পরিচ্ছেদঃ ৮১. ই‘তিকাফকারীর রোগী দেখতে যাওয়া
২৪৭২। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই’তিকাফরত অবস্থায় রোগীর কাছে যেতেন এবং তাকে দেখেই চলে যেতেন, সেখানে (অবস্থান করে) তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতেন না। ইবনু ঈসা (রহ.)-এর বর্ণনায় রয়েছেঃ ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই’তিকাফ অবস্থায় রোগী দেখতে যেতেন।[1]
দুর্বলঃ মিশকাত (২১০৫)।
بَابُ الْمُعْتَكِفِ يَعُودُ الْمَرِيضَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَ النُّفَيْلِيُّ - قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمُرُّ بِالْمَرِيضِ، وَهُوَ مُعْتَكِفٌ، فَيَمُرُّ كَمَا هُوَ، وَلَا يُعَرِّجُ يَسْأَلُ عَنْهُ، وَقَالَ ابْنُ عِيسَى: قَالَتْ: إِنْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُ الْمَرِيضَ وَهُوَ مُعْتَكِفٌ
ضعيف // المشكاة (٢١٠٥)
According to the version of Al Nufaili, A’ishah said “The Prophet (ﷺ) used to pass by a patient while he was observing I’tikaf(in the mosque) but he passed as usual and did not stay asking about him.”
According to the version of Ibn Isa she said “The Prophet (ﷺ) would visit a patient while he was observing I’tikaf.”
পরিচ্ছেদঃ ৮১. ই‘তিকাফকারীর রোগী দেখতে যাওয়া
২৪৭৩। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ই’তিকাফকারীর জন্য সুন্নাত হলোঃ সে কোনো রোগী দেখতে যাবে না, জানাযায় অংশগ্রহণ করবে না, স্ত্রীকে স্পর্শ করবে না, তার সাথে সহবাস করবে না এবং অধিক প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবে না, সওম না রেখে ই’তিকাফ করবে না এবং জামে মসজিদে ই’তিকাফ করবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, ’ঊল্লিখিত বিষয়গুলোকে ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সুন্নাত বলেছেন’ একথাটি আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক ব্যতীত অন্য কেউ বলেননি। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, তিনি একে ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর উক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।[1]
হাসান সহীহ।
بَابُ الْمُعْتَكِفِ يَعُودُ الْمَرِيضَ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: " السُّنَّةُ عَلَى الْمُعْتَكِفِ: أَنْ لَا يَعُودَ مَرِيضًا، وَلَا يَشْهَدَ جَنَازَةً، وَلَا يَمَسَّ امْرَأَةً، وَلَا يُبَاشِرَهَا، وَلَا يَخْرُجَ لِحَاجَةٍ، إِلَّا لِمَا لَا بُدَّ مِنْهُ، وَلَا اعْتِكَافَ إِلَّا بِصَوْمٍ، وَلَا اعْتِكَافَ إِلَّا فِي مَسْجِدٍ جَامِعٍ "، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: غَيْرُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ لَا يَقُولُ فِيهِ: قَالَتْ: السُّنَّةُ "، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: جَعَلَهُ قَوْلَ عَائِشَةَ
حسن صحيح
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The sunnah for one who is observing i'tikaf (in a mosque) is not to visit a patient, or to attend a funeral, or touch or embrace one's wife, or go out for anything but necessary purposes. There is no i'tikaf without fasting, and there is no i'tikaf except in a congregational mosque.
পরিচ্ছেদঃ ৮১. ই‘তিকাফকারীর রোগী দেখতে যাওয়া
২৪৭৪। ইবনু উমার (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। উমার (রাযি.) জাহিলী যুগে মানত করেছিলেন যে, তিনি এক রাত বা এক দিন কা’বা চত্বরে ই’তিকাফ করবেন। তিনি এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ ই’তিকাফ করো এবং সওম পালন করো।[1]
সহীহ। তবে ’’অথবা একদিন’’ এবং ’’সওম পালন করো’’- এ কথাটুকু বাদে।
بَابُ الْمُعْتَكِفِ يَعُودُ الْمَرِيضَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُدَيْلٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، جَعَلَ عَلَيْهِ أَنْ يَعْتَكِفَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ لَيْلَةً، أَوْ يَوْمًا عِنْدَ الْكَعْبَةِ، فَسَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: اعْتَكِفْ وَصُمْ
صحيح، دون قوله: أو يوما وقوله: وصم
Narrated Abdullah ibn Umar:
Umar (may Allah be pleased with him) took a vow in the pre-Islamic days to spend a night or a day in devotion near the Ka'bah (in the sacred mosque). He asked the Prophet (ﷺ) about it. He said: Observe i'tikaf (i.e. spend a night or a day near the Ka'bah) and fast.
পরিচ্ছেদঃ ৮১. ই‘তিকাফকারীর রোগী দেখতে যাওয়া
২৪৭৫। আব্দুল্লাহ ইবনু বুদাইল (রহ.) থেকে উক্ত সনদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। একদা উমার (রাযি.) ই’তিকাফরত অবস্থায় মসজিদের বাইরে লোকদের তাকবীর ধ্বনি শুনে জিজ্ঞেস করলেন, হে আব্দুল্লাহ! এটা কিসের শব্দ? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাওয়াযিন গোত্রের বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছেন। তিনি বললেন, তুমি এ দাসীটিকেও (মুক্ত করে) তাদের সাথে পাঠিয়ে দাও।[1]
সহীহ।
بَابُ الْمُعْتَكِفِ يَعُودُ الْمَرِيضَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ يَعْنِي الْعَنْقَزِيَّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُدَيْلٍ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ، قَالَ: فَبَيْنَمَا هُوَ مُعْتَكِفٌ إِذْ كَبَّرَ النَّاسُ، فَقَالَ: مَا هَذَا يَا عَبْدَ اللَّهِ، قَالَ: سَبْيُ هَوَازِنَ أَعْتَقَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: وَتِلْكَ الْجَارِيَةُ، فَأَرْسَلَهَا مَعَهُمْ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Umar:
The tradition mentioned above has also been transmitted by Abdullah ibn Budayl through a different chain of narrators in a similar way.
This version adds: While he (Umar) was observing i'tikaf (in the sacred mosque), the people uttered (loudly): "Allah is most great." He said: What is this, Abdullah? He said: These are the captives of the Hawazin whom the Messenger of Allah (ﷺ) has set free. He said: This slave-girl too? He sent her along with them.