পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন

(১৩৪) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার পূর্বেও যে সকল আম্বিয়া ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের উপর এই দায়িত্ব ছিল যে, তাঁরা যা উম্মতের জন্য উত্তম বলে জানবেন, তা তাদেরকে অবহিত করবেন এবং যা তাদের জন্য মন্দ বলে জানবেন, তা হতে তাদেরকে সতর্ক করবেন।[১]

অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন, প্রত্যেক নবীর জন্য জরুরী যে, তিনি তাঁর উম্মতকে সেই কাজ বাতলে দেবেন, যা তিনি তাদের জন্য সবচেয়ে ভাল বলে জানবেন।[২]

عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِىٌّ قَبْلِى إِلاَّ كَانَ حَقًّا عَلَيْهِ أَنْ يَدُلَّ أُمَّتَهُ عَلَى خَيْرِ مَا يَعْلَمُهُ لَهُمْ وَيُنْذِرَهُمْ شَرَّ مَا يَعْلَمُهُ لَهُمْ

عن عبد الله بن عمرو بن العاص قال قال رسول الله ﷺ انه لم يكن نبى قبلى الا كان حقا عليه ان يدل امته على خير ما يعلمه لهم وينذرهم شر ما يعلمه لهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২/ বিদআত

পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন

(১৩৫) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে লোক সকল! জান্নাতের নিকটবর্তীকারী এবং জাহান্নাম থেকে দূরকারী এমন কোন জিনিস নেই, যা আমি তোমাদেরকে করতে আদেশ করিনি। আর জাহান্নামের নিকটবর্তীকারী এবং জান্নাত থেকে দূরকারী এমন কোন জিনিস নেই, যা আমি তোমাদেরকে করতে নিষেধ করিনি।

عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍعَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «أَيُّهَا النَّاسُ لَيْسَ مِنْ شَيْءٍ يُقَرِّبُكُمْ إِلَى الْجَنَّةِ وَيُبَاعِدُكُمْ مِنَ النَّارِ إِلا قَدْ أَمَرْتُكُمْ بِهِ وَلَيْسَ شَيْءٌ يُقَرِّبُكُمْ مِنَ النَّارِ وَيُبَاعِدُكُمْ مِنَ الْجَنَّةِ إِلا قَدْ نَهَيْتُكُمْ عَنهُ

عن عبد الله بن مسعودعن النبي صلى الله عليه وسلم انه قال: «ايها الناس ليس من شيء يقربكم الى الجنة ويباعدكم من النار الا قد امرتكم به وليس شيء يقربكم من النار ويباعدكم من الجنة الا قد نهيتكم عنه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২/ বিদআত

পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন

(১৩৬) মুত্ত্বালিব কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’এমন কোন জিনিস নেই, যা আমি তোমাদেরকে আদেশ করিনি, অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে তা আদেশ করেছেন এবং এমন কোন জিনিস নেই, যা আমি তোমাদেরকে নিষেধ করিনি, অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে তা নিষেধ করেছেন।’’ (বাইহাক্বী ১৩৮২৫)

عَن الْمُطَّلِبِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مَا تَرَكْتُ شَيْئًا مِمَّا أَمَرَكُمُ اللهُ بِهِ إِلاَّ وَقَدْ أَمَرْتُكُمْ بِهِ وَلاَ تَرَكْتُ شَيْئًا مِمَّا نَهَاكُمُ اللهُ عَنهُ إِلاَّ وَقَدْ نَهَيْتُكُمْ عَنهُ

عن المطلب ان رسول الله ﷺ قال ما تركت شيىا مما امركم الله به الا وقد امرتكم به ولا تركت شيىا مما نهاكم الله عنه الا وقد نهيتكم عنه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২/ বিদআত

পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন

(১৩৭) সাহাবী আবূ যার্র (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এমন অবস্থায় ছেড়ে গেছেন যে, আকাশে উড়ন্ত পাখীর ইলমও আমাদেরকে দিয়ে গেছেন।

قَالَ أَبُو ذَرٍّ: لَقَدْ تَرَكَنَا مُحَمَّدٌ ﷺ وَمَا يُحَرِّكُ طَائِرٌ جَنَاحَيْهِ فِي السَّمَاءِ إِلَّا أَذْكَرَنَا مِنْهُ عِلْمًا

قال ابو ذر: لقد تركنا محمد ﷺ وما يحرك طاىر جناحيه في السماء الا اذكرنا منه علما

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২/ বিদআত

পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন

(১৩৮) জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, বিদায় হজ্জের সময় এক লক্ষ অথবা এক লক্ষ চল্লিশ হাজার সাহাবার সামনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, তোমরা আমার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে, সুতরাং তোমরা কী বলবে? তাঁরা সকলেই বলেছিলেন যে, ’আমরা সাক্ষ্য দেব যে, (আপনার উপর যে গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল তা) পৌঁছে দিয়েছেন, (আমানত) আদায় করে দিয়েছেন এবং (উম্মতের জন্য) হিতাকাঙ্ক্ষী ও নসীহত করেছেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসমানের দিকে আঙ্গুল তুলে এবং লোকেদের দিকে ফিরিয়ে ইঙ্গিত করে তিনবার বললেন, হে আল্লাহ! আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? অথবা তিনি তিনবার বললেন, আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাকো।

عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ وَأَنْتُمْ تُسْأَلُونَ عَنى فَمَا أَنْتُمْ قَائِلُونَ قَالُوْا نَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بَلَّغْتَ وَأَدَّيْتَ وَنَصَحْتَ فَقَالَ بِإِصْبَعِهِ السَّبَّابَةِ يَرْفَعُهَا إِلَى السَّمَاءِ وَيَنْكُتُهَا إِلَى النَّاسِ اَللّٰهُمَّ اشْهَدِ اَللّٰهُمَّ اشْهَدْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ

عن جابر قال قال رسول الله ﷺ وانتم تسالون عنى فما انتم قاىلون قالوا نشهد انك قد بلغت واديت ونصحت فقال باصبعه السبابة يرفعها الى السماء وينكتها الى الناس اللهم اشهد اللهم اشهد ثلاث مرات

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২/ বিদআত

পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন

(১৩৯) মাসরূক (রহঃ) বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ) এর নিকট হেলান দিয়ে বসে ছিলাম। হঠাৎ তিনি বললেন, ’হে আবূ আয়েশা! যে ব্যক্তি তিনটের মধ্যে একটি কথা বলে, সে আল্লাহর প্রতি বিরাট মিথ্যা আরোপ করেঃ

(১) যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, মুহাম্মাদ তাঁর প্রতিপালক (আল্লাহ) কে দেখেছেন, সে আল্লাহর প্রতি বিরাট মিথ্যা আরোপ করে। যেহেতু আল্লাহ বলেন,

لاَّ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ

দৃষ্টিসমূহ তাঁকে আয়ত্ব করতে পারে না, কিন্তু দৃষ্টিসমূহ তাঁর আয়ত্বে আছে এবং তিনিই সুক্ষদর্শী; সম্যক পরিজ্ঞাত। (আনআমঃ ১০৩)

وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُكَلِّمَهُ اللهُ إِلَّا وَحْيًا أَوْ مِن وَرَاء حِجَابٍ أَوْ يُرْسِلَ رَسُولًا فَيُوحِيَ بِإِذْنِهِ مَا يَشَاء إِنَّهُ عَلِيٌّ حَكِيمٌ

কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় যে, আল্লাহ তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন ওহীর (প্রত্যাদেশ) মাধ্যম ব্যতিরেকে, অন্তরাল ব্যতিরেকে অথবা কোন দূত প্রেরণ ব্যতিরেকে; আর তখন আল্লাহ যা চান তা তাঁর অনুমতিক্রমে অহী (প্রত্যাদেশ) করেন; নিঃসন্দেহে তিনি সমুন্নত, প্রজ্ঞাময়। (শূরাঃ ৫১)

বর্ণনাকারী মাসরূক বলেন, আমি হেলান দিয়ে বসে ছিলাম। এ কথা শুনে সোজা হয়ে বসে বললাম, ’হে উম্মুল মু’মিনীন! একটু থামুন, আমার ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবেন না। আল্লাহ তা’আলা কি বলেননি যে,

وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى

নিশ্চয়ই সে তাকে আরেকবার দেখেছিল। (নাজমঃ ১৩) অবশ্যই সে তাকে স্পষ্ট দিগন্তে দর্শন করেছে। (তাকভীরঃ ২৩)

মা আয়েশা বললেন, ’আল্লাহর কসম! আমি এ ব্যাপারে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেন,

إِنَّمَا هُوَ جِبْرِيلُ لَمْ أَرَهُ عَلَى صُورَتِهِ الَّتِى خُلِقَ عَلَيْهَا غَيْرَ هَاتَيْنِ الْمَرَّتَيْنِ رَأَيْتُهُ مُنْهَبِطًا مِنَ السَّمَاءِ سَادًّا عِظَمُ خَلْقِهِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ

তিনি হলেন জিবরীল। তাঁকে ঐ দুইবার ছাড়া অন্য বারে তাঁর সৃষ্টিগত আসল রূপে দর্শন করিনি। যখন তিনি আসমানে অবতরণরত ছিলেন, তাঁর বিরাট সৃষ্টি-আকৃতি আকাশ-পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থানকে ঘিরে রেখেছিল!

(২) যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর অবতীর্ণ কিছু অহী গোপন করেছেন, সে আল্লাহর প্রতি বিরাট মিথ্যা আরোপ করে। অথচ আল্লাহ বলেন, হে রসূল! তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা প্রচার কর, (যদি তা না কর, তাহলে তো তুমি তাঁর বার্তা প্রচার করলে না।) (সূরা মা’য়িদাহ ৬৭ আয়াত)

(৩) যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, মুহাম্মাদ ভবিষ্যতের খবর জানেন, সে আল্লাহর প্রতি বিরাট মিথ্যা আরোপ করে। অথচ আল্লাহ বলেন, বল, আল্লাহ ব্যতীত আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না। (নামলঃ ৬৫)

عَن مَسْرُوقٍ قَالَ كُنْتُ مُتَّكِئًا عَندَ عَائِشَةَ فَقَالَتْ يَا أَبَا عَائِشَةَ ثَلاَثٌ مَنْ تَكَلَّمَ بِوَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللهِ الْفِرْيَةَ قُلْتُ مَا هُنَّ قَالَتْ مَنْ زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا ﷺ رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللهِ الْفِرْيَةَ قَالَ وَكُنْتُ مُتَّكِئًا فَجَلَسْتُ فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْظِرِينِى وَلاَ تَعْجَلِينِى أَلَمْ يَقُلِ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ (وَلَقَدْ رَآهُ بِالأُفُقِ الْمُبِينِ) (وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى فَقَالَتْ أَنَا أَوَّلُ هَذِهِ الأُمَّةِ سَأَلَ عَن ذَلِكَ رَسُول اللهِ ﷺ فَقَالَ إِنَّمَا هُوَ جِبْرِيلُ لَمْ أَرَهُ عَلَى صُورَتِهِ الَّتِى خُلِقَ عَلَيْهَا غَيْرَ هَاتَيْنِ الْمَرَّتَيْنِ رَأَيْتُهُ مُنْهَبِطًا مِنَ السَّمَاءِ سَادًّا عِظَمُ خَلْقِهِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ فَقَالَتْ أَوَلَمْ تَسْمَعْ أَنَّ اللهَ يَقُولُ (لاَ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ) أَوَلَمْ تَسْمَعْ أَنَّ اللهَ يَقُولُ (وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَنْ يُكَلِّمَهُ اللهُ إِلاَّ وَحْيًا أَوْ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ أَوْ يُرْسِلَ رَسُولاً فَيُوحِىَ بِإِذْنِهِ مَا يَشَاءُ إِنَّهُ عَلِىٌّ حَكِيمٌ) قَالَتْ وَمَنْ زَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ كَتَمَ شَيْئًا مِنْ كِتَابِ اللهِ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللهِ الْفِرْيَةَ وَاللهُ يَقُولُ يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ قَالَتْ وَمَنْ زَعَمَ أَنَّهُ يُخْبِرُ بِمَا يَكُوْنُ فِى غَدٍ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللهِ الْفِرْيَةَ وَاللهُ يَقُولُ (قُلْ لاَ يَعْلَمُ مَنْ فِى السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ الْغَيْبَ إِلاَّ اللهُ)

عن مسروق قال كنت متكىا عند عاىشة فقالت يا ابا عاىشة ثلاث من تكلم بواحدة منهن فقد اعظم على الله الفرية قلت ما هن قالت من زعم ان محمدا ﷺ راى ربه فقد اعظم على الله الفرية قال وكنت متكىا فجلست فقلت يا ام المومنين انظرينى ولا تعجلينى الم يقل الله عز وجل (ولقد راه بالافق المبين) (ولقد راه نزلة اخرى فقالت انا اول هذه الامة سال عن ذلك رسول الله ﷺ فقال انما هو جبريل لم اره على صورته التى خلق عليها غير هاتين المرتين رايته منهبطا من السماء سادا عظم خلقه ما بين السماء الى الارض فقالت اولم تسمع ان الله يقول (لا تدركه الابصار وهو يدرك الابصار وهو اللطيف الخبير) اولم تسمع ان الله يقول (وما كان لبشر ان يكلمه الله الا وحيا او من وراء حجاب او يرسل رسولا فيوحى باذنه ما يشاء انه على حكيم) قالت ومن زعم ان رسول الله ﷺ كتم شيىا من كتاب الله فقد اعظم على الله الفرية والله يقول يا ايها الرسول بلغ ما انزل اليك من ربك وان لم تفعل فما بلغت رسالته قالت ومن زعم انه يخبر بما يكون فى غد فقد اعظم على الله الفرية والله يقول (قل لا يعلم من فى السموات والارض الغيب الا الله)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২/ বিদআত

পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন

(১৪০) আবুত ত্বুফাইল বলেন, আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হল, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি আপনাদেরকে কোন বিশেষ জ্ঞান দান করে গেছেন? উত্তরে তিনি বললেন, তিনি আমাদেরকে বিশেষ কোন জ্ঞান দিয়ে যাননি, যা সাধারণ লোকে জানে না। তবে আমার এই তরবারির খাপে যা আছে, (তা হতে পারে।) অতঃপর তিনি খাপ থেকে একটি লিখিত কাগজ বের করলেন। তাতে লিখা ছিল, আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে অভিশাপ করুন, যে ব্যক্তি গায়রুল্লাহর উদ্দেশ্যে যবেহ করে। আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে অভিশাপ করুন, যে ব্যক্তি জমি-জায়গার চিহ্ন সরিয়ে ফেলে। আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে অভিশাপ করুন, যে ব্যক্তি বিদআতীকে আশ্রয় দেয়।

عَن أَبِى الطُّفَيْلِ قَالَ سُئِلَ عَلِىٌّ أَخَصَّكُمْ رَسُولُ اللهِ ﷺ بِشَىْءٍ فَقَالَ مَا خَصَّنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ بِشَىْءٍ لَمْ يَعُمَّ بِهِ النَّاسَ كَافَّةً إِلاَّ مَا كَانَ فِى قِرَابِ سَيْفِى هَذَا قَالَ فَأَخْرَجَ صَحِيفَةً مَكْتُوبٌ فِيهَا لَعَن اللهُ مَنْ ذَبَحَ لِغَيْرِ اللهِ وَلَعَن اللهُ مَنْ سَرَقَ مَنَارَ الأَرْضِ وَلَعَن اللهُ مَنْ لَعَن وَالِدَهُ وَلَعَن اللهُ مَنْ آوَى مُحْدِثًا

عن ابى الطفيل قال سىل على اخصكم رسول الله ﷺ بشىء فقال ما خصنا رسول الله ﷺ بشىء لم يعم به الناس كافة الا ما كان فى قراب سيفى هذا قال فاخرج صحيفة مكتوب فيها لعن الله من ذبح لغير الله ولعن الله من سرق منار الارض ولعن الله من لعن والده ولعن الله من اوى محدثا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুত্ব তুফায়ল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২/ বিদআত

পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন

(১৪১) আবূ জুহাইফাহ (রাঃ) বলেন, একদা আমি আলী (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাদের নিকট এমন কিছু (ইলম) আছে কি, যা কুরআনে নেই? উত্তরে তিনি বললেন, সেই সত্তার কসম! যিনি বীজকে অঙ্কুরিত করেন এবং প্রাণ সৃষ্টি করেন, আমাদের নিকট কুরআনে যা আছে, তার বাড়তি কিছু নেই। তবে আল্লাহর কিতাবের সমঝ এবং এই সহীফাতে যা আছে তাই। আমি বললাম, সহীফাতে কি আছে? তিনি বললেন, রক্তপণ ও বন্দী মুক্তির ব্যাপার এবং এই যে, কোন কাফেরের খুনের বদলায় কোন মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না।

عَنْ أَبيْ جُحَيْفَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُ قَالَ قُلْتُ لِعَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنهُ هَلْ عَندَكُمْ شَيْءٌ مِنْ الْوَحْيِ إِلَّا مَا فِي كِتَابِ اللهِ قَالَ لَا وَالَّذِي فَلَقَ الْحَبَّةَ وَبَرَأَ النَّسَمَةَ مَا أَعْلَمُهُ إِلَّا فَهْمًا يُعْطِيهِ اللهُ رَجُلًا فِي الْقُرْآنِ وَمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ
قُلْتُ وَمَا فِي الصَّحِيفَةِ قَالَ الْعَقْلُ وَفَكَاكُ الْأَسِيرِ وَأَنْ لَا يُقْتَلَ مُسْلِمٌ بِكَافِرٍ

عن ابي جحيفة رضي الله عنه قال قلت لعلي رضي الله عنه هل عندكم شيء من الوحي الا ما في كتاب الله قال لا والذي فلق الحبة وبرا النسمة ما اعلمه الا فهما يعطيه الله رجلا في القران وما في هذه الصحيفة قلت وما في الصحيفة قال العقل وفكاك الاسير وان لا يقتل مسلم بكافر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ জুহাইফাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২/ বিদআত

পরিচ্ছেদঃ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন

(১৪২) আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আল্লাহর) আজ্ঞাবহ দাস ছিলেন। তাঁকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছিল, তা (উম্মতের নিকট) পৌঁছে দিয়েছেন। আর তিনটি জিনিস ছাড়া তিনি অন্যান্য মানুষকে ছেড়ে আমাদেরকে বিশেষ করে কোন কিছু দিয়ে যাননি। (১) তিনি আমাদেরকে পূর্ণরূপে ওযূ করতে আদেশ করেছেন, (২) আমাদেরকে সদকা খেতে নিষেধ করেছেন এবং (৩) ঘুড়ীর সাথে গাধার মিলন ঘটাতে নিষেধ করেছেন।

عَن ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ النبي ﷺ عَبْدًا مَأْمُورًا بَلَّغَ مَا أُرْسِلَ بِهِ وَمَا اخْتَصَّنَا دُونَ النَّاسِ بِشَىْءٍ إِلاَّ بِثَلاَثِ خِصَالٍ أَمَرَنَا أَنْ نُسْبِغَ الْوُضُوءَ وَأَنْ لاَ نَأْكُلَ الصَّدَقَةَ وَأَنْ لاَ نُنْزِىَ الْحِمَارَ عَلَى الْفَرَسِ

عن ابن عباس قال: كان النبي ﷺ عبدا مامورا بلغ ما ارسل به وما اختصنا دون الناس بشىء الا بثلاث خصال امرنا ان نسبغ الوضوء وان لا ناكل الصدقة وان لا ننزى الحمار على الفرس

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২/ বিদআত
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে