পরিচ্ছেদঃ ১৯৩: ফরয নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ এবং তা ত্যাগ করা সম্বন্ধে কঠোর নিষেধ ও চরম হুমকি

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَىٰ﴾ (البقرة: ٢٣٨)

অর্থাৎ তোমরা নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী (আসরের) নামাযের প্রতি। (সূরা বাকারাহ ২৩৮ আয়াত)

﴿ فَإِن تَابُواْ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُاْ ٱلزَّكَوٰةَ فَخَلُّواْ سَبِيلَهُمۡۚ ﴾ [التوبة: ٥]

অর্থাৎ যদি তারা তওবা করে, যথাযথ নামায পড়ে ও যাকাত প্রদান করে, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। (সূরা তওবা ৫ আয়াত)


১/১০৮১। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ’সর্বোত্তম আমল কি?’ তিনি বললেন, “যথা সময়ে নামায আদায় করা।” আমি বললাম, ’তারপর কি?’ তিনি বললেন, “মা-বাপের সাথে সদ্ব্যবহার করা।” আমি বললাম, ’তারপর কি?’ তিনি বললেন, “আল্লাহর পথে জিহাদ করা।” (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(193) بَابُ الْأَمْرِ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوْبَاتِوَالنَّهْيِ الْأَكِيْدِ وَالْوَعِيْدِ الشَّدِيْدِ فِيْ تَرْكِهِنَّ

وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه قَالَ: سَأَلتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: الصَّلاَةُ عَلَى وَقْتِهَا قُلْتُ: ثُمَّ أَيٌّ؟ قَالَ: بِرُّ الوَالِدَيْنِ قُلْتُ: ثُمَّ أيٌّ؟ قَالَ: الجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ. متفقٌ عَلَيهِ

وعن ابن مسعود رضي الله عنه قال: سالت رسول الله صلى الله عليه وسلم اي الاعمال افضل؟ قال: الصلاة على وقتها قلت: ثم اي؟ قال: بر الوالدين قلت: ثم اي؟ قال: الجهاد في سبيل الله. متفق عليه

(193) Chapter: Strict Orders for Observance of Obligatory Salat


Allah, the Exalted, says:
"Guard strictly (the five obligatory) As-Salawat (the prayers) especially the middle Salat (i.e., the best prayer - `Asr).'' (2:238)
"But if they repent and perform As-Salat (Iqamat-as-Salat) and give Zakat, then leave their way free.'' (9:5)


Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
I asked the Messenger of Allah (ﷺ): "Which act is the best?" He (ﷺ) said, "As-Salat at their fixed times." I asked, "What next?" He (ﷺ) said, "Being dutiful to parents." I asked, "What next?" He (ﷺ) said, "Striving (Jihad) in the way of Allah."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith has already been mentioned. Here it is repeated to indicate that every Salat should be performed at its proper time. Deliberate delay in performing is wrong. The ultimate result of deliberate delay is that one becomes sluggish and begins to ignore and neglect it by force of habit, which is obviously very dangerous. Imam Ash-Shafi`i is of the opinion that if a person shows such laziness in offering Salat that he misses its proper time, then he is liable to make penitence for it. If he does not do so, he should be killed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ১৯৩: ফরয নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ এবং তা ত্যাগ করা সম্বন্ধে কঠোর নিষেধ ও চরম হুমকি

২/১০৮২। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি জিনিসের উপর প্রতিষ্ঠিত।
(১) এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত মহাপুরুষ।
(২) নামায প্রতিষ্ঠা করা।
(৩) যাকাত প্রদান করা।
(৪) কা’বা গৃহের হজ্জ করা।
(৫) রমযান মাসে রোযা পালন করা।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(193) بَابُ الْأَمْرِ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوْبَاتِوَالنَّهْيِ الْأَكِيْدِ وَالْوَعِيْدِ الشَّدِيْدِ فِيْ تَرْكِهِنَّ

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ: شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ، وَأَنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَحَجِّ البَيْتِ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ». متفقٌ عَلَيهِ

وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «بني الاسلام على خمس: شهادة ان لا اله الا الله، وان محمدا رسول الله صلى الله عليه وسلم، واقام الصلاة، وايتاء الزكاة، وحج البيت، وصوم رمضان». متفق عليه

(193) Chapter: Strict Orders for Observance of Obligatory Salat


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Islam is based on five (pillars): testifying that there is no true god except Allah and that Muhammad (ﷺ) is His slave and Messenger; performing of Salat (Iqamat-as-Salat); the payment of Zakat; performing Hajj (pilgrimage) to the House [of Allah (Ka'bah)]; and Saum (fasting) during the month of Ramadan."

[Al-Bukhari and Muslim].


Commentary: In this Hadith, Islam has been compared to a building which rests on five pillars. As a building cannot stand without its foundation, similarly, Islam cannot exist without these pillars. For this reason, he who denies any one of these obligations is a disbeliever, and he who neglects any of them due to slackness or want of attention is a sinful and impious Muslim.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ১৯৩: ফরয নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ এবং তা ত্যাগ করা সম্বন্ধে কঠোর নিষেধ ও চরম হুমকি

৩/১০৮৩। উক্ত রাবী (আব্দুল্লাহ ইবনে উমার) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “লোকদের বিরুদ্ধে আমাকে ততক্ষণ পর্যন্ত (সশস্ত্র) সংগ্রাম চালাবার আদেশ দেওয়া হয়েছে, যতক্ষণ না তারা এই সাক্ষ্য দেবে যে, ’আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত মহাপুরুষ’ এবং নামায প্রতিষ্ঠা করবে ও যাকাত আদায় করবে। সুতরাং যখনই তারা সেসব বাস্তবায়ন করবে, তখনই তারা ইসলামী হক ব্যতিরেকে নিজেদের জান-মাল আমার নিকট হতে বাঁচিয়ে নিবে। আর তাদের (আভ্যন্তরীণ বিষয়ের) হিসাব আল্লাহর দায়িত্বে থাকবে।” (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(193) بَابُ الْأَمْرِ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوْبَاتِوَالنَّهْيِ الْأَكِيْدِ وَالْوَعِيْدِ الشَّدِيْدِ فِيْ تَرْكِهِنَّ

وَعَنْه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ، وَأَنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَيُقِيمُوا الصَّلاَةَ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ، عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، إلاَّ بِحَقِّ الإِسْلاَمِ، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللهِ». متفقٌ عَلَيهِ

وعنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «امرت ان اقاتل الناس حتى يشهدوا ان لا اله الا الله، وان محمدا رسول الله صلى الله عليه وسلم، ويقيموا الصلاة، ويوتوا الزكاة، فاذا فعلوا ذلك، عصموا مني دماءهم واموالهم، الا بحق الاسلام، وحسابهم على الله». متفق عليه

(193) Chapter: Strict Orders for Observance of Obligatory Salat


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "I have been commanded to fight against the people till they testify La ilaha illAllah (There is no true god except Allah) and that Muhammad (ﷺ) is His slave and Messenger, and to establish As-Salat (Iqamat-as-Salat), and to pay Zakat; and if they do this, then their blood and property are secured except by the rights of Islam, and their accountability is left to Allah."

[Al- Bukhari and Muslim].


Commentary: This Hadith has already appeared before. Here the word "An-Nas'' translated `the people' in the Hadith stands for those who associate others with Allah in worship. The people of the Book are not included among them. "Haqqul-Islam'' translated here as "the rights of Islam'' denotes legal castigation, etc. That is, the punishments which are given for crimes like fornication, murder, etc."Their accountability is left to Allah" means what is hidden in their hearts is left to Allah or the crimes which go undetected by the authorities concerned are in the Purview of Allah, Who will decide their case in the Hereafter.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ১৯৩: ফরয নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ এবং তা ত্যাগ করা সম্বন্ধে কঠোর নিষেধ ও চরম হুমকি

৪/১০৮৪। মু’আয ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ইয়ামেন পাঠালেন ও বললেন, “নিশ্চয় তুমি কিতাব ধারী সম্প্রদায়ের কাছে যাত্রা করছ। সুতরাং তুমি তাদেরকে এই কথার প্রতি আহ্বান জানাবে যে, তারা সাক্ষ্য দেবে, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল। যদি তারা ঐ প্রস্তাব গ্রহণ করে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেবে যে, আল্লাহ তা’আলা তাদের প্রতি দিবারাত্রে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন।

যদি তারা এ কথাটিও মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে অবহিত করবে যে, মহান আল্লাহ তাদের (ধনীদের) উপর যাকাত ফরয করেছেন যা তাদের ধনী ব্যক্তিদের নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে এবং তাদের গরীব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে। যদি তারা এই আদেশটিও পালন করতে সম্মত হয়, তাহলে তুমি (যাকাত আদায়ের সময়) তাদের উৎকৃষ্ট মাল-ধন হতে বিরত থাকবে এবং মজলুম (অত্যাচারিত) ব্যক্তির বদ্দুআ থেকে দূরে থাকবে। কেননা, তার ও আল্লাহর মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(193) بَابُ الْأَمْرِ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوْبَاتِوَالنَّهْيِ الْأَكِيْدِ وَالْوَعِيْدِ الشَّدِيْدِ فِيْ تَرْكِهِنَّ

وَعَنْ مُعَاذٍ رضي الله عنه، قَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِلَى اليَمَنِ، فَقَالَ: «إنَّكَ تَأْتِي قَوْماً مِنْ أَهْلِ الكِتَابِ، فَادْعُهُمْ إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ، وَأنِّي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَإنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذلِكَ، فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللهَ تَعَالَى افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صلَوَاتٍ فِي كُلِّ يَومٍ وَلَيلَةٍ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذَلِكَ، فَأَعْلِمْهُمْ أنَّ اللهَ تَعَالَى افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً تُؤخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ فَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ، فَإِنْ هُمْ أطَاعُوا لِذلِكَ، فَإِيَّاكَ وَكَرَائِمَ أَمْوَالهِمْ، وَاتَّقِ دَعْوَةَ المَظْلُومِ، فَإِنَّهُ لَيْسَ بَينَهَا وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ». متفقٌ عَلَيهِ

وعن معاذ رضي الله عنه، قال: بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم الى اليمن، فقال: «انك تاتي قوما من اهل الكتاب، فادعهم الى شهادة ان لا اله الا الله، واني رسول الله صلى الله عليه وسلم، فان هم اطاعوا لذلك، فاعلمهم ان الله تعالى افترض عليهم خمس صلوات في كل يوم وليلة، فان هم اطاعوا لذلك، فاعلمهم ان الله تعالى افترض عليهم صدقة توخذ من اغنياىهم فترد على فقراىهم، فان هم اطاعوا لذلك، فاياك وكراىم اموالهم، واتق دعوة المظلوم، فانه ليس بينها وبين الله حجاب». متفق عليه

(193) Chapter: Strict Orders for Observance of Obligatory Salat


Mu'adh (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) sent me as a governor to Yemen and (at the time of departure) he instructed me thus: "You will go to people of the Scripture (i.e., the Jews and the Christians). First of all invite them to testify that La ilaha ill Allah (There is no true god except Allah) and that Muhammad (ﷺ) is His slave and Messenger; and if they accept this, then tell them that Allah has enjoined upon them five Salat (prayers) during the day and night; and if they accept it, then tell them that Allah has made the payment of Zakat obligatory upon them. It should be collected from their rich and distributed among their poor; and if they agree to it, don't take (as a share of Zakat) the best of their properties. Beware of the supplications of the oppressed, for there is no barrier between it and Allah."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith has already been mentioned and is repeated here to emphasize the importance of obligations and their meticulous performance. See Hadith No. 290.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ১৯৩: ফরয নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ এবং তা ত্যাগ করা সম্বন্ধে কঠোর নিষেধ ও চরম হুমকি

৫/১০৮৫। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, “মানুষ ও কুফরির মধ্যে (পর্দা) হল, নামায ত্যাগ করা।” (মুসলিম)[1]

(193) بَابُ الْأَمْرِ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوْبَاتِوَالنَّهْيِ الْأَكِيْدِ وَالْوَعِيْدِ الشَّدِيْدِ فِيْ تَرْكِهِنَّ

وَعَنْ جَابِرٍ رضي الله عنه قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ: «إِنَّ بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالكُفرِ، تَرْكَ الصَّلاَةِ». رواه مُسلِم

وعن جابر رضي الله عنه قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يقول: «ان بين الرجل وبين الشرك والكفر، ترك الصلاة». رواه مسلم

(193) Chapter: Strict Orders for Observance of Obligatory Salat


Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Between a man and disbelief and paganism is the abandonment of Salat (prayer)."

[Muslim].

Commentary: He who will be having the quality of Islam and will be particular in performing Salat regularly, will raise a wall between himself and Kufr. He who does not perform Salat after coming to the fold of Islam, does not have a frontier which separates him from infidelity. Leaving Salat is like demolishing the wall that separates Islam from Kufr. Thus, we learn from this Hadith that leaving Salat is Kufr. Some `Ulama' are of the opinion that this injunction is for one who believes leaving Salat is permissible whereas the one who leaves it because of slackness is not Kafir. Some scholars, however, think that if such a person does not repent, he is liable to Hadd, i.e., death punishment. There are other `Ulama' who think that rather than death punishment such a person should be subjected to corporal punishment till he starts offering Salat. This Hadith makes the importance of Salat in Islam abundantly clear.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ১৯৩: ফরয নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ এবং তা ত্যাগ করা সম্বন্ধে কঠোর নিষেধ ও চরম হুমকি

৬/১০৮৬। বুরাইদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে চুক্তি আমাদের ও তাদের (কাফের/মুনাফিকদের) মধ্যে বিদ্যমান, তা হচ্ছে নামায (পড়া)। অতএব যে নামায ত্যাগ করবে, সে নিশ্চয় কাফের হয়ে যাবে।” (তিরমিযী হাসান)[1]

(193) بَابُ الْأَمْرِ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوْبَاتِوَالنَّهْيِ الْأَكِيْدِ وَالْوَعِيْدِ الشَّدِيْدِ فِيْ تَرْكِهِنَّ

وَعَنْ بُرَيْدَةَ رضي الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «اَلعَهْدُ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ الصَّلاَةُ، فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ». رواه التِّرمِذِيُّ، وَقَالَ: حَدِيثٌ حَسَنٌ صحيح

وعن بريدة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة، فمن تركها فقد كفر». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

(193) Chapter: Strict Orders for Observance of Obligatory Salat


Buraidah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "That which differentiates us from the disbelievers and hypocrites is our performance of Salat. He who abandons it, becomes a disbeliever."

[At-Tirmidhi].

Commentary: The purport of this Hadith is the same as that of the preceding one.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ১৯৩: ফরয নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ এবং তা ত্যাগ করা সম্বন্ধে কঠোর নিষেধ ও চরম হুমকি

৭/১০৮৭। সর্বজন মান্য শাক্বীক ইবনে আব্দুল্লাহ তাবে’ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ’মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহচরবৃন্দ নামায ছাড়া অন্য কোনো আমল ত্যাগ করাকে কুফরীমূলক কাজ বলে মনে করতেন না।’ (তিরমিযী, কিতাবুল ঈমান, বিশুদ্ধ সানাদ)[1]

(193) بَابُ الْأَمْرِ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوْبَاتِوَالنَّهْيِ الْأَكِيْدِ وَالْوَعِيْدِ الشَّدِيْدِ فِيْ تَرْكِهِنَّ

وَعَنْ شقِيق بن عبدِ الله التَّابِعيِّ المتَّفَقِ عَلَى جَلاَلَتِهِ رَحِمهُ اللهُ، قَالَ: كَانَ أصْحَابُ محَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم لاَ يَرَوْنَ شَيْئاً مِنَ الأعْمَالِ تَرْكُهُ كُفْرٌ غَيْرَ الصَّلاَةِ . رَوَاهُ التِّرمِذِيُّ في كِتابِ الإيمان بإسنادٍ صحيحٍ

وعن شقيق بن عبد الله التابعي المتفق على جلالته رحمه الله، قال: كان اصحاب محمد صلى الله عليه وسلم لا يرون شيىا من الاعمال تركه كفر غير الصلاة . رواه الترمذي في كتاب الايمان باسناد صحيح

(193) Chapter: Strict Orders for Observance of Obligatory Salat


Shaqiq bin 'Abdullah reported:
The Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) did not consider the abandonment of any action as disbelief except neglecting Salat.

[At- Tirmidhi].

Commentary: The opinion of the Companions of the Prophet (PBUH) was based on the information contained in the Ahadith which have been mentioned above. They did not take the Ahadith which interpreted the leaving of Salat as Kufr mere scolding or reproof. They considered slackness and negligence in Salat as Kufr and apostasy and regarded Salat a symbol of Islam.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ১৯৩: ফরয নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ এবং তা ত্যাগ করা সম্বন্ধে কঠোর নিষেধ ও চরম হুমকি

৮/১০৮৮। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় কিয়ামতের দিন বান্দার (হক্বুক্বুল্লাহর মধ্যে) যে কাজের হিসাব সর্বপ্রথম নেওয়া হবে তা হচ্ছে তার নামায। সুতরাং যদি তা সঠিক হয়, তাহলে সে পরিত্রাণ পাবে। আর যদি (নামায) পণ্ড ও খারাপ হয়, তাহলে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি তার ফরয (ইবাদতের) মধ্যে কিছু কম পড়ে যায়, তাহলে প্রভু বলবেন, ’দেখ তো! আমার বান্দার কিছু নফল (ইবাদত) আছে কি না, যা দিয়ে ফরযের ঘাটতি পূরণ করে দেওয়া হবে?’ অতঃপর তার অবশিষ্ট সমস্ত আমলের হিসাব ঐভাবে গৃহীত হবে। (তিরমিযী হাসান)[1]

(193) بَابُ الْأَمْرِ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوْبَاتِوَالنَّهْيِ الْأَكِيْدِ وَالْوَعِيْدِ الشَّدِيْدِ فِيْ تَرْكِهِنَّ

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ العَبْدُ يَوْمَ القِيَامَةِ مِنْ عَمَلِهِ صَلاَتُهُ، فَإنْ صَلَحَتْ، فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ، وَإنْ فَسَدَتْ، فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ، فَإِنِ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ شَيْءٌ، قَالَ الرَّبُّ - عَزَّ وَجَلَّ: اُنْظُرُوا هَلْ لِعَبدِي مِن تَطَوُّعٍ، فَيُكَمَّلُ مِنْهَا مَا انْتَقَصَ مِنَ الفَرِيضَةِ ؟ ثُمَّ تَكُونُ سَائِرُ أَعْمَالِهِ عَلَى هَذَا». رواه التِّرمِذِيُّ، وَقَالَ: حَدِيثٌ حَسَنٌ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «ان اول ما يحاسب به العبد يوم القيامة من عمله صلاته، فان صلحت، فقد افلح وانجح، وان فسدت، فقد خاب وخسر، فان انتقص من فريضته شيء، قال الرب - عز وجل: انظروا هل لعبدي من تطوع، فيكمل منها ما انتقص من الفريضة ؟ ثم تكون ساىر اعماله على هذا». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن

(193) Chapter: Strict Orders for Observance of Obligatory Salat


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The first of man's deeds for which he will be called to account on the Day of Resurrection will be Salat. If it is found to be perfect, he will be safe and successful; but if it is incomplete, he will be unfortunate and a loser. If any shortcoming is found in the obligatory Salat, the Glorious and Exalted Rubb will command to see whether His slave has offered any voluntary Salat so that the obligatory Salat may be made up by it. Then the rest of his actions will be treated in the same manner."

[At- Tirmidhi].

Commentary: The rights mentioned in this Hadith are the Rights of Allah. The first of them for which one has to render account is Salat. In the rights of people, the first to be decided will be blood shed by a person of his fellow being. This Hadith also makes the following points:
1.Stress on the performance of the obligatory acts.
2.Inducement for voluntary prayers to make up the deficiency of the obligations.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে