পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামের বিবরণ

(৩৮৬৭) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন জাহান্নামকে এ অবস্থায় নিয়ে আসা হবে যে, তার সত্তর হাজার লাগাম থাকবে। প্রত্যেক লাগামের সাথে সত্তর হাজার ফিরিশতা থাকবেন। তাঁরা তা টানতে থাকবেন।

عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يُؤْتَى بِجَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ لَهَا سَبْعُونَ أَلْفَ زِمَامٍ مَعَ كُلِّ زِمَامٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ يَجُرُّونَهَا

عن عبد الله قال قال رسول الله ﷺ يوتى بجهنم يومىذ لها سبعون الف زمام مع كل زمام سبعون الف ملك يجرونها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামের বিবরণ

(৩৮৬৮) ইয়ায বিন হিমার মুজাশিয়ী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আর জাহান্নামবাসী পাঁচ ব্যক্তি; (১) সেই দুর্বল শ্রেণীর ব্যক্তি, যার (পাপ ও অন্যায় থেকে দূরে থাকার মত) জ্ঞান নেই। যারা তোমাদের অনুগত, যারা পরিবার চায় না, ধন-সম্পদও চায় না। (২) খিয়ানতকারী ব্যক্তি, যে তুচ্ছ কোন জিনিসের লোভে পড়লেই তাতে খিয়ানত করে। (৩) এমন ব্যক্তি, যে সকাল-সন্ধ্যায় তোমার পরিবার ও সম্পদের ব্যাপারে ধোঁকা দেয়। (৪) কৃপণ ব্যক্তি এবং (৫) দুশ্চরিত্র চোয়াড়।

عَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ الْمُجَاشِعِىِّ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ وَأَهْلُ النَّارِ خَمْسَةٌ الضَّعِيفُ الَّذِى لاَ زَبْرَ لَهُ الَّذِينَ هُمْ فِيكُمْ تَبَعًا لاَ يَتْبَعُونَ أَهْلاً وَلاَ مَالاً وَالْخَائِنُ الَّذِى لاَ يَخْفَى لَهُ طَمَعٌ وَإِنْ دَقَّ إِلاَّ خَانَهُ وَرَجُلٌ لاَ يُصْبِحُ وَلاَ يُمْسِى إِلاَّ وَهُوَ يُخَادِعُكَ عَنْ أَهْلِكَ وَمَالِكَ وَالشِّنْظِيرُ الْفَحَّاشُ

عن عياض بن حمار المجاشعى ان رسول الله ﷺ قال واهل النار خمسة الضعيف الذى لا زبر له الذين هم فيكم تبعا لا يتبعون اهلا ولا مالا والخاىن الذى لا يخفى له طمع وان دق الا خانه ورجل لا يصبح ولا يمسى الا وهو يخادعك عن اهلك ومالك والشنظير الفحاش

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামের বিবরণ

(৩৮৬৯) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মহান আল্লাহ আদম (আঃ)কে আদেশ করবেন যে, যেন তিনি নিজ সন্তানদের মধ্য হতে হাজারে ৯৯৯ জনকে জাহান্নামের জন্য বের ক’রে দেন। এই কথা শুনে গর্ভবতীরা তাদের গর্ভপাত ক’রে ফেলবে, বালকরা বৃদ্ধ হয়ে পড়বে, আর মানুষকে দেখে মাতাল মনে হবে, অথচ তারা আসলে মাতাল হবে না; বরং আল্লাহর আযাবের ভয়াবহতার জন্য এ রকম (কিংকর্তব্যবিমূঢ়) হবে। সাহাবাদের কাছে এ কথা অত্যন্ত ভারী মনে হল, তাদের চেহারার রং পাল্টে গেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা দেখে বললেন ভয়ের কিছু নেই। ৯৯৯ জনের সংখ্যা য়্যা’জূজ-মা’জূজের মধ্য হতে হবে আর তোমাদের মাত্র একজন। তোমাদের সংখ্যা অন্য মানুষদের তুলনায় এমন হবে, যেমন সাদা গরুর গায়ে একটি কালো লোম অথবা কালো গরুর গায়ে একটি সাদা লোম। আর আমি আশা করি যে, তোমরাই হবে জান্নাতের এক চতুর্থাংশ বা এক তৃতীয়াংশ বা অর্ধেক। তা শুনে সাহাবারা আনন্দে ’আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি উচ্চারিত করলেন।

عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ﷺ يَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَا آدَمُ يَقُولُ لَبَّيْكَ رَبَّنَا وَسَعْدَيْكَ فَيُنَادَى بِصَوْتٍ إِنَّ اللهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تُخْرِجَ مِنْ ذُرِّيَّتِكَ بَعْثًا إِلَى النَّارِ قَالَ يَا رَبِّ وَمَا بَعْثُ النَّارِ قَالَ مِنْ كُلِّ أَلْفٍ أُرَاهُ قَالَ تِسْعَ مِائَةٍ وَتِسْعَةً وَتِسْعِينَ فَحِينَئِذٍ تَضَعُ الْحَامِلُ حَمْلَهَا وَيَشِيبُ الْوَلِيدُ وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُمْ بِسُكَارَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللهِ شَدِيدٌ فَشَقَّ ذٰلِكَ عَلَى النَّاسِ حَتّٰـى تَغَيَّرَتْ وُجُوهُهُمْ فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ مِنْ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ تِسْعَ مِائَةٍ وَتِسْعَةً وَتِسْعِينَ وَمِنْكُمْ وَاحِدٌ ثُمَّ أَنْتُمْ فِي النَّاسِ كَالشَّعْرَةِ السَّوْدَاءِ فِي جَنْبِ الثَّوْرِ الْأَبْيَضِ أَوْ كَالشَّعْرَةِ الْبَيْضَاءِ فِي جَنْبِ الثَّوْرِ الْأَسْوَدِ وَإِنِّي لَأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَكَبَّرْنَا ثُمَّ قَالَ ثُلُثَ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَكَبَّرْنَا ثُمَّ قَالَ شَطْرَ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَكَبَّرْنَا

عن ابي سعيد الخدري قال قال النبي ﷺ يقول الله عز وجل يوم القيامة يا ادم يقول لبيك ربنا وسعديك فينادى بصوت ان الله يامرك ان تخرج من ذريتك بعثا الى النار قال يا رب وما بعث النار قال من كل الف اراه قال تسع ماىة وتسعة وتسعين فحينىذ تضع الحامل حملها ويشيب الوليد وترى الناس سكارى وما هم بسكارى ولكن عذاب الله شديد فشق ذلك على الناس حتـى تغيرت وجوههم فقال النبي ﷺ من ياجوج وماجوج تسع ماىة وتسعة وتسعين ومنكم واحد ثم انتم في الناس كالشعرة السوداء في جنب الثور الابيض او كالشعرة البيضاء في جنب الثور الاسود واني لارجو ان تكونوا ربع اهل الجنة فكبرنا ثم قال ثلث اهل الجنة فكبرنا ثم قال شطر اهل الجنة فكبرنا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামের বিবরণ

(৩৮৭০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কাফেরের দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থান হবে দ্রুতগামী অশ্বারোহীর তিন দিনের পথ!

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ يَرْفَعُهُ قَالَ مَا بَيْنَ مَنْكِبَىِ الْكَافِرِ فِى النَّارِ مَسِيرَةُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ لِلرَّاكِبِ الْمُسْرِعِ

عن ابى هريرة يرفعه قال ما بين منكبى الكافر فى النار مسيرة ثلاثة ايام للراكب المسرع

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামের বিবরণ

(৩৮৭১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কাফেরের চোয়ালের দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের সমান। আর তার চামড়ার স্থূলতা হবে তিন দিনের পথ!

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ ضِرْسُ الْكَافِرِ أَوْ نَابُ الْكَافِرِ مِثْلُ أُحُدٍ وَغِلَظُ جِلْدِهِ مَسِيرَةُ ثَلاَثٍ

عن ابى هريرة قال قال رسول الله ﷺ ضرس الكافر او ناب الكافر مثل احد وغلظ جلده مسيرة ثلاث

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামের বিবরণ

(৩৮৭২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কাফেরের চামড়ার স্থূলতা হবে বিয়াল্লিশ হাত, তার চোয়ালের দাঁত হবে উহুদের মত (প্রায় ৭ কি. মি. লম্বা ৩ কি. মি. চওড়া ও ৩৫০ মি. উঁচু) এবং জাহান্নামে তার বসার জায়গা হবে মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী জায়গা পরিমাণ। (অর্থাৎ ৪২৫ কি. মি)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ غِلَظَ جِلْدِ الْكَافِرِ اثْنَانِ وَأَرْبَعُونَ ذِرَاعًا وَإِنَّ ضِرْسَهُ مِثْلُ أحُدٍ وَإِنَّ مَجْلِسَهُ مِنْ جَهَنَّمَ كَمَا بينَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَة

عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ان غلظ جلد الكافر اثنان واربعون ذراعا وان ضرسه مثل احد وان مجلسه من جهنم كما بين مكة والمدينة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামের বিবরণ

(৩৮৭৩)আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কাফেরের চামড়ার স্থূলতা হবে সত্তর হাত, তার বাহু হবে বাইযা পাহাড়ের মত, তার জাং হবে অরেক্বান পাহাড়ের মত এবং জাহান্নামে তার বসার জায়গা হবে আমার ও রাবাযার মধ্যবর্তী জায়গা পরিমাণ।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ ضِرْسُ الْكَافِرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِثْلُ أُحُدٍ وَعَرْضُ جِلْدِهِ سَبْعُونَ ذِرَاعًا وَفَخِذُهُ مِثْلُ وَرِقَانَ وَمَقْعَدُهُ مِنْ النَّارِ مِثْلُ مَا بَيْنِي وَبَيْنَ الرَّبَذَةِ

عن ابي هريرة قال قال رسول الله ﷺ ضرس الكافر يوم القيامة مثل احد وعرض جلده سبعون ذراعا وفخذه مثل ورقان ومقعده من النار مثل ما بيني وبين الربذة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামের বিবরণ

(৩৮৭৪) আবূ মূসা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জাহান্নামে জাহান্নামীরা কেঁদে এত অশ্রু ঝরাবে যে, তাতে নৌকা চালানোও সম্ভব হবে। তারা রক্তের অশ্রুও ঝরাবে।

وَعَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - :إِنَّ أَهْلَ النَّارِ لَيَبْكُونَ حَتّٰـى لَوْ أُجْرِيَتِ السُّفُنُ فِي دُمُوعِهِمْ لَجَرَتْ وَإِنَّهُمْ لَيَبْكُونَ الدَّمَ

وعن ابي موسى الاشعري - رضي الله عنه - قال : قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم - :ان اهل النار ليبكون حتـى لو اجريت السفن في دموعهم لجرت وانهم ليبكون الدم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামের বিবরণ

(৩৮৭৫) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জ্বর জাহান্নামের তীব্র উত্তাপের অংশ বিশেষ। অতএব তোমরা তা পানি দ্বারা ঠাণ্ডা কর।

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا : أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ الحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَبْرِدُوهَا بِالمَاءِ متفق عَلَيْهِ

وعن عاىشة رضي الله عنها : ان النبي ﷺ قال الحمى من فيح جهنم فابردوها بالماء متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে