পরিচ্ছেদঃ ৫. মেহমানদারী সম্পর্কে
৩৭৪৮। আবূ শুরাইহ আল কা’বি (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে। উত্তমরূপে মেহমানদারীর সীমা একদিন এক রাত। মেহমানদারী তিনদিন। এরপর অতিরিক্ত দিনগুলোর মেহমানদারী সাদাকাহ হিসেবে গণ্য। তিনদিন পর আপ্যায়নকারীর বাড়ীতে তার বিনা অনুমতিতে মেহমানদের অবস্থান করা উচিত নয়। এতে সে বিরক্ত হতে পারে।
মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ ’জাইযাহ’ একদিন ও এক রাত- এর অর্থ কি? তিনি বলেন, কথাটির অর্থ হলো, মেহমানকে সম্মান প্রদর্শন, উপহার প্রদান ও তার নিরাপত্তা বিধান করা একদিন ও এক রাত। আর আতিথ্য প্রদান হচ্ছে তিনদিন।[1]
আবূ সুরাইহ বর্ণিত হাদীসটি সহীহ। মালিক ইবনু আনাসের বর্ণিত সনদ সহীহ মাকতূ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الضِّيَافَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْكَعْبِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ، جَائِزَتُهُ يَوْمُهُ وَلَيْلَتُهُ، الضِّيَافَةُ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَمَا بَعْدَ ذَلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ، وَلَا يَحِلُّ لَهُ أَنْ يَثْوِيَ عِنْدَهُ حَتَّى يُحْرِجَهُ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: قُرِئَ عَلَى الْحَارِثِ بْنِ مِسْكِينٍ وَأَنَا شَاهِدٌ أَخْبَرَكُمْ أَشْهَبُ قَالَ: وَسُئِلَ مَالِكٌ عَنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَائِزَتُهُ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ قَالَ: يُكْرِمُهُ وَيُتْحِفُهُ، وَيَحْفَظُهُ، يَوْمًا وَلَيْلَةً، وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ ضِيَافَةً
(حديث أبي شريح) صحيح، (ما روي عن مالك بن أنس) صحيح الإسناد مقطوع
Abu Shuraih al-Ka’bi reported the Messenger of Allah(ﷺ) as sayings:
He who believes in Allah and the Last Day should honour his guest provisions for the road are what will serve for a day and night: hospitality extends for three days; what goes after that is sadaqah(charity): and it is not allowable that a guest should stay till he makes himself an encumbrance.
Abu Dawud said: Malik was asked about the saying of the Prophet: "Provisions for the road what will serve for a day a night." He said: He should honor him, present him some gift, and protect him for a day and night, and hospitality for three days.
পরিচ্ছেদঃ ৫. মেহমানদারী সম্পর্কে
৩৭৪৯। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মেহমানদারীর সীমা তিনদিন। এর অতিরিক্ত দিনের আতিথ্য প্রদান সাদাকাহ হিসেবে গণ্য।[1]
সনদ হাসান সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الضِّيَافَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوبٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الضِّيَافَةُ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ، فَمَا سِوَى ذَلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ
حسن صحيح الإسناد
Narrated AbuHurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: Hospitality extend for three days, and what goes beyond that is sadaqah (charity).
পরিচ্ছেদঃ ৫. মেহমানদারী সম্পর্কে
৩৭৫০। আবূ কারীম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক রাত মেহমানদারী করা মুসলিমের কর্তব্য। যার আঙ্গিনায় মেহমান নামে, একদিন মেহমানদারী করা তার উপর ঋণ পরিশোধের সমান। সে ইচ্ছা করলে তার এ ঋণ ত্যাগ পরিশোধ করবে বা ত্যাগ করবে।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الضِّيَافَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ أَبِي كَرِيمَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْلَةُ الضَّيْفِ حَقٌّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ، فَمَنْ أَصْبَحَ بِفِنَائِهِ فَهُوَ عَلَيْهِ دَيْنٌ، إِنْ شَاءَ اقْتَضَى وَإِنْ شَاءَ تَرَكَ
صحيح
Narrated AbuKarimah:
The Prophet (ﷺ) said: It is a duty of every Muslim (to provide hospitality) to a guest for a night. If anyone comes in the morning to his house, it is a debt due to him. If he wishes, he may fulfil it, and if he wishes he may leave it.
পরিচ্ছেদঃ ৫. মেহমানদারী সম্পর্কে
৩৭৫১। আল মিকদাম আবূ কারিমাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের নিকট মেহমান হয়ে এলো, (অথচ) বঞ্চিত অবস্থায় তার সকাল হলো, তাকে সাহায্য করা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য। তাদের খাদ্য ও মাল থেকে সে তার রাতের মেহমানদারীর পরিমাণ আদায় করে নিতে পারে।[1]
দুর্বলঃ মিশকাত (৪২৪৭)।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الضِّيَافَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو الْجُودِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ، عَنِ الْمِقْدَامِ أَبِي كَرِيمَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّمَا رَجُلٍ أَضَافَ قَوْمًا، فَأَصْبَحَ الضَّيْفُ مَحْرُومًا، فَإِنَّ نَصْرَهُ حَقٌّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ، حَتَّى يَأْخُذَ بِقِرَى لَيْلَةٍ مِنْ زَرْعِهِ وَمَالِهِ
ضعيف، المشكاة (٤٢٤٧)
Narrated Al-Miqdam AbuKarimah:
The Prophet (ﷺ) said: If any Muslim is a guest of people and is given nothing, it is the duty of every Muslim to help him to the extent of taking for him from their crop and property for the entertainment of one night.
পরিচ্ছেদঃ ৫. মেহমানদারী সম্পর্কে
৩৭৫২। উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদেরকে বাইরে প্রেরণ করে থাকেন। আমরা কোনো জনপদে গিয়ে যাত্রা বিরতি করি। তারা আমাদের মেহমানদারী করে না। এ বিষয়ে আপনি কি বলেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বললেনঃ তোমরা যদি কোনো সম্প্রদায়ের নিকট অবতরণ করার পর তারা নিজেদের সামর্থ্য মোতাবেক তোমাদের আপ্যায়ন করে তবে তোমরা তা গ্রহণ করো। যদি তারা তা না করে, তবে তাদের কাছ থেকে তাদের সামর্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে মেহমানের অধিকার আদায় করবে।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الضِّيَافَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّهُ قَالَ: قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّكَ تَبْعَثُنَا فَنَنْزِلُ بِقَوْمٍ فَمَا يَقْرُونَنَا، فَمَا تَرَى؟ فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ نَزَلْتُمْ بِقَوْمٍ فَأَمَرُوا لَكُمْ بِمَا يَنْبَغِي لِلضَّيْفِ فَاقْبَلُوا، فَإِنْ لَمْ يَفْعَلُوا فَخُذُوا مِنْهُمْ حَقَّ الضَّيْفِ الَّذِي يَنْبَغِي لَهُمْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهَذِهِ حُجَّةٌ لِلرَّجُلِ يَأْخُذُ الشَّيْءَ إِذَا كَانَ لَهُ حَقًّا
صحيح
‘Uqbah b. ‘Amir said:
we said: Messenger of Allah! You send us out and we come to people who do not give hospitality, so what is your opinion? The Messenger of Allah(ﷺ) said: If you come to people who order for you what is fitting for a guest, accept it; but if they do not, take from them what is fitting for them to give to a guest.
Abu Dawud said: And this is an authority for a man to take a thing if it is due to him.