পরিচ্ছেদঃ সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ

(৩১৯৭) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা সবুজ-শ্যামল ঘাসে ভরা যমীনে সফর করবে, তখন উটকে তার যমীনের অংশ দাও (অর্থাৎ, কিছুক্ষণ চরতে দাও)। আর যখন তোমরা ঘাস-পানিবিহীন যমীনে সফর করবে, তখন তার উপর চড়ে দ্রুত চলো এবং তার শক্তি শেষ হওয়ার পূর্বেই গন্তব্যস্থানে পৌঁছে যাও। আর যখন তোমরা রাতে বিশ্রামের জন্য কোন স্থানে অবতরণ করবে, তখন আম রাস্তা থেকে দূরে থাকো। কারণ, তা রাতে (হিংস্র) জন্তুদের রাস্তা এবং (বিষাক্ত) পোকামাকড়ের আশ্রয় স্থল।

عَنْ أَبِي هُرَيرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا سَافَرْتُمْ فِي الخِصْبِ فَأَعْطُوا الإبلَ حَظَّهَا مِنَ الأَرْضِ وَإِذَا سَافَرْتُمْ فِي الجَدْبِ فَأَسْرِعُوا عَلَيْهَا السَّيْرَ وَبَادِرُوا بِهَا نِقْيَهَا وَإِذَا عَرَّسْتُمْ فَاجْتَنِبُوا الطَّرِيقَ ؛ فَإنَّهَا طُرُقُ الدَّوَابِّ وَمَأوَى الهَوَامِّ بِاللَّيْلِ رواه مسلم

عن ابي هريرة قال : قال رسول الله ﷺ اذا سافرتم في الخصب فاعطوا الابل حظها من الارض واذا سافرتم في الجدب فاسرعوا عليها السير وبادروا بها نقيها واذا عرستم فاجتنبوا الطريق ؛ فانها طرق الدواب وماوى الهوام بالليل رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ

(৩১৯৮) আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফরে থাকতেন এবং রাতে বিশ্রামের জন্য কোথাও অবতরণ করতেন, তখন তিনি ডান পার্শ্বে শয়ন করতেন। আর তিনি ফজরের কিছুক্ষণ পূর্বে বিশ্রাম নিলে তার হাতটা খাড়া করে হাতের চেটোর উপর মাথা রেখে আরাম করতেন।’ (মুসলিম ১৫৯৭)

وَعَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا كَانَ فِي سَفَرٍ فَعَرَّسَ بِلَيْلٍ اضْطَجَعَ عَلَى يَمِينهِ وَإِذَا عَرَّسَ قُبَيلَ الصُّبْحِ نَصَبَ ذِرَاعَهُ وَوَضَعَ رَأسَهُ عَلَى كَفِّهِ رواه مسلم

وعن ابي قتادة قال : كان رسول الله ﷺ اذا كان في سفر فعرس بليل اضطجع على يمينه واذا عرس قبيل الصبح نصب ذراعه ووضع راسه على كفه رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ

(৩১৯৯) আনাস (রাঃ) বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা রাতে সফর কর। কেননা, রাতে যমীনকে গুটিয়ে দেওয়া হয়। (আবূ দাউদ ২৫৭৩ সহীহ সনদে)) (অর্থাৎ, রাস্তা কম মনে হয়।)

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ عَلَيْكُمْ بِالدُّلْجَةِ فَإنَّ الأرْضَ تُطْوَى بِاللَّيْلِ رواه أَبُو داود بإسناد حسن

وعن انس قال : قال رسول الله ﷺ عليكم بالدلجة فان الارض تطوى بالليل رواه ابو داود باسناد حسن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ

(৩২০০) আবূ সা’লাবা খুশানী (রাঃ) বলেন, লোকেরা যখন কোন স্থানে অবতরণ করতেন, তখন তাঁরা গিরিপথ ও উপত্যকায় ছড়িয়ে যেতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তোমাদের এ সকল গিরিপথে ও উপত্যকায় বিক্ষিপ্ত হওয়া শয়তানের কাজ।’’ এরপর তাঁরা যখনই কোন মঞ্জিলে অবতরণ করতেন, তখন একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে থাকতেন।

وَعَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الخُشَنِيِّ قَالَ : كَانَ النَّاسُ إِذَا نَزَلُوا مَنْزِلاً تَفَرَّقُوا فِي الشِّعَابِ وَالأوْدِيَةِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إنَّ تَفَرُّقَكُمْ فِي هَذِهِ الشِّعَابِ وَالأَوْدِيَةِ إِنَّمَا ذَلِكُمْ مِنَ الشَّيْطَانِ! فَلَمْ يَنْزِلُوا بَعْدَ ذَلِكَ مَنْزِلاً إِلاَّ انْضَمَّ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ رواه أَبُو داود بإسناد حسن

وعن ابي ثعلبة الخشني قال : كان الناس اذا نزلوا منزلا تفرقوا في الشعاب والاودية فقال رسول الله ﷺ ان تفرقكم في هذه الشعاب والاودية انما ذلكم من الشيطان! فلم ينزلوا بعد ذلك منزلا الا انضم بعضهم الى بعض رواه ابو داود باسناد حسن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ

(৩২০১) সাহল ইবনে আমর (রাঃ) মতান্তরে সাহল ইবনে রাবী ইবনে আমর (রাঃ) আনসারী --যিনি ইবনুল হানযালিয়্যাহ নামে প্রসিদ্ধ এবং ইনি বায়আতে রিযওয়ানে অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে একজন—তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটা উটের পাশ দিয়ে গেলেন, যার পিঠটা (দুর্বলতার কারণে) পেটের সাথে লেগে গিয়েছিল। (তা দেখে) তিনি বললেন, তোমরা এ সব অবোলা জন্তুর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। সুতরাং তোমরা তাদের সুস্থ থাকা অবস্থায় আরোহণ কর এবং তাদের সুস্থ থাকা অবস্থায় মাংস খাও।

وَعَنْ سَهْلِ بْنِ عَمْرٍو وَقِيْلَ : سَهْلِ بنِ الرَّبِيعِ بنِ عَمرٍو الأَنصَارِي المَعرُوفِ بِابنِ الحَنظَلِيَّةِ وَهُوَ مِن أَهلِ بَيعَةِ الرِّضْوَانِ قَالَ : مَرَّ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بِبَعِيرٍ قَدْ لَحِقَ ظَهْرُهُ بِبَطْنِهِ فَقَالَ اِتَّقُوا اللهَ فِي هَذِهِ البَهَائِمِ المُعجَمَةِ، فَارْكَبُوهَا صَالِحَةً، وَكُلُوهَا صَالِحَةً رواه أَبُو داود بإسناد صحيح

وعن سهل بن عمرو وقيل : سهل بن الربيع بن عمرو الانصاري المعروف بابن الحنظلية وهو من اهل بيعة الرضوان قال : مر رسول الله ﷺ ببعير قد لحق ظهره ببطنه فقال اتقوا الله في هذه البهاىم المعجمة، فاركبوها صالحة، وكلوها صالحة رواه ابو داود باسناد صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ

(৩২০২) আবূ জা’ফর আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফর (রাঃ) বলেন, ’একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে সওয়ারীর উপর তাঁর পিছনে বসালেন এবং আমাকে তিনি একটি গোপন কথা বললেন, যা আমি কাউকে বলব না। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঁচু জায়গা (দেওয়াল, ঢিবি ইত্যাদি) অথবা খেজুরের বাগানের আড়ালে মল-মূত্র ত্যাগ করা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন।’ (ইমাম মুসলিম ৮০০ এটিকে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন।)

বারক্বানী এতে মুসলিমের সূত্রে বর্ধিত আকারে ’খেজুরের বাগান’ শব্দের পর বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসারীর বাগানে প্রবেশ ক’রে সেখানে একটা উট দেখতে পেলেন। উটটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল এবং তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে লাগল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কাছে এসে তার কুঁজে এবং কানের পিছনের অংশে হাত ফিরালেন, ফলে সে শান্ত হল। তারপর তিনি বললেন, ’’এই উটের মালিক কে? এই উটটা কার?’’ অতঃপর আনসারদের এক যুবক এসে বলল, ’এটা আমার হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, ’’তুমি কি এই পশুটার ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো না, আল্লাহ তোমাকে যার মালিক বানিয়েছেন? কারণ, সে আমার নিকট অভিযোগ করছে যে, তুমি তাকে ক্ষুধায় রাখ এবং (বেশি কাজ নিয়ে) ক্লান্ত ক’রে ফেলো!’’ (আবু দাঊদ ২৫৫১ সহীহ সনদে)

وَعَنْ أَبِي جَعفَرٍ عَبدِ اللهِ بنِ جَعفَرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : أَردَفَنِي رَسُوْلُ اللهِ ﷺ ذَاتَ يَوْمٍ خَلْفَهُ وَأسَرَّ إليَّ حَدِيثاً لاَ أُحَدِّثُ بِهِ أحَداً مِنَ النَّاسِ وَكَانَ أحَبَّ مَا اسْتَتَرَ بِهِ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لِحاجَتِهِ هَدَفٌ أَوْ حَائِشُ نَخْلٍ يَعنِي : حَائِطَ نَخْلٍ رواه مسلم هكَذَا مُختصراً
وَزَادَ فِيهِ البَرْقَانِي بِإِسنَادِ مُسلِمٍ - بَعدَ قَوْلِهِ : حَائِشُ نَخْلٍ فَدَخَلَ حَائِطاً لِرَجُلٍ مِنَ الأنْصَارِ فَإِذَا فِيهِ جَمَلٌ فَلَمَّا رَأَى رَسُوْلُ اللهِ ﷺ جَرْجَرَ وَذَرَفَتْ عَيْنَاهُ فَأَتَاهُ النَّبِيُّ ﷺ فَمَسَحَ سَرَاتَهُ - أيْ : سِنَامَهُ وَذِفْرَاهُ فَسَكَنَ فَقَالَ مَنْ رَبُّ هَذَا الجَمَلِ ؟ لِمَنْ هَذَا الجَمَلُ ؟ فَجَاءَ فَتَىً مِنَ الأنْصَارِ فَقَالَ : هَذَا لِي يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ أَفَلاَ تَتَّقِي اللهَ فِي هَذِهِ البَهِيمَةِ الَّتِي مَلَّكَكَ اللهُ إيَّاهَا ؟ فَإنَّهُ يَشْكُو إلَيَّ أنَّكَ تُجِيعُهُ وتُدْئِبُهُ رواه أَبُو داود كرواية البرقاني

وعن ابي جعفر عبد الله بن جعفر رضي الله عنهما قال : اردفني رسول الله ﷺ ذات يوم خلفه واسر الي حديثا لا احدث به احدا من الناس وكان احب ما استتر به رسول الله ﷺ لحاجته هدف او حاىش نخل يعني : حاىط نخل رواه مسلم هكذا مختصرا وزاد فيه البرقاني باسناد مسلم - بعد قوله : حاىش نخل فدخل حاىطا لرجل من الانصار فاذا فيه جمل فلما راى رسول الله ﷺ جرجر وذرفت عيناه فاتاه النبي ﷺ فمسح سراته - اي : سنامه وذفراه فسكن فقال من رب هذا الجمل ؟ لمن هذا الجمل ؟ فجاء فتى من الانصار فقال : هذا لي يا رسول الله قال افلا تتقي الله في هذه البهيمة التي ملكك الله اياها ؟ فانه يشكو الي انك تجيعه وتدىبه رواه ابو داود كرواية البرقاني

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ

(৩২০৩) আনাস (রাঃ) বলেন, ’আমরা যখন (সফরে) কোন মঞ্জিলে অবতরণ করতাম, তখন সওয়ারীর পালান নামাবার পূর্বে নফল নামায পড়তাম না।’ (আবূ দাঊদ ২৫৫৩, মুসলিমের শর্তে)

অর্থাৎ, আমরা নামাযের প্রতি আগ্রহী হওয়া সত্ত্বেও সওয়ারীর পিঠ থেকে পালান নামিয়ে তাকে আরাম না দেওয়ার আগে নামায পড়তে শুরু করতাম না।

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ : كُنَّا إِذَا نَزَلْنَا مَنْزِلاً لاَ نُسَبِّحُ حَتّٰـى نَحُلَّ الرِّحَالَ رواه أَبُو داود بإسناد عَلَى شرط مسلم

وعن انس قال : كنا اذا نزلنا منزلا لا نسبح حتـى نحل الرحال رواه ابو داود باسناد على شرط مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে