পরিচ্ছেদঃ ২৬১. সূর্যগ্রহণের সালাত

১১৭৭। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে সূর্যগ্রহণ হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে নিয়ে সালাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। অতঃপর রুকূ’ করে আবার দাঁড়ালেন। আবার রুকূ’ করলেন এবং আবার দাঁড়ালেন। অতঃপর রুকূ’ করলেন। এভাবে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করলেন এবং প্রত্যেক রাক’আতে তিনটি করে রুকূ’ করার পর সিজদা্ করলেন। সালাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার ফলে কতিপয় লোক অজ্ঞান হয়ে যায় এবং তাদের উপর পানি ঢালা হয়।

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রুকূ’ করার সময় ’আল্লাহু আকবার; আর রুকূ’ হতে মাথা উঠানোর সময় ’সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলেছেন এবং তাঁর সালাত অবস্থায়ই সূর্য গ্রহণ শেষ হয়ে যায়। অতঃপর তিনি বললেনঃ সূর্য কিংবা চন্দ্রগ্রহণ কারোর জন্ম বা মৃর্তু্যর কারণে হয় না, বরং তা মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর নিদর্শনসমূহের দু’টি নিদর্শন। তিনি এর দ্বারা স্বীয় বান্দাদেরকে ভয় দেখিয়ে থাকেন। সুতরাং কখনো গ্রহণ হলে তোমরা সালাত আদায়ে মনোনিবেশ করবে।[1]

সহীহ : মুসলিম। কিন্তু (তিন রুকু) কথাটি শায। মাহফূয হচ্ছে (দুই রুকু)। যেমন বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে। এছাড়া সামনে ১১৮০ নং এ আসছে।

باب صَلَاةِ الْكُسُوفِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، أَخْبَرَنِي مَنْ، أُصَدِّقُ وَظَنَنْتُ أَنَّهُ يُرِيدُ عَائِشَةَ قَالَ كُسِفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَقَامَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم قِيَامًا شَدِيدًا يَقُومُ بِالنَّاسِ ثُمَّ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُومُ ثُمَّ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُومُ ثُمَّ يَرْكَعُ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ ثَلَاثُ رَكَعَاتٍ يَرْكَعُ الثَّالِثَةَ ثُمَّ يَسْجُدُ حَتَّى إِنَّ رِجَالاً يَوْمَئِذٍ لَيُغْشَى عَلَيْهِمْ مِمَّا قَامَ بِهِمْ حَتَّى إِنَّ سِجَالَ الْمَاءِ لَتُصَبُّ عَلَيْهِمْ يَقُولُ إِذَا رَكَعَ ‏"‏ اللهُ أَكْبَرُ ‏"‏ ‏.‏ وَإِذَا رَفَعَ ‏"‏ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ حَتَّى تَجَلَّتِ الشَّمْسُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَا يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ يُخَوِّفُ بِهِمَا عِبَادَهُ فَإِذَا كُسِفَا فَافْزَعُوا إِلَى الصَّلَاةِ ‏"‏ ‏

- صحيح : م لكن قوله : (ثلاث ركعات) شاذ ، والمحفوظ : (ركوعان) كما في الصحيحين ، و يأتي ١١٨٠

حدثنا عثمان بن ابي شيبة، حدثنا اسماعيل ابن علية، عن ابن جريج، عن عطاء، عن عبيد بن عمير، اخبرني من، اصدق وظننت انه يريد عاىشة قال كسفت الشمس على عهد النبي صلي الله عليه وسلم فقام النبي صلي الله عليه وسلم قياما شديدا يقوم بالناس ثم يركع ثم يقوم ثم يركع ثم يقوم ثم يركع فركع ركعتين في كل ركعة ثلاث ركعات يركع الثالثة ثم يسجد حتى ان رجالا يومىذ ليغشى عليهم مما قام بهم حتى ان سجال الماء لتصب عليهم يقول اذا ركع ‏"‏ الله اكبر ‏"‏ ‏.‏ واذا رفع ‏"‏ سمع الله لمن حمده ‏"‏ ‏.‏ حتى تجلت الشمس ثم قال ‏"‏ ان الشمس والقمر لا ينكسفان لموت احد ولا لحياته ولكنهما ايتان من ايات الله عز وجل يخوف بهما عباده فاذا كسفا فافزعوا الى الصلاة ‏"‏ ‏ - صحيح : م لكن قوله : (ثلاث ركعات) شاذ ، والمحفوظ : (ركوعان) كما في الصحيحين ، و ياتي ١١٨٠


Narrated A'ishah (May Allah be pleased with her):
There was an eclipse of the sun in the time of the Prophet (ﷺ). The Prophet stood for a long time, accompanied by the people. He then bowed, then raised his head, then he bowed and then he raised his head, and again he bowed and prayed two rak'ahs of prayer. In each rak'ah he bowed three times. After bowing for the third time he prostrated himself. He stood for such a long time that some people became unconscious on that occasion and buckets of water had to be poured on them. When he bowed, he said, Allah is most great; and when he raised his head, he said, Allah listens to him who praises Him, till the sun became bright. then he said: The sun and the moon are not eclipsed on account of anyone's death or on account of anyone's birth, but they are two of Allah's signs, He produces dread in His servants by means of them. When they are eclipsed, hasten to prayer


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
২/ সালাত (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)