পরিচ্ছেদঃ ২৮২ : দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَىٰ وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنْبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَنْ كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا﴾ [النساء : ٣٦]
অর্থাৎ পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, আত্মীয় ও অনাত্মীয় প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার কর। নিশ্চয় আল্লাহ আত্মম্ভরি দাম্ভিককে ভালবাসেন না। (সূরা নিসা ৩৬ আয়াত)
১/১৬০৮। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’এক মহিলাকে একটি বিড়ালের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সে তাকে বেঁধে রেখেছিল এবং অবশেষে সে মারা গিয়েছিল, পরিণতিতে মহিলা তারই কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করল। সে যখন তাকে বেঁধে রেখেছিল, তখন তাকে আহার ও পানি দিত না এবং তাকে ছেড়েও দিত না যে, সে কীট-পতঙ্গ ধরে খাবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(282) بَابُ النَّهْيِ عَنْ تَعْذِيْبِ الْعَبْدِ وَالدَّابَّةِ وَالْمَرْأَةِ وَالْوَلَدِ بِغَيْرِ سَبَبٍ شَرْعِيٍّ أَوْ زَائِدٍ عَلٰى قَدْرِ الْأَدَبِ
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ سَجَنَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ، فَدَخَلَتْ فِيهَا النَّارَ، لاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَسَقَتْهَا، إِذْ حَبَسَتْهَا، وَلاَ هِيَ تَرَكَتْهَا تَأكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ» . متفق عَلَيْهِ
(282) Chapter: Prohibition of Cruelty
Allah, the Exalted, says:
"And do good to parents, kinsfolk, orphans, Al-Masakin (the poor), the neighbour who is near of kin, the neighbour who is a stranger, the companion by your side, the wayfarer (you meet), and those (slaves) whom your right hands possess. Verily, Allah does not like such as are proud and boastful.'' (4:36)
Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "A woman was punished in Hell because of a cat which she had confined until it died. She did not give it to eat or to drink when it was confined, nor did she free it so that it might eat the vermin of the earth."
[Al-Bukhari and Muslim]
Commentary: It is necessary for the Muslim to treat animals kindly and tenderly. Harshness to them is unlawful.
পরিচ্ছেদঃ ২৮২ : দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ
২/১৬০৯। উক্ত রাবী (ইবনে উমার) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি একবার কুরাইশ বংশের কতিপয় নব যুবকের নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় লক্ষ্য করলেন যে, তারা একটি পাখীকে বেঁধে [হাতের নিশানা ঠিক করার মানসে তার উপর নির্দয়-ভাবে] তীর মারছে। তারা পাখীর মালিকের সাথে এই চুক্তি করেছিল যে, প্রতিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট তীর তার হয়ে যাবে। সুতরাং যখন তারা ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে দেখতে পেল, তখন ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে গেল। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ’এ কাজ কে করেছে? যে এ কাজ করেছে তার উপর আল্লাহর অভিশাপ। নিঃসন্দেহে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই ব্যক্তির উপর অভিশাপ করেছেন, যে কোন এমন জিনিসকে [তার তীর-খেলার] লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে, যার মধ্যে প্রাণ আছে।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(282) بَابُ النَّهْيِ عَنْ تَعْذِيْبِ الْعَبْدِ وَالدَّابَّةِ وَالْمَرْأَةِ وَالْوَلَدِ بِغَيْرِ سَبَبٍ شَرْعِيٍّ أَوْ زَائِدٍ عَلٰى قَدْرِ الْأَدَبِ
وَعَنْهُ : أَنَّهُ مَرَّ بِفِتْيَانٍ مِنْ قُرَيْشٍ قَدْ نَصَبُوا طَيراً وَهُمْ يَرْمُونَهُ، وَقَدْ جَعَلُوا لِصَاحِبِ الطَّيْرِ كُلَّ خَاطِئَةٍ مِنْ نَبْلِهمْ، فَلَمَّا رَأَوْا ابْنَ عُمَرَ تَفَرَّقُوا، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ : مَنْ فَعَلَ هَذَا ؟ لَعَنَ اللهُ مَنْ فَعَلَ هَذَا، إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَعَنَ مَنِ اتَّخَذَ شَيْئاً فِيهِ الرُّوحُ غَرَضاً . متفق عَلَيْهِ
(282) Chapter: Prohibition of Cruelty
Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
I happened to pass by some lads of the Quraish who had tied a bird at which they have been shooting arrows. Every arrow that they missed came into the possession of the owner of the bird. No sooner had they seen Ibn 'Umar, they dispersed. Thereupon, Ibn 'Umar said: "Who has done this? May Allah curse him who has done so. Verily, the Messenger of Allah (ﷺ) has cursed anyone who makes a live thing the target (of one's marksmanship)."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: It is a major sin to pin down a living being to make it a target. One who does it is a cursed person.
পরিচ্ছেদঃ ২৮২ : দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ
৩/১৬১০। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীব-জন্তুদের বেঁধে রেখে [তীর বা বন্দুকের নিশানা ঠিক করার ইচ্ছায়] হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(282) بَابُ النَّهْيِ عَنْ تَعْذِيْبِ الْعَبْدِ وَالدَّابَّةِ وَالْمَرْأَةِ وَالْوَلَدِ بِغَيْرِ سَبَبٍ شَرْعِيٍّ أَوْ زَائِدٍ عَلٰى قَدْرِ الْأَدَبِ
وَعَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: نَهَى رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُصْبَرَ البَهَائِمُ . متفق عَلَيْهِ
(282) Chapter: Prohibition of Cruelty
Anas (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) forbade animals being tied (as targets).
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: The right way of doing it is that rather than first capturing it and making it a target of arrows and bullets, it should be captured and slaughtered with a very sharp knife so that the victim does not feel much pain while giving its life.
পরিচ্ছেদঃ ২৮২ : দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ
৪/১৬১১। আবূ আলী সুয়াইদ ইবনে মুক্বার্রিন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমি লক্ষ্য করেছি যে, মুক্বার্রিনের সাত ছেলের মধ্যে আমি সপ্তম ছিলাম। আমাদের একটি মাত্র দাসী ছিল। তাকে আমাদের ছোট ভাই চড় মেরেছিল। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে তাকে মুক্ত করে দিতে আদেশ করলেন।’ (মুসলিম) [1] অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’আমার ভাইদের মধ্যে আমি সপ্তম ছিলাম।’
(282) بَابُ النَّهْيِ عَنْ تَعْذِيْبِ الْعَبْدِ وَالدَّابَّةِ وَالْمَرْأَةِ وَالْوَلَدِ بِغَيْرِ سَبَبٍ شَرْعِيٍّ أَوْ زَائِدٍ عَلٰى قَدْرِ الْأَدَبِ
وَعَنْ أَبي عَليٍّ سُوَيدِ بن مُقَرِّنٍ رضي الله عنه قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ مِنْ بَنِي مُقَرِّنٍ مَا لَنَا خَادِمٌ إِلاَّ وَاحِدَةٌ لَطَمَهَا أَصْغَرُنَا فَأَمَرَنَا رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نُعْتِقَهَا. رواه مسلم. وفي روايةٍ: سَابعَ إخْوَةٍ لِي
(282) Chapter: Prohibition of Cruelty
Abu Ali Suwaid bin Muqarrin (May Allah be pleased with him) said:
I was the seventh child of Banu Muqarrin and we had only one slave-girl. When the youngest of us once happened to slap her (on the face) the Messenger of Allah (ﷺ) ordered us to set her free.
[Muslim].
Commentary: It is a serious crime to beat one's servant or slave. The expiation of this sin is to set the servant or slave free. One is, however, allowed to discipline one's servants in a suitable manner in which punishment does not exceed the nature of offense committed on their part.
পরিচ্ছেদঃ ২৮২ : দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ
৫/১৬১২। আবূ মাসঊদ বাদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা আমার একটি গোলামকে চাবুক মারছিলাম। ইত্যবসরে পিছন থেকে এই শব্দ শুনতে পেলাম ’জেনে রেখো, হে আবূ মাসঊদ!’ কিন্তু ক্রোধান্বিত অবস্থায় শব্দটা বুঝতে পারলাম না। যখন সেই [শব্দকারী] আমার নিকটবর্তী হল, তখন সহসা দেখলাম যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বলছিলেন, ’জেনে রেখো আবূ মাসঊদ! ওর উপর তোমার যতটা ক্ষমতা আছে, তোমার উপর আল্লাহ তা’আলা আরও বেশি ক্ষমতাবান।’ তখন আমি বললাম, ’এরপর থেকে আমি আর কখনো কোন গোলামকে মারধর করব না।’
এক বর্ণনায় আছে, তাঁর ভয়ে আমার হাত থেকে চাবুকটি পড়ে গেল। আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ওকে স্বাধীন করে দিলাম।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’শোন! তুমি যদি তা না করতে, তাহলে জাহান্নামের আগুন তোমাকে অবশ্যই দগ্ধ অথবা স্পর্শ করত।’’ (মুসলিম) [1]
(282) بَابُ النَّهْيِ عَنْ تَعْذِيْبِ الْعَبْدِ وَالدَّابَّةِ وَالْمَرْأَةِ وَالْوَلَدِ بِغَيْرِ سَبَبٍ شَرْعِيٍّ أَوْ زَائِدٍ عَلٰى قَدْرِ الْأَدَبِ
وَعَنْ أَبي مَسعُودٍ البَدْرِيِّ رضي الله عنه قَالَ: كُنْتُ أَضْرِبُ غُلامَاً لِي بِالسَّوْطِ، فَسَمِعْتُ صَوْتاً مِنْ خَلْفِي : «اِعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ» فَلَمْ أَفْهَمِ الصَّوْتَ مِنَ الغَضَبِ، فَلَمَّا دَنَا مِنِّي إِذَا هُوَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَإِذَا هُوَ يَقُولُ : «اِعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ أَنَّ اللهَ أَقْدَرُ عَلَيْكَ مِنْكَ عَلَى هَذَا الغُلامِ» . فَقُلتُ : لاَ أَضْرِبُ مَمْلُوكاً بَعْدَهُ أَبَداً . وَفِي رِوَايَةٍ : فَسَقَطَ السَّوْطُ مِنْ يَدِي مِنْ هَيْبَتِهِ . وَفِي رِوَايَةٍ : فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، هُوَ حُرٌّ لِوَجْهِ اللهِ تَعَالَى، فَقَالَ: «أَمَا لَوْ لَمْ تَفْعَلْ، لَلَفَحَتْكَ النَّارُ، أَوْ لَمَسَّتْكَ النَّارُ» . رواه مسلم بهذه الروايات .
(282) Chapter: Prohibition of Cruelty
Abu Mas'ud Al-Badri (May Allah be pleased with him) said:
I was beating my slave with a whip when I heard a voice behind me which said: "Abu Mas'ud! Bear in mind..." I did not recognize the voice for the intense anger I was in. Abu Mas'ud added: As he came near me, I found that he was the Messenger of Allah (ﷺ) who was saying, "Abu Mas'ud! Bear in mind that Allah has more dominance upon you than you have upon your slave." Then I said: "I will never beat any slave in future."
Another narration is: The whip dropped from my hand in awe of the Prophet (ﷺ).
Still another narration is: I said: "He is free for the sake of Allah." He (ﷺ) said, "If you had not done this, you would have been singed by the Fire."
[Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ২৮২ : দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ
৬/১৬১৩। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি নিজ গোলামকে এমন অপরাধের সাজা দেয়, যা সে করেনি অথবা তাকে চড় মারে, তাহলে তার প্রায়শ্চিত্ত হল, সে তাকে মুক্ত করে দেবে।’’ (মুসলিম) [1]
(282) بَابُ النَّهْيِ عَنْ تَعْذِيْبِ الْعَبْدِ وَالدَّابَّةِ وَالْمَرْأَةِ وَالْوَلَدِ بِغَيْرِ سَبَبٍ شَرْعِيٍّ أَوْ زَائِدٍ عَلٰى قَدْرِ الْأَدَبِ
وعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ ضَرَبَ غُلاَمَاً لَهُ حَدّاً لَمْ يَأتِهِ، أَوْ لَطَمَهُ، فَإِنَّ كَفَّارَتَهُ أَنْ يُعْتِقَهُ» . رواه مسلم
(282) Chapter: Prohibition of Cruelty
Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "The expiation for beating or slapping a slave on the face for something he has not done is to set him free."
[Muslim].
Commentary: Al-Qadi `Iyad says that there is consensus on the point that setting the slave free is desirable, not obligatory. Such liberation of the slave, however, is not equal in reward to setting him free without any consideration.
পরিচ্ছেদঃ ২৮২ : দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ
৭/১৬১৪। হিশাম ইবনে হাকীম ইবনে হিযাম রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, সিরিয়ায় এমন কিছু চাষী লোকের নিকট দিয়ে তাঁর যাত্রা হচ্ছিল, যাদেরকে রোদে দাঁড় করিয়ে তাদের মাথার উপর তেল ঢেলে দেওয়া হচ্ছিল। তিনি প্রশ্ন করলেন, ’ব্যাপার কি?’ বলা হল, ’ওদেরকে জমির কর [আদায় না দেওয়ার] জন্য সাজা দেওয়া হচ্ছে।’ অন্য বর্ণনায় আছে যে, ’রাজসব [আদায় না করার] কারণে ওদেরকে বন্দী করা হয়েছে।’ হিশাম বললেন, ’আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ’’আল্লাহ তা’আলা সেসব লোকদেরকে কষ্ট দেবেন, যারা লোকদেরকে কষ্ট দেয়।’’ অতঃপর হিশাম আমীরের নিকট গিয়ে এ হাদিসটি শোনালেন। তিনি তাদের সম্পর্কে নির্দেশ জারি করলেন এবং তাদেরকে মুক্ত করে দিলেন। (মুসলিম)[1]
(282) بَابُ النَّهْيِ عَنْ تَعْذِيْبِ الْعَبْدِ وَالدَّابَّةِ وَالْمَرْأَةِ وَالْوَلَدِ بِغَيْرِ سَبَبٍ شَرْعِيٍّ أَوْ زَائِدٍ عَلٰى قَدْرِ الْأَدَبِ
وَعَنْ هِشَامِ بنِ حَكِيمِ بنِ حِزَامٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّه مَرَّ بِالشَّامِ عَلَى أُنَاسٍ مِنَ الأَنْبَاطِ، وَقَدْ أُقيِمُوا فِي الشَّمْسِ، وَصُبَّ عَلَى رُؤُوسِهِمُ الزَّيْتُ ! فَقَالَ: مَا هَذَا ؟ قِيلَ : يُعَذَّبُونَ فِي الخَرَاجِ - وَفِي رِوَايَةٍ : حُبِسُوا فِي الجِزْيَةِ - فَقَالَ هِشَامٌ : أَشهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ : «إِنَّ اللهَ يُعَذِّبُ الَّذِينَ يُعَذِّبُونَ النَّاس فِي الدُّنْيَا». فَدَخَلَ عَلَى الأَمِيرِ، فَحَدَّثَهُ، فَأَمَرَ بِهِمْ فَخُلُّوا. رواه مسلم
(282) Chapter: Prohibition of Cruelty
It has been narrated that Hisham bin Hakim bin Hizam (May Allah be pleased with them) happened to pass by some (non-Arab) farmers of Syria who had been made to stand in the sun, and olive oil was poured on their heads. He said: "What is the matter?" He was told that they had been detained for the non-payment of Jizyah. (Another narration says that they were being tortured for not having paid Al-Kharaj). Thereupon Hisham said: "I bear testimony to the fact that I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, 'Allah will torment those who torment people in the world."' Then he proceeded towards their Amir and reported this Hadith to him. The Amir then issued orders for their release.
[Muslim].
Commentary:
1. "Al-Kharaj'' is that tax which is charged on the produce yielded by land which is in the possession of nonMuslims in a Muslim State, while the revenue that is recovered from the Muslims on the lands held by them iscalled "Al-Ushr''. "Jizyah'' is that annual fee which is charged from the non-Muslims for the safety and security provided to their life, property and honour by a Muslim State. Muslims pay Zakat and non-Muslims pay Jizyah.
2. "Adhab'' torment is that particular punishment which Allah will inflict upon the inhabitants of Hell. If anyone gives a similar punishment to anybody in this world, he will be punished by Allah in the Hereafter for it, because He does not like anyone to do so. To make someone stand in a sizzling hot day and pour oil over his head is one type of tormenting people. For this reason, Hisham bin Hakim (May Allah be pleased with them) mentioned this Hadith to the Governor to warn him and make him abolish the punishment.
3. We also learn from this Hadith that it is incumbent on every Muslim to enjoin good on people and forbid them from doing evil.
4. Tyrants should be warned against their tyrannies so that they abstain from them.
পরিচ্ছেদঃ ২৮২ : দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ
৮/১৬১৫। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি গাধা দেখতে পেলেন, যার চেহারা দাগা হয়েছিল। তা দেখে তিনি অত্যধিক অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। অতঃপর বললেন, ’’আল্লাহর কসম! আমি ওর চেহারা থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী অঙ্গে দাগব। [আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে চিহ্ন দেব।]’’ অতঃপর তিনি নিজ গাধা সম্পর্কে নির্দেশ করলেন এবং তার পাছায় দাগা হল। সুতরাং তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি [গাধার] পাছা দেগেছিলেন। (মুসলিম) [1]
(282) بَابُ النَّهْيِ عَنْ تَعْذِيْبِ الْعَبْدِ وَالدَّابَّةِ وَالْمَرْأَةِ وَالْوَلَدِ بِغَيْرِ سَبَبٍ شَرْعِيٍّ أَوْ زَائِدٍ عَلٰى قَدْرِ الْأَدَبِ
وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: رَأَى رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم حِمَاراً مَوْسُومَ الوَجْهِ، فَأَنْكَرَ ذَلِكَ فَقَالَ: «واللهِ لاَ أَسِمُهُ إِلاَّ أَقْصَى شَيْءٍ مِنَ الوَجْهِ». وَأمَرَ بِحِمَارِهِ فَكُوِيَ فِي جَاعِرَتَيْهِ، فَهُوَ أَوَّلُ مَنْ كَوَى الجَاعِرَتَيْنِ . رواه مسلم
(282) Chapter: Prohibition of Cruelty
Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) saw an ass which had been branded on the face. He disapproved of it. Upon this Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) said, "By Allah, I shall not brand (the animal) but on a part at a distance from the face." Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) then commanded branding on the hips; he was the first person to brand the animals on hips.
[Muslim].
Commentary: We learn from this Hadith that if an animal is to be branded for identification, it should not be branded on the face. The Hadith also points out the superiority of Ibn `Abbas (May Allah be pleased with them) and his obedience to the Prophet's command not to brand an animal on the face.
পরিচ্ছেদঃ ২৮২ : দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ
৯/১৬১৬। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট দিয়ে একটি গাধা অতিক্রম করল, যার চেহারা দাগা হয়েছিল। তখন তিনি বললেন, ’’যে এর চেহারা দেগেছে, তার প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত হোক।’’ (মুসলিম) [1]
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চেহারায় মারতে ও দাগতে নিষেধ করেছেন।’
(282) بَابُ النَّهْيِ عَنْ تَعْذِيْبِ الْعَبْدِ وَالدَّابَّةِ وَالْمَرْأَةِ وَالْوَلَدِ بِغَيْرِ سَبَبٍ شَرْعِيٍّ أَوْ زَائِدٍ عَلٰى قَدْرِ الْأَدَبِ
وَعَنْهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَيْهِ حِمَارٌ قَدْ وُسِمَ فِي وَجْهِهِ، فَقَالَ: «لَعَنَ اللهُ الَّذِي وَسَمَهُ». رواه مسلم. وفي رواية لمسلم أَيضاً: نهى رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الضَّرْبِ فِي الوَجْهِ، وَعَنِ الوَسْمِ فِي الوَجْهِ.
(282) Chapter: Prohibition of Cruelty
Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) said:
An ass with a brand on the face happened to pass before the Prophet (ﷺ). Thereupon he said, "May Allah curse the one who has branded it (on the face)."
[Muslim].
Another narration in Muslim is: "The Messenger of Allah (ﷺ) prohibited us from hitting across the face and branding on the face (of an animal)."
Commentary: Since face is the most sensitive and delicate part of the body, Muslims are strictly forbidden from causing even the slightest harm to it, no matter whether it is mankind or animal. Although, it is permissible to beat one's wife, children and slaves etc., for discipline but there is a stern warning that they should not be hit on the face.