পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

وَللهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ البَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً وَمَنْ كَفَرَ فإنَّ اللهَ غَنِيٌّ عَنِ العَالَمِينَ

অর্থাৎ, মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ্জ্ব করা তার (পক্ষে) অবশ্য কর্তব্য। আর যে অস্বীকার করবে (সে জেনে রাখুক যে), আল্লাহ জগতের উপর নির্ভরশীল নন। (সূরা আলে ইমরান ৯৭)


(১১৩৪) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইসলামের ভিত পাঁচটি জিনিসের উপর স্থাপিত আছে। (১) এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মা’বূদ (উপাস্য) নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর প্রেরিত মহাপুরুষ, (২) নামায কায়েম করা, (৩) যাকাত প্রদান করা, (৪) বায়তুল্লাহর হজ্জ করা এবং (৫) মাহে রমযানের সিয়াম (সিয়াম) পালন করা।

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ : شَهَادَةِ أَنْ لاَ إلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ اللهِ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَحَجِّ البَيْتِ وَصَوْمِ رَمَضَانَ متفقٌ عليه

وعن ابن عمر رضي الله عنهما : ان رسول الله ﷺ قال بني الاسلام على خمس : شهادة ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله واقام الصلاة وايتاء الزكاة وحج البيت وصوم رمضان متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৩৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে ভাষণ দানকালে বললেন, হে লোক সকল! আল্লাহ তোমাদের উপর (বায়তুল্লাহর) হজ্জ ফরয করেছেন, অতএব তোমরা হজ্জ পালন কর। একটি লোক বলে উঠল, হে আল্লাহর রসূল! প্রতি বছর তা করতে হবে কি? তিনি নিরুত্তর থাকলেন এবং লোকটি শেষ পর্যন্ত তিনবার জিজ্ঞাসা করল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি আমি বলতাম, হ্যাঁ। তাহলে (প্রতি বছরে) হজ্জ ফরয হয়ে যেত। আর তোমরা তা পালন করতে অক্ষম হতে।

অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা আমাকে (আমার অবস্থায়) ছেড়ে দাও, যতক্ষণ আমি তোমাদেরকে (তোমাদের স্ব-স্ব অবস্থায়) ছেড়ে রাখব। কেননা, তোমাদের পূর্বেকার জাতিরা অতি মাত্রায় জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের পয়গম্বরদের বিরোধিতা করার দরুন ধ্বংস হয়েছে। সুতরাং আমি যখন তোমাদেরকে কোন কিছু করার আদেশ দেব, তখন তোমরা তা সাধ্যমত পালন করবে। আর যা করতে নিষেধ করব, তা থেকে বিরত থাকবে।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : خَطَبَنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ فَقَالَ أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ فَرَضَ اللهُ عَلَيْكُم الحَجَّ فَحُجُّوافَقَالَ رَجُلٌ : أَكُلَّ عَامٍ يَا رَسُولَ اللهِ ؟ فَسَكَتَ حَتَّى قَالَهَا ثَلاَثاً فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَوْ قُلْتُ نَعَمْ لَوَجَبَتْ وَلَمَا اسْتَطَعْتُمْ ثُمَّ قَالَ ذَرُوْنِي مَا تَرَكْتُكُمْ ؛ فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِكَثْرَةِ سُؤَالِهِمْ وَاخْتِلاَفِهِمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ فَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِشَيءٍ فَأتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَإِذَا نَهَيْتُكُمْ عَن شَيْءٍ فَدَعُوهُ رواه مسلم

وعن ابي هريرة قال : خطبنا رسول الله ﷺ فقال ايها الناس قد فرض الله عليكم الحج فحجوافقال رجل : اكل عام يا رسول الله ؟ فسكت حتى قالها ثلاثا فقال رسول الله ﷺ لو قلت نعم لوجبت ولما استطعتم ثم قال ذروني ما تركتكم ؛ فانما هلك من كان قبلكم بكثرة سوالهم واختلافهم على انبياىهم فاذا امرتكم بشيء فاتوا منه ما استطعتم واذا نهيتكم عن شيء فدعوه رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৩৬) উক্ত রাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হল, সর্বোত্তম কাজ কী? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তার রসূলের প্রতি ঈমান রাখা। জিজ্ঞাসা করা হল, তারপর কী? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। পুনরায় তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, অতঃপর কী? তিনি বললেন, মাবরূর (বিশুদ্ধ বা গৃহীত) হজ্জ।

وَعَنْهُ قَالَ:سُئِلَ النَّبِيُّ ﷺ أَيُّ العَمَلِ أَفْضَلُ ؟ قَالَ إِيمَانٌ بِاللهِ وَرسولِهِ قِيلَ : ثُمَّ مَاذَا ؟ قَالَ الجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ قِيلَ : ثُمَّ مَاذَا ؟ قَالَ حَجٌّ مَبرُورٌ متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه قال:سىل النبي ﷺ اي العمل افضل ؟ قال ايمان بالله ورسوله قيل : ثم ماذا ؟ قال الجهاد في سبيل الله قيل : ثم ماذا ؟ قال حج مبرور متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৩৭) উক্ত রাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি (আল্লাহর জন্য) হজ্জ পালন করল এবং (তাতে) কোন অশ্লীল কাজ করল না ও পাপাচার করল না, সে ব্যক্তি ঠিক ঐ দিনকার মত (নিষ্পাপ হয়ে) বাড়ি ফিরবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।

وَعَنْه قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ مَنْ حَجَّ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ

وعنه قال : سمعت رسول الله ﷺ يقول من حج فلم يرفث ولم يفسق رجع كيوم ولدته امه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৩৮) উক্ত রাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একটি উমরাহ পরবর্তী উমরাহ পর্যন্ত ঐ দুয়ের মধ্যবর্তী সময়ে কৃত পাপরাশির জন্য কাফফারা (মোচনকারী) হয়। আর ’মাবরূর’ (বিশুদ্ধ বা গৃহীত) হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।

وَعَنْه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ العُمْرَةُ إِلَى العُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَينَهُمَا وَالحَجُّ المَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلاَّ الجَنَّةَ متفقٌ عليه

وعنه: ان رسول الله ﷺ قال العمرة الى العمرة كفارة لما بينهما والحج المبرور ليس له جزاء الا الجنة متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৩৯) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পবিত্র কা’বার দিকে স্বগৃহ থেকে তোমার বের হওয়াতে, তোমার সওয়ারীর প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে আল্লাহ একটি করে সওয়াব লিপিবদ্ধ করবেন এবং একটি করে পাপ মোচন করবেন। আরাফায় অবস্থান কালে আল্লাহ নিচের আসমানে নেমে আসেন এবং তাদেরকে (হাজীদেরকে) নিয়ে ফিরিশতাবর্গের নিকট গর্ব করেন। বলেন, ’আমার ঐ বান্দাগণ আলুথালু কেশে ধূলামলিন বেশে দূর-দূরান্তর পথ অতিক্রম করে আমার কাছে এসে আমার রহমতের আশা করে এবং আমার আযাবকে ভয় করে, অথচ তারা আমাকে দেখেনি। তাহলে তারা আমাকে দেখলে কি করত?

সুতরাং তোমার যদি বালির পাহাড় অথবা পৃথিবীর বয়স অথবা আকাশের বৃষ্টি পরিমাণ গোনাহ থাকে, আল্লাহ তা ধৌত করে দেবেন। পাথর মারার সওয়াব তোমার জন্য জমা থাকবে। মাথা নেড়া করলে প্রত্যেক চুলের বিনিময়ে একটি করে সওয়াব লিখা হবে। অতঃপর কা’বাগৃহের তওয়াফ করলে তুমি তোমার পাপরাশি থেকে সেই দিনের মত বের হবে, যেদিন তোমার মা তোমাকে জন্ম দিয়েছিল।

عَنِ ابنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ أَمَّا خُرُوجُكَ مِنْ بَيْتِكَ تَؤُمُّ الْبَيْتَ فَإِنَّ لَكَ بِكُلِّ وَطْأَةٍ تَطَأُهَا رَاحِلَتُكَ يَكْتُبُ اللهُ لَكَ بِهَا حَسَنَةً وَيَمْحُو عَنْكَ بِهَا سَيِّئَةً وَأَمَّا وُقُوفُكَ بِعَرَفَةَ فَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَنْزِلُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيُبَاهِي بِهِمُ الْمَلائِكَةَ فَيَقُولُ:هَؤُلاءِ عِبَادِي جَاءُونِي شُعْثًا غُبْرًا مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ يَرْجُونَ رَحْمَتِي وَيَخَافُونَ عَذَابِي وَلَمْ يَرَوْنِي فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْنِي؟فَلَوْ كَانَ عَلَيْكَ مِثْلُ رَمْلِ عَالِجٍ أَوْ مِثْلُ أَيَّامِ الدُّنْيَا أَوْ مِثْلُ قَطْرِ السَّمَاءِ ذُنُوبًا غَسَلَ اللهُ عَنْكَ وَأَمَّا رَمْيُكَ الْجِمَارَ فَإِنَّهُ مَذْخُورٌ لَكَ وَأَمَّا حَلْقُكَ رَأْسَكَ فَإِنَّ لَكَ بِكُلِّ شَعْرَةٍ تَسْقُطُ حَسَنَةٌ فَإِذَا طُفْتَ بِالْبَيْتِ خَرَجْتَ مِنْ ذُنُوبِكَ كَيَوْمِ وَلَدَتْكَ أُمُّكَ

عن ابن عمر عن النبي ﷺ قال اما خروجك من بيتك توم البيت فان لك بكل وطاة تطاها راحلتك يكتب الله لك بها حسنة ويمحو عنك بها سيىة واما وقوفك بعرفة فان الله عز وجل ينزل الى السماء الدنيا فيباهي بهم الملاىكة فيقول:هولاء عبادي جاءوني شعثا غبرا من كل فج عميق يرجون رحمتي ويخافون عذابي ولم يروني فكيف لو راوني؟فلو كان عليك مثل رمل عالج او مثل ايام الدنيا او مثل قطر السماء ذنوبا غسل الله عنك واما رميك الجمار فانه مذخور لك واما حلقك راسك فان لك بكل شعرة تسقط حسنة فاذا طفت بالبيت خرجت من ذنوبك كيوم ولدتك امك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৪০) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা হজ্জকে উমরাহ ও উমরাহকে হজ্জের অনুগামী কর। (অর্থাৎ হজ্জ করলে উমরাহ ও উমরাহ করলে হজ্জ কর।) কারণ, হজ্জ ও উমরাহ উভয়েই দারিদ্র ও পাপরাশিকে সেইরূপ দূরীভূত করে যেরূপ (কামারের) হাপর লোহার ময়লাকে দূরীভূত করে ফেলে।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ

عن ابن عباس قال: قال رسول الله ﷺ تابعوا بين الحج والعمرة فانهما ينفيان الذنوب كما ينفي الكير خبث الحديد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৪১) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ আযযা অজাল্ল বলেন, যে বান্দাকে আমি দৈহিক সুস্থতা দিয়েছি এবং আর্থিক প্রাচুর্য দান করেছি, অতঃপর তার পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়ে যায় অথচ আমার দিকে (হজ্জব্রত পালন করতে) আগমন করে না, সে অবশ্যই বঞ্চিত।

عَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ يَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِنَّ عَبْدًا أَصْحَحْتُ جِسْمَهُ وَأَوْسَعْتُ عَلَيْهِ فِى الْمَعِيشَةِ تَأْتِى عَلَيْهِ خَمْسَةُ أَعْوَامٍ لَمْ يَفِدْ إِلَىَّ لَمَحْرُومٌ

عن ابى سعيد الخدرى عن النبي ﷺ قال يقول الله عز وجل ان عبدا اصححت جسمه واوسعت عليه فى المعيشة تاتى عليه خمسة اعوام لم يفد الى لمحروم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৪২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হজ্জ ও উমরাহকারিগণ আল্লাহর বিশেষ প্রতিনিধিদল (অতিথি)। তারা আল্লাহকে আহবান করলে তিনি সাড়া দিয়ে থাকেন। আর তারা তাঁর নিকট ক্ষমা চাইলে তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে থাকেন।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَن رَسُولِ اللهِ ﷺ أَنَّهُ قَالَ الْحُجَّاجُ وَالْعُمَّارُ وَفْدُ اللهِ إِنْ دَعَوْهُ أَجَابَهُمْ وَإِنْ اسْتَغْفَرُوهُ غَفَرَ لَهُمْ

عن ابي هريرة عن رسول الله ﷺ انه قال الحجاج والعمار وفد الله ان دعوه اجابهم وان استغفروه غفر لهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৪৩) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর পথে মুজাহিদ, হজ্জ ও উমরাহকারিগণ আল্লাহর বিশেষ প্রতিনিধিদল (অতিথি)। আল্লাহ তাদেরকে (জিহাদ ও কা’বা শরীফ যিয়ারতের জন্য) আহবান করলে তারা সারা দিয়ে (উপস্থিত হয়ে) থাকে। আর তারা তাঁর নিকট চাইলে তিনি তাদেরকে দান করে থাকেন।

عَنِ ابنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ الْغَازِي فِي سَبِيلِ اللهِ وَالْحَاجُّ وَالْمُعْتَمِرُ وَفْدُ اللهِ دَعَاهُمْ فَأَجَابُوهُ وَسَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ

عن ابن عمر عن النبي ﷺ قال الغازي في سبيل الله والحاج والمعتمر وفد الله دعاهم فاجابوه وسالوه فاعطاهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৪৪) জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হজ্জ ও উমরাহকারিগণ আল্লাহর বিশেষ প্রতিনিধিদল (অতিথি)। আল্লাহ তাদেরকে (কা’বা শরীফ যিয়ারতের জন্য) আহবান করলে তারা সারা দিয়ে (উপস্থিত হয়ে) থাকে। আর তারা তাঁর নিকট চাইলে তিনি তাদেরকে দান করে থাকেন।

وَعَن جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْحُجَّاجُ وَالْعُمَّارُ وَفْدُ اللهِ دَعَاهُمْ فَأَجَابُوهُ وَسَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ

وعن جابر رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الحجاج والعمار وفد الله دعاهم فاجابوه وسالوه فاعطاهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৪৫) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করাকে সর্বোত্তম কাজ মনে করি, তাহলে কি আমরা জিহাদ করব না? তিনি বললেন, কিন্তু (মহিলাদের জন্য) সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে ’মাবরূর’ (বিশুদ্ধ বা গৃহীত) হজ্জ।

وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهُا قَالَتْ : قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ نَرَى الجِهَادَ أَفْضَلَ العَمَلِ أَفَلاَ نُجَاهِدُ؟ فَقَالَ لَكُنَّ أَفْضَلُ الجِهَادِ : حَجٌّ مَبْرُورٌ رواه البخاري

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت : قلت : يا رسول الله نرى الجهاد افضل العمل افلا نجاهد؟ فقال لكن افضل الجهاد : حج مبرور رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৪৬) উক্ত রাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আরাফার দিন অপেক্ষা এমন কোন দিন নেই, যেদিন আল্লাহ সর্বাধিক বেশী সংখ্যায় বান্দাকে দোযখমুক্ত করেন।

وَعَنْها : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَن يُعْتِقَ اللهُ فِيهِ عَبْداً مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ

وعنها : ان رسول الله ﷺ قال ما من يوم اكثر من ان يعتق الله فيه عبدا من النار من يوم عرفة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৪৭) ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একজন মহিলা বলল, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর স্বীয় বান্দাদের উপর হজ্জের ফরয আমার বৃদ্ধ পিতার উপর এমতাবস্থায় এসে পৌঁছেছে যে, তিনি বাহনের উপর চড়ে বসে থাকতে অক্ষম। আমি কি তার পক্ষ হতে হজ্জ পালন করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ।

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ : أَنَّ امرَأَةً قَالَت : يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ فَرِيضَةَ اللهِ عَلَى عِبَادِهِ فِي الحَجِّ أَدْرَكَتْ أَبي شَيْخاً كَبِيراً لاَ يَثْبُتُ عَلَى الرَّاحِلَةِ أَفَأحُجُّ عَنْهُ ؟ قَالَ نَعَمْ متفقٌ عليه

وعن ابن عباس : ان امراة قالت : يا رسول الله ان فريضة الله على عباده في الحج ادركت ابي شيخا كبيرا لا يثبت على الراحلة افاحج عنه ؟ قال نعم متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৪৮) লাক্বীত ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, আমার পিতা এত বেশী বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন যে, তিনি না হজ্জ করতে সক্ষম, না উমরা করতে সক্ষম, আর না সফর করতে পারবেন। তিনি বললেন, তুমি তোমার পিতার পক্ষ হতে হজ্জ ও উমরা সম্পাদন কর।

وَعَنْ لَقِيطِ بنِ عَامِرٍ أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ ﷺ فَقَالَ : إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لاَ يَسْتَطِيعُ الحَجَّ وَلاَ العُمْرَةَ وَلاَ الظَّعَنَ ؟ قَالَ حُجَّ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ رواه أَبُو داود والترمذي وقال حَدِيْثٌ حَسَنٌ صَحِيْحٌ

وعن لقيط بن عامر انه اتى النبي ﷺ فقال : ان ابي شيخ كبير لا يستطيع الحج ولا العمرة ولا الظعن ؟ قال حج عن ابيك واعتمر رواه ابو داود والترمذي وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৪৯) ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা (ফরয) হজ্জ পালনে ত্বরা কর। যেহেতু তোমাদের কেউ জানে না যে, তার সম্মুখে কোন্ অসুবিধা এসে উপস্থিত হবে।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ تَعَجَّلُوا إِلَى الْحَجِّ يَعْنِي الْفَرِيضَةَ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَا يَدْرِي مَا يَعْرِضُ لَهُ

عن ابن عباس قال قال رسول الله ﷺ تعجلوا الى الحج يعني الفريضة فان احدكم لا يدري ما يعرض له

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৫০) সায়েব ইবনে য়্যাযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হজ্জে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আমাকে নিয়ে হজ্জ করা হয়েছে। আমি তখন সাত বছরের শিশু।

وَعَنِ السَّائِبِ بنِ يَزِيْدَ قَالَ : حُجَّ بِي مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ وَأنَا ابنُ سَبعِ سِنينَ رواه البخاري

وعن الساىب بن يزيد قال : حج بي مع رسول الله ﷺ في حجة الوداع وانا ابن سبع سنين رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৫১) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’রাওহা’ নামক স্থানে একটি যাত্রীদলের সাথে সাক্ষাৎকালে বললেন, তোমরা কোন্ জাতি? তারা বলল, আমরা মুসলিম। তারা বলল, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর রসূল। এই সময়ে একজন মহিলা একটি শিশুকে তুলে ধরে বলল, এর কি হজ্জ হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আর (ওকে হজ্জ করানো বাবত) তোমারও সওয়াব হবে।

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ النَّبيَّ ﷺ لَقِيَ رَكْباً بِالرَّوْحَاءِ فَقَالَ مَنِ القَوْمُ ؟ قَالُوا: المُسلِمُونَ قَالُوا : مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ رَسُولُ اللهِ فَرَفَعَتِ امْرَأةٌ صَبيّاً فَقَالَتْ : أَلِهَذَا حَجٌّ ؟ قَالَ نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ رواه مسلم

وعن ابن عباس رضي الله عنهما : ان النبي ﷺ لقي ركبا بالروحاء فقال من القوم ؟ قالوا: المسلمون قالوا : من انت؟ قال رسول الله فرفعت امراة صبيا فقالت : الهذا حج ؟ قال نعم ولك اجر رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৫২) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহনে চড়ে হজ্জ সমাধা করেন। আর ঐ বাহনটিই ছিল প্রয়োজনীয় যাবতীয় সাজ-সরঞ্জামের বাহক। (অর্থাৎ, তিনি যে উঁটের বাহনে চড়ে হজ্জ করেছেন সেই বাহনেই তাঁর খাদ্য-পানীয় তথা অন্যান্য আনুষঙ্গিক আসবাবপত্রও চাপানো ছিল।)

عَن أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ حَجَّ عَلَى رَحْلٍ وَكَانَتْ زَامِلَتَهُ رواه البخاري

عن انس ان رسول الله ﷺ حج على رحل وكانت زاملته رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৫৩) ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, উকায, মাজিন্নাহ ও যুল-মাজায নামক স্থানগুলিতে (ইসলাম আসার পূর্বে) জাহেলী যুগের বাজার ছিল। তাই সাহাবায়ে কেরাম হজ্জের মৌসমে ব্যবসা-বাণিজ্যমূলক কাজ-কর্মকে পাপ মনে করলেন। তার জন্য এই আয়াত অবতীর্ণ হল, যার অর্থ, (হজ্জের সময়) তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ কামনায় (ব্যবসা-বাণিজ্যে) কোন দোষ নেই। (সূরা বাক্বারাহ-১৯৮)।

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : كَانَتْ عُكَاظُ وَمَجِنَّةُ وَذُو المَجَازِ أَسْوَاقاً فِي الجَاهِلِيَّةِ فَتَأَثَّمُوا أَنْ يَتَّجِرُوا في المَوَاسِمِ فَنَزَلَتْ لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَبْتَغُوا فَضْلاً مِنْ رَبِّكُمْ

وعن ابن عباس رضي الله عنهما قال : كانت عكاظ ومجنة وذو المجاز اسواقا في الجاهلية فتاثموا ان يتجروا في المواسم فنزلت ليس عليكم جناح ان تبتغوا فضلا من ربكم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে