পরিচ্ছেদঃ ২৬. হাওযে কাওসার সম্পর্কে
৪৭৪৫। ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই তোমাদের সামনে যে হাওয রয়েছে তার বিস্তৃতি জারবাহ ও আযরুহ-এর মধ্যবর্তী দূরত্বের সমান।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالَا: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَمَامَكُمْ حَوْضًا مَا بَيْنَ نَاحِيَتَيْهِ كَمَا بَيْنَ جَرْبَاءَ وَأَذْرُحَ
صحيح
Ibn ‘Umar reported the Messenger of Allah(ﷺ) as saying:
Before you there will be a pond the distance between whose sides is like that between Jarbah and Adhruh.
পরিচ্ছেদঃ ২৬. হাওযে কাওসার সম্পর্কে
৪৭৪৬। যায়িদ ইবনু আরকাম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সফরকালে এক জায়গায় যাত্রাবিরতি করলে তিনি বলেনঃ হাওযে কাওসারে যেসব লোক আমার নিকট উপস্থিত হবে, তাদের তুলনায় তোমরা তাদের এক লাখ ভাগের এক ভাগ মাত্র। তিনি (বর্ণনাকারী আবূ হামযাহ) বললেন, আমি (যায়িদ ইবনু আরকামকে) বললাম, আপনারা সেখানে তখন কতজন ছিলেন? তিনি বললেন, সাতশো অথবা আটশো।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا، فَقَالَ: مَا أَنْتُمْ جُزْءٌ مِنْ مِائَةِ أَلْفِ جُزْءٍ مِمَّنْ يَرِدُ عَلَيَّ الْحَوْضَ قَالَ: قُلْتُ: كَمْ كُنْتُمْ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: سَبْعُ مِائَةٍ أَوْ ثَمَانِ مِائَةٍ
صحيح
Narrated Zayd ibn Arqam:
We were with the Messenger of Allah (ﷺ). He said when we arrived at a halting place: You are not a hundred thousandth part of those who will come down to me at the pond. I (the narrator AbuHamzah) asked: What was your number that day? He replied: Seven or eight hundred.
পরিচ্ছেদঃ ২৬. হাওযে কাওসার সম্পর্কে
৪৭৪৭। আল-মুখতার ইবনু ফুলফুল সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তন্দ্রাচ্ছন্ন হলেন। অতঃপর মুচকি হেসে মাথা তুলে তিনি তাদেরকে অথবা তাঁকে তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কেন হাসলেন? তিনি বললেন, এইমাত্র আমার উপর একটি সূরা নাযিল হয়েছে। অতঃপর তিনি পড়লেন, পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে। ’’নিশ্চয়ই আমি আপনাকে আল-কাওসার দান করেছি।’’ এভাবে তিনি সূরাটি পাঠ শেষ করে বললেন, তোমরা কি জানো কাওসার কী? তারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বলেন, তা এমন একটি পানির ঝর্ণা যা আমার রব জান্নাতে সৃষ্টি করে রেখেছেন। তাতে অসংখ্য কল্যাণ বিদ্যমান। তাতে হাওয ও কাওসারও রয়েছে। আমার উম্মতগণ কিয়ামতের দিন সেখানে উপস্থিত হবে। এর পানপাত্রের সংখ্যা হবে (আকাশের) তারকার সমপরিমাণ।[1]
হাসান।
بَابٌ فِي الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ: أَغْفَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِغْفَاءَةً، فَرَفَعَ رَأْسَهُ مُتَبَسِّمًا، فَإِمَّا قَالَ لَهُمْ، وَإِمَّا قَالُوا لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ ضَحِكْتَ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ أُنْزِلَتْ عَلَيَّ آنِفًا سُورَةٌ فَقَرَأَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ حَتَّى خَتَمَهَا، فَلَمَّا قَرَأَهَا قَالَ: هَلْ تَدْرُونَ مَا الْكَوْثَرُ؟ قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: فَإِنَّهُ نَهْرٌ وَعَدَنِيهِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فِي الْجَنَّةِ، وَعَلَيْهِ خَيْرٌ كَثِيرٌ، عَلَيْهِ حَوْضٌ تَرِدُ عَلَيْهِ أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ، آنِيَتُهُ عَدَدُ الْكَوَاكِبِ
حسن
Anas b. Malik said:
The Messenger of Allah(ﷺ) dozed for a short while and raised his smiling. He either said to them(people) or they said to him: Messenger of Allah! Why did you laugh? He said: A surah has been revealed to me just now, and then he recited: “In the name of Allah, Most Gracious. Most Merciful. To thee We have granted the fount (of abundance)” up to the end. When he recited, he asked: Do you know what al-kauthar is? They replied: Allah and his Apostle know best. He said: It is a river which my Lord, the Exalted, has promised me( to grant) in Paradise: there is abundance of good and upon it there is a pond which my people will approach on the Day of Resurrection. There are vessels as numerous as stars(in the sky).
পরিচ্ছেদঃ ২৬. হাওযে কাওসার সম্পর্কে
৪৭৪৮। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মি’রাজের রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জান্নাতে পরিভ্রমণ করানো হয়। এ সময় তাঁর সামনে একটি নহর উপস্থিত করা হয় যার উভয় তীর খাঁটি নীলকান্ত মণি দ্বারা সুশোভিত ছিলো। যে ফিরিশতা তাঁর সাথে ছিলেন, তার হাতে আঘাত করলে কস্তুরী বেরিয়ে আসে। অতঃপর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সফরসঙ্গী ফিরিশতাকে প্রশ্ন করলেন, এটা কি? তিনি বললেন, এ হলো সেই কাওসার যা মহামহিমান্বিত আল্লাহ আপনাকে দান করেছেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: لَمَّا عُرِجَ بِنَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْجَنَّةِ، أَوْ كَمَا قَالَ: عُرِضَ لَهُ نَهْرٌ حَافَتَاهُ الْيَاقُوتُ الْمُجَيَّبُ، أَوْ قَالَ: الْمُجَوَّفُ، فَضَرَبَ الْمَلَكُ الَّذِي مَعَهُ يَدَهُ، فَاسْتَخْرَجَ مِسْكًا، فَقَالَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمَلَكِ الَّذِي مَعَهُ: مَا هَذَا؟ قَالَ: الْكَوْثَرُ الَّذِي أَعْطَاكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ
صحيح
Narrated Anas ibn Malik:
When the Prophet of Allah (ﷺ) was lifted to the heavens (for travelling) in Paradise, or as he said, a river whose banks were of transparent or hollowed pearls was presented to him. The angel who was with him struck it with his hand and took out musk. Muhammad (ﷺ) then asked the angel who was with him: What is this? He replied: It is al-Kawthar which Allah has given you.
পরিচ্ছেদঃ ২৬. হাওযে কাওসার সম্পর্কে
৪৭৪৯। আব্দুস সালাম ইবনু আবূ হাযিম আবূ তালূত (রহঃ) বলেন, আমি আবূ বারযাহ (রাঃ)-কে দেখেছি, তিনি উবাইদুল্লাহ ইবনু যিয়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। সেখানে লোকজনের সাথে উপস্থিত মুসলিম নামীয় এক ব্যক্তি আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করে বলেন, উবাইদুল্লাহ তাঁকে দেখে বললো, তোমাদের এই বেটে ও মাংসল মুহাম্মাদী। শায়খ (আবূ বারযাহ) কথাটি বুঝতে পারলেন। তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য লাভকারী আমার মতো ব্যক্তি এসব লোকের মাঝে অবস্থান করা উচিৎ নয় যারা আমাকে (তাঁর সাহাবী হওয়ায়) দোষারোপ করে।
উবাইদুল্লাহ তাকে বললো, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য লাভ তো আপনার জন্য গৌরবের বিষয়, দোষের বিষয় নয়। পুনরায় সে বললো, আমি আপনার নিকট হাওয কাওসার সম্পর্কে প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছি। আপনি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ বিষয়ে কিছু বলতে শুনেছেন? আবূ বারযাহ (রাঃ) বলেন, হ্যাঁ, একবার নয়, দু’বার নয়, তিন বার নয়, চারবার নয়, পাঁচ বার নয় (অনেকবার শুনেছি)। যে ব্যক্তি তা মিথ্যা জানবে তাকে আল্লাহ তা থেকে পান করাবেন না। অতঃপর তিনি রাগান্বিত অবস্থায় চলে গেলেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ أَبُو طَالُوتَ، قَالَ: شَهِدْتُ أَبَا بَرْزَةَ دَخَلَ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ، فَحَدَّثَنِي فُلَانٌ - سَمَّاهُ مُسْلِمٌ وَكَانَ فِي السِّمَاطِ - فَلَمَّا رَآهُ عُبَيْدُ اللَّهِ قَالَ: إِنَّ مُحَمَّدِيَّكُمْ هَذَا الدَّحْدَاحُ، فَفَهِمَهَا الشَّيْخُ، فَقَالَ: مَا كُنْتُ أَحْسَبُ أَنِّي أَبْقَى فِي قَوْمٍ يُعَيِّرُونِي بِصُحْبَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ: إِنَّ صُحْبَةَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَكَ زَيْنٌ غَيْرُ شَيْنٍ، قَالَ: إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِأَسْأَلَكَ عَنِ الْحَوْضِ، سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ فِيهِ شَيْئًا؟ فَقَالَ لَهُ أَبُو بَرْزَةَ: نَعَمْ لَا مَرَّةً، وَلَا ثِنْتَيْنِ، وَلَا ثَلَاثًا، وَلَا أَرْبَعًا، وَلَا خَمْسًا، فَمَنْ كَذَّبَ بِهِ فَلَا سَقَاهُ اللَّهُ مِنْهُ، ثُمَّ خَرَجَ مُغْضَبًا
صحيح
AbdusSalam ibn AbuHazim AbuTalut said:
I saw AbuBarzah who came to visit Ubaydullah ibn Ziyad. Then a man named Muslim who was there in the company mentioned it to me. When Ubaydullah saw him, he said: This Muhammad of yours is a dwarf and fat. The old man (i.e. AbuBarzah) understood it. So he said: I don't think that I should remain among people who criticize me for having had the company of Muhammad (ﷺ). Thereupon Ubaydullah said to him: The company of Muhammad (ﷺ) is a honour for you, not a disgrace. He added: I called for you to ask about the Haud (reservoir or cistern). Did you hear the Messenger of Allah (ﷺ) say anything about it? AbuBarzah said: Yes, not once, twice, thrice, four times or five times. Whoever disbelieves in it, may Allah not supply him with water from it. He then went away angrily.