পরিচ্ছেদঃ ১৩৯. নিরক্ষক ও অনারব লোকের ক্বিরাআতের পরিমাণ
৮৩০। জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা কিরাত করছিলাম, এমন সময় সেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলেন। তখন আমাদের মধ্যে আরব বেদুঈন এবং অনারব লোকজন ছিলো। তিনি বললেন, তোমরা (কুরআন) পড়, প্রত্যেকেই উত্তম। কেননা অচিরেই এমন সম্প্রদায়ের আর্বিভাব ঘটবে, যারা কুরআনকে তীরের ন্যায় ঠিক করবে (তাজবীদ নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে) তারা কুরআন পাঠে তাড়াহুড়া করবে, অপেক্ষা করবে না।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا يُجْزِئُ الْأُمِّيَّ وَالْأَعْجَمِيَّ مِنَ الْقِرَاءَةِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ حُمَيْدٍ الْأَعْرَجِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلي الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَفِينَا الْأَعْرَابِيُّ وَالْأَعْجَمِيُّ، فَقَالَ:اقْرَءُوا فَكُلٌّ حَسَنٌ وَسَيَجِيءُ أَقْوَامٌ يُقِيمُونَهُ كَمَا يُقَامُ الْقِدْحُ يَتَعَجَّلُونَهُ وَلَا يَتَأَجَّلُونَهُ
- صحيح
Narrated Jabir ibn Abdullah:
The Messenger of Allah (ﷺ) came to us while we were reciting the Qur'an, and there were among us bedouins and the non-Arabs. He said: Recite, all is well. In the near future there will appear people who will straighten it (the Qur'an) as an arrow is straightened. They will recite it quickly and not slowly (or it means that they will get the reward in this world and not in the Hereafter).
পরিচ্ছেদঃ ১৩৯. নিরক্ষক ও অনারব লোকের ক্বিরাআতের পরিমাণ
৮৩১। সাহল ইবনু সা’দ আস-সাঈদী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা কিরাআত করছিলাম এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত হয়ে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর কিতাব একটাই। আর তোমাদের কেউ লাল, কেউ বা সাদা এবং কেউ বা কালো রঙের। তোমরা ঐ সম্প্রদায়ের আবির্ভাবের পূর্বে (কুরআন) পড় যারা কুরআনকে তীরের ন্যায় দৃঢ় করবে। তারা কুরআন পাঠে তাড়াহুড়া করবে, অপেক্ষা করবে না (অর্থাৎ আখিরাতের অপেক্ষা না করে এর বিনিময় দুনিয়াতেই পেতে চাইবে)।[1]
হাসান সহীহ।
بَابُ مَا يُجْزِئُ الْأُمِّيَّ وَالْأَعْجَمِيَّ مِنَ الْقِرَاءَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، وَابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ، عَنْ وَفَاءِ بْنِ شُرَيْحٍ الصَّدَفِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلي الله عليه وسلم يَوْمًا وَنَحْنُ نَقْتَرِئُ، فَقَالَ:الْحَمْدُ لِلَّهِ كِتَابُ اللَّهِ وَاحِدٌ، وَفِيكُمُ الْأَحْمَرُ وَفِيكُمُ الْأَبْيَضُ وَفِيكُمْا لْأَسْوَدُ، اقْرَءُوهُ قَبْلَ أَنْ يَقْرَأَهُ أَقْوَامٌ يُقِيمُونَهُ كَمَا يُقَوَّمُ السَّهْمُ يُتَعَجَّلُ أَجْرُهُ وَلَا يُتَأَجَّلُه
- حسن صحيح
Sahl b. Sa’d al-Sa’idi said:
The Messenger of Allah(ﷺ) one day came out to us while we were reciting the Qur’an. He said: Praise be to Allah. The Book of Allah is one, and among you are the red, and among you are the white and among you are the black. Recite it before there appear people who will recite it and straighten it as an arrow is straightened. They will get their reward for it in this world and will not get it in the Hereafter.
পরিচ্ছেদঃ ১৩৯. নিরক্ষক ও অনারব লোকের ক্বিরাআতের পরিমাণ
৮৩২। ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক লোক এসে বলল, আমি কুরআন মুখস্থ করতে পারি না। অতএব আমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দিন যা কুরআনের পরিবর্তে যথেষ্ট হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি বলোঃ ’’সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহ আকবার ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’’ তখন লোকটি বলল, হে আল্লাহর রসূল! এটা তো মহা সম্মানিত আল্লাহর জন্য, আমার জন্য কি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি বলোঃ ’’আল্লাহুম্মা ইরহামনী, ওয়ারযুক্বনী, ওয়া ’আফিনী ওয়াহদিনী।’’ বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর লোকটি ওগুলো হাতের অঙ্গুলিতে গণনা করল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই লোক তার হাতকে উত্তম বস্তু দ্বারা পরিপূর্ণ করেছে।[1]
হাসান।
بَابُ مَا يُجْزِئُ الْأُمِّيَّ وَالْأَعْجَمِيَّ مِنَ الْقِرَاءَةِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ الدَّالَانِيِّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ السَّكْسَكِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَقَالَ: إِنِّي لَا أَسْتَطِيعُ أَنْ آخُذَ مِنَ الْقُرْآنِ شَيْئًا فَعَلِّمْنِي مَا يُجْزِئُنِي مِنْهُ، قَالَ: " قُلْ: سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ "، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَمَا لِي، قَالَ: " قُلْ: اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي وَاهْدِنِي "، فَلَمَّا قَامَ قَالَ: هَكَذَا بِيَدِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلي الله عليه وسلم:أَمَّا هَذَا فَقَدْ مَلَأَ يَدَهُ مِنَ الْخَيْرِ
- حسن
Narrated Abdullah ibn AbuAwfa:
A man came to the Prophet (ﷺ) and said: I cannot memorise anything from the Qur'an: so teach me something which is sufficient for me. He said: Say Glory be to Allah, and praise be to Allah, and there is no god but Allah, and Allah is most great, and there is no might and no strength but in Allah.
:He said: Messenger of Allah, this is for Allah, but what is for me? He said: Say: O Allah have mercy on me, and sustain me, and keep me well, and guide me. When he stood up, he made a sign with his hand (indicating that he had earned a lot).
The Messenger of Allah (ﷺ) said: He filed up his hand with virtues.
পরিচ্ছেদঃ ১৩৯. নিরক্ষক ও অনারব লোকের ক্বিরাআতের পরিমাণ
৮৩৩। জাবির ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নফল সালাতে দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায় দু’আ করতাম এবং রুকূ’ ও সিজদা্ অবস্থায় তাসবীহ পড়তাম।[1]
দুর্বল মাওকূফ।
بَابُ مَا يُجْزِئُ الْأُمِّيَّ وَالْأَعْجَمِيَّ مِنَ الْقِرَاءَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ يَعْنِي الْفَزَارِيَّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ:كُنَّا نُصَلِّي التَّطَوُّعَ نَدْعُو قِيَامًا وَقُعُودًا، وَنُسَبِّحُ رُكُوعًا وَسُجُودًا
- ضعيف موقوف
Jabir b. ‘Abd Allah said:
we used to offer supererogatory prayers and recite supplications while we were standing, and would glorify Allah while bowing and prostrating.
পরিচ্ছেদঃ ১৩৯. নিরক্ষক ও অনারব লোকের ক্বিরাআতের পরিমাণ
৮৩৪। হাম্মাদ (রহঃ) হুমায়িদ সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে নফল সালাতের কথা উল্লেখ নেই। তিনি (হুমায়িদ) বলেন, হাসান (রহঃ) যুহর এবং ’আসর সালাতে- ইমাম কিংবা মুক্তাদী উভয় অবস্থায়ই সূরাহ ফাতিহা পড়তেন এবং তিনি উক্ত সালাতে সূরাহ ক্বাফ ও সূরাহ যায়িরাত পাঠের অনুরূপ সময় পর্যন্ত তাসবীহ তাহলীল ও তাকবীর পড়তেন।[1]
সহীহ মাক্বতূ।
بَابُ مَا يُجْزِئُ الْأُمِّيَّ وَالْأَعْجَمِيَّ مِنَ الْقِرَاءَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، مِثْلَهُ لَمْ يَذْكُرِ التَّطَوُّعَ، قَالَ: كَانَ الْحَسَنُ، يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ إِمَامًا أَوْ خَلْفَ إِمَامٍ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَيُسَبِّحُ وَيُكَبِّرُ وَيُهَلِّلُ قَدْرَ ق، وَالذَّارِيَاتِ
- صحيح مقطوع
The above-mention tradition has also been transmitted through a different chain of narrators by Humaid, but he did not mention the word “Supererogatory prayer” This version has:
Al-Hasan (al-Basri) would recite fatihat al-kitab in the noon and afternoon prayers while he led in prayer or he was behind the imam and would glorify Allah, and would repeatedly say: “Allah is most great” and “ There is no god but Allah” (i.e takbir and tahlil) equal to the amount one recites al-Qaf (Surah 50) and al-Dhariyat(surah 51).