পরিচ্ছেদঃ ৩৪. ধোঁকার বিক্রয় প্রসঙ্গ

রেওয়ায়ত ৭৬. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধোঁকার বিক্রয় নিষেধ করিয়াছেন।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ধোঁকা ও সংশয়ের বিক্রয় হইতেছে এইরূপ-যেমন, এক ব্যক্তির জানোয়ার খোয়া গিয়াছে কিংবা তাহার দাস পালাইয়াছে, [সে এই অবস্থাতে উহা বিক্রয় করিতে ইচ্ছুক হইল] উহার মূল্য হইতেছে পঞ্চাশ দীনার। আন এক ব্যক্তি ললিল, আমি আপনার নিকট হইতে ইহা ক্রয় করিলাম বিশ দীনারের মূল্যে। অতঃপর যদি ক্রেতা উহা পায় সবে ত্রিশ দীনার বিক্রেতা হইতে চলিয়া যাইবে। আর না পাইলে বিক্রেতা ক্রেতা হইতে কুড়ি দীনার (পূর্বেই) পকেটস্থ করিয়াছে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহাতে অপর একটি ক্রটি রহিয়াছে, তাহা এই হারানো জানোয়ার [বা পলাতক দাস] যদি পাওয়াও যায় (তবুও) জানা যায় নাই যে, উহাতে (কিছু) বৃদ্ধি হইয়াছে না ঘাটতি হইয়াছে, কিংবা উহাতে কোন দোষ জন্মিয়াছে। ইহা বড় রকমের ঝুঁকি।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ফায়সালা এই, মাদী জানোয়ার এবং স্ত্রীলোকের পেটের বাচ্চা ক্রয় করাও ঝুঁকি এবং ধোঁকার মধ্যে গণ্য। কারণ পেটের বাচ্চা বাহির হইবে কি হইবে না জানা নাই। যদি বাহির হয় তবে জানা নাই যে, উহা সুন্দর হইবে না কুশ্রী হইবে পূর্ণ হইবে না অসম্পূর্ণ হইবে? নর হইবে না নারী হইবে ইহার প্রত্যেকটিই মূল্যের ব্যাপারে তারতম্য হওয়ার কারণ হয়। এইরূপ হইলে, উহার মূল্য এই হইবে, এইরূপ হইলে উহ্যর মূল্য অন্যরূপ হইবে [ইত্যাদি ইত্যাদি]।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ স্ত্রী জাতীয় পশুদিগকে বিক্রয় করিয়া উহাদের গর্ভস্থ বাচ্চাদেরকে বিক্রয় হইতে বাদ রাখা জায়েয নহে, ইহা এইরূপ—যেমন কোন ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে বলিল, আমার এই দুধাল বকরীর মূল্য হইতেছে তিন দীনার, কিন্তু দুই দীনার মূল্যে তোমাকে প্রদান করিতেছি। উহার গর্ভস্থ বাচ্চা আমার জন্য থাকিবে, ইহা মাকরূহ। কারণ ইহাতেও ধোঁকা রহিয়াছে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যাইতুন তৈলের বিনিময়ে যাইতুন ফল বিক্রয় করা এবং তিল নিঃসৃত তৈলের বিনিময়ে তিল শস্য বিক্রয় করা। ঘি-এর বিনিময়ে পনির বিক্রয় করা জায়েয নহে। কারণ ইহাতে ’মুযাবানা’ প্রবেশ করিয়া থাকে, আর এই কারণেও ইহা না-জায়েয যে, যে ব্যক্তি শস্য হইতে নিঃসৃত নির্দিষ্ট পরিমাণ বস্তুর বিনিময়ে শস্য ক্রয় করিতেছে ইহা জানা নাই যে, উহা হইতে সেই পরিমাণের কম উৎপন্ন হইবে না বেশি উৎপন্ন হইবে। কাজেই ইহাও ধোঁকার অন্তর্ভুক্ত হইল।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ হাব্বুল-বান[1] [বান বা বকায়ন বৃক্ষের শস্য]-কে উহা সলীখা-র বিনিময়ে ক্রয় করাও নাজায়েয। কারণ ইহাতে ধোঁকা রহিয়াছে। কারণ সলীখা হইতেছে হাব্বুল-বান হইতে নিঃসৃত তৈল। তবে সুগন্ধ বান তৈলের বিনিময়ে হাব্বুল-বান ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। কারণ সুগন্ধ বানে অন্য দ্রব্য মিশান হইয়াছে, উহাকে সুগন্ধযুক্ত করা হইয়াছে। তাই উহা কেবল মাত্র হাব্বুল-বান নিঃসৃত সলীখা রূপে অবশিষ্ট নাই।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির নিকট কোন সামগ্ৰী বিক্রয় করিল এবং বলিল যে, লোকসান সম্পর্কে ক্রেতার কোন দায়িত্ব নাই।[2] ইহা জয়েয নহে। ইহা ধোঁকার অন্তর্ভুক্ত, ইহার ব্যাখ্যা এই, সে যেন এই সামগ্রীতে যে লাভ অর্জিত হয় উহা তাহাকে ক্রেতাকে বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে দিয়াছে। যদি এই মাল খরিদ মূল্যে বা লোকসানে বিক্রয় করে তবে সে (ক্রেতা) কিছু পাইবে না এবং তাহার শ্রম বৃথা যাইবে। ইহা জায়েয নহে। (জায়েয তখন হইবে যখন) ক্রেতা তাহার শ্রমের মজুরি পাইবে শ্রম পরিমাণ। আর এই বস্তুতে যাহা লাভ লোকসান হইবে, উহা বিক্রেতার প্রাপ্য হইবে। ইহা তখন যখন সেই সামগ্ৰী বিক্রয় হইয়া যায় কিংবা ধ্বংস হয়। যদি উহা নষ্ট না হয় তবে উভয়ের মধ্যকার বেচাকেনা বাতিল হইয়া যাইবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির নিকট কোন মাল বিক্রয় করিল স্পষ্টরূপে, অতঃপর ক্রেতা লজ্জিত হইল অর্থাৎ খরিদ করিয়া লজ্জিত এবং বিক্রেতার নিকট বলিল—কিছু মূল্য কমাইয়া দিন। বিক্রেতা উহা স্বীকার করিল না এবং বলিল—আপনি এই মাল বিক্রয় করুন, আপনার কোন লোকসান নাই। ইহা জায়েয হইবে। কারণ ইহা ধোঁকা নহে বরং ইহা তাহার উপর হইতে লাঘব করা হইল। বেচাকেনা এই লাঘব করার শর্তের উপর অনুষ্ঠিত হয় নাই। ইহাই আমাদের নিকট ফয়সালা।

بَاب بَيْعِ الْغَرَرِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْغَرَرِ
قَالَ مَالِك وَمِنْ الْغَرَرِ وَالْمُخَاطَرَةِ أَنْ يَعْمِدَ الرَّجُلُ قَدْ ضَلَّتْ دَابَّتُهُ أَوْ أَبَقَ غُلَامُهُ وَثَمَنُ الشَّيْءِ مِنْ ذَلِكَ خَمْسُونَ دِينَارًا فَيَقُولُ رَجُلٌ أَنَا آخُذُهُ مِنْكَ بِعِشْرِينَ دِينَارًا فَإِنْ وَجَدَهُ الْمُبْتَاعُ ذَهَبَ مِنْ الْبَائِعِ ثَلَاثُونَ دِينَارًا وَإِنْ لَمْ يَجِدْهُ ذَهَبَ الْبَائِعُ مِنْ الْمُبْتَاعِ بِعِشْرِينَ دِينَارًا قَالَ مَالِك وَفِي ذَلِكَ عَيْبٌ آخَرُ إِنَّ تِلْكَ الضَّالَّةَ إِنْ وُجِدَتْ لَمْ يُدْرَ أَزَادَتْ أَمْ نَقَصَتْ أَمْ مَا حَدَثَ بِهَا مِنْ الْعُيُوبِ فَهَذَا أَعْظَمُ الْمُخَاطَرَةِ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ مِنْ الْمُخَاطَرَةِ وَالْغَرَرِ اشْتِرَاءَ مَا فِي بُطُونِ الْإِنَاثِ مِنْ النِّسَاءِ وَالدَّوَابِّ لِأَنَّهُ لَا يُدْرَى أَيَخْرُجُ أَمْ لَا يَخْرُجُ فَإِنْ خَرَجَ لَمْ يُدْرَ أَيَكُونُ حَسَنًا أَمْ قَبِيحًا أَمْ تَامًّا أَمْ نَاقِصًا أَمْ ذَكَرًا أَمْ أُنْثَى وَذَلِكَ كُلُّهُ يَتَفَاضَلُ إِنْ كَانَ عَلَى كَذَا فَقِيمَتُهُ كَذَا وَإِنْ كَانَ عَلَى كَذَا فَقِيمَتُهُ كَذَا قَالَ مَالِك وَلَا يَنْبَغِي بَيْعُ الْإِنَاثِ وَاسْتِثْنَاءُ مَا فِي بُطُونِهَا وَذَلِكَ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ ثَمَنُ شَاتِي الْغَزِيرَةِ ثَلَاثَةُ دَنَانِيرَ فَهِيَ لَكَ بِدِينَارَيْنِ وَلِي مَا فِي بَطْنِهَا فَهَذَا مَكْرُوهٌ لِأَنَّهُ غَرَرٌ وَمُخَاطَرَةٌ قَالَ مَالِك وَلَا يَحِلُّ بَيْعُ الزَّيْتُونِ بِالزَّيْتِ وَلَا الْجُلْجُلَانِ بِدُهْنِ الْجُلْجُلَانِ وَلَا الزُّبْدِ بِالسَّمْنِ لِأَنَّ الْمُزَابَنَةَ تَدْخُلُهُ وَلِأَنَّ الَّذِي يَشْتَرِي الْحَبَّ وَمَا أَشْبَهَهُ بِشَيْءٍ مُسَمًّى مِمَّا يَخْرُجُ مِنْهُ لَا يَدْرِي أَيَخْرُجُ مِنْهُ أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ أَوْ أَكْثَرُ فَهَذَا غَرَرٌ وَمُخَاطَرَةٌ قَالَ مَالِك وَمِنْ ذَلِكَ أَيْضًا اشْتِرَاءُ حَبِّ الْبَانِ بِالسَّلِيخَةِ فَذَلِكَ غَرَرٌ لِأَنَّ الَّذِي يَخْرُجُ مِنْ حَبِّ الْبَانِ هُوَ السَّلِيخَةُ وَلَا بَأْسَ بِحَبِّ الْبَانِ بِالْبَانِ الْمُطَيَّبِ لِأَنَّ الْبَانَ الْمُطَيَّبَ قَدْ طُيِّبَ وَنُشَّ وَتَحَوَّلَ عَنْ حَالِ السَّلِيخَةِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ بَاعَ سِلْعَةً مِنْ رَجُلٍ عَلَى أَنَّهُ لَا نُقْصَانَ عَلَى الْمُبْتَاعِ إِنَّ ذَلِكَ بَيْعٌ غَيْرُ جَائِزٍ وَهُوَ مِنْ الْمُخَاطَرَةِ وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنَّهُ كَأَنَّهُ اسْتَأْجَرَهُ بِرِبْحٍ إِنْ كَانَ فِي تِلْكَ السِّلْعَةِ وَإِنْ بَاعَ بِرَأْسِ الْمَالِ أَوْ بِنُقْصَانٍ فَلَا شَيْءَ لَهُ وَذَهَبَ عَنَاؤُهُ بَاطِلًا فَهَذَا لَا يَصْلُحُ وَلِلْمُبْتَاعِ فِي هَذَا أُجْرَةٌ بِمِقْدَارِ مَا عَالَجَ مِنْ ذَلِكَ وَمَا كَانَ فِي تِلْكَ السِّلْعَةِ مِنْ نُقْصَانٍ أَوْ رِبْحٍ فَهُوَ لِلْبَائِعِ وَعَلَيْهِ وَإِنَّمَا يَكُونُ ذَلِكَ إِذَا فَاتَتْ السِّلْعَةُ وَبِيعَتْ فَإِنْ لَمْ تَفُتْ فُسِخَ الْبَيْعُ بَيْنَهُمَا قَالَ مَالِك فَأَمَّا أَنْ يَبِيعَ رَجُلٌ مِنْ رَجُلٍ سِلْعَةً يَبُتُّ بَيْعَهَا ثُمَّ يَنْدَمُ الْمُشْتَرِي فَيَقُولُ لِلْبَائِعِ ضَعْ عَنِّي فَيَأْبَى الْبَائِعُ وَيَقُولُ بِعْ فَلَا نُقْصَانَ عَلَيْكَ فَهَذَا لَا بَأْسَ بِهِ لِأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْمُخَاطَرَةِ وَإِنَّمَا هُوَ شَيْءٌ وَضَعَهُ لَهُ وَلَيْسَ عَلَى ذَلِكَ عَقَدَا بَيْعَهُمَا وَذَلِكَ الَّذِي عَلَيْهِ الْأَمْرُ عِنْدَنَا

حدثني يحيى عن مالك عن ابي حازم بن دينار عن سعيد بن المسيب ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن بيع الغرر قال مالك ومن الغرر والمخاطرة ان يعمد الرجل قد ضلت دابته او ابق غلامه وثمن الشيء من ذلك خمسون دينارا فيقول رجل انا اخذه منك بعشرين دينارا فان وجده المبتاع ذهب من الباىع ثلاثون دينارا وان لم يجده ذهب الباىع من المبتاع بعشرين دينارا قال مالك وفي ذلك عيب اخر ان تلك الضالة ان وجدت لم يدر ازادت ام نقصت ام ما حدث بها من العيوب فهذا اعظم المخاطرة قال مالك والامر عندنا ان من المخاطرة والغرر اشتراء ما في بطون الاناث من النساء والدواب لانه لا يدرى ايخرج ام لا يخرج فان خرج لم يدر ايكون حسنا ام قبيحا ام تاما ام ناقصا ام ذكرا ام انثى وذلك كله يتفاضل ان كان على كذا فقيمته كذا وان كان على كذا فقيمته كذا قال مالك ولا ينبغي بيع الاناث واستثناء ما في بطونها وذلك ان يقول الرجل للرجل ثمن شاتي الغزيرة ثلاثة دنانير فهي لك بدينارين ولي ما في بطنها فهذا مكروه لانه غرر ومخاطرة قال مالك ولا يحل بيع الزيتون بالزيت ولا الجلجلان بدهن الجلجلان ولا الزبد بالسمن لان المزابنة تدخله ولان الذي يشتري الحب وما اشبهه بشيء مسمى مما يخرج منه لا يدري ايخرج منه اقل من ذلك او اكثر فهذا غرر ومخاطرة قال مالك ومن ذلك ايضا اشتراء حب البان بالسليخة فذلك غرر لان الذي يخرج من حب البان هو السليخة ولا باس بحب البان بالبان المطيب لان البان المطيب قد طيب ونش وتحول عن حال السليخة قال مالك في رجل باع سلعة من رجل على انه لا نقصان على المبتاع ان ذلك بيع غير جاىز وهو من المخاطرة وتفسير ذلك انه كانه استاجره بربح ان كان في تلك السلعة وان باع براس المال او بنقصان فلا شيء له وذهب عناوه باطلا فهذا لا يصلح وللمبتاع في هذا اجرة بمقدار ما عالج من ذلك وما كان في تلك السلعة من نقصان او ربح فهو للباىع وعليه وانما يكون ذلك اذا فاتت السلعة وبيعت فان لم تفت فسخ البيع بينهما قال مالك فاما ان يبيع رجل من رجل سلعة يبت بيعها ثم يندم المشتري فيقول للباىع ضع عني فيابى الباىع ويقول بع فلا نقصان عليك فهذا لا باس به لانه ليس من المخاطرة وانما هو شيء وضعه له وليس على ذلك عقدا بيعهما وذلك الذي عليه الامر عندنا


Yahya related to me from Malik from Abu Hazim ibn Dinar from Said ibn al-Musayyab that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade the sale with uncertainty in it.

Malik said, "An example of one type of uncertain transaction and risk is that a man intends the price of a stray animal or escaped slave to be fifty dinars. A man says, 'I will take him from you for twenty dinars.' If the buyer finds him, thirty dinars goes from the seller, and if he does not find him, the seller takes twenty dinars from the buyer."

Malik said, "There is another fault in that. If that stray is found, it is not known whether it will have increased or decreased in value or what defects may have befallen it. This transaction is greatly uncertain and risky."

Malik said, "According to our way of doing things, one kind of uncertain transaction and risk is selling what is in the wombs of females - women and animals - because it is not known whether or not it will come out, and if it does come out, it is not known whether it will be beautiful or ugly, normal or disabled, male or female. All that is disparate. If it has that, its price is such-and-such, and if it has this, its price is such-and-such."

Malik said, "Females must not be sold with what is in their wombs excluded. That is that, for instance, a man says to another, 'The price of my sheep which has much milk is three dinars. She is yours for two dinars while I will have her future offspring.' This is disapproved because it is an uncertain transaction and a risk."

Malik said, "It is not halal to sell olives for olive oil or sesame for sesame oil, or butter for ghee because muzabana comes into that, because the person who buys the raw product for something specified which comes from it, does not know whether more or less will come out of that, so it is an uncertain transaction and a risk."

Malik said, "A similar case is the selling of ben-nuts for ben-nut oil. This is an uncertain transaction because what comes from the ben-nut is ben-oil. There is no harm in selling ben-nuts for perfumed ben because perfumed ben has been perfumed, mixed and changed from the state of raw ben-nut oil."

Malik, speaking about a man who sold goods to a man on the provision that there was to be no loss for the buyer, (i.e. if the buyer could not re-sell the goods they could go back to the seller), said, "This transaction is not permitted and it is part of risk. The explanation of why it is so, is that it is as if the seller hired the buyer for the profit if the goods make a profit. If he sells the stock at a loss, he has nothing, and his efforts are not compensated. This is not good. In such a transaction, the buyer should have a wage according to the work that he has contributed. Whatever there is of loss or profit in those goods is for and against the seller. This is only when the goods are gone and sold. If they do not go, the transaction between them is null and void."

Malik said, "As for a man who buys goods from a man and he concludes the sale and then the buyer regrets and asks to have the price reduced and the seller refuses and says, 'Sell it and I will compensate you for any loss.' There is no harm in this because there is no risk. It is something he proposes to him, and their transaction was not based on that. That is what is done among us."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৩১. ক্রয়-বিক্রয় অধ্যায় (كتاب البيوع) 31/ Business Transactions