পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৪০। হুযাইফাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে সেসবের বর্ণনা দিলেন। কেউ তা মনে রাখলো এবং কেউ তা ভুলে গেলো। আমার এসব সাথী তা অবহিত আছে যে, ঐ সবের কিছু ঘটলেই আমি তা এরূপ স্মরণ করতে পারি যেরূপ কেউ তার পরিচিত লোকের অনুপস্থিতিতে তার চেহারা স্মরণ রাখে। অতঃপর তাকে দেখা মাত্র চিনে ফেলে।[1]
সহীহ।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمًا، فَمَا تَرَكَ شَيْئًا يَكُونُ فِي مَقَامِهِ ذَلِكَ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ إِلَّا حَدَّثَهُ، حَفِظَهُ مَنْ حَفِظَهُ، وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ، قَدْ عَلِمَهُ أَصْحَابُهُ هَؤُلَاءِ، وَإِنَّهُ لَيَكُونُ مِنْهُ الشَّيْءُ، فَأَذْكُرُهُ كَمَا يَذْكُرُ الرَّجُلُ وَجْهَ الرَّجُلِ إِذَا غَابَ عَنْهُ، ثُمَّ إِذَا رَآهُ عَرَفَهُ
صحيح
Narrated Hudhaifa:
The Messenger of Allah (ﷺ) stood among us (to give us an address) and he left out nothing that would happen up to the last hour without telling of it. Some remembered it and some forgot, and these Companions of his have known it. When something of it which I have forgotten happens, I remembered it, just as a man remembers another's face when he is a away and recognizes him when he sees him.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৪১। হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামেন (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম! আমি জানি না আমার সাথীরা ভুলে গেছেন না কি জেনে শুনে ভুলে আছেন। আল্লাহর কসম! কিয়ামত পর্যন্ত ফিতনার সংখ্যা হবে তিন শতাধিক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের প্রত্যেকের নাম, পিতার নাম ও গোত্রের নাম আমাদেরকে অবহিত করেছেন।[1]
দুর্বলঃ মিশকাত হা/ ৫৩৯৩।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ فَرُّوخَ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، أَخْبَرَنِي ابْنٌ لِقَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ: وَاللَّهِ مَا أَدْرِي أَنَسِيَ أَصْحَابِي، أَمْ تَنَاسَوْا؟ وَاللَّهِ مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَائِدِ فِتْنَةٍ، إِلَى أَنْ تَنْقَضِيَ الدُّنْيَا، يَبْلُغُ مَنْ مَعَهُ ثَلَاثَ مِائَةٍ فَصَاعِدًا، إِلَّا قَدْ سَمَّاهُ لَنَا بِاسْمِهِ، وَاسْمِ أَبِيهِ، وَاسْمِ قَبِيلَتِهِ
ضعيف، المشكاة (٥٣٩٣)
Narrated Hudhayfah ibn al-Yaman:
I swear by Allah, I do not know whether my companions have forgotten or have pretended to forgot. I swear by Allah that the Messenger of Allah (ﷺ) did not omit a leader of a wrong belief (fitnah)--up to the end of the world--whose followers reach the number of three hundred and upwards but he mentioned to us his name, his father's name and the name of his tribe.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৪২। আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এই উম্মাতের মাঝে চারটি ফিতনা সংঘটিত হবে অতঃপর কিয়ামত হবে।[1]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/ ৪৮৩১।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ بَدْرِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَكُونُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ أَرْبَعُ فِتَنٍ فِي آخِرِهَا الْفَنَاءُ
ضعيف، الضعيفة (٤٨٣١)
Narrated Abdullah ibn Mas'ud:
The Prophet (ﷺ) said: four (majestic) trials (fitnahs) will take place among this community, and in their end there will be destruction.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৪৩। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসা ছিলাম। তিনি ফিতনা সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করলেন, এমন কি তিনি আহলাস ফিতনা সম্পর্কে বললেন। তখন একজন বললো, ’আহলাস’ ফিতনা কি? তিনি বললেন, পলায়ন ও লুটতরাজ। অতঃপর আসবে একটি ফিতনা, যা হবে আনন্দদায়ক, এর অন্ধকারাচ্ছন্ন ধুয়া বের হবে, আমার পরিবারের জনৈক ব্যক্তির দু’ পায়ের নীচ থেকে। সে ধারণা করবে যে, সে আমার অন্তর্ভুক্ত, অথচ সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ আমার বন্ধু হচ্ছে আল্লাহভীরু ব্যক্তিগণ। অতঃপর জনগণ এমন ব্যক্তির অধীনে একতাবদ্ধ হবে। সে যেন পাজরের উপর কোমরের হাড় সদৃশ।
অতঃপর তিনি ’দুহায়মা’ বা ঘন অন্ধকারময় ফিতনা প্রসঙ্গে বলেন, সেই ফিতনা এই উম্মাতের কোনো লোককেই একটি চপেটাঘাত না করে ছাড়বে না। অতঃপর যখন বলা হবে যে, তা শেষ হয়ে গেছে, তখনই তা আরো প্রসারিত হবে। এ সময়ে যে লোকটি সকালে মু’মিন ছিলো সন্ধ্যায় সে কাফির হয়ে যাবে। অবশেষে সব মানুষ দু’টি শিবিরে বিভক্ত হবে। একটি হবে ঈমানের শিবির, যেখানে মুনাফিকী থাকবে না। আর একটি হবে মুনাফিকীর শিবির, যেখানে ঈমান থাকবে না। যখন তোমাদের এ অবস্থা হবে, তখন দাজ্জালের আত্মপ্রকাশের অপেক্ষা করবে ঐ দিন বা তার পরের দিন থেকে।[1]
সহীহ।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَالِمٍ، حَدَّثَنِي الْعَلَاءُ بْنُ عُتْبَةَ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ هَانِئٍ الْعَنْسِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ: كُنَّا قُعُودًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ، فَذَكَرَ الْفِتَنَ فَأَكْثَرَ فِي ذِكْرِهَا حَتَّى ذَكَرَ فِتْنَةَ الْأَحْلَاسِ، فَقَالَ قَائِلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا فِتْنَةُ الْأَحْلَاسِ؟ قَالَ: هِيَ هَرَبٌ وَحَرْبٌ، ثُمَّ فِتْنَةُ السَّرَّاءِ، دَخَنُهَا مِنْ تَحْتِ قَدَمَيْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي يَزْعُمُ أَنَّهُ مِنِّي، وَلَيْسَ مِنِّي، وَإِنَّمَا أَوْلِيَائِي الْمُتَّقُونَ، ثُمَّ يَصْطَلِحُ النَّاسُ عَلَى رَجُلٍ كَوَرِكٍ عَلَى ضِلَعٍ، ثُمَّ فِتْنَةُ الدُّهَيْمَاءِ، لَا تَدَعُ أَحَدًا مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ إِلَّا لَطَمَتْهُ لَطْمَةً، فَإِذَا قِيلَ: انْقَضَتْ، تَمَادَتْ يُصْبِحُ الرَّجُلُ فِيهَا مُؤْمِنًا، وَيُمْسِي كَافِرًا، حَتَّى يَصِيرَ النَّاسُ إِلَى فُسْطَاطَيْنِ، فُسْطَاطِ إِيمَانٍ لَا نِفَاقَ فِيهِ، وَفُسْطَاطِ نِفَاقٍ لَا إِيمَانَ فِيهِ، فَإِذَا كَانَ ذَاكُمْ فَانْتَظِرُوا الدَّجَّالَ، مِنْ يَوْمِهِ، أَوْ مِنْ غَدِهِ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Umar:
When we were sitting with the Messenger of Allah (ﷺ), he talked about periods of trial (fitnahs), mentioning many of them.
When he mentioned the one when people should stay in their houses, some asked him: Messenger of Allah, what is the trial (fitnah) of staying at home?
He replied: It will be flight and plunder. Then will come a test which is pleasant. Its murkiness is due to the fact that it is produced by a man from the people of my house, who will assert that he belongs to me, whereas he does not, for my friends are only the God-fearing. Then the people will unite under a man who will be like a hip-bone on a rib. Then there will be the little black trial which will leave none of this community without giving him a slap, and when people say that it is finished, it will be extended. During it a man will be a believer in the morning and an infidel in the evening, so that the people will be in two camps: the camp of faith which will contain no hypocrisy, and the camp of hypocrisy which will contain no faith. When that happens, expect the Antichrist (Dajjal) that day or the next.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৪৪। সুবাই ইবনু খালিদ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, তুসতার বিজয় হওয়ার পর কিছু খচ্চর ক্রয় করার জন্য আমি কুফায় আসি। আমি একটি মসজিদে প্রবেশ করে কয়েকজন লোক দেখতে পেলাম এবং মাঝখানে জনৈক ব্যক্তি বসে আছেন। তুমি তাকে দেখেই চিনতে পারবে যে, তিনি হিজাজের অধিবাসী। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, তিনি কে? উপস্থিত জনতা আমার প্রতি অসন্তুষ্টের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন, তুমি কি তাঁকে চেনো না? তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামেন (রাঃ)।
অতঃপর হুযাইফাহ (রাঃ) বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কল্যাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করতো। আর আমি তাঁকে অকল্যাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করতাম। এ কথা শুনে জনতা তা অপছন্দ করতো। নিশ্চয়ই আমি প্রশ্ন করেছি, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি ধারণা করেন যে, মহান আল্লাহ যে কল্যাণ আমাদের দিয়েছেন, এর পরে কি কোনো অকল্যাণ আসবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
আমি বললাম, তাহলে তা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি? তিনি বললেন, তলোয়ার। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তারপর কি হবে? তিনি বললেনঃ পৃথিবীতে যদি আল্লাহর কোনো খলীফা থাকে, আর সে যদি তোমার পিঠে আঘাত করে এবং তোমার সম্পদ ছিনিয়ে নেয়, তবুও তার আনুগত্য করো, অন্যথায় তুমি বৃক্ষের কান্ড সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে মৃত্যু বরণ করো। আমি বললাম, তারপর কি হবে?
তিনি বললেন, তারপর আগুন ও পানির নহর নিয়ে দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে। যে ব্যক্তি তার আগুনে পতিত হবে, সে তার প্রতিদান অবশ্যই পাবে এবং তার গুনাহ মাফ করা হবে। আর যে তার নহরে পতিত হবে, তার অপরাধের শাস্তি অবধারিত হবে এবং সওয়াব বরবাদ হবে। তিনি বলেন, আমি বললাম, তারপর কি হবে? তিনি বললেনঃ অতঃপর কিয়ামত সংঘটিত হবে।[1]
হাসান।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ سُبَيْعِ بْنِ خَالِدٍ، قَالَ: أَتَيْتُ الْكُوفَةَ فِي زَمَنِ فُتِحَتْ تُسْتَرُ، أَجْلُبُ مِنْهَا بِغَالًا، فَدَخَلْتُ الْمَسْجِدَ، فَإِذَا صَدْعٌ مِنَ الرِّجَالِ، وَإِذَا رَجُلٌ جَالِسٌ تَعْرِفُ إِذَا رَأَيْتَهُ أَنَّهُ مِنْ رِجَالِ أَهْلِ الْحِجَازِ، قَالَ: قُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ فَتَجَهَّمَنِي الْقَوْمُ، وَقَالُوا: أَمَا تَعْرِفُ هَذَا؟ هَذَا حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ حُذَيْفَةُ: إِنَّ النَّاسَ كَانُوا يَسْأَلُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْخَيْرِ، وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنِ الشَّرِّ، فَأَحْدَقَهُ الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ، فَقَالَ: إِنِّي أَرَى الَّذِي تُنْكِرُونَ، إِنِّي قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ هَذَا الْخَيْرَ الَّذِي أَعْطَانَا اللَّهُ، أَيَكُونُ بَعْدَهُ شَرٌّ كَمَا كَانَ قَبْلَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ قُلْتُ: فَمَا الْعِصْمَةُ مِنْ ذَلِكَ؟ قَالَ: السَّيْفُ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ثُمَّ مَاذَا يَكُونُ؟ قَالَ: إِنْ كَانَ لِلَّهِ خَلِيفَةٌ فِي الْأَرْضِ فَضَرَبَ ظَهْرَكَ، وَأَخَذَ مَالَكَ، فَأَطِعْهُ، وَإِلَّا فَمُتْ، وَأَنْتَ عَاضٌّ بِجِذْلِ شَجَرَةٍ، قُلْتُ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: ثُمَّ يَخْرُجُ الدَّجَّالُ مَعَهُ نَهْرٌ وَنَارٌ، فَمَنْ وَقَعَ فِي نَارِهِ، وَجَبَ أَجْرُهُ، وَحُطَّ وِزْرُهُ، وَمَنْ وَقَعَ فِي نَهْرِهِ، وَجَبَ وِزْرُهُ، وَحُطَّ أَجْرُهُ، قَالَ: قُلْتُ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: ثُمَّ هِيَ قِيَامُ السَّاعَةِ
حسن
Narrated Hudhayfah ibn al-Yaman:
Subay' ibn Khalid said: I came to Kufah at the time when Tustar was conquered. I took some mules from it. When I entered the mosque (of Kufah), I found there some people of moderate stature, and among them was a man whom you could recognize when you saw him that he was from the people of Hijaz.
I asked: Who is he? The people frowned at me and said: Do you not recognize him? This is Hudhayfah ibn al-Yaman, the companion of the Messenger of Allah (ﷺ).
Then Hudhayfah said: People used to ask the Messenger of Allah (ﷺ) about good, and I used to ask him about evil. Then the people stared hard at him.
He said: I know the reason why you dislike it. I then asked: Messenger of Allah, will there be evil as there was before, after this good which Allah has bestowed on us?
He replied: Yes. I asked: Wherein does the protection from it lie? He replied: In the sword. I asked: Messenger of Allah, what will then happen?
He replied: If Allah has on Earth a caliph who flays your back and takes your property, obey him, otherwise die holding onto the stump of a tree.
I asked: What will come next? He replied: Then the Antichrist (Dajjal) will come forth accompanied by a river and fire. He who falls into his fire will certainly receive his reward, and have his load taken off him, but he who falls into his river will have his load retained and his reward taken off him.
I then asked: What will come next? He said: The Last Hour will come.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৪৫। খালিদ ইবনু খালিদ আল-ইয়াশকুরী (রহঃ) সূত্রে উপরের বর্ণিত হাদীসে হুযাইফাহ (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম তরবারির পরে কি হবে? তিনি বলেন, মানুষ আবর্জনা বা ফিতনায় মগ্ন থাকবে এবং ষড়যন্ত্রমূলক সন্ধি করবে। অতঃপর অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, কাতাদাহ একথার দ্বারা আবূ বকরের যুগের মুরতাদদের ফিতনাকেই বুঝাতেন। আর তিনি أَقْذَاءٍ অর্থ বলতেন, قَذى অর্থ কলঙ্কهُدْنَةٌ সাময়িক যুদ্ধবিরতি।دَخَنٍ বিদ্বেষ, অপকারেচ্ছা।[1]
হাসান।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ خَالِدٍ الْيَشْكُرِيِّ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ: قُلْتُ: بَعْدَ السَّيْفِ، قَالَ: بَقِيَّةٌ عَلَى أَقْذَاءٍ، وَهُدْنَةٌ عَلَى دَخَنٍ ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ، قَالَ: وَكَانَ قَتَادَةُ يَضَعُهُ عَلَى الرِّدَّةِ الَّتِي فِي زَمَنِ أَبِي بَكْرٍ، عَلَى أَقْذَاءٍ، يَقُولُ: قَذًى وَهُدْنَةٌ " يَقُولُ: صُلْحٌ، عَلَى دَخَنٍ عَلَى ضَغَائِنَ
حسن
The traditions mentioned above has also been transmitted by Khalid b. Khalid al-Yashkuri through different chain of narrators. This version has:
I (Hudhaifah) asked : Will any be spared after the use of the sword ? He replied: There will be remnant with specks in its eye and an illusory truce. He then transmitted the rest of the tradition. Qatadah applied this to the apostasy during the Caliphate of Abu Bakr.
The word aqdha' (sing. qadhan) means specks, hudnah means truce and dakhan means malice.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৪৬। নাসর ইবনু আসিম আল-লাইসী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা লাইস গোত্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আল-ইয়াশকুরীর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বললেন, আপনারা কোন গোত্রের লোক? আমরা বললাম, আমরা লাইস গোত্রের, আপনার নিকট হুযাইফাহ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস জানার জন্য এসেছি। অতএব তিনি সেই হাদীস বর্ণনা করেন। হুযাইফাহ বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এই কল্যাণময় পরিবেশের পর কি অকল্যাণ আসবে? তিনি বললেন, ফিতনা আসবে। তিনি বললেন, হে হুযাইফাহ! তুমি আল্লাহর কিতাব পড়ো এবং তাতে যা আছে তার অনুসরণ করো। একথা তিনি তিনবার বলেন।
হুযাইফাহ বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! এই অকল্যাণের পর আবার কল্যাণ আসবে কি? তিনি বললেন, খিয়ানাত ও মুনাফিকীর সঙ্গে সন্ধি করা হবে, আর কপট একটি দল হবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! খিয়ানাতের সঙ্গে সন্ধি বলতে কি বুঝায়? তিনি বললেন, মানুষের অন্তরে যেরূপ ছিলো, সে অবস্থায় আর ফিরে যাবে না। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কল্যাণকর অবস্থার পর কি অকল্যাণ ফিরে আসবে? তিনি বললেন, অন্ধকারাচ্ছন্ন ফিতনা সৃষ্টি হবে, আর সেই সময় ভ্রান্ত ’আকিদাহ-বিশ্বাসের উপর (জাহান্নামের) আগুনের দিকে একদল লোক আহবান করবে। হে হুযাইফাহ! তখন তুমি যদি বৃক্ষমূল আকড়ে ধরে মরে যেতে পারো তবে তা তোমার জন্য তাদের কাউকে অনুসরণ করার চাইতে উত্তম হবে।[1]
হাসান।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ اللَّيْثِيِّ قَالَ: أَتَيْنَا الْيَشْكُرِيَّ فِي رَهْطٍ مِنْ بَنِي لَيْثٍ، فَقَالَ: مَنِ الْقَوْمُ؟ قُلْنَا: بَنُو لَيْثٍ، أَتَيْنَاكَ نَسْأَلُكَ عَنْ حَدِيثِ حُذَيْفَةَ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ شَرٌّ؟ قَالَ: فِتْنَةٌ وَشَرٌّ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلْ بَعْدَ هَذَا الشَّرِّ خَيْرٌ؟ قَالَ: يَا حُذَيْفَةُ، تَعَلَّمْ كِتَابَ اللَّهِ وَاتَّبِعْ مَا فِيهِ ثَلَاثَ مِرَارٍ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلْ بَعْدَ هَذَا الشَّرِّ خَيْرٌ؟ قَالَ: هُدْنَةٌ عَلَى دَخَنٍ، وَجَمَاعَةٌ عَلَى أَقْذَاءٍ، فِيهَا أَوْ فِيهِمْ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الْهُدْنَةُ عَلَى الدَّخَنِ مَا هِيَ؟ قَالَ: لَا تَرْجِعُ قُلُوبُ أَقْوَامٍ عَلَى الَّذِي كَانَتْ عَلَيْهِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَبَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ شَرٌّ؟ قَالَ: فِتْنَةٌ عَمْيَاءُ، صَمَّاءُ، عَلَيْهَا دُعَاةٌ عَلَى أَبْوَابِ النَّارِ، فَإِنْ تَمُتْ يَا حُذَيْفَةُ وَأَنْتَ عَاضٌّ عَلَى جِذْلٍ، خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ تَتَّبِعَ أَحَدًا مِنْهُمْ
حسن
Narrated Hudhayfah:
The tradition mentioned above (No. 4232) has also been transmitted through a different chain of narrators by Nasr ibn Asim al-Laythi who said: We came to al-Yashkuri with a group of the people of Banu Layth.
He asked: Who are these people? We replied: Banu Layth. We have come to you to ask you about the tradition of Hudhayfah. He then mentioned the tradition and said: I asked: Messenger of Allah, will there be evil after this good?
He replied: There will be trial (fitnah) and evil. I asked: Messenger of Allah, will there be good after this evil? He replied: Learn the Book of Allah, Hudhayfah, and adhere to its contents. He said it three times.
I asked: Messenger of Allah, will there be good after this evil? He replied: An illusory truce and a community with specks in its eye. I asked: Messenger of Allah, what do you mean by an illusory community?
He replied: The hearts of the people will not return to their former condition. I asked: Messenger of Allah, will there be evil after this good? He replied: There will be wrong belief which will blind and deafen men to the truth in which there will be summoners at the gates of Hell. If you, Hudhayfah, die adhering to a stump, it will be better for you than following any of them.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৪৭। হুযাইফাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি যদি তখন কোনো খলীফাহ (শাসক) না পাও, তবে তুমি মরে যাওয়া পর্যন্ত পলায়ন করতে থাকো। অতঃপর তুমি যদি কোনো বৃক্ষমূল শক্তভাবে আকড়ে ধরে মরে যেতে পারো...। তিনি হাদীসের শেষাংশে বলেন, আমি বললাম, এরপর কি হবে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন. কেউ যদি তখন ঘোড়ার বাচ্চা প্রসব করাতে যায় তবে তাপ্রসব করার পূর্বেই কিয়ামত সংঘটিত হয়ে যাবে।[1]
হাসান।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبُو التَّيَّاحِ، عَنْ صَخْرِ بْنِ بَدْرِ الْعِجْلِيِّ، عَنْ سُبَيْعِ بْنِ خَالِدٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ، عَنْ حُذَيْفَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَإِنْ لَمْ تَجِدْ يَوْمَئِذٍ خَلِيفَةً فَاهْرُبْ حَتَّى تَمُوتَ، فَإِنْ تَمُتْ وَأَنْتَ عَاضٌّ وَقَالَ فِي آخِرِهِ: قَالَ: قُلْتُ: فَمَا يَكُونُ بَعْدَ ذَلِكَ؟ قَالَ: لَوْ أَنَّ رَجُلًا نَتَجَ فَرَسًا، لَمْ تُنْتَجْ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ
حسن
The tradition mentioned above has also been transmitted by Hudhaifah through a different chain of narrators from the Prophet (ﷺ). This version says:
He said: If you do not find a caliph in those days, then flee away until you die, even of you die holding on (to a stump of a tree). I asked: What will come next ? He replied: If a man wants the mare to bring forth a foal, it will not deliver in till the Last Hour comes.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৪৮। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি একজন ইমামের হাতে হাত রেখে অন্তর থেকে তার আনুগত্যের শপথ করে, তাতে যথাসাধ্য তার আনুগত্য করা কর্তব্য। যদি অপর কোনো ব্যক্তি এসে ঐ ইমামের সাথে বিবাদ করে তবে তোমরা তার ঘাড়ে আঘাত করো। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, একথা কি আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছ থেকে সরাসরি শুনেছেন? তিনি বললেন, আমার দু’টি কান তা শুনেছে এবং আমার অন্তর তা স্মরণ রেখেছে। আমি বললাম, এই যে তিনি আপনার চাচাতো ভাই মুআবিয়াহ, তিনি আমাদেরকে এই এই কাজ করার আদেশ করেন। তিনি বললেন, আল্লাহর আনুগত্যে তোমরা তার আনুগত্য করো আর আল্লাহ নাফরমানীতে তার অবাধ্যচারণ করো।[1]
সহীহ।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ رَبِّ الْكَعْبَةِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ بَايَعَ إِمَامًا، فَأَعْطَاهُ صَفْقَةَ يَدِهِ، وَثَمَرَةَ قَلْبِهِ، فَلْيُطِعْهُ مَا اسْتَطَاعَ، فَإِنْ جَاءَ آخَرُ يُنَازِعُهُ، فَاضْرِبُوا رَقَبَةَ الْآخَرِ قُلْتُ: أَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: سَمِعَتْهُ أُذُنَايَ، وَوَعَاهُ قَلْبِي، قُلْتُ: هَذَا ابْنُ عَمِّكَ مُعَاوِيَةُ يَأْمُرُنَا أَنْ نَفْعَلَ وَنَفْعَلَ، قَالَ: أَطِعْهُ فِي طَاعَةِ اللَّهِ، وَاعْصِهِ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ
صحيح
Narrated Abdullah b. 'Amr:
The Prophet (ﷺ) as saying: If a man takes an oath of allegiance to a leader, and puts his hand on his hand and does it with the sincerity of his heart, he should obey him as much as possible. If another man comes and contests him, then behead the other one. The narrator 'Abd al-Rahman said: I asked: Have you heard this from the Messenger of Allah ? He said: My ears heard it and my heart retained it. I said: Your cousin Mu'awiyah orders us that we should do this and do that. He replied: Obey him in the acts of obedience to Allah, and disobey him in the acts of disobedience to Allah.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৪৯। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আরববাসীদের জন্য আফসোস! কেননা তাদের উপর অকল্যাণ ঘনিয়ে এসেছে। যে ব্যক্তি তা থেকে হাত গুটিয়ে রাখবে, সে সফল হবে।[1]
সহীহ।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ، أَفْلَحَ مَنْ كَفَّ يَدَهُ
صحيح
Narrated Abu Hurairah:
The Prophet (ﷺ) as saying: Woe to Arabs because of evil which has drawn near! He will escape who restrains his hand.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৫০। ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অচিরেই মুসলিমদেরকে মদীনাতে অবরোধ করা হবে, এমন কি তাদের দূরতম যুদ্ধক্ষেত্র হবে ’সালাহ।’[1]
সহীহ।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حُدِّثْتُ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُوشِكُ الْمُسْلِمُونَ أَنْ يُحَاصَرُوا إِلَى الْمَدِينَةِ، حَتَّى يَكُونَ أَبْعَدَ مَسَالِحِهِمْ سَلَاحِ
صحيح
Abu Dawud said:
Ibn 'Umar reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying: The Muslims will soon be besieged up to Medina, so that their most distant frontier outpost will be Salah.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৫১। ইমাম যুহরী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালাহ হলো খায়বারের নিকটবর্তী একটি স্থান।
সনদ সহীহ মাকতূ।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَنْبَسَةَ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: وَسَلَاحِ قَرِيبٌ مِنْ خَيْبَرَ
صحيح الإسناد مقطوع
Al-Zuhri said:
Salah is near Khaibar.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৫২। সাওবান (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ (অথবা) আমার রব পৃথিবীকে আমার জন্য সংকুচিত করে দিয়েছেন এবং আমাকে এর পূর্ব ও পশ্চিম সীমানা দেখানো হয়েছে। আর যুতটুকু আমার জন্য সংকুচিত করা হয়েছে, ততটুকুতে অচিরেই আমার উম্মাতের রাজত্ব বিস্তার লাভ করবে। আমাকে লাল ও সাদা (স্বর্ণ ও রূপার) দু’টি ধনভান্ডার দেয়া হয়েছে। আর আমি আমার মহান প্রতিপালকের নিকট আমার উম্মাতের জন্য এই কথার আবেদন করছি যে, তিনি তাদের সবাইকে যেন দুর্ভিক্ষে ধ্বংস না করেন এবং তাদের নিজেদের ব্যতীত কোনো শত্রু যেন তাদের উপর কর্তৃত্ব করতে না পারে যারা তাদের ধ্বংস করে দিবে।
নিশ্চয়ই আমার রব আমাকে বলেছেন, হে মুহাম্মাদ! আমি যা ফায়সালা করি, তা বাতিল হয় না। তবে আমি তাদের সবাইকে একসঙ্গে দুর্ভিক্ষে ধ্বংস করবো না এবং তাদের নিজেদের ছাড়া দিকবিদিক থেকে আগত তাদের সমূলে বিনাশকারী বিধর্মী শত্রুকে তাদের উপর কর্তৃত্ব করতে দিবো না, তবে তাদের কতক অপরদের ধ্বংস করবে এবং কতক অপরাধে বন্দী করবে।
আর আমি আমার উম্মাতের পথভ্রষ্ট নেতাদের ব্যাপারে শঙ্কিত। আমার উম্মত যখন পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হবে, তখন কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তারা বিরত হবে না। আর আমার উম্মাতের কিছু সংখ্যক মুশরিকদের সঙ্গে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত এবং আমার উম্মাতের কতিপয় গোত্র মূর্তি পূজায় লিপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না। অবিলম্বে আমার উম্মাতের মধ্যে ত্রিশজন মিথ্যাবাদীর আবির্ভাব ঘটবে, তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নবী বলে দাবী করবে। অথচ আমিই সর্বশেষ নবী এবং আমার পরে আর কোনো নবী আসবে না। তবে আমার উম্মাতের একটি দল সর্বদা সত্যের উপর অটল থাকবে। যারা তাদের বিরোধিতা করবে, তারা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না, এমন কি এ অবস্থায় আল্লাহর নির্দেশ (কিয়ামত) এসে যাবে।[1]
সহীহ।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، قَالَا: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِي الْأَرْضَ - أَوْ قَالَ: إِنَّ رَبِّي زَوَى لِي الْأَرْضَ، فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا، وَإِنَّ مُلْكَ أُمَّتِي سَيَبْلُغُ مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا، وَأُعْطِيتُ الْكَنْزَيْنِ الْأَحْمَرَ وَالْأَبْيَضَ، وَإِنِّي سَأَلْتُ رَبِّي لِأُمَّتِي أَنْ لَا يُهْلِكَهَا بِسَنَةٍ بِعَامَّةٍ، وَلَا يُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ، فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ، وَإِنَّ رَبِّي قَالَ لِي: يَا مُحَمَّدُ، إِنِّي إِذَا قَضَيْتُ قَضَاءً، فَإِنَّهُ لَا يُرَدُّ، وَلَا أُهْلِكُهُمْ بِسَنَةٍ بِعَامَّةٍ، وَلَا أُسَلِّطُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ، فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ، وَلَوِ اجْتَمَعَ عَلَيْهِمْ مِنْ بَيْنِ أَقْطَارِهَا - أَوْ قَالَ بِأَقْطَارِهَا - حَتَّى يَكُونَ بَعْضُهُمْ يُهْلِكُ بَعْضًا، وَحَتَّى يَكُونَ بَعْضُهُمْ يَسْبِي بَعْضًا، وَإِنَّمَا أَخَافُ عَلَى أُمَّتِي الْأَئِمَّةَ الْمُضِلِّينَ، وَإِذَا وُضِعَ السَّيْفُ فِي أُمَّتِي لَمْ يُرْفَعْ عَنْهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَلَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَلْحَقَ قَبَائِلُ مِنْ أُمَّتِي بِالْمُشْرِكِينَ، وَحَتَّى تَعْبُدَ قَبَائِلُ مِنْ أُمَّتِي الْأَوْثَانَ، وَإِنَّهُ سَيَكُونُ فِي أُمَّتِي كَذَّابُونَ ثَلَاثُونَ، كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ لَا نَبِيَّ بَعْدِي، وَلَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي عَلَى الْحَقِّ - قَالَ ابْنُ عِيسَى: ظَاهِرِينَ ثُمَّ اتَّفَقَا - لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَالَفَهُمْ، حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ
صحيح
Narrated Thawban:
The Messenger of Allah (ﷺ) as saying: Allah, the Exalted, folded for me the earth, or he said (the narrator is doubtful): My Lord folded for me the earth, so much so that I saw its easts and wests (i.e. the extremities). The kingdom of my community will reach as far as the earth was floded for me. The two treasures, the red and the white, were bestowed on me. I prayed to my Lord that He may not destroy my community by prevailing famine, and not give their control to an enemy who annihilates then en masse except from among themselves. My Lord said to me: Muhammad, If I make a decision, it is not withdrawn ; and I shall not destroy them by prevailing famine, and I shall not give their control to an enemy, except from among themselves, who exterminates them en masse, even if they are stormed from all sides of the earth ; only a section of them will destroy another section, and a section will captive another section. I am afraid about my community of those leaders who will lead astray. When the sword is used among my people, it will not be withdrawn from them till the Day of Resurrection, and the Last Hour will not come before the tribes of my people attach themselves to the polytheists and tribes of my people worship idols. There will be among my people thirty great liars each of them asserting that he is (Allah's) prophet, where as I am the seal of the Prophet s after whom (me) there will be no prophet ; and a section of my people will continue to hold to the truth - (according to the Ibn Isa's version: (will continue to dominate) - the agreed version goes: "and will not be injured by those who oppose them, till Allah's command comes."
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৫৩। আবূ মালিক আল-আশ’আরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন., রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে তিনটি বিপদ থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তা হলো (১) তোমাদের নবী তোমাদের অভিশাপ দিবেন না, অন্যথায় তোমরা সকলেই ধ্বংস হয়ে যেতে। (২) বাতিলপন্থী কখনো সত্যপন্থীদের উপর বিজয়ী হবে না এবং (৩) তোমরা সকলে এক সাথে পথভ্রষ্ট হবে না।[1]
দুর্বল, কিন্তু তৃতীয় বাক্যটি সহীহ। যঈফাহ হা/ ১৫১০, সহীহাহ হা/ ১৩৩১।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ ابْنُ عَوْفٍ: وَقَرَأْتُ فِي أَصْلِ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنِي ضَمْضَمٌ، عَنْ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ يَعْنِي الْأَشْعَرِيَّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ أَجَارَكُمْ مِنْ ثَلَاثِ خِلَالٍ: أَنْ لَا يَدْعُوَ عَلَيْكُمْ نَبِيُّكُمْ فَتَهْلَكُوا جَمِيعًا، وَأَنْ لَا يَظْهَرَ أَهْلُ الْبَاطِلِ عَلَى أَهْلِ الْحَقِّ، وَأَنْ لَا تَجْتَمِعُوا عَلَى ضَلَالَةٍ
ضعيف، لكن الجملة الثالثة صحيحة، الضعيفة (١٥١٠)، الصحيحة (١٣٣١)
Narrated AbuMalik al-Ash'ari:
The Prophet (ﷺ) said: Allah has protected you from three things: that your Prophet should not invoke a curse on you and should all perish, that those who follow what is false should not prevail over those who follow the truth, and that you should not all agree in an error.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৫৪। আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইসলামের চাকা (হুকুমাত) পয়ত্রিশ, ছত্রিশ বা সাইত্রিশ বছর চালু থাকবে। এ সময়ে তারা ধ্বংস হলে তাদের পথ হবে তাদের পূর্ববর্তীদের মতো। আর এ সময় যদি তাদের দীন প্রতিষ্ঠিত থাকে তবে সত্তর বছর পর্যন্ত তা প্রতিষ্ঠিত থাকবে। তিনি বলেন, আমি বললাম, এর গণনা কি অতীত থেকে না এখন থেকে শুরু হবে? তিনি বললেন, অতীত থেকে শুরু হবে।[1]
সহীহ।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ نَاجِيَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: تَدُورُ رَحَى الْإِسْلَامِ لِخَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ، فَإِنْ يَهْلَكُوا فَسَبِيلُ مَنْ هَلَكَ، وَإِنْ يَقُمْ لَهُمْ دِينُهُمْ، يَقُمْ لَهُمْ سَبْعِينَ عَامًا، قَالَ: قُلْتُ: أَمِمَّا بَقِيَ أَوْ مِمَّا مَضَى؟ قَالَ: مِمَّا مَضَى قَالَ أَبُو دَاوُدَ: مَنْ قَالَ خِرَاشٍ فَقَدْ أَخْطَأَ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Mas'ud:
The Prophet (ﷺ) said: The mill of Islam will go round till the year thirty-five, or thirty-six, or thirty-seven; then if they perish, they will have followed the path of those who perished before them, but if their religion is maintained, it will be maintained for seventy years. I asked: Does it mean seventy years which remain or seventy years which are gone by? He replied: It means (seventy years) that are gone by.
Abu Dawud said: Those who recorded Khirash, the name of a narrator, are wrong. (The correct name is Hirash)
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও তার নির্দশনাবলীর বর্ণনা
৪২৫৫। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সময় ছোট হয়ে আসবে, দীনি জ্ঞান হ্রাস পাবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে, কৃপণতা মানুষের অন্তর দখল করবে, হারাজ বেড়ে যাবে। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! ’হারাজ’ কি? তিনি বলেন, গণহত্যা।[1]
সহীহ।
بَابُ ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلَائِلِهَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَتَقَارَبُ الزَّمَانُ، وَيَنْقُصُ الْعِلْمُ، وَتَظْهَرُ الْفِتَنُ، وَيُلْقَى الشُّحُّ، وَيَكْثُرُ الْهَرْجُ، قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيَّةُ هُوَ؟ قَالَ: الْقَتْلُ، الْقَتْلُ
صحيح
Narrated Abu Hurairah :
The Messenger of Allah (ﷺ) as saying: The time will become short, knowledge will be decreased, civil strife (fitan) will appear, niggardliness will be case into people's heart, and harj will be prevalent. He was asked: Messenger of Allah! what is it: He replied: Slaughter, slaughter.