পরিচ্ছেদঃ নিরর্থক কসম

অহেতুক কথায় কথায় নিরর্থক কসম খাওয়ার ব্যাপারে কোন পাকড়াও হবে না এবং তাতে কাফ্ফারাও দিতে হবে না। যেমন অকারণে অনিচ্ছাপূর্বক অভ্যাসগতভাবে ’আল্লাহর কসম! এটা বটে। আল্লাহর কসম! এটা নয়।’ ইত্যাদি শব্দাবলী মুখ থেকে বের হয়।

মহান আল্লাহ বলেছেন,

لاَ يُؤاخِذُكُمُ اللهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَكِنْ يُؤَاخِذُكُمْ بِمَا عَقَّدْتُمُ الأَيمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذٰلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُوا أَيْمَانَكُمْ

অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাদেরকে অর্থহীন কসমের জন্য পাকড়াও করবেন না; কিন্তু তিনি তোমাদেরকে সেই কসমের জন্য পাকড়াও করবেন, যাতে তোমরা দৃঢ়তা অবলম্বন করেছ। সুতরাং তার কাফ্ফারা হচ্ছে দশটি মিসকিনকে অন্নদান করা মধ্যম শ্রেণীর খাদ্য হতে, যা তোমরা নিজেদের স্ত্রী-পুত্র, পরিজনকে খেতে দাও অথবা তাদেরকে বস্ত্রদান করা অথবা একজন দাসমুক্ত করা। যদি কেউ (এ ৩টির মধ্যে একটি আদায় করতে) অসমর্থ হয়, তাহলে সে তিনদিন রোযা রাখবে। তোমরা যখন কসম করবে, তখন এটাই তোমাদের কাফ্ফারা (প্রায়শ্চিত্ত)। আর তোমরা তোমাদের কসমসমূহকে রক্ষা কর। (মায়েদাহ ৮৯)


(৩৬২৩) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’এই আয়াত (যার অর্থ) ’আল্লাহ তোমাদের অর্থহীন কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না।’ (সূরা মায়েদা ৮৯) এমন লোকের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে, যে (অজ্ঞাতসারে অভ্যাসগতভাবে কথায় কথায় কসম করে) বলে, আল্লাহর কসম! এটা নয়। আল্লাহর কসম! এটা বটে।’

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَة : لاَ يُؤاخِذُكُمُ اللهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ فِي قَوْلِ الرَّجُلِ : لاَ وَاللهِ وَبَلَى وَاللهِ رواه البخاري

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت : انزلت هذه الاية : لا يواخذكم الله باللغو في ايمانكم في قول الرجل : لا والله وبلى والله رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৮/ নযর ও কসম