পরিচ্ছেদঃ ৮. সাহ্উ সিজদা ও অন্যান্য সিজদা প্রসঙ্গ - যে ব্যক্তি ভুলবশত সালাত সম্পূর্ণ করার পূর্বে সালাম ফিরাবে তার বিধান
৩৩১. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিকালের কোন এক সালাত দু’ রাক’আত[1] আদায় করে সালাম ফিরালেন। অতঃপর মসজিদের একটি কাষ্ঠ খণ্ডের নিকট গিয়ে দাঁড়ালেন এবং তার উপর হাত রাখলেন। মুসল্লীগণের ভিতরে সামনের দিকে আবূ বকর (রাঃ) ও ’উমার (রাঃ)ও ছিলেন। তাঁরা উভয়ে তাঁর সাথে কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলেন। তাড়াহুড়াকারী মুসল্লীগণ বেরিয়ে পড়লেন। তাঁরা বলাবলি করতে লাগলেন, সালাত কি কমিয়ে দেয়া হয়েছে? কিন্তু এক ব্যক্তি, যাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যূল ইয়াদাইন বলে ডাকতেন, জিজ্ঞেস করল আপনি কি ভুলে গেছেন, না কি সালাত কমিয়ে দেয়া হয়েছে? তিনি বললেন : আমি ভুলিনি আর সালাতও কম করা হয়নি। তখন তাকে বলা হল যে, আপনি ভুলে গেছেন। তখন তিনি দু’রাক’আত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন। অতঃপর তাকবীর বলে সিজদা করলেন, স্বাভাবিক সিজদার ন্যায় বা তার চেয়ে দীর্ঘ। অতঃপর মাথা উঠিয়ে আবার তাকবীর বলে মাথা রাখলেন অর্থাৎ তাকবীর বলে সিজদায় গিয়ে স্বাভাবিক সিজদার মত অথবা তার চেয়ে দীর্ঘ সিজদা করলেন। অতঃপর মাথা উঠিয়ে তাকবীর বললেন। শব্দ বিন্যাস বুখারীর।
মুসলিমের ভিন্ন একটি বর্ণনায় আছে, “ঐটি আসরের সালাত ছিল।” আবূ দাউদে আছে, তিনি লোকেদের জিজ্ঞেস করলেন- যুলইয়াদাইন কি ঠিক বলছেন? লোকেরা ইশারাতে হাঁ বললো। এটা বুখারী মুসলিমেও আছে, কিন্তু তাতে একবচন শব্দের স্থলে বহুবচন শব্দ রয়েছে। তাঁর অন্য বর্ণনায় আছে- তিনি সাহউ সিজদা করেননি যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁকে (অন্তরে) এ ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস জন্ম দিয়েছেন।[2]
[2] বুখারী ৪৮২, ৭১৪, ৭১৫, ১২২৭, ১২২৮, ১২২৯, তিরমিযী ৩৯৪, ৩৯৯, নাসায়ী ১২২৪, ১২২৭, ১২২৮, ১২২৯, আবূ দাউদ ১০০৮, ১০১৪, ১০১৫, ইবনু মাজাহ ১২১৪, আহমাদ ৭১৬০, ৭৩২৭, ৭৬১০, ৭৭৬১, মুওয়াত্তা মালেক ২১০, ২১১, দারেমী ১৪৯৬, ১৪৯৭, হাদীসটি মুনকার। এর সানাদে মুহাম্মাদ বিন কাসীর বিন আবি আতা’ রয়েছেন আর তিনি অনেক মুনকার হাদীস বর্ণনা করেন। বিশেষ করে ইমাম আওযায়ীর (রহঃ) কাছ থেকে আর উক্ত হাদীসটিও তার নিকট হতে বৰ্ণিত।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ - قَالَ: صَلَّى النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - إِحْدَى صَلَاتِي الْعَشِيِّ (1) رَكْعَتَيْنِ, ثُمَّ سَلَّمَ, ثُمَّ قَامَ إِلَى خَشَبَةٍ فِي مُقَدَّمِ الْمَسْجِدِ, فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهَا, وَفِي الْقَوْمِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ, فَهَابَا أَنْ يُكَلِّمَاهُ, وَخَرَجَ سَرَعَانُ النَّاسِ, فَقَالُوا: أَقُصِرَتِ (2) الصَّلَاةُ! وَرَجُلٌ يَدْعُوهُ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - ذَا الْيَدَيْنِ, فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ, أَنَسِيتَ أَمْ قُصِرَتْ? فَقَالَ: «لَمْ أَنْسَ وَلَمْ تُقْصَرْ» فَقَالَ: بَلَى, قَدْ نَسِيتَ, فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ, ثُمَّ كَبَّرَ, فَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ, أَوْ أَطْوَلَ [ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَكَبَّرَ, ثُمَّ وَضَعَ رَأْسَهُ, فَكَبَّرَ, فَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ, أَوْ أَطْوَلَ]. (3) ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ, وَاللَّفْظُ لِلْبُخَارِيِّ. (4)
وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: صَلَاةُ الْعَصْرِ. (5)
وَلِأَبِي دَاوُدَ, فَقَالَ: «أَصَدَقَ ذُو الْيَدَيْنِ?» فَأَوْمَئُوا: أَيْ نَعَمْ. (6)
وَهِيَ فِي «الصَّحِيحَيْنِ» لَكِنْ بِلَفْظِ: فَقَالُوا. (7)
وَهِيَ فِي رِوَايَةٍ لَهُ: وَلَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَقَّنَهُ اللَّهُ تَعَالَى ذَلِكَ
-
(1) - عند البخاري: قال محمد بن سيرين: وأكثر ظني أنها العصر. وفي مسلم: إما الظهر وإما العصر
(2) - في البخاري: «أقصرت
(3) - سقطت من الأصلين واستدركتها من البخاري.
(4) - صحيح. رواه البخاري (1229)، ومسلم (573)
(5) - مسلم (573) (99)
(6) - صحيح. رواه أبو داود (1008)
(7) - صحيح. البخاري (1228)، ومسلم (573) (99)
(8) - منكر رواه أبو داود (1012) في سنده محمد بن كثير بن أبي عطاء يروي مناكير، خاصة عن الأوزاعي، وهذا منها