পরিচ্ছেদঃ ৬১. ইমামতির অধিক যোগ্য কে?
৫৮২। আবূ মাসউদ আল-বাদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও কিরাআতে অধিক পারদর্শী ব্যক্তি লোকদের ইমামতি করবে। কিরাআতের দিক থেকে সকলে সমান হলে ইমামতি করবে ঐ ব্যক্তি, যে সবার আগে হিজরত করেছে। হিজরতের দিক থেকে যদি সবাই সমান হলে সবচেয়ে বয়োজেষ্ঠ্য ব্যক্তি ইমামতি করবে। কেউ যেন অনুমতি ছাড়া কারো বাড়িতে, কারো প্রভাবাধীন এলাকায় ইমামতি না করে এবং অনুমতি ছাড়া কারো সংরক্ষিত আসনে না বসে। [1]
সহীহ : মুসলিম।
শু’বাহ বলেন, আমি ইসমাঈলকে বললাম, ’সংরক্ষিত আসন’ অর্থ কি? তিনি বললেন, ’তার বিছানা’।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ رَجَاءٍ، سَمِعْتُ أَوْسَ بْنَ ضَمْعَجٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْبَدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللهِ وَأَقْدَمُهُمْ قِرَاءَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَلْيَؤُمَّهُمْ أَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْهِجْرَةِ سَوَاءً فَلْيَؤُمَّهُمْ أَكْبَرُهُمْ سِنًّا وَلَا يُؤَمُّ الرَّجُلُ فِي بَيْتِهِ وَلَا فِي سُلْطَانِهِ وَلَا يُجْلَسُ عَلَى تَكْرِمَتِهِ إِلَّا بِإِذْنِهِ " .
صحيح : م
قَالَ شُعْبَةُ فَقُلْتُ لإِسْمَاعِيلَ مَا تَكْرِمَتُهُ قَالَ فِرَاشُهُ
Abu Mas’ud al-Badri reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
The one of you who is most versed in the Books of Allah should act as imam for the people; and the one who is the earliest of them in reciting (the Qur’an); if they are equally versed in reciting it, then the earliest of them to emigrate (to Medina); if they emigrated at the same time, then the oldest of them. No man must lead another in prayer in his house (i.e. in the house of a latter) or where the latter has authority, or sit in his place of honor without his permission. Shu’bah said: I asked Isma’il: what is the meaning of his place of honor? He replied: his throne.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. ইমামতির অধিক যোগ্য কে?
৫৮৩। ইবনু মু’আয ..... শু’বাহ (রহঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছেঃ কেউ কারোর প্রভাবাধীন এলাকায় (অনুমতি ছাড়া) ইমামতি করবে না।[1]
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ আল-কাত্তান শু’বাহ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন যে, সর্বাধিক অভিজ্ঞ ক্বারীই ইমামতির যোগ্য।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فِيهِ " وَلَا يَؤُمُّ الرَّجُلُ الرَّجُلَ فِي سُلْطَانِهِ " .
صحيح
قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا قَالَ يَحْيَى الْقَطَّانُ عَنْ شُعْبَةَ " أَقْدَمُهُمْ قِرَاءَةً "
The version of this tradition narrated through a different chain by Shu’bah has the words:
“A man should not lead the another man in prayer.
Abu Dawud said: Yahya al-Qattan narrated from Shu’bah in a similar way, i.e. the earliest of them in recitation.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. ইমামতির অধিক যোগ্য কে?
৫৮৪। আবূ মাসউদ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছেঃ কিরাআতে সবাই সমান হলে হাদীস সম্পর্কে বেশি অভিজ্ঞ লোক ইমামতি করবে। হাদীস সম্পর্কেও সকলে সমান হলে সর্বাগ্রে হিজরতকারী (ইমামতি করবে)। আর এই বর্ণনাতে ’সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্বারী’ কথাটি উল্লেখ নেই।[1]
সহীহ : মুসলিম।
قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ حَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ عَنْ إِسْمَاعِيلَ قَالَ " وَلَا تَقْعُدْ عَلَى تَكْرِمَةِ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِهِ " .
صحيح .
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাজ্জাজ ইবনু আরত্বাত (রহঃ) ইসমাইলের সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সে যেন অনুমতি ছাড়া কারো নির্দিষ্ট আসনে না বসে।
সহীহ।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ ضَمْعَجٍ الْحَضْرَمِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ " فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ فَإِنْ كَانُوا فِي السُّنَّةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً " . وَلَمْ يَقُلْ " فَأَقْدَمُهُمْ قِرَاءَةً " .
- صحيح : م
This tradition has been transmitted through a different chain by Abu Mas’ud This version has words ; “If they are equally versed in recitation, then the one who has most knowledge of the Sunnah ; if they are equal with regard to (the knowledge of) the Sunnah, then the earliest of them to emigrate (to medina)”. He did not narrate the words; “ The earliest of them in recitation”.
Abu Dawud said:
Hajjaj b. Artata reported from Isma’il: Do not sit in the place of honour of anyone except with his permission.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. ইমামতির অধিক যোগ্য কে?
৫৮৫। ’আমর ইবনু সালামাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা এমন জায়গায় সমবেত ছিলাম যে, লোকেরা আমাদের পাশ দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যাতায়াত করত এবং প্রত্যাবর্তনের সময় তারা আমাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বর্ণনা করত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ এরূপ বলেছেন। তখন আমি বালক ছিলাম, যা শুনতাম তাই মুখস্থ করে ফেলতাম। শুনে শুনে আমি কুরআনের কিছু অংশও মুখস্থ করে ফেলি। একবার আমার পিতা কিছু সংখ্যক লোকসহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলেন। তিনি তাদেরকে সালাতের নিয়ম-কানুন শিক্ষা দিলেন। তিনি আরো বললেনঃ তোমাদের মধ্যকার কুরআন সম্পর্কে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি ইমামতি করবে।
আর আমিই ছিলাম কুরআন সম্পর্কে সর্বাধিক অভিজ্ঞ এবং সকলের চেয়ে আমারই কুরআন বেশী মুখস্থ ছিল। সেহেতু তারা আমাকে ইমাম নিযুক্ত করল। আমি তাদের ইমামতি করতাম। এ সময় আমার গায়ে ছোট একটি গেরুয়া রংয়ের চাদর ছিল। আমি যখন সিজদায় যেতাম তখন আমার লজ্জাস্থান অনাবৃত হয়ে যেত। এক মহিলা বলল, তোমাদের ক্বারীর লজ্জাস্থান ঢাকার ব্যবস্থা কর। তারা আমার জন্য একটি ওমানী চাদর খরিদ করল। এতে আমি এতই আনন্দিত হই যে, ইসলাম গ্রহণের পর আর কিছুতে আমি এতটা আনন্দিত হইনি। আমার বয়স যখন মাত্র সাত কি আট বছর তখন থেকেই আমি তাদের ইমামতি করতাম।[1]
সহীহ : অনুরূপ বুখারী।
-
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
নাবালকের ইমামতিতে সালাত আদায় জায়িয। (উল্লেখ্য নাবালকের ইমামতিতে সালাত আদায় জায়িয না অপছন্দনীয় এ নিয়ে লোকেরা মতভেদ করলেও সহীহ কথা হচ্ছে জায়িয। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাবালকের ইমামতিকে সম্মতি দিয়েছেন। তাছাড়া অন্য হাদীসে নাফল সালাত আদায়কারীর পিছনে ফারয সালাত আদায় জায়িযের কথা এসেছে। যেহেতু নাবালকের সালাত নফল)।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ، قَالَ كُنَّا بِحَاضِرٍ يَمُرُّ بِنَا النَّاسُ إِذَا أَتَوُا النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم فَكَانُوا إِذَا رَجَعُوا مَرُّوا بِنَا فَأَخْبَرُونَا أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَذَا وَكَذَا وَكُنْتُ غُلَامًا حَافِظًا فَحَفِظْتُ مِنْ ذَلِكَ قُرْآنًا كَثِيرًا فَانْطَلَقَ أَبِي وَافِدًا إِلَى رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ فَعَلَّمَهُمُ الصَّلَاةَ فَقَالَ " يَؤُمُّكُمْ أَقْرَؤُكُمْ " . وَكُنْتُ أَقْرَأَهُمْ لِمَا كُنْتُ أَحْفَظُ فَقَدَّمُونِي فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَعَلَىَّ بُرْدَةٌ لِي صَغِيرَةٌ صَفْرَاءُ فَكُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ تَكَشَّفَتْ عَنِّي فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ النِّسَاءِ وَارُوا عَنَّا عَوْرَةَ قَارِئِكُمْ . فَاشْتَرَوْا لِي قَمِيصًا عُمَانِيًّا فَمَا فَرِحْتُ بِشَىْءٍ بَعْدَ الإِسْلَامِ فَرَحِي بِهِ فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَأَنَا ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ أَوْ ثَمَانِ سِنِينَ .
صحيح : خ نحوه
‘Amr b. Salamah said ; we lived at a place where the people would pass by us when they came to the prophet (ﷺ). When they returned they would again pass by us. And they used to inform us that the Messenger of Allah (ﷺ) said so –and-so. I was a boy with a good memory. From the( process) I memorized a large portion of the Qur’an. Then my father went to the Messenger of Allah(ﷺ) along with a group of his clan. He (the Prophet) taught them prayer. And he said:
The one of you who knows most of the Qur’an should act as your imam. I knew the Qur’an better than most of them because I had memorized it. They, therefore, put me in front of them, and I would lead them in prayer. I wore a small yellow mantle which, when I prostrated myself, went up on me, and a woman of the clan said: Cover the back side of your leader from us. So they bought an ‘Ammani shirt for me, and I have never been so pleased about anything after embracing Islam as I was about that (shirt). I used to lead them in prayer and I was only seven or eight year old.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. ইমামতির অধিক যোগ্য কে?
৫৮৬। ’আমর ইবনু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে একই হাদীসে বর্ণিত আছে, আমি একটি তালিযুক্ত চাদর গায়ে দিয়ে তাদের ইমামিত করতাম। চাদরটি ছেঁড়া থাকায় সিজদায় গমনকালে আমার নিতম্ব উন্মুক্ত হয়ে যেত।[1]
সহীহ।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ فِي بُرْدَةٍ مُوصَلَةٍ فِيهَا فَتْقٌ فَكُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ خَرَجَتِ اسْتِي .
صحيح
This tradition has also been transmitted through a different chain by ‘Amr b. Salamah. This version says:
“I used to lead them in prayer with a sheet of cloth on me that was patched and torn. When I prostrated myself, my buttocks were disclosed.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. ইমামতির অধিক যোগ্য কে?
৫৮৭। ’আমর ইবনু সালামাহ হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তারা একটি প্রতিনিধি দল হিসেবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে যান এবং ফিরে আসার সময় জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের (সালাতে) ইমামতি করবে কে? তিনি বললেন, কুরআন সম্পর্কে অধিক পারদর্শী ব্যক্তি। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমিই ছিলাম আমার কওমের মধ্যে কুরআন সম্পর্কে অধিক পারদর্শী। সেজন্য তারা আমাকে (ইমামতির জন্য) আগে দিল। কিন্তু আমি অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক ছিলাম। আমার পরনে ছোট একটি চাদর থাকত। জারাম গোত্রের যে কোন মাজলিসে উপস্থিত হলে আমিই তাদের ইমামতি করতাম এবং আজকের এদিন পর্যন্ত তাদের জানাযার সালাতও আমি পড়াতাম। [1]
সহীহ : কিন্তু তার(عن أبيه) কথাটি অসংরক্ষিত।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াযীদ ইবনু হারূন সূত্রে ’আমর ইবনু সালামাহর বর্ণনায় সানাদে ’আন আবীহি’ উল্লেখ নেই।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرِ بْنِ حَبِيبٍ الْجَرْمِيِّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَلِمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُمْ وَفَدُوا إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَلَمَّا أَرَادُوا أَنْ يَنْصَرِفُوا قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ مَنْ يَؤُمُّنَا قَالَ " أَكْثَرُكُمْ جَمْعًا لِلْقُرْآنِ " . أَوْ " أَخْذًا لِلْقُرْآنِ " . قَالَ فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنَ الْقَوْمِ جَمَعَ مَا جَمَعْتُهُ - قَالَ - فَقَدَّمُونِي وَأَنَا غُلَامٌ وَعَلَىَّ شَمْلَةٌ لِي فَمَا شَهِدْتُ مَجْمَعًا مِنْ جَرْمٍ إِلَّا كُنْتُ إِمَامَهُمْ وَكُنْتُ أُصَلِّي عَلَى جَنَائِزِهِمْ إِلَى يَوْمِي هَذَا .
- صحيح : لكن قوله : (عن أبيه) غير محفوظ
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ مِسْعَرِ بْنِ حَبِيبٍ الْجَرْمِيِّ عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ قَالَ لَمَّا وَفَدَ قَوْمِي إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم لَمْ يَقُلْ عَنْ أَبِيهِ
‘Amr b. Salamah reported on the authority of his father (Salamah) that they visited the Prophet (ﷺ). When they intended to return, they said:
Messenger of Allah, who will lead us in prayer? He said: The one of you who knows most of the Qur’an, or memorizes most of the Qur’an, (should act as your imam). There was none in the clan who knew more of the Qur’an than I did. They, therefore, put me in front of them and I was only a boy. And I wore a mantle, Whenever I was present in the gathering of Jarm (name of his clan), I would act as their Imam, and lead them in their funeral prayer until today.
Abu Dawud said: This tradition has been narrated by ‘Amr b. Salamah through a different chain of transmitter. This version has: “When my clan visited the Prophet( may peace be upon him) ....” He did not report it on the authority of his father.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. ইমামতির অধিক যোগ্য কে?
৫৮৮। ইবনু ’উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অবতরণের পূর্বেই মুহাজিরদের প্রথম দলটি মদীনায় এসে ’আল-উসবাহ্’ নামক স্থানে অবতরণ করলে আবূ হুযাইফাহ্ (রাঃ)-এর মুক্ত দাস সালিম (রাঃ) তাদের ইমামতি করেন। তিনি ছিলেন তাদের মধ্যকার কুরআনকে সর্বাধিক হিফ্যকারী।[1]
সহীহ : বুখারী।
زَادَ الْهَيْثَمُ وَفِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الأَسَدِ .
- صحيح : خ نحوه .
হায়সাম বলেন, তাদের মধ্যে ’উমার ইবনুল খাত্তাব ও আবূ সালামাহ্ ইবনু ’আবদুল আসাদ (রাঃ)-ও ছিলেন।
সহীহ : অনুরূপ বুখারী।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ، ح وَحَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَالِدٍ الْجُهَنِيُّ، - الْمَعْنَى - قَالَا حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ لَمَّا قَدِمَ الْمُهَاجِرُونَ الأَوَّلُونَ نَزَلُوا الْعَصْبَةَ قَبْلَ مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَكَانَ يَؤُمُّهُمْ سَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ وَكَانَ أَكْثَرَهُمْ قُرْآنًا
صحيح : خ
Ibn ‘Umar said:
when the first emigrants came (to Madina), they stayed at al-‘Asbah (a place near Madina) before the advent of the Messenger of Allah (ﷺ). Salim, the client of Abu Hudhaifah, acted as their imam, as he knew the Qur’an better than all of them, al-Haitham(the narrator) added: and ‘Umar b. al-Khattab and Abu Salamah b. ‘Abd al-Asad were among them.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. ইমামতির অধিক যোগ্য কে?
৫৮৯। মালিক ইবনুল হুয়াইরিস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অথবা তার সাথীকে বললেনঃ সালাতের সময় হলে তোমরা আযান ও ইক্বামাত(ইকামত/একামত) দিবে। তারপর তোমাদের মধ্যকার বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ইমামতি করবে।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
وَفِي حَدِيثِ مَسْلَمَةَ قَالَ وَكُنَّا يَوْمَئِذٍ مُتَقَارِبَيْنِ فِي الْعِلْمِ .
- هَذَا مُدْرَجٌ .
মাসলামাহর হাদীসে রয়েছেঃ ঐ সময় আমরা ’ইলমের দিক থেকে প্রায় সমান ছিলাম।
এটি মুদরাজ।
وَقَالَ فِي حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ قَالَ خَالِدٌ قُلْتُ لأَبِي قِلَابَةَ فَأَيْنَ الْقُرْآنُ قَالَ إِنَّهُمَا كَانَا مُتَقَارِبَيْنِ .
- هَذَا مُرْسَل .
ইসমাঈলের হাদীসে রয়েছেঃ খালিদ বলেন, আমি আবূ ক্বিলাবাহকে জিজ্ঞেস করলাম, এখানে কুরআন সম্পর্কে অধিক পারদর্শী হওয়ার কথা বলা হলো না কেন? তিনি বললেন, তারা উভয়েই এ দিক থেকে প্রায় সমমানের ছিলেন।
এটি মুরসাল।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ مُحَمَّدٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ - عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ لَهُ أَوْ لِصَاحِبٍ لَهُ " إِذَا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَأَذِّنَا ثُمَّ أَقِيمَا ثُمَّ لْيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا سِنّاً "
- صحيح : ق
Malik b. al-Huwairith said that the Prophet( may peace be upon him) told him or some of his companions:
When the time of prayer comes, call the Adhan, then call the iqamah, then the one who is oldest of you should act as your imam.
The version narrated by Maslamah goes : He said: On that day we were almost equal in knowledge.
The version narrated by Isma’il says: Khalid said: I said to Abu Qilabah: where is the Qur’an(i.e. why did the Prophet(ﷺ) not say: The one who knows the Qur’an most should act as imam)? He replied: Both of them were equal in the knowledge of the Qur’an.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. ইমামতির অধিক যোগ্য কে?
৫৯০। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যকার উত্তম লোক যেন তোমাদের আযান দেয় এবং কিরাআতে অধিক অভিজ্ঞ ব্যক্তি যেন তোমাদের ইমামতি করে।[1]
দুর্বল : মিশকাত ১১১৯।
মিশকাতের তাহক্বীক্বে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেনঃ এর সনদ দুর্বল। সনদের হুসাইন ইবনু ঈসা হানাফীকে জমহুর দুর্বল বলেছেন। ইমাম বুখারী তার এ হাদীস সম্পর্কে বলেছেনঃ মুনকার।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عِيسَى الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " لِيُؤَذِّنْ لَكُمْ خِيَارُكُمْ وَلْيَؤُمَّكُمْ قُرَّاؤُكُمْ " .
- ضعيف : المشكاة ١١١٩
Narrated Abdullah ibn Abbas:
Let the best among you call the adhan for you, and the Qur'an-readers act as your imams.