পরিচ্ছেদঃ ১৭. আদেশ ও নিষেধ সম্পর্কে

৪৩৩৬। আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনী ইসরাঈলের মধ্যে সর্বপ্রথম ত্রুটি ঢুকেছে এভাবে যে, তাদের কেউ অপরজনের সাক্ষাতে বলতো, এই যে! তুমি আল্লাহকে ভয় করো এবং যা অপকর্ম করেছো, তা পরিত্যাগ করো। কেননা এগুলো করা তোমার জন্য বৈধ নয়। পরের দিন আবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তার অপকর্ম তার সঙ্গে একত্রে পানাহার ও মেলামেশা করতে তাকে বিরত রাখতো না। যখন তাদের অবস্থা এরূপ হলো, তখন আল্লাহ তাদের অন্তরকে পরস্পরের সাথে একাকার করে দিলেন।

অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ ’’বনী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তারা দাউদ ও মারইয়াম পুত্র ঈসা কর্তৃক অভিশপ্ত হয়েছিল... ফাসিকূন’’ পর্যন্ত। (সূরা আল-মায়িদাহঃ ৭৮-৮১৪)। পুনরায় তিনি বলেনঃ কখনো নয়, আল্লাহর কসম! তোমরা অবশ্যই সৎ কাজের আদেশ দিবে এবং মন্দ কাজে বাধা দিবে এবং অবশ্যই অত্যাচারী দু’ হাত ধরে তাকে সৎ পথে ফিরে আসতে ও সত্যের উপর অবিচল থাকবে বাধ্য করবে।[1]

দুর্বলঃ মিশকাত (হা/ ৫১৪৮)।

بَابُ الْأَمْرِ وَالنَّهْيِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ رَاشِدٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَوَّلَ مَا دَخَلَ النَّقْصُ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ، كَانَ الرَّجُلُ يَلْقَى الرَّجُلَ، فَيَقُولُ: يَا هَذَا، اتَّقِ اللَّهَ وَدَعْ مَا تَصْنَعُ، فَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ لَكَ، ثُمَّ يَلْقَاهُ مِنَ الْغَدِ، فَلَا يَمْنَعُهُ ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ أَكِيلَهُ وَشَرِيبَهُ وَقَعِيدَهُ، فَلَمَّا فَعَلُوا ذَلِكَ ضَرَبَ اللَّهُ قُلُوبَ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ، ثُمَّ قَالَ: (لُعِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ) إِلَى قَوْلِهِ (فَاسِقُونَ) [المائدة: ٨١]، ثُمَّ قَالَ: كَلَّا وَاللَّهِ لَتَأْمُرُنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَلَتَأْخُذُنَّ عَلَى يَدَيِ الظَّالِمِ، وَلَتَأْطُرُنَّهُ عَلَى الْحَقِّ أَطْرًا، وَلَتَقْصُرُنَّهُ عَلَى الْحَقِّ قَصْرًا

ضعيف، المشكاة (٥١٤٨)

حدثنا عبد الله بن محمد النفيلي، حدثنا يونس بن راشد، عن علي بن بذيمة، عن ابي عبيدة، عن عبد الله بن مسعود، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان اول ما دخل النقص على بني اسراىيل، كان الرجل يلقى الرجل، فيقول: يا هذا، اتق الله ودع ما تصنع، فانه لا يحل لك، ثم يلقاه من الغد، فلا يمنعه ذلك ان يكون اكيله وشريبه وقعيده، فلما فعلوا ذلك ضرب الله قلوب بعضهم ببعض، ثم قال: (لعن الذين كفروا من بني اسراىيل على لسان داود وعيسى ابن مريم) الى قوله (فاسقون) [الماىدة: ٨١]، ثم قال: كلا والله لتامرن بالمعروف ولتنهون عن المنكر، ولتاخذن على يدي الظالم، ولتاطرنه على الحق اطرا، ولتقصرنه على الحق قصرا ضعيف، المشكاة (٥١٤٨)


Narrated Abdullah ibn Mas'ud:

The Messenger of Allah (ﷺ) said: The first defect that permeated Banu Isra'il was that a man (of them) met another man and said: O so-and-so, fear Allah, and abandon what you are doing, for it is not lawful for you. He then met him the next day and that did not prevent him from eating with him, drinking with him and sitting with him. When they did so. Allah mingled their hearts with each other.

He then recited the verse: "curses were pronounced on those among the children of Isra'il who rejected Faith, by the tongue of David and of Jesus the son of Mary"...up to "wrongdoers".

He then said: By no means, I swear by Allah, you must enjoin what is good and prohibit what is evil, prevent the wrongdoer, bend him into conformity with what is right, and restrict him to what is right.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. আদেশ ও নিষেধ সম্পর্কে

৪৩৩৭। ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থকবোধক হাদীস বর্ণনা করেন। তবে এতে রয়েছেঃ অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের পরস্পরের অন্তরকে একাকার করে দিবেন। অতঃপর তোমাদের অভিসম্পাত করবেন, যেমন তাদেরকে অভিসম্পাত করেছেন।[1]

দুর্বল।

بَابُ الْأَمْرِ وَالنَّهْيِ

حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ الْحَنَّاطُ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ، زَادَ: أَوْ لَيَضْرِبَنَّ اللَّهُ بِقُلُوبِ بَعْضِكُمْ عَلَى بَعْضٍ، ثُمَّ لَيَلْعَنَنَّكُمْ كَمَا لَعَنَهُمْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَاهُ الْمُحَارِبِيُّ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمٍ الْأَفْطَسِ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، وَرَوَاهُ خَالِدٌ الطَّحَّانُ، عَنِ الْعَلَاءِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ

ضعيف

حدثنا خلف بن هشام، حدثنا ابو شهاب الحناط، عن العلاء بن المسيب، عن عمرو بن مرة، عن سالم، عن ابي عبيدة، عن ابن مسعود، عن النبي صلى الله عليه وسلم بنحوه، زاد: او ليضربن الله بقلوب بعضكم على بعض، ثم ليلعننكم كما لعنهم قال ابو داود: رواه المحاربي، عن العلاء بن المسيب، عن عبد الله بن عمرو بن مرة، عن سالم الافطس، عن ابي عبيدة، عن عبد الله، ورواه خالد الطحان، عن العلاء، عن عمرو بن مرة، عن ابي عبيدة ضعيف


A similar tradition has also been transmitted by Ibn Mas'ud through a different chain of narrators to the same effect.

This version adds:
"Or Allah will mingle your hearts together and curse you as He cursed them."

Abu Dawud said: This tradition has been transmitted by al-Muharibi, from al-'Ala bin al-Musayyab, from 'Abd Allah bin 'Amr bin Murrah, from Salim al-Aftas, from Abu Ubaidah, from 'Abd Allah; and it is been transmitted by Khalid al-Tahhan, from al-'Ala, from 'Amr bin Murrah from Abu 'Ubaidah.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. আদেশ ও নিষেধ সম্পর্কে

৪৩৩৮। কাইস (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু বাকর (রাঃ) আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করার পর বললেন, হে জনসমাজ! তোমরা তো এ আয়াত পাঠ করে থাকো, কিন্তু একে যথাস্থানে প্রয়োগ করো না। আল্লাহর বাণীঃ ’’তোমরা যদি সৎ পথে পরিচালিত হও তবে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না’’ (সূরাত আল-মায়িদাহঃ ১০৫)। তিনি খালিদ থেকে বর্ণনা করে বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ মানুষ যখন কোনো যালেমকে যুলম করতে দেখে তার দু’ হাত চেপে ধরে না অবিলম্বে আল্লাহ তাদের সবাইকে শাস্তি দিবেন।

আমর (রহঃ) হুসাইন থেকে বর্ণনা করে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে জাতির মধ্যে পাপকাজ হতে থাকে, এগুলো বন্ধ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা বন্ধ করছে না, অচিরেই আল্লাহ তাদের সবাইকে চরম শাস্তি দিবেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, খালিদ, আবূ উসামাহ ও একদল বর্ণনাকারী যেরূপ বলেছেন, এরূপ বর্ণনা তিনি করেছেন। এ বর্ণনায় শু’বা বলেনঃ ’’যে সম্প্রদায়ে পাপ চলতে থাকে এবং পাপীদের চাইতে তাদের সংখ্যা বেশী হয়।’’[1]

আবূ বকরের হাদীস সহীহ।

بَابُ الْأَمْرِ وَالنَّهْيِ

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، ح وحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، الْمَعْنَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، قَالَ: قَالَ أَبُو بَكْرٍ: بَعْدَ أَنْ حَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّكُمْ تَقْرَءُونَ هَذِهِ الْآيَةَ، وَتَضَعُونَهَا عَلَى غَيْرِ مَوَاضِعِهَا: (عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ) [المائدة: ١٠٥]، قَالَ: عَنْ خَالِدٍ، وَإِنَّا سَمِعْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ النَّاسَ إِذَا رَأَوُا الظَّالِمَ فَلَمْ يَأْخُذُوا عَلَى يَدَيْهِ، أَوْشَكَ أَنْ يَعُمَّهُمُ اللَّهُ بِعِقَابٍ وَقَالَ عَمْرٌو: عَنْ هُشَيْمٍ، وَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَا مِنْ قَوْمٍ يُعْمَلُ فِيهِمْ بِالْمَعَاصِي، ثُمَّ يَقْدِرُونَ عَلَى أَنْ يُغَيِّرُوا، ثُمَّ لَا يُغَيِّرُوا، إِلَّا يُوشِكُ أَنْ يَعُمَّهُمُ اللَّهُ مِنْهُ بِعِقَابٍ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَرَوَاهُ كَمَا قَالَ خَالِدٌ أَبُو أُسَامَةَ: وَجَمَاعَةٌ، وَقَالَ شُعْبَةُ فِيهِ: مَا مِنْ قَوْمٍ يُعْمَلُ فِيهِمْ بِالْمَعَاصِي هُمْ أَكْثَرُ مِمَّنْ يَعْمَلُهُ

(حديث أبي بكر) صحيح

حدثنا وهب بن بقية، عن خالد، ح وحدثنا عمرو بن عون، اخبرنا هشيم، المعنى، عن اسماعيل، عن قيس، قال: قال ابو بكر: بعد ان حمد الله، واثنى عليه: يا ايها الناس، انكم تقرءون هذه الاية، وتضعونها على غير مواضعها: (عليكم انفسكم لا يضركم من ضل اذا اهتديتم) [الماىدة: ١٠٥]، قال: عن خالد، وانا سمعنا النبي صلى الله عليه وسلم يقول: ان الناس اذا راوا الظالم فلم ياخذوا على يديه، اوشك ان يعمهم الله بعقاب وقال عمرو: عن هشيم، واني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: ما من قوم يعمل فيهم بالمعاصي، ثم يقدرون على ان يغيروا، ثم لا يغيروا، الا يوشك ان يعمهم الله منه بعقاب قال ابو داود: ورواه كما قال خالد ابو اسامة: وجماعة، وقال شعبة فيه: ما من قوم يعمل فيهم بالمعاصي هم اكثر ممن يعمله (حديث ابي بكر) صحيح


Narrated Abu Bakr:

You people recite this verse "You who believe, care for yourselves; he who goes astray cannot harm you when you are rightly-guided," and put it in its improper place.

Khalid's version has: We heard the Prophet (ﷺ) say: When the people see a wrongdoer and do not prevent him, Allah will soon punish them all. Amr ibn Hushaym's version has: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: If acts of disobedience are done among any people and do not change them though the are able to do so, Allah will soon punish them all.

Adu Dawud said: This tradition has also been transmitted by Abu Usamah and a group transmitters similar to the version narrated by Khalid. The version of Shu'bah has: "If acts of obedience are done among any people who are more numerous than those who do them...."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. আদেশ ও নিষেধ সম্পর্কে

৪৩৩৯। জারীর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কোনো ব্যক্তি কোনো জাতির মধ্যে বাস করছে যাদের মাঝে পাপাচার হচ্ছে, তারা এ পাপাচার প্রতিরোধে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও প্রতিরোধ করছে না, তাহলে মৃত্যুর পূর্বেই আল্লাহ তাদের চরম শাস্তি দিবেন[1]

হাসান।

بَابُ الْأَمْرِ وَالنَّهْيِ

حَدَّثَنَا مُسَّدَدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، أَظُنُّهُ عَنِ ابْنِ جَرِيرٍ، عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَا مِنْ رَجُلٍ يَكُونُ فِي قَوْمٍ يُعْمَلُ فِيهِمْ بِالْمَعَاصِي، يَقْدِرُونَ عَلَى أَنْ يُغَيِّرُوا عَلَيْهِ، فَلَا يُغَيِّرُوا، إِلَّا أَصَابَهُمُ اللَّهُ بِعَذَابٍ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَمُوتُوا

حسن

حدثنا مسدد، حدثنا ابو الاحوص، حدثنا ابو اسحاق، اظنه عن ابن جرير، عن جرير، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: ما من رجل يكون في قوم يعمل فيهم بالمعاصي، يقدرون على ان يغيروا عليه، فلا يغيروا، الا اصابهم الله بعذاب من قبل ان يموتوا حسن


Narrated Jarir ibn Abdullah:

The Prophet (ﷺ) said: If any man is among a people in whose midst he does acts of disobedience, and, though they are able to make him change (his acts), they do not change, Allah will smite them with punishment before they die.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. আদেশ ও নিষেধ সম্পর্কে

৪৩৪০। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কেউ কোনো অন্যায় হতে দেখলে সে তা হাতের সাহায্যে দমন করতে সক্ষম হলে তা দ্বারা যেন প্রতিরোধ করে। ’’হান্নাদ’’ এ হাদীসের বাকী অংশ উল্লেখ করেনি। তবে ইবনুল আলা তা পূর্ণ করেছেন। তা হলোঃ যদি হাতের দ্বারা প্রতিরোধ করতে সক্ষম না হয়, তবে জিহ্বা দ্বারা আর যদি জিহ্বা দ্বারা প্রতিরোধ করতে সক্ষম না হলে তবে অন্তর দ্বারা, তবে এটা দুর্বল ঈমানের স্তর।[1]

সহীহ।

بَابُ الْأَمْرِ وَالنَّهْيِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَعَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ رَأَى مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ - وَقَطَعَ هَنَّادٌ بَقِيَّةَ الْحَدِيثِ، وَفَّاهُ ابْنُ الْعَلَاءِ: - فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ بِلِسَانِهِ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ

صحيح

حدثنا محمد بن العلاء، وهناد بن السري، قالا: حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن اسماعيل بن رجاء، عن ابيه، عن ابي سعيد، وعن قيس بن مسلم، عن طارق بن شهاب، عن ابي سعيد الخدري، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: من راى منكرا فاستطاع ان يغيره بيده فليغيره بيده - وقطع هناد بقية الحديث، وفاه ابن العلاء: - فان لم يستطع فبلسانه، فان لم يستطع بلسانه فبقلبه، وذلك اضعف الايمان صحيح


Abu sa’Id al-Khudri said:
I head the Messenger of Allah (ﷺ) say: If any one you sees something objectionable, he should change it with his hand if he can change it with his hand. (The narrator Hammad broke the rest of the tradition which was completed by Ibn al-‘Ala’.) But if he cannot (do so), he should do it with his tongue, and if he cannot (do so with) his tongue he should do it in his heart, that being the weakest form of faith.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. আদেশ ও নিষেধ সম্পর্কে

৪৩৪১। আবূ হুমাইয়াহ আশ-শা’বানী (রহঃ) বলেন, আবূ সা’লাবহকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আবূ সা’লাবাহ! আপনি এ আয়াত ’’আলাইকুম আনফুসাকুম’’ (৫ঃ ১০৫) সম্পর্কে কি বলেন? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আপনি এ ব্যাপারে অবহিত ব্যক্তিকেই প্রশ্ন করেছেন। আমি এ আয়াত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেনঃ তোমরা বরং পরস্পরকে ভালো কাজের আদেশ দাও এবং অন্যায় থেকে বিরত রাখো। এমন কি যখন দেখবে যে, কৃপণের আনুগত্য করা হচ্ছে, কুপ্রবৃত্তি তাড়িতকে অনুসরণ করা হচ্ছে ও পার্থিব স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে এবং প্রত্যেকে নিজের মতকেই প্রাধান্য দিচ্ছে, তখন তুমি নিজের ব্যাপারে যত্নবান হও এবং জনগণ যা করছে তা ত্যাগ করো।

কেননা তোমাদের সামনে এরূপ যুগ আসছে, যখন ধৈর্য ধারণ করা জ্বলন্ত অঙ্গার মুষ্টিবদ্ধ করে রাখার মতো কষ্টকর হবে। এ সময় যথার্থ কাজ সম্পদানকারীকে তার মতই পঞ্চাশজনের সমান পুরস্কার দেয়া হবে। অপর বর্ণনায় রয়েছেঃ তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাকে কি সেই সময়কাল পঞ্জাশজনের সমান সওয়াব দেয়া হবে? তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যকার পঞ্চাশজনের সমান সওয়াব দেয়া হবে।[1]

দুর্বল, তবে ধৈর্য ধারণের যুগের বাক্যটি প্রমাণিত। ইবনু মাজাহ হা/ ৪০১৫, মিশকাত হা/ ৫১৪৪।

بَابُ الْأَمْرِ وَالنَّهْيِ

حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي حَكِيمٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ جَارِيَةَ اللَّخْمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو أُمَيَّةَ الشَّعْبَانِيُّ، قَالَ: سَأَلْتُ أَبَا ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيَّ، فَقُلْتُ: يَا أَبَا ثَعْلَبَةَ، كَيْفَ تَقُولُ فِي هَذِهِ الْآيَةِ: (عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ) [المائدة: ١٠٥]؟ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ سَأَلْتَ عَنْهَا خَبِيرًا، سَأَلْتُ عَنْهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: بَلِ ائْتَمِرُوا بِالْمَعْرُوفِ، وَتَنَاهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ، حَتَّى إِذَا رَأَيْتَ شُحًّا مُطَاعًا، وَهَوًى مُتَّبَعًا، وَدُنْيَا مُؤْثَرَةً، وَإِعْجَابَ كُلِّ ذِي رَأْيٍ بِرَأْيِهِ، فَعَلَيْكَ - يَعْنِي - بِنَفْسِكَ، وَدَعْ عَنْكَ الْعَوَامَّ، فَإِنَّ مِنْ وَرَائِكُمْ أَيَّامَ الصَّبْرِ، الصَّبْرُ فِيهِ مِثْلُ قَبْضٍ عَلَى الْجَمْرِ، لِلْعَامِلِ فِيهِمْ مِثْلُ أَجْرِ خَمْسِينَ رَجُلًا يَعْمَلُونَ مِثْلَ عَمَلِهِ، وَزَادَنِي غَيْرُهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَجْرُ خَمْسِينَ مِنْهُمْ؟ قَالَ: أَجْرُ خَمْسِينَ مِنْكُمْ

ضعيف لكن فقرة أيام الصبر ثابتة ابن ماجة (٤٠١٥)، المشكاة (٥١٤٤)

حدثنا ابو الربيع سليمان بن داود العتكي، حدثنا ابن المبارك، عن عتبة بن ابي حكيم، قال: حدثني عمرو بن جارية اللخمي، حدثني ابو امية الشعباني، قال: سالت ابا ثعلبة الخشني، فقلت: يا ابا ثعلبة، كيف تقول في هذه الاية: (عليكم انفسكم) [الماىدة: ١٠٥]؟ قال: اما والله لقد سالت عنها خبيرا، سالت عنها رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: بل اىتمروا بالمعروف، وتناهوا عن المنكر، حتى اذا رايت شحا مطاعا، وهوى متبعا، ودنيا موثرة، واعجاب كل ذي راي برايه، فعليك - يعني - بنفسك، ودع عنك العوام، فان من وراىكم ايام الصبر، الصبر فيه مثل قبض على الجمر، للعامل فيهم مثل اجر خمسين رجلا يعملون مثل عمله، وزادني غيره قال: يا رسول الله، اجر خمسين منهم؟ قال: اجر خمسين منكم ضعيف لكن فقرة ايام الصبر ثابتة ابن ماجة (٤٠١٥)، المشكاة (٥١٤٤)


Abu Umayyah ash-Sha'bani said:
I asked AbuTha'labah al-Khushani: What is your opinion about the verse "Care for yourselves".

He said: I swear by Allah, I asked the one who was well informed about it; I asked the Messenger of Allah (ﷺ) about it.

He said: No, enjoin one another to do what is good and forbid one another to do what is evil.

But when you see niggardliness being obeyed, passion being followed, worldly interests being preferred, everyone being charmed with his opinion, then care for yourself, and leave alone what people in general are doing; for ahead of you are days which will require endurance, in which showing endurance will be like grasping live coals. The one who acts rightly during that period will have the reward of fifty men who act as he does.

Another version has: He said (The hearers asked:) Messenger of Allah, the reward of fifty of them?

He replied: The reward of fifty of you.


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. আদেশ ও নিষেধ সম্পর্কে

৪৩৪২। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এমন এক যুগ সম্পর্কে তোমাদের কি ধারণা? অথবা তিনি বলেনঃ অচিরেই এমন এক যুগ আসবে, যখন মানুষকে চারূনির ন্যায় চালা হবে এবং তাতে নিকৃষ্ট মানুষ অবশিষ্ট থাকবে। তাদের ওয়াদা ও আমানসমূহ বিনষ্ট হয়ে যাবে আর অনৈক্য দেখা দিবে, অতঃপর এরূপ হয়ে যাবে। এ বলে তিনি তাঁর আঙ্গুলসমূহ একটা আরেকটার ভেতরে ঢুকিয়ে দেখালেন। উপস্থিত লোকেরা বললো, আমরা তাহলে কি করবো, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ যেগুলো সম্বন্ধে সঠিক জানো তা গ্রহণ করো এবং যেগুলোকে ভুল জানো তা ত্যাগ করো।[1]

সহীহ।

بَابُ الْأَمْرِ وَالنَّهْيِ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، أَنَّ عَبْدَ الْعَزِيزِ بْنَ أَبِي حَازِمٍ، حَدَّثَهُمْ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كَيْفَ بِكُمْ وَبِزَمَانٍ أَوْ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ زَمَانٌ يُغَرْبَلُ النَّاسُ فِيهِ غَرْبَلَةً، تَبْقَى حُثَالَةٌ مِنَ النَّاسِ، قَدْ مَرِجَتْ عُهُودُهُمْ، وَأَمَانَاتُهُمْ، وَاخْتَلَفُوا، فَكَانُوا هَكَذَا وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ، فَقَالُوا: وَكَيْفَ بِنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: تَأْخُذُونَ مَا تَعْرِفُونَ، وَتَذَرُونَ مَا تُنْكِرُونَ، وَتُقْبِلُونَ عَلَى أَمْرِ خَاصَّتِكُمْ، وَتَذَرُونَ أَمْرَ عَامَّتِكُمْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: هَكَذَا رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ

صحيح

حدثنا القعنبي، ان عبد العزيز بن ابي حازم، حدثهم، عن ابيه، عن عمارة بن عمرو، عن عبد الله بن عمرو بن العاص، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: كيف بكم وبزمان او يوشك ان ياتي زمان يغربل الناس فيه غربلة، تبقى حثالة من الناس، قد مرجت عهودهم، واماناتهم، واختلفوا، فكانوا هكذا وشبك بين اصابعه، فقالوا: وكيف بنا يا رسول الله؟ قال: تاخذون ما تعرفون، وتذرون ما تنكرون، وتقبلون على امر خاصتكم، وتذرون امر عامتكم قال ابو داود: هكذا روي عن عبد الله بن عمرو، عن النبي صلى الله عليه وسلم، من غير وجه صحيح


Narrated Abdullah ibn Amr ibn al-'As:

The Prophet (ﷺ) said: How will you do when that time will come? Or he said: A time will soon come when the people are sifted and only dregs of mankind survive and their covenants and guarantees have been impaired and they have disagreed among themselves and become thus, interwining his fingers. They asked: What do you order us to do, Messenger of Allah? He replied: Accept what you approve, abandon what you disapprove, attend to your own affairs and leave alone the affairs of the generality.

Abu dawud said: A similar tradition has been transmitted by 'Abd Allah bin 'Amr from the Prophet (ﷺ) through different chain.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. আদেশ ও নিষেধ সম্পর্কে

৪৩৪৩। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চারপাশে বসা ছিলাম। তখন তিনি ফিতনা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেনঃ তোমরা যখন দেখবে, মানুষের ওয়াদা নষ্ট হয়ে গেছে, তাদের আমানতদারী কমে গেছে এবং তারা এরূপ হয়ে গেছে- এ বলে তিনি তাঁর হাতের আঙ্গুলসমূহ পরস্পরের মধ্যে মিলালেন। বর্ণনাকারী বলেন, একথা শুনে আমি দাঁড়িয়ে তাঁকে বললাম, আল্লাহ আমাকে আপনার জন্যে উৎসর্গিত করুন! আমি তখন কি করবো? তিনি বললেনঃ তুমি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে তোমার ঘরে অবস্থান করো, তোমার জিহবা সংযত রাখো; যা জানাশুনা আছে তাই গ্রহণ করো এবং অজানাকে পরিত্যাগ করো। আর তোমার নিজের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক হও এবং সাধারণের সম্পর্কে বিরত থাকো।[1]

হাসান সহীহ।

بَابُ الْأَمْرِ وَالنَّهْيِ

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ خَبَّابٍ أَبِي الْعَلَاءِ، قَالَ: حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ حَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذْ ذَكَرَ الْفِتْنَةَ، فَقَالَ: إِذَا رَأَيْتُمُ النَّاسَ قَدْ مَرِجَتْ عُهُودُهُمْ، وَخَفَّتْ أَمَانَاتُهُمْ، وَكَانُوا هَكَذَا وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ، قَالَ: فَقُمْتُ إِلَيْهِ، فَقُلْتُ: كَيْفَ أَفْعَلُ عِنْدَ ذَلِكَ، جَعَلَنِي اللَّهُ فِدَاكَ؟ قَالَ: الْزَمْ بَيْتَكَ، وَامْلِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ، وَخُذْ بِمَا تَعْرِفُ، وَدَعْ مَا تُنْكِرُ، وَعَلَيْكَ بِأَمْرِ خَاصَّةِ نَفْسِكَ، وَدَعْ عَنْكَ أَمْرَ الْعَامَّةِ

حسن صحيح

حدثنا هارون بن عبد الله، حدثنا الفضل بن دكين، حدثنا يونس بن ابي اسحاق، عن هلال بن خباب ابي العلاء، قال: حدثني عكرمة، حدثني عبد الله بن عمرو بن العاص، قال: بينما نحن حول رسول الله صلى الله عليه وسلم، اذ ذكر الفتنة، فقال: اذا رايتم الناس قد مرجت عهودهم، وخفت اماناتهم، وكانوا هكذا وشبك بين اصابعه، قال: فقمت اليه، فقلت: كيف افعل عند ذلك، جعلني الله فداك؟ قال: الزم بيتك، واملك عليك لسانك، وخذ بما تعرف، ودع ما تنكر، وعليك بامر خاصة نفسك، ودع عنك امر العامة حسن صحيح


Narrated Abdullah ibn Amr ibn al-'As:

When we were around the Messenger of Allah (ﷺ), he mentioned the period of commotion (fitnah) saying: When you see the people that their covenants have been impaired, (the fulfilling of) the guarantees becomes rare, and they become thus (interwining his fingers). I then got up and said: What should I do at that time, may Allah make me ransom for you? He replied: Keep to your house, control your tongue, accept what you approve, abandon what you disapprove, attend to your own affairs, and leave alone the affairs of the generality.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. আদেশ ও নিষেধ সম্পর্কে

৪৩৪৪। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বৈরাচারী বাদশা বা স্বৈরাচারী শাসকের সামনে ন্যায়সঙ্গত কথা বলা উত্তম জিহাদ।[1]

সহীহ।

بَابُ الْأَمْرِ وَالنَّهْيِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَادَةَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ يَعْنِي ابْنَ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَفْضَلُ الْجِهَادِ كَلِمَةُ عَدْلٍ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ، أَوْ أَمِيرٍ جَائِرٍ

صحيح

حدثنا محمد بن عبادة الواسطي، حدثنا يزيد يعني ابن هارون، اخبرنا اسراىيل، حدثنا محمد بن جحادة، عن عطية العوفي، عن ابي سعيد الخدري، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: افضل الجهاد كلمة عدل عند سلطان جاىر، او امير جاىر صحيح


Narrated AbuSa'id al-Khudri:

The Prophet (ﷺ) said: The best fighting (jihad) in the path of Allah is (to speak) a word of justice to an oppressive ruler.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. আদেশ ও নিষেধ সম্পর্কে

৪৩৪৫। আল-উরস ইবনু ’আমীরাহ আল-কিনদী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো স্থানে যখন অন্যায় সংঘটিত হয়, তখন সেখানে উপস্থিত ব্যক্তি তাতে অসন্তুষ্ট হলে, সে অনুপস্থিতিদের মতোই গণ্য হবে (তার গুনাহ হবে না)। আর যে ব্যক্তি অন্যায় কাজের স্থান থেকে অনুপস্থিত হয়েও তাতে সন্তুষ্ট হয়, সে অন্যায়ে উপস্থিতদের অন্তর্ভুক্ত।[1]

হাসান।

بَابُ الْأَمْرِ وَالنَّهْيِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ بْنُ زِيَادٍ الْمُوصِلِيُّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ عَدِيٍّ، عَنِ الْعُرْسِ ابْنِ عَمِيرَةَ الْكِنْدِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا عُمِلَتِ الْخَطِيئَةُ فِي الْأَرْضِ، كَانَ مَنْ شَهِدَهَا فَكَرِهَهَا - وَقَالَ مَرَّةً: أَنْكَرَهَا - كَانَ كَمَنْ غَابَ عَنْهَا، وَمَنْ غَابَ عَنْهَا فَرَضِيَهَا، كَانَ كَمَنْ شَهِدَهَا

حسن

حدثنا محمد بن العلاء، اخبرنا ابو بكر، حدثنا مغيرة بن زياد الموصلي، عن عدي بن عدي، عن العرس ابن عميرة الكندي، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: اذا عملت الخطيىة في الارض، كان من شهدها فكرهها - وقال مرة: انكرها - كان كمن غاب عنها، ومن غاب عنها فرضيها، كان كمن شهدها حسن


Narrated Al-'Urs bin 'Amirat al-Kindi:

The Prophet (ﷺ) said: When sin is done in the earth, he who sees it and disapproves of it will be taken like one who was not present, but he who is not present and approves of it will be like him who sees.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. আদেশ ও নিষেধ সম্পর্কে

৪৩৪৬। আদী ইবনু আদী (রহঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে উপরে বর্ণিত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণিত। তাতে রয়েছেঃ যে ব্যক্তি অন্যায়ের স্থানে উপস্থিত হয়েও তা অপছন্দ করলো, সে অনুপস্থিতিতের মতোই।[1]

হাসান।

بَابُ الْأَمْرِ وَالنَّهْيِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنْ مُغِيرَةَ ابْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ عَدِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ، قَالَ: مَنْ شَهِدَهَا فَكَرِهَهَا كَانَ كَمَنْ غَابَ عَنْهَا

حسن

حدثنا احمد بن يونس، حدثنا ابو شهاب، عن مغيرة ابن زياد، عن عدي بن عدي، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه، قال: من شهدها فكرهها كان كمن غاب عنها حسن


A similar tradition has also been transmitted by ‘Adl from the prophet (ﷺ) though a different chain of narrators. This version has :
He who sees it and disapproves of it will be like him who was not present.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)

পরিচ্ছেদঃ ১৭. আদেশ ও নিষেধ সম্পর্কে

৪৩৪৭। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈক সাহাবী সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষের ব্যক্তিগত পাপাচার ব্যাপক না করা পর্যন্ত এবং তাদের কোনো ওজর পেশ করার সুযোগ থাকা পর্যন্ত তারা ধ্বংস হবে না।[1]

সহীহ।

بَابُ الْأَمْرِ وَالنَّهْيِ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَحَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالَا: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، وَهَذَا لَفْظُهُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَنْ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: وَقَالَ سُلَيْمَانُ: حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَنْ يَهْلَكَ النَّاسُ حَتَّى يَعْذِرُوا، أَوْ يُعْذِرُوا مِنْ أَنْفُسِهِمْ

صحيح

حدثنا سليمان بن حرب، وحفص بن عمر، قالا: حدثنا شعبة، وهذا لفظه، عن عمرو بن مرة، عن ابي البختري، قال: اخبرني من سمع النبي صلى الله عليه وسلم يقول: وقال سليمان: حدثني رجل من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: لن يهلك الناس حتى يعذروا، او يعذروا من انفسهم صحيح


A man from among the companions of the prophet (ﷺ) reported him as saying:
The people will not perish until their sins and faults become abundant, and there remains no excuse for them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩২/ যুদ্ধ-সংঘর্ষ (كتاب الملاحم) 32. Battles (Kitab Al-Malahim)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১২ পর্যন্ত, সর্বমোট ১২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে