পরিচ্ছেদঃ নযর ও মানতের বিধান
(৩৬১৩) আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য করার নযর মানে, সে যেন (তা পুরা করে) তার আনুগত্য করে এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যতা করার নযর মানে, সে যেন (তা পুরণ না করে এবং) তাঁর অবাধ্যতা না করে।
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنْ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ نَذَرَ أَنْ يُطِيعَ اللهَ فَلْيُطِعْهُ وَمَنْ نَذَرَ أَنْ يَعْصِيَهُ فَلَا يَعْصِهِ
পরিচ্ছেদঃ নযর ও মানতের বিধান
(৩৬১৪) আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (আল্লাহর) অবাধ্যতায় কোন নযর নেই। আর তার কাফফারা হল কসমের কাফফারা।
عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ لاَ نَذْرَ فِى مَعْصِيَةٍ وَكَفَّارَتُهُ كَفَّارَةُ يَمِينٍ
পরিচ্ছেদঃ নযর ও মানতের বিধান
(৩৬১৫) সাবেত বিন যাহহাক (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় এক ব্যক্তি নযর মানল যে, সে বুয়ানাহ নামক জায়গায় একটি উট কুরবানী (নহর) করবে। সুতরাং লোকটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে সে কথা উল্লেখ করল (এবং সে নযর পালন করতে কোন বাধা আছে কি না, তা জানতে চাইল)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন? সেখানে কি জাহেলী যুগের কোন পূজ্যমান প্রতিমা ছিল?’’ লোকেরা বলল, ’জী না।’ তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, ’’সেখানে কি সে যুগের কোন ঈদ (মেলা) হত? লোকেরা বলল, ’জী না।’ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে তুমি তোমার নযর পালন কর। যেহেতু আল্লাহর নাফরমানী করে কোন নযর পালন করা যাবে না এবং আদম সন্তানের সাধ্যের বাইরে মানা কোন নযর পালন করতে হয় না।
قال ثَابِتُ بْنُ الضَّحَّاكِ : نَذَرَ رَجُلٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ ﷺ أَنْ يَنْحَرَ إِبِلاً بِبُوَانَةَ فَأَتَى النَّبِىَّ ﷺ فَقَالَ : إِنِّى نَذَرْتُ أَنْ أَنْحَرَ إِبِلاً بِبُوَانَةَ فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ هَلْ كَانَ فِيهَا وَثَنٌ مِنْ أَوْثَانِ الْجَاهِلِيَّةِ يُعْبَدُ قَالُوا : لاَ قَالَ هَلْ كَانَ فِيهَا عِيدٌ مِنْ أَعْيَادِهِمْ قَالُوا : لاَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَوْفِ بِنَذْرِكَ فَإِنَّهُ لاَ وَفَاءَ لِنَذْرٍ فِى مَعْصِيَةِ اللهِ وَلاَ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ ابْنُ آدَمَ
পরিচ্ছেদঃ নযর ও মানতের বিধান
(৩৬১৬) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ’এক মহিলা সমুদ্র-সফরে বের হলে সে নযর মানল যে, যদি আল্লাহ তাবারাকা অতাআলা তাকে সমুদ্র থেকে পরিত্রাণ দান করেন, তাহলে সে একমাস রোযা রাখবে। অতঃপর সে সমুদ্র থেকে পরিত্রাণ পেয়ে ফিরে এল। কিন্তু রোযা না রেখেই সে মারা গেল। তার এক কন্যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে সে ঘটনার উল্লেখ করলে তিনি বললেন, মনে কর, তার যদি কোন ঋণ বাকী থাকত, তাহলে তা তুমি পরিশোধ করতে কি না? বলল, ’হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, তাহলে আল্লাহর ঋণ অধিকরূপে পরিশোধযোগ্য। সুতরাং তুমি তোমার মায়ের পক্ষ থেকে রোযা কাযা করে দাও।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ : أَنَّ امْرَأَةً رَكِبَتِ الْبَحْرَ فَنَذَرَتْ إِنْ نَجَّاهَا اللهُ أَنْ تَصُومَ شَهْرًا فَنَجَّاهَا اللهُ فَلَمْ تَصُمْ حَتّٰـى مَاتَتْ فَجَاءَتِ ابْنَتُهَا أَوْ أُخْتُهَا إِلٰـى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَأَمَرَهَا أَنْ تَصُومَ عَنْهَا
وفي رواية: قَالَ: أَتَتِ النَّبِيَّ ﷺ امْرَأَةٌ فَقالتْ: يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ أُمِّي نَذَرَتْ أَنْ تَصُومَ شَهْرًا وَإِنَّهَا تُوُفِّيَتْ قَبْلَ أَنْ تَصُومَ قَالَ:أَرَأَيْتِ لَوْ كَانَ عَلَى أُمِّكِ دَيْنٌ أَكُنْتِ قَاضِيَةً؟قالتْ: نَعَمْ قَالَ:دَيْنُ اللهِ أَحَقُّ أَنْ يُقْضَى
পরিচ্ছেদঃ নযর ও মানতের বিধান
(৩৬১৭) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ’আমার বোন হজ্জ করার নযর মেনে মারা গেছে। (এখন কি করা যায়?) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তার ঋণ বাকী থাকলে কি তুমি পরিশোধ করতে? লোকটি বলল, ’হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে আল্লাহর ঋণ পরিশোধ করে দাও। কারণ, তা অধিক পরিশোধযোগ্য।
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ ﷺ فَقَالَ لَهُ إِنَّ أُخْتِي قَدْ نَذَرَتْ أَنْ تَحُجَّ وَإِنَّهَا مَاتَتْ فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ لَوْ كَانَ عَلَيْهَا دَيْنٌ أَكُنْتَ قَاضِيَهُ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَاقْضِ اللهَ فَهُوَ أَحَقُّ بِالْقَضَاءِ
পরিচ্ছেদঃ নযর ও মানতের বিধান
(৩৬১৮) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ’কোন ব্যক্তি রমযান মাসে অসুস্থ হয়ে পড়লে এবং তারপর রোযা না রাখা অবস্থায় মারা গেলে তার পক্ষ থেকে মিসকীন খাওয়াতে হবে; তার কাযা নেই। পক্ষান্তরে নযরের রোযা বাকী রেখে মারা গেলে তার পক্ষ থেকে তার অভিভাবক (বা ওয়ারেস) রোযা রাখবে।’
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ إِذَا مَرِضَ الرَّجُلُ فِى رَمَضَانَ ثُمَّ مَاتَ وَلَمْ يَصُمْ أُطْعِمَ عَنْهُ وَلَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ قَضَاءٌ وَإِنْ كَانَ عَلَيْهِ نَذْرٌ قَضَى عَنْهُ وَلِيُّهُ