পরিচ্ছেদঃ ২. 'যারা সওম পালনে সক্ষম তারা ফিদ্ইয়া দিবে' এই বিধান রহিত
২৩১৫। সালামাহ ইবনু আকওয়া’ (রাযি.)-এর আযাদকৃত গোলাম ইয়াযীদ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, (আল্লাহর বাণী) ’’যারা সামর্থবান (কিন্তু সওম পালনে অক্ষম) তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে’’ (সূরা আল-বাকারাহঃ ১৮৪) এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর আমাদের কারোর ইচ্ছে হলে সওম না রেখে ফিদ্ইয়া দিতে চাইলে তাই করতো। অতঃপর পরবর্তী আয়াত (২ঃ ১৮৫) দ্বারা উপরের প্রথম বিধানটি মানসূখ হয়ে যায়।[1]
সহীহ।
بَابُ نَسْخِ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ}
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ يَزِيدَ، مَوْلَى سَلَمَةَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: (وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ) [البقرة: ١٨٤]، كَانَ مَنْ أَرَادَ مِنَّا أَنْ يُفْطِرَ وَيَفْتَدِيَ فَعَلَ، حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ الَّتِي بَعْدَهَا فَنَسَخَتْهَا
صحيح
Salamah bin Al Akwa said “After the revelation of the verse “For those who can do it(with hardship) is a ransom, the feeding of one, that is indigent, is one of us intended to leave fast and pay ransom, he could do so.” until the verse following it was revealed and abrogated the (previous) verse.”
পরিচ্ছেদঃ ২. 'যারা সওম পালনে সক্ষম তারা ফিদ্ইয়া দিবে' এই বিধান রহিত
২৩১৬। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। ’’যারা সামর্থবান (কিন্তু সওম পালনে অক্ষম) তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে’’ (সূরা আল-বাকারাহঃ ১৮৪) এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর যে লোক প্রতিদিন খাওয়াতে সক্ষম ছিলো সে সওম না রেখে ফিদ্ইয়া দিতো, এভাবে তার সিয়াম পূর্ণ হতো। অতঃপর মহান আল্লাহ বলেনঃ ’’আর যে ব্যক্তি অধিক সাদাকাহ করবে তা তার জন্য উত্তম। আর যদি তোমরা সওম পালন করো তবে তা অধিক উত্তম’’ আল্লাহ আরো বলেনঃ ’’তোমাদের মধ্যে যারা এ মাসে উপনীত হবে তারা সওম পালন করবে। কেউ অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূর্ণ করবে।’’[1]
হাসান।
بَابُ نَسْخِ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ}
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرَمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ: (وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ) [البقرة: ١٨٤]، فَكَانَ مَنْ شَاءَ مِنْهُمْ أَنْ يَفْتَدِيَ بِطَعَامِ مِسْكِينٍ افْتَدَى وَتَمَّ لَهُ صَوْمُهُ، فَقَالَ: (فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ) [البقرة: ١٨٤]، وَقَالَ: (فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ) [البقرة: ١٨٥]
حسن
Ibn ‘Abbas explain the Qur’anic verse “For those who can do it(with hardship) is a ransom, the feeding of one, that is indigent” said “If one of them wished to pay ransom by providing food to an indigent person he could pay ransom.. Thus, his fast was complete. Allaah, the Exalted pronounced “But he that will give more of his own free will, it is better for him”. Again he pronounced “So every one of you who is present (at his home) during that month should spend it in fasting.” But, if anyone is ill or on a journey the prescribed period (should be made up) by days later.