পরিচ্ছেদঃ তিন আঙ্গুল দ্বারা খাবার খাওয়া মুস্তাহাব
(৩১০৯) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন আহার করে, সে যেন তার আঙ্গুলগুলি না মুছে; যতক্ষণ না সে তা নিজে চেটে খায় কিংবা অন্য (শিশু প্রভৃতি) কে দিয়ে চাঁটিয়ে নেয়।
عَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا أكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَاماً فَلاَ يَمْسَحْ أَصَابِعَهُ حَتّٰـى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَها متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ তিন আঙ্গুল দ্বারা খাবার খাওয়া মুস্তাহাব
(৩১১০) কা’ব ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তিন আঙ্গুল দ্বারা (রুটি, খেজুর ইত্যাদি) খেতে দেখেছি। অতঃপর যখন তিনি খাবার শেষ করলেন, তখন সেগুলিকে চাটলেন।’
وَعَن كَعبِ بنِ مَالِكٍ قَالَ : رَأَيتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَأكُلُ بثَلاَثِ أَصَابِعَ فَإِذَا فَرَغَ لَعِقَهَا رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ তিন আঙ্গুল দ্বারা খাবার খাওয়া মুস্তাহাব
(৩১১১) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আঙ্গুল ও প্লেটকে চেঁটে খেতে আদেশ করেছেন এবং বলেছেন, ’’তোমরা জান না যে, কোন খাবারে বরকত আছে।’’ (আহমাদ ১৩৮০৯, মুসলিম ৫৪২০, ইবনে মাজাহ ৩২৭০)
এক বর্ণনায় আছে যে, ’’শেষের খাবারে বরকত নিহিত আছে।’’ (আবূ আওয়ানাহ, নাসাঈ, ইবনে হিব্বান ১৩৪৩, ইরওয়াউল গালীল ৭/৩২)
وَعَن جَابِرٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ أَمَرَ بِلَعْقِ الأَصَابِعِ وَالصَّحفَةِ وَقَالَ إنَّكُمْ لاَ تَدْرُونَ فِي أيِّ طَعَامِكُمُ البَرَكَةُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ তিন আঙ্গুল দ্বারা খাবার খাওয়া মুস্তাহাব
(৩১১২) উক্ত রাবী হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কারো খাদ্য গ্রাস (বা দানা পাত্রের বাইরে) পড়ে যাবে, তখন সে যেন তা থেকে নোংরা দূর করে খেয়ে নেয় এবং শয়তানের জন্য তা ছেড়ে না দেয়। আর রুমালে হাত মুছে ফেলার পূর্বে যেন আঙ্গুলগুলি চেটে নেয়। কেননা, সে জানে না যে, তার কোন্ খাদ্যাংশে বরকত নিহিত আছে।
وَعَنهُ : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا وَقَعَتْ لُقْمَةُ أحَدِكُمْ فَلْيأخُذْهَا فَلْيُمِطْ مَا كَانَ بِهَا مِنْ أَذىً وَلْيَأْكُلْهَا وَلاَ يَدَعْهَا لِلشَّيْطَان وَلاَ يَمْسَحْ يَدَهُ بِالمِنْدِيل حَتّٰـى يَلْعَقَ أصَابِعَهُ فَإنَّهُ لاَ يَدْري فِي أيِّ طَعَامِهِ البَرَكَةُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ তিন আঙ্গুল দ্বারা খাবার খাওয়া মুস্তাহাব
(৩১১৩) উক্ত রাবী থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’শয়তান তোমাদের সমস্ত কাজ কর্মে তোমাদের নিকট উপস্থিত হয়; এমনকি তোমাদের খাবারের সময়েও উপস্থিত হয়। সুতরাং যখন কারো খাবার লুকমা (থালার বাইরে) পড়ে যায়, তখন সে যেন তা তুলে তা থেকে নোংরা পরিষ্কার ক’রে খেয়ে নেয় এবং শয়তানের জন্য তা ফেলে না রাখে। আর আহারান্তে আঙ্গুলগুলি চেটে নেয়। কারণ, তার জানা নেই যে, তার কোন্ খাবারে বরকত নিহিত আছে।
وَعَنهُ : أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إنَّ الشَّيْطَانَ يَحْضُرُ أحَدَكُمْ عِنْدَ كُلِّ شَيْءٍ مِنْ شَأنِهِ حَتّٰـى يَحْضُرَهُ عِنْدَ طَعَامِهِ فإذَا سَقَطَتْ لُقْمَةُ أحَدِكُمْ فَلْيَأخُذْهَا فَليُمِطْ مَا كَانَ بِهَا مِنْ أذىً ثُمَّ لِيَأْكُلْهَا وَلاَ يَدَعْهَا للشَّيْطَانِ فإذَا فَرَغَ فَلْيَلْعَقْ أصَابِعَهُ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي فِي أيِّ طَعَامِهِ البَرَكَةُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ তিন আঙ্গুল দ্বারা খাবার খাওয়া মুস্তাহাব
(৩১১৪) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আহার করতেন তখন নিজ তিনটি আঙ্গুল চেটে খেতেন এবং বলতেন, কারো খাবারের লুকমা নিচে পড়ে গেলে, সে যেন তা তুলে পরিস্কার করে খেয়ে ফেলে এবং শয়তানের জন্য ফেলে না রাখে। আর তিনি আমাদেরকে খাদ্যপাত্র (বা বাসন) চেটে খেতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, তোমরা জান না যে, তোমাদের কোন্ খাবারে বরকত নিহিত আছে।
وَعَن أَنَسٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ كَانَ إِذَا أكَلَ طَعَاماً لَعِقَ أصَابِعَهُ الثَّلاَثَ قَالَ : وَقَالَ إِذَا سَقَطَتْ لُقْمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيُمِط عَنهَا الأَذَى وليَأكُلْهَا وَلاَ يَدَعْهَا لِلشَّيْطان وأَمَرَ أن تُسلَتَ القَصْعَةُ، قَالَ فإنَّكُمْ لاَ تَدْرُونَ في أيِّ طَعَامِكُمُ البَرَكَة رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ তিন আঙ্গুল দ্বারা খাবার খাওয়া মুস্তাহাব
(৩১১৫) সাঈদ বিন হারেস কর্তৃক বর্ণিত, তিনি জাবের (রাঃ) কে আগুনে স্পর্শ করা বস্তু খাওয়ার পর ওযূ করা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, ’না। (ওযূ করতে হবে না।) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে তো আমরা এরূপ খাদ্য খুব কমই পেতাম। আর যখন আমরা তা পেতাম, তখন আমাদের তো হাতের চেটো, হাতের নলা ও পা ছাড়া কোন রুমাল ছিল না। (আমরা এগুলিতে মুছে ফেলতাম।) তারপর (নতুন) ওযূ না করেই আমরা নামায আদায় করতাম।’
وَعَن سَعِيدِ بنِ الحَارِثِ : أَنَّهُ سَأَلَ جَابِراً عَنِ الوُضُوءِ مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ فَقَالَ : لاَ قَدْ كُنَّا زَمَنَ النَّبِيِّ ﷺ لاَ نَجِدُ مِثْلَ ذٰلِكَ الطَّعامِ إِلاَّ قَلِيلاً فَإِذَا نَحْنُ وَجَدْنَاهُ لَمْ يَكُنْ لَنَا مَنَادِيلُ إِلاَّ أَكُفَّنَا، وَسَواعِدَنَا وَأقْدَامَنَا ثُمَّ نُصَلِّي وَلاَ نَتَوَضَّأُ رواه البخاري