পরিচ্ছেদঃ ২৬৭. যিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সময় দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করবে
১১৯৩। নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে সূর্যগ্রহণ হলে তিনি দু’ দু’ রাক’আত সালাত আদায় করেন এবং সূর্য গ্রহণমুক্ত হয়েছে কিনা তা জিজ্ঞেস করতে থাকেন।[1]
মুনকার।
باب مَنْ قَالَ يَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي شُعَيْبٍ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ عُمَيْرٍ الْبَصْرِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ كُسِفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَجَعَلَ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ وَيَسْأَلُ عَنْهَا حَتَّى انْجَلَتْ
- منكر
Narrated An-Nu'man ibn Bashir:
There was an eclipse of the sun in the time of the Prophet (ﷺ). He began to pray a series of pairs of rak'ahs enquiring about the sun (at the end of them) till it became clear.
পরিচ্ছেদঃ ২৬৭. যিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সময় দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করবে
১১৯৪। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে সূর্যগ্রহণ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়ান। তিনি এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন যে, রুকূতেই যাচ্ছেন না। আতঃপর রুকূ’ করলেন এবং এত দীর্ঘক্ষণ রুকূ’ করলেন যে, মাথা উঠাবেন বলে মনে হলো না, অবশ্য পরে উঠালেন এবং এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন যে, সিজদা্ করার সম্ভাবনাই থাকলো না। অতঃপর সিজদা্ করলেন এবং এত দীর্ঘক্ষণ সিজদা্ করলেন যে, মাথা উঠানোর সম্ভাবনাই থাকলো না। অবশ্য পরে মাথা উঠালেন এবং প্রথম সিজদার পর এত দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলেন যে, দ্বিতীয় সিজদা্ করবেন বলে সম্ভাবনা দেখা গেলো না।
অতঃপর সিজদায় গিয়ে এত দীর্ঘক্ষণ সিজদা্ করলেন যে, মাথা উঠাবেন বলে মনে হলো না, অতঃপর উঠালেন এবং দ্বিতীয় রাক’আতেও অনুরূপ করলেন। পরে তিনি সর্বশেষ সাজদার মধ্যে করলেন উহঃ উহঃ শব্দ করলেন এবং বললেনঃ হে আমার প্রভূ! আপনি কি আমাকে এ প্রতিশ্রুতি দেননি যে, আমার বর্তমানে আপনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন না? আপনি কি আমার সাথে ওয়াদা করেননি যে, তারা ক্ষমা চাইতে থাকলে আপনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন না? এ বলে তিনি সালাত হতে অবসর হলে সূর্যও গ্রাসমুক্ত হয়ে যায়। আর এভাবেই হাদীস বর্ণিত হয়েছে।[1]
সহীহ : কিন্তু দুই রুকূ’ উল্লেখসহ। যেমনটি বুখারী ও মুসলিমে আছে।
باب مَنْ قَالَ يَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَكَدْ يَرْكَعُ ثُمَّ رَكَعَ فَلَمْ يَكَدْ يَرْفَعُ ثُمَّ رَفَعَ فَلَمْ يَكَدْ يَسْجُدُ ثُمَّ سَجَدَ فَلَمْ يَكَدْ يَرْفَعُ ثُمَّ رَفَعَ فَلَمْ يَكَدْ يَسْجُدُ ثُمَّ سَجَدَ فَلَمْ يَكَدْ يَرْفَعُ ثُمَّ رَفَعَ وَفَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ نَفَخَ فِي آخِرِ سُجُودِهِ فَقَالَ " أُفْ أُفْ " . ثُمَّ قَالَ " رَبِّ أَلَمْ تَعِدْنِي أَنْ لَا تُعَذِّبَهُمْ وَأَنَا فِيهِمْ أَلَمْ تَعِدْنِي أَنْ لَا تُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ " . فَفَرَغَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ صَلَاتِهِ وَقَدْ أَمْحَصَتِ الشَّمْسُ وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
- صحيح : لكن بذكر الركوع مرتين كما في الصحيحين
Narrated Abdullah ibn Amr ibn al-'As:
There was an eclipse of the sun in the time of the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) stood up and he was not going to perform bowing till he bowed; and he was not going to raise his head till he raised (after bowing); and he was not going to prostrate himself till he prostrated himself; and he was not going to raise his head till he raised (at the end of prostration); he did similarly in the second rak'ah, he then puffed in the last prostration saying; Fie, Fie! He then said: My Lord, didst Thou not promise me that Thou wouldst not punish them so long as I will remain among them? Didst Thou not promise me that Thou will not punish them so long as they continue to beg pardon of Thee. The Messenger of Allah (ﷺ) finished the prayer, and the sun was clear. The narrator then narrated the tradition (in full).
পরিচ্ছেদঃ ২৬৭. যিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সময় দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করবে
১১৯৫। ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় একটি জায়গাতে আমি তীর চালনা শিখছিলাম। এমন সময় সূর্যগ্রহণ হলে আমি তীরগুলো ফেলে দিয়ে বলি, আজ সূর্যগ্রহণের দরুন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য কি ঘটে, তা অবশ্যই স্বচক্ষে দেখবো। আমি তাঁর কাছে গিয়ে দেখলাম, তিনি দু’ হাত উঠিয়ে তাসবীহ, তাহমীদ, কালিমাহ ও দু’আ পাঠেরত আছেন। অবশেষে সূর্য গ্রাসমুক্ত হয়ে গেল। তিনি দু’টি সূরার দ্বারা দু’ রাক’আত সালাত আদায় করলেন।[1]
সহীহ : মুসলিম সংক্ষেপে।
-
সূর্যগ্রহণের সালাত বিষয়ক (১১৭৭-১১৯৫ নং) হাদীসসমূহ হতে শিক্ষাঃ
১। সূর্য গ্রহণের সময় সালাত আদায় করা সুন্নাত।
২। এ সালাত হবে দু’ রাক‘আত। এ দু‘ রাক‘আত সালাতে চারটি রুকূ‘ দিতে হয়। এ সম্পর্কিত হাদীসই সর্বার্ধিক বিশুদ্ধ।
৩। সালাতের ক্বিরাআত হবে দীর্ঘ।
৪। সালাতের শেষে খুত্ববাহ দিতে হয়।
৪। গ্রহণ লাগলে দান-খয়রাত করা, দাস মুক্ত করা, তাকবীর বলা ও দু‘আ করা উত্তম।
৫। এ সালাতের জন্য লোকদেরকে আহবান করা সুন্নাত।
৬। সূর্যগ্রহণ মহান আল্লাহর নিদর্শন বিশেষ। এর সাথে কারো জন্ম বা মৃত্যুর কোন সম্পর্ক নয়।
باب مَنْ قَالَ يَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ حَيَّانَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا أَنَا أَتَرَمَّى، بِأَسْهُمٍ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم إِذْ كُسِفَتِ الشَّمْسُ فَنَبَذْتُهُنَّ وَقُلْتُ لأَنْظُرَنَّ مَا أُحْدِثَ لِرَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ الْيَوْمَ فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ رَافِعٌ يَدَيْهِ يُسَبِّحُ وَيُحَمِّدُ وَيُهَلِّلُ وَيَدْعُو حَتَّى حُسِرَ عَنِ الشَّمْسِ فَقَرَأَ بِسُورَتَيْنِ وَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ .
- صحيح : م مختصرا
Narrated 'Abd al-Rahman b. Samurah :
During the lifetime of the Messenger of Allah (peace be upon him) I was shooting some arrows when an eclipse of the sun tok place. I, therefore , threw them (the arrows) away and said: I must see how the Messenger of Allah (ﷺ) acts in a solar eclipse today. So I came to him; he was standing (in prayer) raising his hands, glorifying Allah, praising Him, acknowledging that He is the only Deity, and making supplication till the sun was clear. He then recited two surahs and prayed two rak'ahs.