পরিচ্ছেদঃ 'হিল্লা' বিবাহ করা হারাম
৯৯৮। ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তিন তালাক প্রাপ্ত) হালালাকারী ও যার জন্য হালাল করা হয় উভয়ের উপর লানত করেছেন। —তিরমিযী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।[1]
হিলা বিবাহ ইসলামে নিষিদ্ধ। তালাকদাতা স্বামীর নিকট পুনরায় স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য যৌন মিলনের পর তালাক দেয়ার শর্তে কোন ব্যক্তির নিকট সাময়িক বিবাহ দেয়াকে হিলা বিবাহ বলা হয়। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিবাহকারী ও প্রদানকারী উভয়কে অভিসম্পাত করেছেন। অথচ আমাদের দেশের কিছু মৌলবী আল্লাহর রাসূলের এ অভিসম্পতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে, ঢালাওভাবে এ অনৈতিক বিবাহের প্রচলন বহাল রেখেছে। আল্লাহর রাসূলের ভাষায় এদেরকে ভাড়াটিয়া পাঠা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মূলতঃ সহীহ হাদীসকে অগ্রাহ্য করে এক তহুরে বা এক বৈঠকে তিন তালাককে এক তালাক গণ্য না করে তিন তালাক ধরে নেয়ার কারণে আমাদের দেশে এ অনৈতিক কর্মকাণ্ড অধিক পরিমাণে সংঘটিত হয়ে থাকে। হানাফী মাযহাবের আলিমদের হাদীস বিরোধী ফাতোয়াও অনেকটা এর জন্য দায়ী। আল্লাহ আমাদের হাদীস অমান্য করা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রহঃ) বলেছেন- হালালা নামক অভিশপ্ত বিবাহ দ্বারা ঐ স্ত্রী, হালালাকারী ও পূর্বস্বামী কারো জন্য হালাল হবে না। (মিশরীয় টীকা)
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ - رضي الله عنه - قَالَ: لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - الْمُحَلِّلَ وَالْمُحَلَّلَ لَهُ. رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَالنَّسَائِيُّ, وَالتِّرْمِذِيُّ وَصَحَّحَهُ
-
صحيح. رواه أحمد (1/ 448 و 462)، والنسائي (649)، والترمذي (1120) واللفظ للترمذي قال: حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ 'হিল্লা' বিবাহ করা হারাম
৯৯৯। ’আলী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে অনুরূপ হাদীসই বর্ণিত হয়েছে।[1]
وَفِي الْبَابِ: عَنْ عَلِيٍّ أَخْرَجَهُ الْأَرْبَعَةُ إِلَّا النَّسَائِيَّ
-
صحيح بشواهده. رواه أبو داود (2076)، والترمذي (1119)، وابن ماجه (1935) وفي سنده الحارث الأعور، وهو ضعيف. لكن يشهد له ما قبله، وأيضا له شواهد أخرى مذكورة بالأصل