পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
আল্লাহ তাআলা বলেন,
إنَّ اللهَ يَأمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأمَانَاتِ إِلٰـى أَهْلِهَا
অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। (সূরা নিসা ৫৮)
তিনি আরো বলেছেন,
فَإِنْ أَمِنَ بَعْضُكُمْ بَعْضًا فَلْيُؤَدِّ الَّذِيْ اؤْتُمِنَ أَمَانَتَهُ
অর্থাৎ, যদি তোমরা পরস্পর পরস্পরকে বিশ্বাস কর, তাহলে যাকে বিশ্বাস করা হয় (যার কাছে আমানত রাখা হয়) সে যেন (বিশ্বাস বজায় রেখে) আমানত প্রত্যর্পণ করে এবং তার প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করে। (সূরা বাক্বারাহ ২৮৩)
(২৪২৮) আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের শেষ বৈঠকে সালাম ফিরার পূর্বে বিভিন্ন প্রার্থনা করার সময় ঋণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনাও করতেন। এক ব্যক্তি তাঁকে প্রশ্ন করল, ’হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো ঋণ থেকে খুব বেশী আশ্রয় প্রার্থনা করে থাকেন। (তার কারণ কী?) প্রত্যুত্তরে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কারণ, মানুষ যখন ঋণগ্রস্ত হয়, তখন কথা বললে মিথ্যা বলে এবং অঙ্গীকার করলে তা ভঙ্গ করে (ওয়াদাখেলাফী করে)।
عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ كَانَ يَدْعُو فِي الصَّلَاةِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَفِتْنَةِ الْمَمَاتِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ، فَقَالَ لَهُ قَائِلٌ: مَا أَكْثَرَ مَا تَسْتَعِيذُ مِنْ الْمَغْرَمِ، فَقَالَ إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا غَرِمَ حَدَّثَ فَكَذَبَ وَوَعَدَ فَأَخْلَفَ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪২৯) সুহাইব আল-খায়র (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঋণ করার পর তার মনে পাকা এই সংকল্প রাখে যে, সে তা পরিশোধ করবে না, সে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে ’চোর’ হয়ে সাক্ষাৎ করবে।
عن صُهَيْبٍ الْخَيْرِ عَنْ رَسُولِ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَيُّمَا رَجُلٍ يَدَيَّنُ دَيْنًا وَهُوَ مُجْمِعٌ أَنْ لاَ يُوَفِّيَهُ إِيَّاهُ لَقِىَ الله سَارِقًا
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৩০) মুহাম্মাদ বিন জাহশ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সুবহানাল্লাহ! ঋণের ব্যাপারে কী কঠিনতাই না অবতীর্ণ হয়েছে! সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদে মৃত্যুবরণ করে, অতঃপর জীবিত হয়ে পুনরায় জিহাদে মৃত্যুবরণ করে, অতঃপর আবার জীবিত হয়ে আবারও শহীদ হয়, আর সে ঋণগ্রস্ত হয় -তাহলে ঐ ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সে জান্নাতে প্রবেশাধিকার লাভ করতে সক্ষম হবে না।
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَحَشٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ سُبْحَانَ اللهِ مَاذَا أَنْزَلَ مِنَ التَّشْدِيْدِ فِى الدَّيْنِ، وَالَّذِى نَفْسِى بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ رَجُلاً قُتِلَ فِى سَبِيلِ اللهِ ثُمَّ أُحْيِىَ ثُمَّ قُتِلَ مَرَّتَيْنِ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ مَا دَخَلَ الْجَنَّةَ حَتّٰـى يُقْضَى عَنْهُ دَيْنُهُ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৩১) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঋণ পরিশোধ না করার পাপ ছাড়া শহীদের সমস্ত পাপকে মাফ করে দেওয়া হবে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ يُغْفَرُ لِلشَّهِيْدِ كُلُّ ذَنْبٍ إِلاَّ الدَّيْنَ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৩২) আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদের মাঝে দণ্ডায়মান হয়ে উল্লেখ করলেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও আল্লাহর প্রতি ঈমান সর্বশ্রেষ্ঠ আমল। এ কথা শুনে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কী মনে করেন, যদি আমি আল্লাহর রাস্তায় খুন হয়ে যাই, তাহলে কি আমার পাপসমূহকে মাফ করা হবে?’ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। যদি তুমি ধৈর্যের সাথে সওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হয়ে এবং পশ্চাদপদ না হয়ে আল্লাহর রাস্তায় খুন হয়ে যাও তাহলে।
অতঃপর (সে যখন কিছু দূর চলে গেল, তখন তাকে ডেকে) বললেন, তুমি কী যেন বললে? সে বলল, আপনি কী মনে করেন, যদি আমি আল্লাহর রাস্তায় খুন হয়ে যাই, তাহলে কি আমার পাপসমূহকে মাফ করা হবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। যদি তুমি ধৈর্যের সাথে সওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হয়ে এবং পশ্চাদপদ না হয়ে আল্লাহর রাস্তায় খুন হয়ে যাও তাহলে। তবে ঋণ পরিশোধ না করার পাপ মাফ করবেন না। কারণ, জিবরীল আমাকে এ কথাই বললেন।
عَنْ أَبِى قَتَادَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ ﷺ أَنَّهُ قَامَ فِيهِمْ فَذَكَرَ لَهُمْ أَنَّ الْجِهَادَ فِى سَبِيلِ اللهِ وَالإِيمَانَ بِاللهِ أَفْضَلُ الأَعْمَالِ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَرَأَيْتَ إِنْ قُتِلْتُ فِى سَبِيلِ اللهِ تُكَفَّرُ عَنِّى خَطَايَاىَ؟ فَقَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ نَعَمْ إِنْ قُتِلْتَ فِى سَبِيلِ اللهِ وَأَنْتَ صَابِرٌ مُحْتَسِبٌ مُقْبِلٌ غَيْرُ مُدْبِرٍ ثُمَّ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ كَيْفَ قُلْتَ قَالَ أَرَأَيْتَ إِنْ قُتِلْتُ فِى سَبِيلِ اللهِ أَتُكَفَّرُ عَنِّى خَطَايَاىَ؟ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ نَعَمْ وَأَنْتَ صَابِرٌ مُحْتَسِبٌ مُقْبِلٌ غَيْرُ مُدْبِرٍ إِلاَّ الدَّيْنَ فَإِنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ لِى ذَلِكَ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৩৩) সাওবান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ৩ টি জিনিস থেকে পবিত্র থেকে মৃত্যুবরণ করবে, সে ব্যক্তি বেহেশত্ প্রবেশ করবে। আর তা হল, অহংকার, গনীমতের মালে খেয়ানত ও ঋণ।
عَنْ ثَوْبَانَ عَنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ مَنْ فَارَقَ الرُّوحُ الْجَسَدَ وَهُوَ بَرِيءٌ مِنْ ثَلاَثٍ دَخَلَ الْجَنَّةَ : الْكِبْرِ وَالْغُلُولِ وَالدَّيْنِ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৩৪) সালামাহ বিন আক্ওয়া’ (রাঃ) বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসে ছিলাম। ইতি মধ্যে একটি জানাযা উপস্থিত হলে লোকেরা তাঁকে তার জানাযা পড়তে বললেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তার কি ঋণ পরিশোধ বাকী আছে? সকলে বলল, ’না।’ তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, সেকি কোন সম্পদ ছেড়ে যাচ্ছে? সকলে বলল, ’না।’ অতঃপর তিনি তার জানাযা পড়লেন।
এরপর আর একটি জানাযা উপস্থিত হলে সকলে তাঁকে তার জানাযা পড়তে অনুরোধ করল। তিনি তার সম্পর্কেও প্রশ্ন করলেন, ওর কি কোন ঋণ পরিশোধ বাকী আছে? বলা হল, ’হ্যাঁ।’ বললেন, ওকি কোন সম্পদ ছেড়ে যাচ্ছে? সকলে বলল, ’তিন দীনার।’ তা শুনে তিনি তার জানাযা পড়লেন। অতঃপর তৃতীয় জানাযা উপস্থিত হলে এবং লোকেরা শেষ নামায পড়তে আবেদন জানালে তার সম্বন্ধেও তিনি একই প্রশ্ন করলেন, ওর কি কোন ঋণ পরিশোধ বাকী আছে? বলল, তিন দীনার। বললেন, ওকি কোন সম্পদ ছেড়ে যাচ্ছে? সকলে বলল, ’না।’ একথা শুনে বললেন, তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জানাযা পড়ে নাও। তখন আবু কাতাদাহ বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! ওর জানাযা আপনি পড়ুন। আমি ওর ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব নিচ্ছি।’
عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ النَّبِيِّ ﷺ إِذْ أُتِيَ بِجَنَازَةٍ فَقَالُوا صَلِّ عَلَيْهَا فَقَالَ هَلْ عَلَيْهِ دَيْنٌ قَالُوا لَا قَالَ فَهَلْ تَرَكَ شَيْئًا قَالُوا لَا فَصَلَّى عَلَيْهِ ثُمَّ أُتِيَ بِجَنَازَةٍ أُخْرَى فَقَالُوا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلِّ عَلَيْهَا قَالَ هَلْ عَلَيْهِ دَيْنٌ قِيلَ نَعَمْ قَالَ فَهَلْ تَرَكَ شَيْئًا قَالُوا ثَلَاثَةَ دَنَانِيرَ فَصَلَّى عَلَيْهَا ثُمَّ أُتِيَ بِالثَّالِثَةِ فَقَالُوا صَلِّ عَلَيْهَا قَالَ هَلْ تَرَكَ شَيْئًا قَالُوا لَا قَالَ فَهَلْ عَلَيْهِ دَيْنٌ قَالُوا ثَلَاثَةُ دَنَانِيرَ قَالَ صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ قَالَ أَبُو قَتَادَةَ صَلِّ عَلَيْهِ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَعَلَيَّ دَيْنُهُ فَصَلَّى عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৩৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জানাযা পড়ার জন্য যখন কোন ঋণগ্রস্ত মুর্দাকে হাযির করা হত, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, ঋণ পরিশোধ করার মত কোন মাল ও ছেড়ে যাচ্ছে কি? সুতরাং উত্তরে যদি তাঁকে বলা হত যে, ’হ্যাঁ, পরিশোধ করার মত মাল ছেড়ে যাচ্ছে’ তাহলে তিনি তার জানাযা পড়তেন। নচেৎ বলতেন, তোমরা তোমাদের সাথীর জানাযা পড়ে নাও।
অতঃপর আল্লাহ যখন তাঁর জন্য বিভিন্ন বিজয় দান করলেন তখন তিনি বললেন, মুমিনদের জন্য তাদের নিজেদের চাইতে আমিই অধিক হকদার (দায়িত্বশীল।) সুতরাং যে ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মারা যাবে, তার ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব আমার উপর এবং যে সম্পদ রেখে মারা যাবে, তার অধিকারী হবে তার ওয়ারেসীনরা।
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ كَانَ يُؤْتَى بِالرَّجُلِ الْمَيِّتِ عَلَيْهِ الدَّيْنُ فَيَسْأَلُ هَلْ تَرَكَ لِدَيْنِهِ مِنْ قَضَاءٍ فَإِنْ حُدِّثَ أَنَّهُ تَرَكَ وَفَاءً صَلَّى عَلَيْهِ وَإِلاَّ قَالَ صَلُّوا عَلٰى صَاحِبِكُمْ فَلَمَّا فَتَحَ اللهُ عَلَيْهِ الْفُتُوحَ قَالَ أَنَا أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ فَمَنْ تُوُفِّىَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ فَعَلَىَّ قَضَاؤُهُ وَمَنْ تَرَكَ مَالاً فَهُوَ لِوَرَثَتِهِ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৩৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, একদা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কি জান, নিঃস্ব কে? সাহাবাগণ বললেন, ’আমাদের মধ্যে নিঃস্ব সেই ব্যক্তি, যার কোন দিরহাম নেই, যার কোন আসবাব-পত্র নেই।’ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে (আসল) নিঃস্ব তো সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতে নামায, রোযা ও যাকাত নিয়ে উপস্থিত হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে সে দেখবে যে, সে একে গালি দিয়েছে, ওর নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এর মাল আত্মসাৎ করেছে, ওকে খুন করেছে, একে মেরেছে— ইত্যাদি। সুতরাং প্রতিশোধ স্বরূপ একে নিজের নেকী দান করবে, ওকেও নিজের নেকী দান করবে। পরিশেষে যখন নেকী নিঃশেষ হয়ে যাবে অথচ তার প্রতিশোধ শেষ হবে না, তখন ওদের গোনাহ নিয়ে এর ঘাড়ে চাপানো হবে এবং সবশেষে তাকে দোযখে নিক্ষেপ করা হবে!
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ قَالُوا الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لاَ دِرْهَمَ لَهُ وَلاَ مَتَاعَ فَقَالَ إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِى يَأْتِى يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِصَلاَةٍ وَصِيَامٍ وَزَكَاةٍ وَيَأْتِى قَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا وَأَكَلَ مَالَ هَذَا وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْضَى مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرِحَ فِى النَّارِ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৩৭) ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি একটি দীনার অথবা দিরহাম ঋণ রেখে মারা যাবে, সে ব্যক্তিকে (কিয়ামতে) নিজের নেকী থেকে পরিশোধ করতে হবে। কারণ, সেখানে কোন দীনার নেই, কোন দিরহামও নেই।
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ دِينَارٌ أَوْ دِرْهَمٌ قُضِىَ مِنْ حَسَنَاتِهِ لَيْسَ ثَمَّ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৩৮) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি আমার নিকট উহুদ পাহাড় সমান সোনা থাকত, তাহলে আমি এই পছন্দ করতাম যে, ঋণ পরিশোধের জন্য পরিমাণ মত বাকী রেখে অবশিষ্ট সবটাই তিন দিন অতিবাহিত না হতেই আল্লাহর পথে খরচ করে ফেলি।
عن أبي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَوْ كَانَ لِي مِثْلُ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا يَسُرُّنِي أَنْ لَا يَمُرَّ عَلَيَّ ثَلَاثٌ وَعِنْدِي مِنْهُ شَيْءٌ إِلَّا شَيْءٌ أُرْصِدُهُ لِدَيْنٍ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৩৯) আমর বিন শারীদ নিজ পিতা থেকে বর্ণনা করে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঋণ পরিশোধে সক্ষম ব্যক্তির টাল-বাহানা নিজের জন্য অপমান ও শাস্তিকে বৈধ করে নেয়।
[ঋণ করে তা পরিশোধ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কোন স্বার্থে তা পরিশোধ করতে টালবাহানা ও ছেঁচ্ড়ামি করলে ঋণদাতার পক্ষে তার এই দুর্ব্যবহারের চর্চা করা বৈধ হয়ে যায়। যেমন বিচার-বিভাগ কর্তৃক তার ঐ টালবাহানার উপর শাস্তি বা জেল দেওয়া ন্যায়সঙ্গত।]
عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالَ لَىُّ الْوَاجِدِ يُحِلُّ عِرْضَهُ وَعُقُوبَتَهُ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৪০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঋণ পরিশোধে সামর্থ্য ব্যক্তির টাল-বাহানা করা অন্যায়। আর যখন কোন ঋণী ব্যক্তি কোন সক্ষম ব্যক্তির হাওয়ালা করে দেবে, তখন ঋণদাতার উচিত, তা অনুমোদন করা।
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ مَطْلُ الْغَنِىِّ ظُلْمٌ وَإِذَا أُتْبِعَ أَحَدُكُمْ عَلٰى مَلِىءٍ فَلْيَتْبَعْ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৪১) হুযাইফা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ আযযা অজাল্লার নিকট এক বান্দাকে আনা হবে, যাকে তিনি ধন দান করেছিলেন। তিনি তাকে প্রশ্ন করবেন, ’তুমি দুনিয়াতে কী কী আমল করেছিলে?’ লোকটি বলবে, ’হে আমার প্রতিপালক! আমি এমন কিছু আমল করতে পারি নি। তবে আপনি আমাকে যে ধন দান করেছিলেন, তদ্দবারা আমি ব্যবসা-বাণিজ্য করতাম। আর তাতে আমার চরিত্র এই ছিল যে, আমি সামর্থ্যবান ব্যক্তির প্রতি সরলতা প্রদর্শন করতাম এবং অসামর্থ্যবান ব্যক্তিকে (আমার পাওনা আদায়ে) সময় দিতাম।’ তখন মহান আল্লাহ বলবেন, ’এ ব্যাপারে আমি তোমার থেকে বেশী হকদার। (হে ফিরিশতামণ্ডলী!) আমার বান্দাকে তোমরা মুক্তি দাও।
عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَتَي اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِهِ آتاهُ اللهُ مَالاً فَقَالَ لَهُ مَاذَا عَمِلْتَ في الدُّنْيا فقال مَا عَمِلْتُ مِنْ شَيْءٍ يا رَبِّ إلاَّ أنَّكَ آتَيْتَنِي مالاً فَكُنْتُ أبايِعُ النَّاسَ وَكَانَ مِنْ خُلُقِي أنْ أُيَسِّرَ على المُوسِرِ وأُنْظِرَ المُعْسِرَ قالَ الله تعالى أنا أحَقُّ بِذَلِكَ مِنْكَ تجاوَزُوا عنْ عَبْدِي
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৪২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক ব্যক্তি কোন দিন কোন নেক আমল করেনি। তবে সে লোককে ঋণ দান করত এবং নিজের তহসীলদার দূতকে বলত, ’সামর্থ্যবান ব্যক্তির নিকট থেকে আদায় কর, অসামর্থ্যবান ব্যক্তিকে অবকাশ দাও এবং মাফ করে দাও। সম্ভবতঃ আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করে দেবেন।’ অতঃপর লোকটি যখন মারা গেল, তখন আল্লাহ তাকে বললেন, ’তুমি কি কোন দিন কোন ভাল কাজ করেছ?’ লোকটি বলল, ’না। তবে আমার একজন (তহসীলদার) কিশোর ছিল। আমি মানুষকে ঋণ দান করতাম। আর আমি যখন তাকে সেই ঋণ আদায় করতে পাঠাতাম, তখন বলতাম, ’সামর্থ্যবান ব্যক্তির নিকট থেকে আদায় কর, অসামর্থ্যবান ব্যক্তিকে অবকাশ দাও এবং মাফ করে দাও। সম্ভবতঃ আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করে দেবেন।’ আল্লাহ বললেন, ’আমিও তোমাকে মাফ করে দিলাম।
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: (إِنّ رَجُلاً لَمْ يَعْمَلْ خَيْراً قَطُّ، وَكَانَ يُدَايِنُ النّاسَ، فَيَقُوْلُ لرَسُولِهِ: خُذْ مَا تَيَسّرَ، واتْرُكْ مَا عَسُرَ، وَتَجَاوَزْ، لَعَلّ اللهَ تَعَالى أَنْ يَتَجَاوَزَ عَنّا، فَلَمّا هَلَكَ قَالَ اللهُ عَزّ وَجَلّ لَهُ: هَلْ عَمِلْتَ خَيْراً قَطُّ؟ قَالَ: لا، إِلاّ أَنّهُ كَانَ لِي غُلامٌ وَكُنْتُ أُدَايِنُ النّاسَ، فإذَا بَعَثْتُهُ ليِتَقَاضَى، قُلْتُ لَهُ: خُذْ مَا تَيَسّرَ، وَاتْرُكْ مَا عَسُرَ، وَتَجَاوَزْ لَعَلّ اللهَ يَتَجَاوَزُ عَنّا، قَالَ اللهُ تَعَالَى: قَدْ تَجَاوَزْتُ عَنْكَ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৪৩) হুযাইফা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির একটি লোকের জান কবয করতে মালাকুল মাওত উপস্থিত হয়ে তাকে বললেন, ’তুমি কি কোন নেক আমল করেছ?’ সে বলল, ’আমি (কোন ভাল কাজ করেছি বলে) জানি না।’ ফিরিশতা বললেন, ’ভেবে দেখ।’ লোকটি বলল, ’আমি এমন কিছু জানি না। তবে আমি লোকের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের কাজ করতাম। আর অসামর্থ্যবান ব্যক্তিকে (পাওনা আদায়ে) সময় দিতাম এবং সামর্থ্যবান ব্যক্তিকে মাফ করে দিতাম।’ সুতরাং মহান আল্লাহ এই আমলের অসীলায় তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন।
عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ رَجُلًا مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ أَتَاهُ مَلَكٌ لِيَقْبِضَ نَفْسَهُ فَقَالَ لَهُ هَلْ عَمِلْتَ مِنْ خَيْرٍ فَقَالَ مَا أَعْلَمُ قِيلَ لَهُ انْظُرْ قَالَ مَا أَعْلَمُ شَيْئًا غَيْرَ أَنِّي كُنْتُ أُبَايِعُ النَّاسَ وَأُجَازِفُهُمْ فَأُنْظِرُ الْمُعْسِرَ وَأَتَجَاوَزُ عَنْ الْمُوسِرِ فَأَدْخَلَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ الْجَنَّةَ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৪৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঋণ-পরিশোধে অক্ষম ব্যক্তিকে সময় দেবে, অথবা তার ঋণ মকুব করে দেবে, সে ব্যক্তিকে আল্লাহ সেই দিন তাঁর আরশের ছায়া দান করবেন, যে দিন তাঁর সেই ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না।
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَنْظَرَ مُعْسِرًا أَوْ وَضَعَ لَهُ أَظَلَّهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ تَحْتَ ظِلِّ عَرْشِهِ يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلاَّ ظِلُّهُ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৪৫) আবূ কাতাদাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি খুশীর সাথে এই কামনা করে যে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দুঃখকষ্ট থেকে রেহাই দেন, সে ব্যক্তির উচিত, ঋণ পরিশোধে অক্ষম ব্যক্তির ঋণ পরিশোধ সহজ করে দেওয়া অথবা তার ঋণ মকুব করে দেওয়া।
وَعَنْ أَبِـيْ قَتَادَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يُنْجِيَهُ اللهُ مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلْيُنَفِّسْ عَنْ مُعْسِرٍ أَوْ يَضَعْ عَنْهُ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৪৬) উক্ত আবূ কাতাদাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন ঋণ-পরিশোধে অক্ষম ব্যক্তিকে অবকাশ দেবে অথবা তার ঋণ মাফ করে দেবে, সে ব্যক্তিকে আল্লাহ কিয়ামতের দুঃখকষ্ট থেকে মুক্তি দেবেন।
وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ أَنَظَرَ مُعَسَّرًا أَوْ وَضَعَ عَنْهُ أَنْجَاهُ اللهُ مِنْ كُرْبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৪৭) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলিম হতে তার পার্থিব বহু দুঃখকষ্টের মধ্যে একটিও দূর করে দেবে, আল্লাহ সেই ব্যক্তি হতে তার কিয়ামতের বহু দুঃখকষ্টের মধ্যে একটিকে দূরীভূত করবেন। যে (ঋণদাতা) ব্যক্তি কোন নিঃস্ব ঋণগ্রস্তকে অবকাশ (বা সহজ করে) দেবে, আল্লাহ তার জন্য ইহকাল ও পরকালে (সবকিছু) সহজ করে দেবেন। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন মুসলিমের দোষত্রুটি গোপন করে নেবে, আল্লাহ তার দোষত্রুটিকে দুনিয়া ও আখেরাতে গোপন করে নেবেন। আর আল্লাহ তাঁর বান্দার সহায় থাকেন যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকে।
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ نَفَّسَ عَنْ مُؤْمِنٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ يَسَّرَ عَلٰى مُعْسِرٍ يَسَّرَ اللهُ عَلَيْهِ فِى الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللهُ فِى الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، وَاللهُ فِى عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِى عَوْنِ أَخِيهِ