পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে
৯৩২। ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, (সালাত আদায়কালে সূরাহ ফাতিহার শেষে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ’’ওয়ালাদ্দোয়াল্লীন’’ পড়তেন তখন তিনি সশব্দে আমীন বলতেন।[1]
সহীহ।
-
হাদীস থেকে শিক্ষা :
জেহরী ক্বিরাআতের সালাতে সূরাহ ফাতিহা শেষে ইমাম সশব্দে আমীন বলবে।
باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ حُجْرٍ أَبِي الْعَنْبَسِ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَرَأَ (وَلَا الضَّالِّينَ) قَالَ " آمِينَ " . وَرَفَعَ بِهَا صَوْتَهُ .
- صحيح
Narrated Wa'il ibn Hujr:
When the Messenger of Allah (ﷺ) recited the verse "Nor of those who go astray" (Surah al-Fatihah, verse 7), he would say Amin; and raised his voice (while uttering this word).
পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে
৯৩৩। ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে সালাত আদায় করেছেন। তাতে তিনি সশব্দে ’’আমীন’’ বলেছেন। তিনি ডানে ও বামে এভাবে সালাম ফিরিয়েছেন যে, আমি তাঁর গালের শুভ্রতা দেখেছি।[1]
হাসান সহীহ।
باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ الشَّعِيرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ حُجْرِ بْنِ عَنْبَسٍ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، أَنَّهُ صَلَّى خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَجَهَرَ بِآمِينَ وَسَلَّمَ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ خَدِّهِ .
- حسن صحيح
Wail b, hujr said that he prayed behind the Messenger of Allah (ﷺ),and he said Amin loudly and saluted at his right and left sides until I saw the whiteness of his cheek.
পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে
৯৩৪। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সালাত আদায়কালে সূরাহ ফাতিহার শেষে) যখন ’’গাইরিল মাগদূবি ’আলাইহিম ওয়ালাদ্দোয়াল্লীন’’ পড়তেন তখন এমন জোরে ’’আমীন’’ বলতেন যে, প্রথম কাতারে তাঁর নিকটবর্তী লোকেরা তাঁর এ ’’আমীন’’ বলা শুনতে পেতো।[1]
দুর্বল।
باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، عَنْ بِشْرِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللهِ ابْنِ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا تَلَا (غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ ) قَالَ " آمِينَ " . حَتَّى يَسْمَعَ مَنْ يَلِيهِ مِنَ الصَّفِّ الأَوَّلِ .
- ضعيف
Narrated AbuHurayrah:
When the Messenger of Allah (ﷺ) recited the verse "Not of those with whom Thou art angry, nor of those who go astray," he would say Amin so loudly that those near him in the first row would hear it.
পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে
৯৩৫। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সালাতে ইমাম যখন পড়বে ’’গাইরিল মাগদূবি’’ ’আলাইহিম ওয়ালাদ্দোয়াল্লীন’’ তখন তোমরা ’’আমীন’’ বলবে। কেননা যার কথা (আমীন বলা) ফিরিশতার কথার সাথে সাথে উচ্চারিত হবে তার পূর্বেকার গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا قَالَ الإِمَامُ (غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ) فَقُولُوا " آمِينَ " . فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ "
- صحيح : ق
Abu Hurairah reported the prophet (ﷺ) as saying; when the imam recites “ not of those with whom thou art angry, nor of those who go astray” (surah al-fatihah,verse 7) say Amin, for if one’s words (utterance of amin) synchronise with those of the angles, he will be forgiven his past sins.
পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে
৯৩৬। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (সালাতে সূরাহ ফাতিহা পাঠের পর) ইমাম যখন ’’আমীন’’ বলবে তখন তোমরাও ’’আমীন’’ বলবে। কেননা যে ব্যক্তির আমীন বলা মালায়িকাহ (ফিরিশতার) আমীন বলার সাথে মিলবে তার পূর্বেকার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সূরাহ ফাতিহা শেষে) ’’আমীন’’ বলতেন।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
-
ফায়িদাহঃ হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন, এ হাদীস ইমামের আমীন বলার ব্যাপারে সুস্পষ্ট। ইবনু ‘আবদুল বার ‘আত-তামহীদ’ গ্রন্থে (৭/১৩) বলেন, এটিই হচ্ছে অধিকাংশ মুসলিমের বক্তব্য, তাদের মধ্যে মদীনাহবাসীদের বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম মালিকও একজন।
উল্লেখ্য, ‘আমীন’ বলার পক্ষে ১৭টি হাদীস বর্ণিত হয়েছে- (রওযাতুন নাদিয়্যাহ ১/২৭১)। তন্মধ্যে ‘আমীন’ আস্তে বলার পক্ষে শু‘বাহ হতে একটি হাদীস এসেছে। কিন্তু শু‘বাহর হাদীসটি দুর্বল, মুযতারিব এবং সহীহ হাদীসসমূহেরও বিরোধী। ইমাম বুখারী সহ অন্যান্য ইমামগণ শু‘বাহর হাদীসকে দুর্বল বলেছেন। তাই সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিম সহ বিভিন্ন সহীহ হাদীসে বর্ণিত জেহরী ক্বিরাআতের সালাতে সশব্দে ‘আমীন’ বলার বিশুদ্ধ সুন্নাতের আমল করাই উত্তম।
মুক্তাদীর সশব্দে আমীন বলাঃ
(ক) ‘আত্বা (রহঃ) বলেনঃ ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাঃ) সশব্দে ‘আমীন’ বলতেন। তাঁর সাথে মুক্তাদীদের ‘আমীন’ -এর আওয়াজে মাসজিদ গুঞ্জরিত হয়ে উঠত। [সহীহুল বুখারী তা‘লীক্ব, (১/১০৭) পৃঃ; ফাতহুল বারী হা/৭৮০-৭৮১, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক্ব, হাদীস সহীহ]
(খ) আবূ রাফি‘ বলেনঃ আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) মারওয়ান ইবনু হাকামের আযান দিতেন। ... মারওয়ান যখন ওয়ালাদ্দোয়াল্লীন বলতেন তখন আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) দীর্ঘ আওয়াজে ‘আমীন বলতেন। [বায়হাক্বী (২/৫৯) সহীহ সনদে]
(গ) ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইহুদীরা তোমাদের সবচেয়ে বেশি হিংসা করে তোমাদের ‘সালাম’ ও ‘আমীন’ বলার কারণে। (আহমাদ, ইবনু মাজাহ, ইবনু খুযাইমাহ, ত্বাবারানী। এ হাদীস মুক্তাদীর সশব্দে আমীন বলার অন্যতম প্রমাণ)
এছাড়া আবূ দাউদের আলোচ্য (৮৩৫-৮৩৬ নং) হাদীস দু’টিও মুক্তাদীর সশব্দে আমীন বলা প্রমাণ করে।
-
কতিপয় মাসআলাহঃ
(১) মুক্তাদী ইমামের আগে ‘আমীন’ বলবেন না বরং ইমামের ‘আমীন’ বলার সাথে সাথে ‘আমীন’ বলবেন।
(২) জেহরী ক্বিরাআতের সালাতে ইমাম যদি সশব্দে ‘আমীন’ না বলেন, কিংবা নীরবে বলেন, তবুও মুক্তাদী সশব্দে ‘আমীন’ বলবেন।
(৩) যদি কেউ ‘আমীন’ বলার সময় জামা‘আতে যোগদান করেন, তবে তিনি প্রথমে ‘আমীন’ বলে নিবেন ও পরে চুপে চুপে সূরাহ ফাতিহা পাঠ করবেন। (সালাতুর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃঃ ৬০-৬১, ও অন্যান্য)
باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " آمِينَ " .
- صحيح : ق
Abu Hurairah reported the Messenger of Allah (May peace be upon him) as saying; When the Imam says Amin, say Amin, for if anyone’s utterance of Amin synchronnises with that of the angles, he will be forgiven his past sins.
Ibn shihab (al Zuhrl) said; The Messenger of Allah (May peace be upon him) used to say Amin (At the end of the Fatihah)
পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে
৯৩৭। বিলাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমার আগে ’’আমীন’’ বলবেন না। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সূরাহ ফাতিহা পাঠ শেষ হয়ে যেতো অথচ তখনও বিলালের (রাঃ) পড়া শেষ হতো না। তাই তিনি এ কথা বলতেন)।[1]
দুর্বল।
باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ رَاهَوَيْهِ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ بِلَالٍ، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ لَا تَسْبِقْنِي " بِآمِينَ " .
- ضعيف
Bilal reported that he said :
Messenger of Allah, do not say Amin before me.
পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে
৯৩৮। আবূ মুসাব্বিহ আল-মাকরাঈ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী আবূ যুহাইর আন-নুমাইরী (রাঃ) এর নিকট বসতাম। তিনি সুন্দর সুন্দর হাদীস শুনাতেন। একবার আমাদের মধ্যকার এক ব্যক্তি দু’আ করতে থাকলে তিনি বললেন, তুমি ’আমীন’ বলে দু’আ শেষ করবে। কেননা (দু’আর শেষে) ’’আমীন’’ বলা (গ্রন্থ বা) চিঠিতে সীলমোহর করার মত। অতঃপর আবূ যুহাইর (রাঃ) বলেন, এ বিষয়ে আমি তোমাদেরকে একটি ঘটনা জানাতে চাই। এক রাতে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বের হই। অতঃপর আমরা এমন এক ব্যক্তির কাছে উপস্থিত হই যিনি কাকুতি-মিনতি করে দু’আ করছিলেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থামলেন এবং তার দু’আ শুনলেন, অতঃপর বললেন, যদি সে শেষ করে তাহলে তার জন্য (জান্নাত) অবধারিত। উপস্থিত লোকদের একজন বললো, কিসের দ্বারা সে দু’আ শেষ করবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’আমীন’ বলে। কেননা যদি সে ’’আমীন’’ বলার উপর দু’আ শেষ করে তাহলে তার দু’আ কবূল হয় (অথবা সে নিজের জন্য জান্নাত অবধারিত করে নেয়)। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্নকারী লোকটি দু’আ রত ব্যক্তির নিকট গিয়ে বললো, হে অমুক! তুমি আমীন বলে দু’আ শেষ করো এবং (জান্নাত লাভের ও দু’আ কবূলের) সুসংবাদ গ্রহণ করো। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আল-মাকরাঈ হলো হিময়ারের একটি গোত্র।[1]
দুর্বল।
باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ الدِّمَشْقِيُّ، وَمَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَا حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ صُبَيْحِ بْنِ مُحْرِزٍ الْحِمْصِيِّ، حَدَّثَنِي أَبُو مُصْبِحٍ الْمَقْرَائِيُّ، قَالَ كُنَّا نَجْلِسُ إِلَى أَبِي زُهَيْرٍ النُّمَيْرِيِّ - وَكَانَ مِنَ الصَّحَابَةِ - فَيَتَحَدَّثُ أَحْسَنَ الْحَدِيثِ فَإِذَا دَعَا الرَّجُلُ مِنَّا بِدُعَاءٍ قَالَ اخْتِمْهُ بِآمِينَ فَإِنَّ آمِينَ مِثْلُ الطَّابَعِ عَلَى الصَّحِيفَةِ . قَالَ أَبُو زُهَيْرٍ أُخْبِرُكُمْ عَنْ ذَلِكَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فَأَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ قَدْ أَلَحَّ فِي الْمَسْأَلَةِ فَوَقَفَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم يَسْتَمِعُ مِنْهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم " أَوْجَبَ إِنْ خَتَمَ " . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ بِأَىِّ شَىْءٍ يَخْتِمُ قَالَ " بِآمِينَ فَإِنَّهُ إِنْ خَتَمَ بِآمِينَ فَقَدْ أَوْجَبَ " . فَانْصَرَفَ الرَّجُلُ الَّذِي سَأَلَ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم فَأَتَى الرَّجُلَ فَقَالَ اخْتِمْ يَا فُلَانُ بِآمِينَ وَأَبْشِرْ . وَهَذَا لَفْظُ مَحْمُودٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْمَقْرَاءُ قَبِيلٌ مِنْ حِمْيَرَ .
- ضعيف
Narrated AbuZuhayr an-Numayri:
AbuMisbah al-Muqra'i said: We used to sit in the company of AbuZuhayr an-Numayri. He was a companion of the Prophet (ﷺ), and he used to narrate good traditions. Once a man from among us made a supplication. He said: End it with the utterance of Amin, for Amin is like a seal on the book.
AbuZuhayr said: I shall tell you about that. We went out with the Messenger of Allah (ﷺ) one night and came upon a man who made supplication with persistence. The Prophet (ﷺ) waited to hear him. The Prophet (ﷺ) said: He will have done something which guarantees (Paradise for him) if he puts a seal to it. One of the people asked: What should he use as a seal? He replied: Amin, for if he ends it with Amin, he will do something which guarantees (Paradise for him).
Then the man who questioned the Prophet (ﷺ) came to the man who was supplicating, and said to him: So-and-so, end it with Amin and receive the good news. These are the words of Mahmud.
Abu Dawud said: Al-Muqra'i is a clan of Himyar.