পরিচ্ছেদঃ ১২৫. সশব্দে বিসমিল্লাহ পাঠের বর্ণনা
৭৮৬। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’উসমান (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনারা কিভাবে সূরাহ বারাআতকে সূরাহ আল-আনফালের অন্তর্ভুক্ত করে আল-কুরআনের সাব’উল মাসানী (সাতটি দীর্ঘ সূরাহ)-এর মধ্যে গণ্য করেন এবং উভয় সূরার মধ্যস্থলে বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম কেন লিখেন না? অথচ সূরাহ্ বারাআত মিআতাইন (তথা ১০০-এর অধিক আয়াত সম্বলিত সূরাহ্)-এর অন্তর্ভুক্ত (কারণ সূরাহ্ বারাআতে ১২৯টি আয়াত আছে)। পক্ষান্তরে সূরাহ আল-আনফাল মাসানীর অন্তর্ভুক্ত (কারণ তাতে আয়াতের সংখ্যা ১০০-এর কম অর্থাৎ ৭৫টি)।
’উসমান (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর কোন আয়াত অবতীর্ণ হওয়া মাত্রই তিনি ওয়াহী লিখক সাহাবীদের ডেকে বলতেনঃ এই আয়াত অমুক সূরার অমুক স্থানে সন্নিবেশিত কর যেখানে এই এই বিষয় আলোচিত হয়েছে। তাঁর উপর একটি কিংবা দু’টি আয়াত অবতীর্ণ হলেও তিনি ঐরূপ বলতেন।
সূরাহ আল-আনফাল হচ্ছে মদীনা হতে আগমনের পরপরই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর অবতীর্ণ সূরাহ সমূহের অন্যতম সূরাহ। আর সূরাহ বারাআত হচ্ছে কুরআন অবতীর্ণের শেষ পর্যায়ের নাযিলকৃত সূরাহ সমূহের অন্যতম। তথাপি সূরাহ আল-আনফালের ঘটনাবলীর সাথে সূরাহ বারাআতে বর্ণিত ঘটনাবলীর সাদৃশ্য আছে। সেজন্য আমার মনে হলো, এটি সূরাহ্ আল-আনফালের অন্তর্ভুক্ত। তাই আমি সূরাহ দুটি একত্রে সাব’উ-তিওয়াল-এর অন্তর্ভুক্ত করি এবং এ উভয় সূরাহ মধ্যস্থলে বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম লিখি নাই। [1]
দুর্বল।
باب مَنْ جَهَرَ بِهَا
- أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ قُلْتُ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مَا حَمَلَكُمْ أَنْ عَمَدْتُمْ، إِلَى بَرَاءَةَ وَهِيَ مِنَ الْمِئِينَ وَإِلَى الأَنْفَالِ وَهِيَ مِنَ الْمَثَانِي فَجَعَلْتُمُوهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ وَلَمْ تَكْتُبُوا بَيْنَهُمَا سَطْرَ ( بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) قَالَ عُثْمَانُ كَانَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم مِمَّا يَنْزِلُ عَلَيْهِ الآيَاتُ فَيَدْعُو بَعْضَ مَنْ كَانَ يَكْتُبُ لَهُ وَيَقُولُ لَهُ " ضَعْ هَذِهِ الآيَةَ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا " . وَتَنْزِلُ عَلَيْهِ الآيَةُ وَالآيَتَانِ فَيَقُولُ مِثْلَ ذَلِكَ وَكَانَتِ الأَنْفَالُ مِنْ أَوَّلِ مَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ بِالْمَدِينَةِ وَكَانَتْ بَرَاءَةُ مِنْ آخِرِ مَا نَزَلَ مِنَ الْقُرْآنِ وَكَانَتْ قِصَّتُهَا شَبِيهَةً بِقِصَّتِهَا فَظَنَنْتُ أَنَّهَا مِنْهَا فَمِنْ هُنَاكَ وَضَعْتُهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ وَلَمْ أَكْتُبْ بَيْنَهُمَا سَطْرَ (بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) .
- ضعيف
Narrated Uthman ibn Affan:
Yazid al-Farisi said: I heard Ibn Abbas say: I asked Uthman ibn Affan: What moved you to put the (Surah) al-Bara'ah which belongs to the mi'in (surahs) (containing one hundred verses) and the (Surah) al-Anfal which belongs to the mathani (Surahs) in the category of as-sab'u at-tiwal (the first long surah or chapters of the Qur'an), and you did not write "In the name of Allah, the Compassionate, the Merciful" between them?
Uthman replied: When the verses of the Qur'an were revealed to the Prophet (ﷺ), he called someone to write them down for him and said to him: Put this verse in the surah in which such and such has been mentioned; and when one or two verses were revealed, he used to say similarly (regarding them). (Surah) al-Anfal is the first surah that was revealed at Medina, and (Surah) al-Bara'ah was revealed last in the Qur'an, and its contents were similar to those of al-Anfal. I, therefore, thought that it was a part of al-Anfal. Hence I put them in the category of as-sab'u at-tiwal (the seven lengthy surahs), and I did not write "In the name of Allah, the Compassionate, the Merciful" between them.
পরিচ্ছেদঃ ১২৫. সশব্দে বিসমিল্লাহ পাঠের বর্ণনা
৭৮৭। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে এই সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেছেন। কিন্তু সূরাহ বারাআত সূরাহ আনফালের অন্তর্ভুক্ত কি না এ ব্যাপারে তিনি পরিষ্কারভাবে কিছুই বলেননি। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, শা’বী, আবূ মালিক, ক্বাতাদাহ ও সাবিত ইবনু ’উমারাহ বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর সূরাহ আন-নামল অবতীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি (কোন সূরার শুরুতে) বিসমিল্লাহ লিখেননি।[1]
দুর্বল।
باب مَنْ جَهَرَ بِهَا
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، - يَعْنِي ابْنَ مُعَاوِيَةَ - أَخْبَرَنَا عَوْفٌ الأَعْرَابِيُّ، عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، بِمَعْنَاهُ قَالَ فِيهِ فَقُبِضَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا أَنَّهَا مِنْهَا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ الشَّعْبِيُّ وَأَبُو مَالِكٍ وَقَتَادَةُ وَثَابِتُ بْنُ عُمَارَةَ إِنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم لَمْ يَكْتُبْ ( بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) حَتَّى نَزَلَتْ سُورَةُ النَّمْلِ هَذَا مَعْنَاهُ .
- ضعيف
The above mentioned tradition has been reported by ibn abbas through a different chain of narrators to the same effect. This version adds:
The apostle of Allah (ﷺ) died, but he did not mention to us that surah al baraah ins a part of al-anfal.
Abu Dawood said: Al-sha’bl, Abu Malik, Qatadah, and Thabit b. ‘Umarah said: The prophet( may peace be upon him) did not write”In the name of Allah, the compassionate, the merciful” until Surah al-naml was revealed. This is the meaning of what they said. Further, this is a mursal traditional(omitting the name of the companion)
পরিচ্ছেদঃ ১২৫. সশব্দে বিসমিল্লাহ পাঠের বর্ণনা
৭৮৮। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম অবতীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোন সূরার শুরুর দিক চিহ্নিত করতে পারতেন না।[1]
সহীহ।
باب مَنْ جَهَرَ بِهَا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، وَابْنُ السَّرْحِ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، - قَالَ قُتَيْبَةُ فِيهِ - عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم لَا يَعْرِفُ فَصْلَ السُّورَةِ حَتَّى تُنَزَّلَ عَلَيْهِ (بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) .وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ السَّرْحِ .
- صحيح
Ibn Abbas said:
The prophet (ﷺ) did not distinguish between the two surahs until the words “In the name of Allah, the Compassionate, the merciful” was revealed to him. These are the words of Ibn al-sarh.