পরিচ্ছেদঃ যিকর তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

মহান আল্লাহ বলেছেন,

وَلِـذِكْرُ اللهِ أَكْـبَـرُ

অর্থাৎ, অবশ্যই আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। (সূরা আনকাবূত ৪৫)

আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

فَـاذْكُرُوْنِـيْ أَذْكُرْكُـمْ

অর্থাৎ, তোমরা আমাকে স্মরণ কর; আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব। (সূরা বাক্বারা ১৫২)

তিনি অন্যত্র বলেন,

وَاذْكُرْ رَبَّكَ فِي نَفْسِكَ تَضَرُّعاً وَخِيفَةً وَدُونَ الجَهْرِ مِنَ القَوْلِ بِالغُدُوِّ والآصَالِ وَلاَ تَكُنْ مِنَ الغَافِلِينَ

অর্থাৎ, তোমার প্রতিপালককে মনে মনে সবিনয় ও সশঙ্কচিত্তে অনুচ্চস্বরে প্রত্যুষে ও সন্ধ্যায় স্মরণ কর এবং তুমি উদাসীনদের দলভুক্ত হয়ো না। (সূরা আ’রাফ ২০৫)

তিনি অন্য জায়গায় বলেন,

وَاذْكُرُوا اللهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ

অর্থাৎ, আল্লাহকে অধিকরূপে স্মরণ কর; যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা জুমআহ ১০)

তিনি আরো বলেছেন,

إِنَّ الْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ إِلَى قَوْله تَعَالٰـى وَالذَّاكِرِينَ اللهَ كَثِيراً وَالذَّاكِرَاتِ أَعَدَّ اللهُ لَهُمْ مَغْفِرَةً وَأجْرَاً عَظِيْمًا

অর্থাৎ, নিশ্চয়ই আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) পুরুষ ও আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) নারী, বিশ্বাসী পুরুষ ও বিশ্বাসী নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, রোযা পালনকারী পুরুষ ও রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী (সংযমী) পুরুষ ও যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী (সংযমী) নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী নারী—এদের জন্য আল্লাহ ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান রেখেছেন। (সূরা আহযাব ৩৫) তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا اللهَ ذِكْرًا كَثِيْرًا وَسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَأَصِيْلًا

অর্থাৎ, হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। (সূরা আহযাব ৪১-৪২)


(৩৬৮০) আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে আল্লাহর যিকর করে আর যে যিকর করে না, উভয়ের উদাহরণ মৃত ও জীবন্ত মানুষের মত।’’ (বুখারী ৬৪০৭)

মুসলিম এটি এভাবে বর্ণনা করেছেন যে, ’’যে ঘরে আল্লাহর যিকর করা হয় এবং যে ঘরে আল্লাহর যিকর করা হয় না, উভয়ের দৃষ্টান্ত জীবিত ও মৃতের ন্যায়।’’ (মুসলিম ১৮৫৯)

وَعَنْ أَبي مُوسَى الأَشعَرِي عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَثَلُ الَّذِي يَذْكُرُ رَبَّهُ وَالَّذِي لاَ يَذْكُرُهُ مَثَلُ الحَيِّ وَالمَيِّتِ رواه البخاري ورواه مسلم فَقَالَ مَثَلُ البَيْتِ الَّذِي يُذْكَرُ اللهُ فِيهِ وَالبَيْتِ الَّذِي لاَ يُذْكَرُ اللهُ فِيهِ مَثَلُ الحَيِّ والمَيِّتِ

وعن ابي موسى الاشعري عن النبي ﷺ قال مثل الذي يذكر ربه والذي لا يذكره مثل الحي والميت رواه البخاري ورواه مسلم فقال مثل البيت الذي يذكر الله فيه والبيت الذي لا يذكر الله فيه مثل الحي والميت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ যিকর তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

(৩৬৮১) হারেস আশআরী কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ সুবহানাহু অতাআলা য়্যাহয়্যা বিন যাকারিয়া আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পাঁচটি বাক্য দিয়ে তার উপর আমল করতে এবং বানী ইস্রাঈলকে আমল করতে আদেশ দিতে বললেন। অতঃপর তিনি সে ব্যাপারে প্রায় দেরী করে ফেলেছিলেন। সুতরাং ঈসা (আঃ) তাঁকে বললেন, ’আল্লাহ তাআলা আপনাকে পাঁচটি বাক্য দিয়ে তার উপর আমল করতে এবং বানী ইস্রাঈলকে আমল করতে আদেশ দিতে বলেছেন। অতএব আপনি কি তাদেরকে আদেশ করবেন, নাকি আমি তাদেরকে আদেশ করব?’ য়্যাহয়্যা বললেন, ’আমার ভয় হয়, আপনি আমার আগে বললে আমাকে মাটিতে ধসিয়ে দেওয়া হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে।’ সুতরাং য়্যাহয়্যা বায়তুল মাক্বদিসে লোকেদেরকে জমা করলেন। মসজিদ ভরে গেলে লোকেরা উঁচু জায়গাতেও বসল।

অতঃপর তিনি বললেন, ’আল্লাহ তাআলা আমাকে পাঁচটি বাক্য দিয়ে তার উপর আমল করতে এবং তোমাদেরকে আমল করতে আদেশ দিতে বলেছেন।’ উক্ত বাক্যাবলীর পঞ্চম বাক্য ছিল, ’’আমি তোমাদেরকে আদেশ দিচ্ছি যে, তোমরা আল্লাহর যিকর কর। যেহেতু এর উপমা হল সেই ব্যক্তির মতো, যার পশ্চাতে শত্রু ত্রস্তপদে ধাওয়া করেছে। পরিশেষে একটি দুর্ভেদ্য দুর্গে এসে নিজেকে তাদের হাত হতে রক্ষা করেছে। অনুরূপই আল্লাহর যিকর ছাড়া বান্দা নিজেকে শয়তান থেকে রক্ষা করতে পারে না।’’ (আহমাদ ১৭৩০২, তিরমিযী ২৮৬৩, নাসাঈর কুবরা ৮৮১৫, সহীহুল জামে’ হা/ ১৭২৪)

উক্ত হাদীসেই আছে, ’’আর আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেছেন নামাযের। সুতরাং যখন তোমরা নামায পড়বে, তখন অন্যমনস্ক হয়ো না। যেহেতু আল্লাহ নিজের চেহারা নামাযে নিজ বান্দার চেহারার সাথে স্থির রাখেন, যতক্ষণ সে অন্যমনস্ক হয় না।’’

وَعَن الْحَارِثِ الأَشْعَرِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللهَ أَمَرَ يَحْيَى بْنَ زَكَرِيَّا بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ أَنْ يَعْمَلَ بِهَا وَيَأْمُرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنْ يَعْمَلُوا بِهَا وَإِنَّهُ كَادَ أَنْ يُبْطِئَ بِهَا فَقَالَ عِيسَى : إِنَّ اللهَ أَمَرَكَ بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ لِتَعْمَلَ بِهَا وَتَأْمُرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنْ يَعْمَلُوا بِهَا فَإِمَّا أَنْ تَأْمُرَهُمْ وَإِمَّا أَنَا آمُرُهُمْ فَقَالَ يَحْيَى : أَخْشَى إِنْ سَبَقْتَنِي بِهَا أَنْ يُخْسَفَ بِي أَوْ أُعَذَّبَ فَجَمَعَ النَّاسَ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَامْتَلأَ الْمَسْجِدُ وَقَعَدُوا عَلَى الشُّرَفِ فَقَالَ : إِنَّ اللهَ أَمَرَنِي بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ أَنْ أَعْمَلَ بِهِنَّ وَآمُرَكُمْ أَنْ تَعْمَلُوا بِهِنَّ وَآمُرُكُمْ أَنْ تَذْكُرُوا اللهَ فَإِنَّ مَثَلَ ذٰلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ خَرَجَ الْعَدُوُّ فِي أَثَرِهِ سِرَاعًا حَتّٰـى إِذَا أَتَى عَلَى حِصْنٍ حَصِينٍ فَأَحْرَزَ نَفْسَهُ مِنْهُمْ كَذٰلِكَ الْعَبْدُ لاَ يُحْرِزُ نَفْسَهُ مِنَ الشَّيْطَانِ إِلاَّ بِذِكْرِ اللهِ وَإِنَّ اللهَ أَمَرَكُمْ بِالصَّلاَةِ فَإِذَا صَلَّيْتُمْ فَلاَ تَلْتَفِتُوا فَإِنَّ اللهَ يَنْصِبُ وَجْهَهُ لِوَجْهِ عَبْدِهِ فِي صَلاَتِهِ مَا لَمْ يَلْتَفِتْ

وعن الحارث الاشعري ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: ان الله امر يحيى بن زكريا بخمس كلمات ان يعمل بها ويامر بني اسراىيل ان يعملوا بها وانه كاد ان يبطى بها فقال عيسى : ان الله امرك بخمس كلمات لتعمل بها وتامر بني اسراىيل ان يعملوا بها فاما ان تامرهم واما انا امرهم فقال يحيى : اخشى ان سبقتني بها ان يخسف بي او اعذب فجمع الناس في بيت المقدس فامتلا المسجد وقعدوا على الشرف فقال : ان الله امرني بخمس كلمات ان اعمل بهن وامركم ان تعملوا بهن وامركم ان تذكروا الله فان مثل ذلك كمثل رجل خرج العدو في اثره سراعا حتـى اذا اتى على حصن حصين فاحرز نفسه منهم كذلك العبد لا يحرز نفسه من الشيطان الا بذكر الله وان الله امركم بالصلاة فاذا صليتم فلا تلتفتوا فان الله ينصب وجهه لوجه عبده في صلاته ما لم يلتفت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হারিস আশআরী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ যিকর তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

(৩৬৮২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি আমার বান্দার ধারণার পাশে থাকি। (অর্থাৎ, সে যদি ধারণা রাখে যে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন, তার তওবা কবুল করবেন, বিপদ আপদ থেকে উদ্ধার করবেন, তাহলে তাই করি।) আর আমি তার সাথে থাকি, যখন সে আমাকে স্মরণ করে। সুতরাং সে যদি তার মনে আমাকে স্মরণ করে, তাহলে আমি তাকে আমার মনে স্মরণ করি, সে যদি কোন সভায় আমাকে স্মরণ করে, তাহলে আমি তাকে তাদের চেয়ে উত্তম ব্যক্তিদের (ফিরিশতাদের) সভায় স্মরণ করি।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ يَقُولُ اللهُ تَعَالٰـى : أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِيْ بِيْ وَأَنَا مَعَهُ إِذَا ذَكَرَنِي فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ ذَكَرْتُهُ فِي نَفْسِي وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلأٍ ذَكَرتُهُ فِي مَلأٍ خَيْرٍ مِنْهُمْ متفق عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال يقول الله تعالـى : انا عند ظن عبدي بي وانا معه اذا ذكرني فان ذكرني في نفسه ذكرته في نفسي وان ذكرني في ملا ذكرته في ملا خير منهم متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ যিকর তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

(৩৬৮৩)উক্ত রাবী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুফার্রিদগণ অগ্রগমন করেছে। সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন, ’মুফাররিদ’ কারা, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, অতিমাত্রায় আল্লাহকে স্মরণকারী নর ও নারী।

وَعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ سَبَقَ المُفَرِّدُونَ قَالُوا : وَمَا المُفَرِّدُونَ ؟ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ الذَّاكِرُونَ اللهَ كَثِيرًا وَالذَّاكِرَاتِ رواه مسلم

وعنه قال : قال رسول الله ﷺ سبق المفردون قالوا : وما المفردون ؟ يا رسول الله قال الذاكرون الله كثيرا والذاكرات رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ যিকর তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

(৩৬৮৪) আব্দুল্লাহ ইবনে বুসর (রাঃ) হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! ইসলামী বিধান তো আমার ক্ষেত্রে অনেক বেশী। সুতরাং আপনি আমাকে এমন একটি কাজ বলে দিন, যেটাকে আমি দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে পারি।’ তিনি বললেন, আল্লাহর যিকরে তোমার রসনা যেন সর্বদা সিক্ত থাকে।

وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ بُسْرٍ أَنَّ رَجُلاً قَالَ : يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ شَرَائِعَ الإِسْلاَمِ قَدْ كَثُرَتْ عَلَيَّ فَأَخْبِرْنِي بِشَيءٍ أَتَشَبَّثُ بِهِ قَالَ لاَ يَزالُ لِسَانُكَ رَطبًا مِنْ ذِكْرِ اللهِ رواه الترمذي وقال حديث حسن

وعن عبد الله بن بسر ان رجلا قال : يا رسول الله ان شراىع الاسلام قد كثرت علي فاخبرني بشيء اتشبث به قال لا يزال لسانك رطبا من ذكر الله رواه الترمذي وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ যিকর তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

(৩৬৮৫) একদা মুআয বিন জাবাল (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলেন, ’কোন্ আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়?’ উত্তরে তিনি বললেন, আজীবন আল্লাহর যিকরে তোমার জিভ ভিজে থাকা।

عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ: أَيُّ الأَعْمَالِ أَحَبُّ إِلَى اللهِ تَعَالٰـى؟ قَالَ أَنْ تَمُوتَ وَلِسَانُكَ رَطْبٌ مِنْ ذِكْرِ اللهِ

عن معاذ بن جبل قال: سالت رسول الله ﷺ: اي الاعمال احب الى الله تعالـى؟ قال ان تموت ولسانك رطب من ذكر الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ যিকর তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

(৩৬৮৬) আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা বললেন, আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের উত্তম কাজের সন্ধান দেব না? যা তোমাদের প্রভুর নিকট সবচেয়ে পবিত্র, তোমাদের মর্যাদা সবার চেয়ে বেশি বৃদ্ধিকারী, সোনা-চাঁদি দান করার চেয়ে উত্তম এবং শত্রুর সম্মুখীন হয়ে গর্দান কাটা ও কাটানোর চেয়ে শ্রেয়।’’ সকলে বলল, ’অবশ্যই বলে দিন।’ তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলার যিকর।

وَعَنْ أَبِي الدَّردَاءِ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرِ أَعْمَالِكُمْ وَأَزْكَاهَا عِنْدَ مَلِيْكِكُمْ وَأَرْفَعِهَا فِي دَرَجَاتِكُمْ وَخَيرٍ لَكُمْ مِنْ إِنْفَاقِ الذَّهَبِ والفِضَّةِ وَخَيْرٍ لَكُمْ مِنْ أَن تَلْقَوا عَدُوَّكُمْ فَتَضْرِبُوا أَعْنَاقَهُمْ وَيَضْرِبُوا أَعْنَاقَكُمْ؟ قَالَوا : بَلَى قَالَ ذِكرُ الله تَعَالٰـى رواه الترمذي قَالَ الحاكم أَبُو عبد الله إسناده صحيح

وعن ابي الدرداء قال : قال رسول الله ﷺ الا انبىكم بخير اعمالكم وازكاها عند مليككم وارفعها في درجاتكم وخير لكم من انفاق الذهب والفضة وخير لكم من ان تلقوا عدوكم فتضربوا اعناقهم ويضربوا اعناقكم؟ قالوا : بلى قال ذكر الله تعالـى رواه الترمذي قال الحاكم ابو عبد الله اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ যিকর তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

(৩৬৮৭) ইমরান বিন হুস্বাইন (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ আবেদ হবে প্রশংসাকারিগণ।

عَنْ عِمْرَانَ بن حُصَيْنٍ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّ أَفْضَلَ عِبَادِ اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْحَمَّادُونَ

عن عمران بن حصين عن رسول الله ﷺ قال ان افضل عباد الله يوم القيامة الحمادون

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ যিকর তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

(৩৬৮৮) আনাস বিন মালিক (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ধীর-স্থিরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং জলদিবাজি শয়তানের পক্ষ থেকে। আল্লাহর চেয়ে বেশি ওজর কবুল করার কেউ নেই। আর প্রশংসার চেয়ে অধিক প্রিয় আল্লাহর কাছে অন্য কিছু নয়।

وعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ التَّأْنِيْ مِنَ اللهِ وَالْعَجْلَةُ مِنَ الشَّيْطَانِ، وَمَا أَحَدٌ أَكْثَرُ مَعَاذِيْرِ مِنَ اللهِ، وَمَا مِنْ شَيْءٍ أَحَبُّ إِلَى اللهِ مِنَ الْحَمْدِ

وعن انس بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم قال التاني من الله والعجلة من الشيطان، وما احد اكثر معاذير من الله، وما من شيء احب الى الله من الحمد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ যিকর তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

(৩৬৮৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহর এমন ৯৯টি এক কম একশটি নাম রয়েছে, যে কেউ তা (দু’আতে) গণনা করবে (বা মুখস্ত ক’রে তার অর্থ ও দাবী অনুযায়ী আমল করবে) সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ إِنَّ للهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا مِائَةً إِلاَّ وَاحِدًا مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ

عن ابى هريرة عن النبى ﷺ قال ان لله تسعة وتسعين اسما ماىة الا واحدا من احصاها دخل الجنة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে