পরিচ্ছেদঃ আদম (আঃ) এর সৃষ্টিকথা
(২৭০৩) আবূ হুরাইরা কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ আদমকে তার আকারে সৃষ্টি করেছেন, যার দৈর্ঘ্য হল ষাট হাত। সুতরাং যখন তাঁকে সৃষ্টি করলেন, তখন বললেন, ’তুমি যাও এবং ঐ যে ফিরিশতামণ্ডলীর একটি দল বসে আছে, তাদের উপর সালাম পেশ কর। আর ওরা তোমার সালামের কি জবাব দিচ্ছে তা মন দিয়ে শুনো। কেননা, ওটাই হবে তোমার ও তোমার সন্তান-সন্ততির সালাম বিনিময়ের রীতি।’ সুতরাং তিনি (তাঁদের কাছে গিয়ে) বললেন, ’আসসালামু আলায়কুম’। তাঁরা উত্তরে বললেন, ’আসসালামু আলাইকা অরহমাতুল্লাহ’। অতএব তাঁরা ’অরহমাতুল্লাহ’ শব্দটা বেশী বললেন। যারা বেহেশতে প্রবেশ করবে, তাদের প্রত্যেকে হবে তাঁর আকারের (ষাট হাত)। তখন থেকে এ যাবৎ সৃষ্টি (মানুষের দৈর্ঘ্য) কম হয়ে আসছে।
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ خَلَقَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ آدَمَ عَلٰى صُورَتِهِ طُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا فَلَمَّا خَلَقَهُ قَالَ اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلٰى أُولَئِكَ النَّفَرِ وَهُمْ نَفَرٌ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ جُلُوسٌ فَاسْتَمِعْ مَا يُجِيبُونَكَ فَإِنَّهَا تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ قَالَ فَذَهَبَ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ فَقَالُوا السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللهِ - قَالَ - فَزَادُوهُ وَرَحْمَةُ اللهِ قَالَ فَكُلُّ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلٰى صُورَةِ آدَمَ وَطُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا فَلَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ بَعْدَهُ حَتّٰـى الآنَ
পরিচ্ছেদঃ আদম (আঃ) এর সৃষ্টিকথা
(২৭০৪) আবূ মূসা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেছেন এক মুষ্টি মাটি থেকে, যা তিনি সারা পৃথিবী থেকে গ্রহণ করেছেন। তাই আদম সন্তান মাটি অনুসারে বিকাশ লাভ করেছে। তাদের কেউ রক্তিমবর্ণ, কেউ গৌরবর্ণ, কেউ কৃষ্ণবর্ণ, আবার কেউ এ সবের মাঝামাঝি। কেউ সহজ-সরল, কেউ দুর্দম-কঠিন, কেউ নোংরা চরিত্রের, কেউ সুন্দর চরিত্রের এবং কেউ এ সবের মাঝামাঝি।
عَنْ أَبِـيْ مُوسَى عَنْ النَّبِيِّ ﷺقَالَ: إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ خَلَقَ آدَمَ مِنْ قَبْضَةٍ قَبَضَهَا مِنْ جَمِيعِ الْأَرْضِ فَجَاءَ بَنُو آدَمَ عَلٰى قَدْرِ الْأَرْضِ جَاءَ مِنْهُمْ الْأَبْيَضُ وَالْأَحْمَرُ وَالْأَسْوَدُ وَبَيْنَ ذٰلِكَ وَالْخَبِيثُ وَالطَّيِّبُ وَالسَّهْلُ وَالْحَزْنُ وَبَيْنَ ذٰلِكَ
পরিচ্ছেদঃ আদম (আঃ) এর সৃষ্টিকথা
(২৭০৫) আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ যখন জান্নাতে আদমের মূর্তি তৈরি করলেন, তখন তাঁর ইচ্ছামতো কিছুদিন তাকে বর্জন করলেন। ইবলীস তার চারিপার্শ্ব ঘুরতে লাগল এবং দেখতে লাগল সেটা কী। অতঃপর সে যখন দেখল, তা ফাঁপা, তখন সে জানতে পারল, সে হবে এমন সৃষ্টি, যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ لَمَّا صَوَّرَ اللهُ آدَمَ فِى الْجَنَّةِ تَرَكَهُ مَا شَاءَ اللهُ أَنْ يَتْرُكَهُ فَجَعَلَ إِبْلِيسُ يُطِيفُ بِهِ يَنْظُرُ مَا هُوَ فَلَمَّا رَآهُ أَجْوَفَ عَرَفَ أَنَّهُ خُلِقَ خَلْقًا لاَ يَتَمَالَكُ
পরিচ্ছেদঃ আদম (আঃ) এর সৃষ্টিকথা
(২৭০৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা) আমার হাত ধরে বললেন, আল্লাহ তাআলা শনিবার যমীন সৃষ্টি করেছেন, রবিবার তার মধ্যে পর্বতমালা সৃষ্টি করেছেন। সোমবার সৃষ্টি করেছেন গাছ-পালা। মঙ্গলবার মন্দ বস্তু সৃষ্টি করেছেন। বুধবার আলো সৃষ্টি করেছেন। তাতে (যমীনে) জীবজন্তুছড়িয়েছেন বৃহস্পতিবার। আর সমস্ত জিনিস সৃষ্টি করার পর পরিশেষে জুমআর দিন আসরের পর দিনের শেষভাগে আসর ও রাতের মাঝামাঝি সময়ে (আদি পিতা) আদম (আঃ)কে সৃষ্টি করেছেন।
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : أَخَذَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بِيَدِي فَقَالَ خَلَقَ اللهُ التُّرْبَةَ يَومَ السَّبْتِ وَخَلَقَ فِيهَا الجِبَالَ يَومَ الأَحَدِ وَخَلَقَ الشَّجَرَ يَومَ الاِثْنَينِ وَخَلَقَ المَكْرُوهَ يَومَ الثُّلاَثَاءِ وَخَلَقَ النُّورَ يَوْمَ الأَربِعَاءِ وَبَثَّ فِيهَا الدَّوابَّ يَومَ الخَمِيسِ وَخَلَقَ آدَمَ ﷺ بَعْدَ العَصْرِ مِنْ يَومِ الجُمُعَةِ في آخِرِ الخَلْقِ فِي آخِرِ سَاعَةٍ مِنَ النَّهَارِ فِيمَا بَيْنَ العَصْرِ إِلٰـى اللَّيْلِ رواه مسلم