফাতেমা!) আল্লাহকে ভয় করো এবং ধৈর্য ধারণ করো। কেননা, আমি তোমার জন্য উত্তম অগ্রগামী।’’ সুতরাং আমি (এ কথা শুনে) কেঁদে ফেললাম, যা তুমি দেখলে। অতঃপর তিনি আমার অস্থিরতা দেখে দ্বিতীয়বার কানে কানে বললেন, ’’হে ফাতেমা! তুমি কি এটা পছন্দ কর না যে, মু’মিন নারীদের তুমি সর্দার হবে অথবা এই উম্মতের নারীদের সর্দার হবে?’’ সুতরাং (এমন সুসংবাদ শুনে) আমি হাসলাম, যা তুমি দেখলে।’ (বুখারী, শব্দাবলী মুসলিমের) [1]

بَابُ حِفْبَابُ حِفْظِ السِّرِّظِ السِّرِّ - (85)

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كُنَّ أَزْوَاجُ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم عِنْدَهُ، فَأقْبَلَتْ فَاطِمَةُ رَضِيَ اللهُ عَنهَا تَمْشِي، مَا تُخْطِئُ مِشيتُهَا مِنْ مشْيَةِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئاً، فَلَمَّا رَآهَا رَحَّبَ بِهَا، وَقَالَ: «مَرْحَباً بابْنَتِي »، ثُمَّ أجْلَسَهَا عَنْ يَمِينِهِ أَوْ عَنْ شِمَالِهِ، ثُمَّ سَارَّهَا فَبَكتْ بُكَاءً شَدِيداً، فَلَمَّا رَأَى جَزَعَهَا، سَارَّهَا الثَّانِيَةَ فَضَحِكَتْ، فَقُلتُ لَهَا: خَصَّكِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مِنْ بَيْنِ نِسَائِهِ بِالسِّرَارِ، ثُمَّ أنْتِ تَبْكِينَ ! فَلَمَّا قَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم سَألْتُهَا: مَا قَالَ لَكِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ؟ قَالَتْ: مَا كُنْتُ لأُفْشِي عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم سِرَّهُ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قُلْتُ: عَزَمْتُ عَلَيْكِ بِمَا لِي عَلَيْكِ مِنَ الحَقِّ، لَمَا حَدَّثْتِنِي مَا قَالَ لَكِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ؟ فَقَالَتْ: أمَّا الآنَ فَنَعَمْ، أمَّا حِيْنَ سَارَّنِي في المَرَّةِ الأُولَى فَأَخْبَرَنِي أَنَّ جِبْريلَ كَانَ يُعَارِضُهُ القُرآنَ فِي كُلِّ سَنَةٍ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ، وَأنَّهُ عَارَضَهُ الآنَ مَرَّتَيْنِ، وَإنِّي لا أُرَى الأجَلَ إِلاَّ قَدِ اقْتَرَبَ، فَاتَّقِي اللهَ وَاصْبِرِي، فَإِنَّهُ نِعْمَ السَّلَفُ أنَا لَكِ، فَبَكَيْتُ بُكَائِي الَّذِي رَأيْتِ، فَلَمَّا رَأى جَزَعِي سَارَّنِي الثَّانِيَةَ، فَقَالَ: « يَا فَاطِمَةُ، أمَا تَرْضَيْنَ أنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ المُؤُمِنِينَ، أَوْ سَيَّدَةَ نِساءِ هذِهِ الأُمَّةِ ؟ » فَضَحِكتُ ضَحِكِي الَّذِي رَأيْتِ . متفقٌ عَلَيْهِ، وهذا لفظ مسلم

وعن عاىشة رضي الله عنها، قالت: كن ازواج النبي صلى الله عليه وسلم عنده، فاقبلت فاطمة رضي الله عنها تمشي، ما تخطى مشيتها من مشية رسول الله صلى الله عليه وسلم شيىا، فلما راها رحب بها، وقال: «مرحبا بابنتي »، ثم اجلسها عن يمينه او عن شماله، ثم سارها فبكت بكاء شديدا، فلما راى جزعها، سارها الثانية فضحكت، فقلت لها: خصك رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم من بين نساىه بالسرار، ثم انت تبكين ! فلما قام رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم سالتها: ما قال لك رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ؟ قالت: ما كنت لافشي على رسول الله صلى الله عليه وسلم سره، فلما توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قلت: عزمت عليك بما لي عليك من الحق، لما حدثتني ما قال لك رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ؟ فقالت: اما الان فنعم، اما حين سارني في المرة الاولى فاخبرني ان جبريل كان يعارضه القران في كل سنة مرة او مرتين، وانه عارضه الان مرتين، واني لا ارى الاجل الا قد اقترب، فاتقي الله واصبري، فانه نعم السلف انا لك، فبكيت بكاىي الذي رايت، فلما راى جزعي سارني الثانية، فقال: « يا فاطمة، اما ترضين ان تكوني سيدة نساء المومنين، او سيدة نساء هذه الامة ؟ » فضحكت ضحكي الذي رايت . متفق عليه، وهذا لفظ مسلم

(85) Chapter: Secrecy of Private Matters (Guarding Secrets)


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
On one occasion all the wives of the Prophet (ﷺ) were with him when his daughter, Fatimah (May Allah be pleased with her) who walked after the style of his father, came there. He (ﷺ) welcomed her saying, "Welcome, O my daughter", and made her sit on his right side, or on his left side and then whispered something to her at which she wept bitterly. When he perceived her grief, he talked secretly to her again and she smiled (with happiness). I said to her: "Messenger of Allah (ﷺ chose you from amongst all his wives to speak secretly to you and yet you cried." When he left, I asked her, "What did Messenger of Allah (ﷺ) say to you?" She said, "I will not divulge the secret of Messenger of Allah (ﷺ)." When Messenger of Allah (ﷺ) passed away, I said to her: "I adjure you by the right I have in respect of you to tell me what Messenger of Allah (ﷺ) had told you." She said: "Now (when Messenger of Allah (ﷺ) has died), I will tell you. When he whispered to me the first time, he told me, 'Jibril (Gabriel) used to listen to my recitation of the Qur'an and then recite it back to me once or twice a year, and this time he has done it twice; and so I perceive that my death is approaching. Then be mindful of your duty to Allah and be patient and steadfast, for I shall be an excellent predecessor for you.' On this I wept as you saw. When he perceived my distress he talked to me secretly the second time and said, 'O Fatimah, are you not pleased that you will be the chief among the believing women or of this Ummah?' This made me smile as you saw."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith, too, has an implication for keeping a secret and concealing it from people. Moreover, we learn that one can spontaneously weep over hearing a sorrowful occurrence and also that we should be patient in distress. The Hadith also teaches us not to feel proud upon receiving a blessing. Above all, the excellence of Fatimah (May Allah be pleased with her) and the advisability of reading the Qur'an are brought into our focus.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) The Book of Good Manners

পরিচ্ছেদঃ ৮৫: গোপনীয়তা রক্ষা করার গুরুত্ব

৪/৬৯৩। সাবেত হতে বর্ণিত, আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন যখন আমি বালকদের সাথে খেলা করছিলাম। অতঃপর তিনি আমাদেরকে সালাম দিয়ে আমাকে কোন কাজে পাঠালেন। সুতরাং আমার মায়ের নিকট আসতে বিলম্ব হয়ে গেল। তারপর যখন আমি (বাড়ি) এলাম, তখন মা বললেন, ’কিসে তোমাকে আটকে রেখেছিল?’

আমি বললাম, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কোন প্রয়োজনে পাঠিয়েছিলেন।’ মা বললেন, ’তাঁর কী প্রয়োজন ছিল?’ আমি বললাম, ’সেটা তো ভেদের কথা।’ তিনি বললেন, ’তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভেদ খবরদার (কাউকে) বলবে না।’ আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, ’আল্লাহর কসম! যদি আমি (এ ভেদ) কাউকে বলতাম, তাহলে তোমাকে বলতাম হে সাবেত!’ (মুসলিম, বুখারী সংক্ষেপে) [1]

بَابُ حِفْبَابُ حِفْظِ السِّرِّظِ السِّرِّ - (85)

وَعَن ثَابِتٍ، عَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: أتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَأنَا ألْعَبُ مَعَ الغِلْمَانِ، فَسَلمَ عَلَيْنَا، فَبَعَثَني إِلَى حَاجَةٍ، فَأبْطَأتُ عَلَى أُمِّي . فَلَمَّا جِئْتُ، قَالَتْ: مَا حَبَسَكَ ؟ فَقُلتُ: بَعَثَني رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم لِحَاجَةٍ، قَالَتْ: مَا حَاجَتُهُ ؟ قُلْتُ: إنَّهاَ سِرٌّ . قَالَتْ: لاَ تُخْبِرَنَّ بِسرِّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أحَداً، قَالَ أنَسٌ: وَاللهِ لَوْ حَدَّثْتُ بِهِ أحَداً لَحَدَّثْتُكَ بِهِ يَا ثَابِتُ . رواه مسلم وروى البخاري بعضه مختصراً.

وعن ثابت، عن انس رضي الله عنه، قال: اتى علي رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وانا العب مع الغلمان، فسلم علينا، فبعثني الى حاجة، فابطات على امي . فلما جىت، قالت: ما حبسك ؟ فقلت: بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم لحاجة، قالت: ما حاجته ؟ قلت: انها سر . قالت: لا تخبرن بسر رسول الله صلى الله عليه وسلم احدا، قال انس: والله لو حدثت به احدا لحدثتك به يا ثابت . رواه مسلم وروى البخاري بعضه مختصرا.

(85) Chapter: Secrecy of Private Matters (Guarding Secrets)


Thabit (May Allah be pleased with him) reported:
Anas (May Allah be pleased with him) said: Messenger of Allah (ﷺ) came to me while I was playing with the boys. He greeted us and sent me on an errand. This delayed my return to my mother. When I came to her, she asked, "What detained you?" I said; "Messenger of Allah (ﷺ) sent me on an errand." She asked, "What was it?" I said, "It is a secret." My mother said; "Do not disclose to anyone the secret of Messenger of Allah (ﷺ)." Anas (May Allah be pleased with him) said to Thabit (May Allah be pleased with him): By Allah, were I to tell it to anyone I would have told you.

[Muslim].

Commentary: Here, too, an emphasis has been laid on keeping a secret. When Anas (May Allah be pleased with him) told his mother about the cause of secrecy, she refrained from insisting that the secret should be disclosed to her. Rather, she lent support to her son's standpoint and advised him to conceal the secret. To be sure, it is part of moral teaching that we should keep the secrets of friends in our hearts. Unless we receive a go-ahead from a friend, we must not make his secret public.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) The Book of Good Manners
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে