পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথমে ওয়ারিসদের কসম লওয়া হয়
রেওয়ায়ত ১. সাহল ইবন আবী হাসমা (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তাহার বংশের কয়েকজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি তাহাকে সংবাদ দিয়াছেন, আবদুল্লাহ ইবন সহল ও মুহায়্যিসা তাহদের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে খায়বরে চলিয়া গিয়াছেন। তথায় মুহায়্যিসার নিকট এক ব্যক্তি আসিয়া বলিল, কেহ আবদুল্লাহকে হত্যা করিয়া কূপে ফেলিয়া দিয়াছে। ইহা শুনিয়া মুহায়্যিসা খায়বরের ইহুদীদের নিকট যাইয়া বলিল, আল্লাহ্র কসম! তোমরাই তাহাকে হত্যা করিয়াছ। ইহুদীরা বলিল, আল্লাহর কসম, আমরা তাহাকে হত্যা করি নাই। অতঃপর মুহায়্যিসা নিজের গোত্রের নিকট আসিয়া সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করিল। পরিশেষে মুহায়্যিসা তাহার বড় ভাই হুয়ায়্যিসা ও আবদুর রহমান ইবনে সহলকে (নিহত ব্যক্তির ভাই) সঙ্গে লইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট উপস্থিত হইল। মুহায়্যিসা যেহেতু খায়বর গিয়াছিল, তাই সে প্রথম কথা বলিতে ইচ্ছা করিল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ বড়-র প্রতি লক্ষ্য কর (বড় ভাইকে কথা বলিতে দাও)। তাই প্রথমে হুয়ায়্যিসা সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করিয়া শুনাইল। শুনিয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ ইহুদীরা হয় দিয়াত দিবে, না হয় যুদ্ধ করিবে। অতঃপর তিনি এ ব্যাপারে ইহুদীগণকে লিখিলেন, তাহাদের হইতে উত্তর আসিল : আল্লাহর কসম, আমরা হত্যা করি নাই। অতঃপর সকলে ঐ তিন ব্যক্তিকে বলিলঃ তোমরা কসম করিয়া বল যে, ইহুদীরা হত্যা করিয়াছে। তাহা হইলে তোমরা দিয়াতের মালিক হইয়া যাইবে। তাহারা বলিলঃ আমরা তো কসম খাইতে পারি না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ আচ্ছা, যদি ইহুদী কসম করে যে, তাহারা মারে নাই? তাহারা বলিলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ তাহারা মুসলিম নয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের পক্ষ হইতে দিয়াত আদায় করিলেন। সহল বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আমার নিকট আমার বাড়িতে একশত উট পাঠাইলেন। উহাদের মধ্য হইতে একটি লাল উষ্ট্ৰী আমাকে লাথি মারিয়াছিল (আজও আমার উহা স্মরণ আছে)।
باب تَبْدِئَةِ أَهْلِ الدَّمِ فِي الْقَسَامَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي لَيْلَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْلٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ رِجَالٌ مِنْ كُبَرَاءِ قَوْمِهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةَ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ مِنْ جَهْدٍ أَصَابَهُمْ فَأُتِيَ مُحَيِّصَةُ فَأُخْبِرَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ قَدْ قُتِلَ وَطُرِحَ فِي فَقِيرِ بِئْرٍ أَوْ عَيْنٍ فَأَتَى يَهُودَ فَقَالَ أَنْتُمْ وَاللَّهِ قَتَلْتُمُوهُ فَقَالُوا وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ فَأَقْبَلَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَوْمِهِ فَذَكَرَ لَهُمْ ذَلِكَ ثُمَّ أَقْبَلَ هُوَ وَأَخُوهُ حُوَيِّصَةُ وَهُوَ أَكْبَرُ مِنْهُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ فَذَهَبَ مُحَيِّصَةُ لِيَتَكَلَّمَ وَهُوَ الَّذِي كَانَ بِخَيْبَرَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَبِّرْ كَبِّرْ يُرِيدُ السِّنَّ فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ ثُمَّ تَكَلَّمَ مُحَيِّصَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِمَّا أَنْ يَدُوا صَاحِبَكُمْ وَإِمَّا أَنْ يُؤْذِنُوا بِحَرْبٍ فَكَتَبَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ فَكَتَبُوا إِنَّا وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحُوَيِّصَةَ وَمُحَيِّصَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ فَقَالُوا لَا قَالَ أَفَتَحْلِفُ لَكُمْ يَهُودُ قَالُوا لَيْسُوا بِمُسْلِمِينَ فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ بِمِائَةِ نَاقَةٍ حَتَّى أُدْخِلَتْ عَلَيْهِمْ الدَّارَ قَالَ سَهْلٌ لَقَدْ رَكَضَتْنِي مِنْهَا نَاقَةٌ حَمْرَاءُ قَالَ مَالِك الْفَقِيرُ هُوَ الْبِئْرُ
Yahya related to me from Malik from Abu Layla ibn Abdullah ibn Abd ar-Rahman ibn Sahl from Sahl ibn Abi Hathma that some of the great men of his people informed him that Abdullah ibn Sahl and Muhayyisa went out to Khaybar because extreme poverty had overtaken them. Muhayyisa returned and said that Abdullah ibn Sahl had been killed and thrown in a shallow well or spring. The jews came and he said, "By Allah! You have killed him." They said, "By Allah! We have not killed him!" Then he made for his people and mentioned that to them. Then he, his brother Huwayyisa, who was older than him, and Abd ar-Rahman, set out. Muhayyisa began to speak, as he had been at Khaybar. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said to him, "The greater first, the greater first," meaning in age. So Huwayyisa spoke and then Muhayyisa spoke. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Either they pay your companion's blood-money or we will declare war against them." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, wrote that to them and they wrote, "By Allah, we did not kill him!" The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said to Huwayyisa, Muhayyisa, and Abd ar-Rahman, "Do you swear and claim the blood of your companion?" They said, "No." He said, "Shall the jews swear to you?" They said, "But they are not muslims." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, gave blood-money from his own property, and sent them one hundred camels to their house.
Sahl added, "A red camel among them kicked me."
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথমে ওয়ারিসদের কসম লওয়া হয়
রেওয়ায়ত ২. বুশাইর ইবন ইয়াসার (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবনে সহল আনসারী ও মুহায়্যিসা খায়বর গিয়াছিল, তথায় যাইয়া তাহারা জিনজের কাজে ব্যস্ত হইয়া একে অপর হইতে পৃথক হইয়া গেল। আবদুল্লাহকে কেহ হত্যা করিল। মুহায়্যিসা তাহার ভাই হুয়ায়্যিসা আবদুর রহমানকে লইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হইল এবং আবদুর রহমান স্বীয় ভ্রাতার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কথা বলিতে চাহিল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে বড় তাহার প্রতি লক্ষ্য কর। অতঃপর আবদুল্লাহর ঘটনা মুহায়্যিসা ও হুয়ায়্যিসা বর্ণনা করিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ যদি তোমরা পঞ্চাশবার কসম খাইতে পার তবে তোমরা দিয়াত প্রাপ্ত হইবে। তাহারা বলিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা তো তখন তথায় ছিলাম না, আমরা দেখিও নাই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ তাহা হইলে ইহুদীরা পঞ্চাশ কসম করিয়া নির্দোষ হইয়া যাইবে। তাহারা বলিলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, তাহারা তো কাফির! তাহদের কসম কি করিয়া গ্রহণ করা যাইবে? বুশাইর বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের পক্ষ হইতে দিয়াত আদায় করিলেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা একটি সর্বস্বীকৃত বিষয়, এ ব্যাপারে অনেক আলিমের নিকটও শ্রবণ করিয়াছে এবং পূর্ব যুগের আর পরবর্তী যুগের ইমামগণও ইহাতে একমত হইয়াছেন যে, কসম লওয়ার ব্যাপারে প্রথমত বাদীপক্ষের নিকট হইতেই কসম লইতে হইবে। বাদিগণই প্রথমত কসম করিবে (যদি তাহারা কসম না করে তবে বিবাদী হইতে কসম লইতে হইবে। যদি তাহারা কসম করে, তবে তাহারা নির্দোষ সাব্যস্ত হইবে)।
নিম্নোক্ত দুইটি কারণের যে কোন একটির জন্যই কসম লওয়া অনিবার্য হয়। প্রথমত মৃত্যুর পূর্বে নিহত ব্যক্তি নিজেই বলিবে, যদি তাহার পক্ষে বলা সম্ভব হয় : আমাকে অমুক ব্যক্তি হত্যা করিয়াছে, ইহা তখনই যখন কোন সাক্ষী না থাকে। দ্বিতীয়ত, নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসগণ যখন কাহারও উপর হত্যার সন্দেহ করে (অথচ কোন সাক্ষী পাওয়া না যায়)। আমাদের নিকট এই দুইটি কারণেই কসম লওয়া অনিবার্য হয়। এতদ্ব্যতীত অন্য কোন কারণে কসম লওয়া অনিবার্য হয় না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট এই সুন্নত সর্বসম্মত এবং ইহার উপর সর্বসাধারণের আমলও রহিয়াছে যে, প্রথমে বাদী পক্ষ হইতেই কসম লইতে হইবে। সেই হত্যা ইচ্ছাকৃত হত্যাই হউক অথবা অনিচ্ছাকৃত হত্যাই হউক।
মালিক (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী হারিসের কোন আত্মীয় খায়বরে মারা যাওয়ার পর প্রথমত বনী হারিসকেই কসম করিতে বলিয়াছিলেন।
মালিক (রহঃ) বলেন, যদি বাদীপক্ষ কসম করে, তবে তাহারা যাহাদের ব্যাপারে কসম করিয়াছে তাহাদিগকে হত্যা করিতে পারবে। কিন্তু এমতাবস্থায় প্রথমে বাদী পক্ষ হইতে পঞ্চাশ কসম লওয়া হইবে। যদি তাহারা পঞ্চাশজন হয় তবে প্রত্যেকে একটি কসম করিবে। আর যাদি তাহারা সংখ্যায় পঞ্চাশ জনের কম হয় অথবা তাহাদের কেহ কসম করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে, তবে তাহাদের হইতে দুই দুইবার অথবা তিন তিনবার কসম লইয়া পঞ্চাশ পূর্ণ করিতে হইবে। কিন্তু যখন নিহত ব্যক্তির এমন ওয়ারিসগণ যাহাদের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার অধিকার আছে, তাহাদের একজনও যদি কসম করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে তবে এই একজনের কসম করিতে অনিচ্ছা প্রকাশের ফলে কিসাস আর অনিবার্য হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেন, নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসগণ যাহাদের ক্ষমা করিবার অধিকার নাই এমন ব্যক্তিদের কেহ কসম করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করিলেও অবশিষ্ট ব্যক্তিদের হইতে কসম লওয়া হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, যাহাদের ক্ষমা করিবার অধিকার রহিয়াছে এমন ওয়ারিসদের একজনও যদি কসম করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, তবে অবশিষ্ট ব্যক্তিদের হইতে আর কসম লওয়া হইবে না, বরং এমতাবস্থায় বিবাদীগণ হইতে কসম লইতে হইবে, বিবাদীদের পঞ্চাশজন পঞ্চাশ কসম করিবে। যদি তাহাদের সংখ্যা পঞ্চাশজন হইতে কম হয়, তবে দুই দুইবার, তিন তিন বার করিয়া হইলেও পঞ্চাশ পূর্ণ করিতে হইবে। যদি বিবাদী মাত্র একজন হয়, তবে এই একজন হইতেই পঞ্চাশ কসম লইতে হইবে। যদি এই এক ব্যক্তি পঞ্চাশ কসম করিয়া ফেলে, তবে সে নির্দোষ সাব্যস্ত হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, হত্যার বেলায় পঞ্চাশ কসম লওয়া হইয়া থাকে আর অন্যান্য দাবি আদায়ের জন্য শুধু এক কসমই লওয়া হয়। কেননা মানুষ কাহাকেও কাহারও সম্মুখে হত্যা করে না। যদি অন্যান্য দাবির মতো হত্যার বেলায়ও মাত্র একটি কসমই লওয়া হইত তাহা হইলে অনেক হত্যাই বৃথা যাইত এবং মানুষ হত্যার উৎসাহ পাইত। কিন্তু হত্যার কসমের বেলায় প্রথমত বাদী পক্ষ হইতেই কসম লওয়ার প্রথা নির্ধারিত হইয়াছে যেন মানুষ হত্যা করিতে সাহস না করে এবং এই ভাবিয়া ভীত থাকে যে, এ ব্যাপারে তো নিহত ব্যক্তির কথাই ধর্তব্য।
মালিক (রহঃ) বলেন, যদি কোন একটি পূর্ণ সম্প্রদায়ের উপর হত্যার অভিযোগ আনা হয় যাহাতে অনেক লোক রহিয়াছে, আর নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসগণ তাহাদের নিকট হইতে কসম লইতে ইচ্ছা করে, তাহা হইলে ঐ সমস্ত লোকের প্রত্যেক ব্যক্তি পঞ্চাশটি করিয়া কসম করিবে। সকলে মিলিয়া পঞ্চাশটি কসম করিলে চলিবে না। এ ব্যাপারে আমি ইহাই উত্তম শ্রবণ করিয়াছি।
মালিক (রহঃ) বলেন, নিহত ব্যক্তির আসাবা যাহারা এই হত্যার হকদার তাহাদেরকেই কসম দেওয়া থাকে আর তাহাদের কসম করার পরই কিসাস লওয়া হয়।
(ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর মতে কসমের দ্বারা কিসাস সাব্যস্ত হয় না, শুধু দিয়াত (রক্তপণ) সাব্যস্ত হইয়া থাকে)।
باب تَبْدِئَةِ أَهْلِ الدَّمِ فِي الْقَسَامَةِ
قَالَ يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ الْأَنْصَارِيَّ وَمُحَيِّصَةَ بْنَ مَسْعُودٍ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ فَتَفَرَّقَا فِي حَوَائِجِهِمَا فَقُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ فَقَدِمَ مُحَيِّصَةُ فَأَتَى هُوَ وَأَخُوهُ حُوَيِّصَةُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لِيَتَكَلَّمَ لِمَكَانِهِ مِنْ أَخِيهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَبِّرْ كَبِّرْ فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ فَذَكَرَا شَأْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَهْلٍ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَحْلِفُونَ خَمْسِينَ يَمِينًا وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ أَوْ قَاتِلِكُمْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمْ نَشْهَدْ وَلَمْ نَحْضُرْ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتُبْرِئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ فَزَعَمَ بُشَيْرُ بْنُ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَاهُ مِنْ عِنْدِهِ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا وَالَّذِي سَمِعْتُ مِمَّنْ أَرْضَى فِي الْقَسَامَةِ وَالَّذِي اجْتَمَعَتْ عَلَيْهِ الْأَئِمَّةُ فِي الْقَدِيمِ وَالْحَدِيثِ أَنْ يَبْدَأَ بِالْأَيْمَانِ الْمُدَّعُونَ فِي الْقَسَامَةِ فَيَحْلِفُونَ وَأَنَّ الْقَسَامَةَ لَا تَجِبُ إِلَّا بِأَحَدِ أَمْرَيْنِ إِمَّا أَنْ يَقُولَ الْمَقْتُولُ دَمِي عِنْدَ فُلَانٍ أَوْ يَأْتِيَ وُلَاةُ الدَّمِ بِلَوْثٍ مِنْ بَيِّنَةٍ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ قَاطِعَةً عَلَى الَّذِي يُدَّعَى عَلَيْهِ الدَّمُ فَهَذَا يُوجِبُ الْقَسَامَةَ لِلْمُدَّعِينَ الدَّمَ عَلَى مَنْ ادَّعَوْهُ عَلَيْهِ وَلَا تَجِبُ الْقَسَامَةُ عِنْدَنَا إِلَّا بِأَحَدِ هَذَيْنِ الْوَجْهَيْنِ قَالَ مَالِك وَتِلْكَ السُّنَّةُ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا عِنْدَنَا وَالَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ عَمَلُ النَّاسِ أَنَّ الْمُبَدَّئِينَ بِالْقَسَامَةِ أَهْلُ الدَّمِ وَالَّذِينَ يَدَّعُونَهُ فِي الْعَمْدِ وَالْخَطَإِ قَالَ مَالِك وَقَدْ بَدَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَارِثِيِّينَ فِي قَتْلِ صَاحِبِهِمْ الَّذِي قُتِلَ بِخَيْبَرَ قَالَ مَالِك فَإِنْ حَلَفَ الْمُدَّعُونَ اسْتَحَقُّوا دَمَ صَاحِبِهِمْ وَقَتَلُوا مَنْ حَلَفُوا عَلَيْهِ وَلَا يُقْتَلُ فِي الْقَسَامَةِ إِلَّا وَاحِدٌ لَا يُقْتَلُ فِيهَا اثْنَانِ يَحْلِفُ مِنْ وُلَاةِ الدَّمِ خَمْسُونَ رَجُلًا خَمْسِينَ يَمِينًا فَإِنْ قَلَّ عَدَدُهُمْ أَوْ نَكَلَ بَعْضُهُمْ رُدَّتْ الْأَيْمَانُ عَلَيْهِمْ إِلَّا أَنْ يَنْكُلَ أَحَدٌ مِنْ وُلَاةِ الْمَقْتُولِ وُلَاةِ الدَّمِ الَّذِينَ يَجُوزُ لَهُمْ الْعَفْوُ عَنْهُ فَإِنْ نَكَلَ أَحَدٌ مِنْ أُولَئِكَ فَلَا سَبِيلَ إِلَى الدَّمِ إِذَا نَكَلَ أَحَدٌ مِنْهُمْ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا تُرَدُّ الْأَيْمَانُ عَلَى مَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ إِذَا نَكَلَ أَحَدٌ مِمَّنْ لَا يَجُوزُ لَهُ عَفْوٌ فَإِنْ نَكَلَ أَحَدٌ مِنْ وُلَاةِ الدَّمِ الَّذِينَ يَجُوزُ لَهُمْ الْعَفْوُ عَنْ الدَّمِ وَإِنْ كَانَ وَاحِدًا فَإِنَّ الْأَيْمَانَ لَا تُرَدُّ عَلَى مَنْ بَقِيَ مِنْ وُلَاةِ الدَّمِ إِذَا نَكَلَ أَحَدٌ مِنْهُمْ عَنْ الْأَيْمَانِ وَلَكِنْ الْأَيْمَانُ إِذَا كَانَ ذَلِكَ تُرَدُّ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِمْ فَيَحْلِفُ مِنْهُمْ خَمْسُونَ رَجُلًا خَمْسِينَ يَمِينًا فَإِنْ لَمْ يَبْلُغُوا خَمْسِينَ رَجُلًا رُدَّتْ الْأَيْمَانُ عَلَى مَنْ حَلَفَ مِنْهُمْ فَإِنْ لَمْ يُوجَدْ أَحَدٌ يَحْلِفُ إِلَّا الَّذِي ادُّعِيَ عَلَيْهِ حَلَفَ هُوَ خَمْسِينَ يَمِينًا وَبَرِئَ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا فُرِقَ بَيْنَ الْقَسَامَةِ فِي الدَّمِ وَالْأَيْمَانِ فِي الْحُقُوقِ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا دَايَنَ الرَّجُلَ اسْتَثْبَتَ عَلَيْهِ فِي حَقِّهِ وَأَنَّ الرَّجُلَ إِذَا أَرَادَ قَتْلَ الرَّجُلِ لَمْ يَقْتُلْهُ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ النَّاسِ وَإِنَّمَا يَلْتَمِسُ الْخَلْوَةَ قَالَ فَلَوْ لَمْ تَكُنِ الْقَسَامَةُ إِلَّا فِيمَا تَثْبُتُ فِيهِ الْبَيِّنَةُ وَلَوْ عُمِلَ فِيهَا كَمَا يُعْمَلُ فِي الْحُقُوقِ هَلَكَتْ الدِّمَاءُ وَاجْتَرَأَ النَّاسُ عَلَيْهَا إِذَا عَرَفُوا الْقَضَاءَ فِيهَا وَلَكِنْ إِنَّمَا جُعِلَتْ الْقَسَامَةُ إِلَى وُلَاةِ الْمَقْتُولِ يُبَدَّءُونَ بِهَا فِيهَا لِيَكُفَّ النَّاسُ عَنْ الدَّمِ وَلِيَحْذَرَ الْقَاتِلُ أَنْ يُؤْخَذَ فِي مِثْلِ ذَلِكَ بِقَوْلِ الْمَقْتُولِ قَالَ يَحْيَى وَقَدْ قَالَ مَالِك فِي الْقَوْمِ يَكُونُ لَهُمْ الْعَدَدُ يُتَّهَمُونَ بِالدَّمِ فَيَرُدُّ وُلَاةُ الْمَقْتُولِ الْأَيْمَانَ عَلَيْهِمْ وَهُمْ نَفَرٌ لَهُمْ عَدَدٌ أَنَّهُ يَحْلِفُ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ عَنْ نَفْسِهِ خَمْسِينَ يَمِينًا وَلَا تُقْطَعُ الْأَيْمَانُ عَلَيْهِمْ بِقَدْرِ عَدَدِهِمْ وَلَا يَبْرَءُونَ دُونَ أَنْ يَحْلِفَ كُلُّ إِنْسَانٍ عَنْ نَفْسِهِ خَمْسِينَ يَمِينًا قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ قَالَ وَالْقَسَامَةُ تَصِيرُ إِلَى عَصَبَةِ الْمَقْتُولِ وَهُمْ وُلَاةُ الدَّمِ الَّذِينَ يَقْسِمُونَ عَلَيْهِ وَالَّذِينَ يُقْتَلُ بِقَسَامَتِهِمْ
Yahya said from Malik from Yahya ibn Said that Bushayr ibn Yasar informed him that Abdullah ibn Sahl al-Ansari and Muhayyisa ibn Masud went out to Khaybar, and they separated on their various businesses and Abdullah ibn Sahl was killed. Muhayyisa, and his brother Huwayyisa and Abd ar-Rahman ibn Sahl went to the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, and Abd ar-Rahman began to speak before his brother. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "The older first, the older first.
Therefore Huwayyisa and then Muhayyisa spoke and mentioned the affair of Abdullah ibn Sahl. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said to them, "Do you swear with fifty oaths and claim the blood-money of your companion or the life of the murderer?" They said, "Messenger of Allah, we did not see it and we were not present." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Will you acquit the jews for fifty oaths?' They said, "Messenger of Allah, how can we accept the oaths of a people who are kafirun?"
Yahya ibn Said said, "Bushayr ibn Yasar claimed that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, paid the blood-money from his own property."
Malik said, "The generally agreed on way of doing things in our community and that which I heard from whoever I am content with, concerning the oath of qasama, and upon which the past and present imams agree, is that those who claim revenge begin with the oaths and swear. The oath for revenge is only obligatory in two situations. Either the slain person says, 'My blood is against so-and-so,' or the relatives entitled to the blood bring a partial proof of it that is not irrefutable against the one who is the object of the blood-claim. This obliges taking an oath on the part of those who claim the blood against those who are the object of the blood-claim. With us, swearing is only obliged in these two situations."
Malik said, "That is the sunna in which there is no dispute with us and which is still the behaviour of the people. The people who claim blood begin the swearings, whether it is an intentional killing or an accident."
Malik said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, began with Banu Harith in the case of the killing of their kinsman murdered at Khaybar."
Malik said, "If those who make the claim swear, they deserve the blood of their kinsman and whoever they swear against is slain. Only one man can be killed in the qasama. Two cannot be killed in it. Fifty men from the blood-relatives must swear fifty oaths. If their number is less or some of them draw back, they can repeat their oaths, unless one of the relatives of the murdered man who deserves blood and who is permitted to pardon it, draws back. If one of these draws back, there is no way to revenge."
Yahya said that Malik said, "The oaths can be made by those of them who remain if one of them draws back who is not permitted to pardon. If one of the blood-relatives draws back who is permitted to pardon, even if he is only one, more oaths can not be made after that by the blood- relatives. If that occurs, the oaths can be on behalf of the one against whom the claim is made. So fifty of the men of his people swear fifty oaths. If there are not fifty men, more oaths can be made by those of them who already swore. If there is only the defendant, he swears fifty oaths and is acquitted."
Yahya said that Malik said, "One distinguishes between swearing for blood and oaths for one's rights. When a man has a money-claim against another man, he seeks to verify his due. When a man wants to kill another man, he does not kill him in the midst of people. He keeps to a place away from people. Had there only been swearing in cases where there is a clear proof and had one acted in it as one acts about one's rights (i.e. needing witnesses), the right of blood retribution would have been lost and people would have been swift to take advantage of it when they learned of the decision on it. However, the relatives of the murdered man were allowed to initiate swearing so that people might restrain themselves from blood and the murderer might beware lest he was put into a situation like that (i.e. qasama) by the statement of the murdered man.' "
Yahya said, "Malik said about a people of whom a certain number are suspected of murder and the relatives of the murdered man ask them to take oaths and they are numerous, so they ask that each man swears fifty oaths on his own behalf. The oaths are not divided out between them according to their number and they are not acquitted unless each man among them swears fifty oaths on his own behalf."
Malik said, "This is the best I have heard about the matter."
He said, "Swearing goes to the paternal relatives of the slain. They are the blood-relatives who swear against the killer and by whose swearing he is killed."