পরিচ্ছেদঃ ১০. আল্লাহর নাম খচিত আংটি নিয়ে পায়খানায় প্রবেশ করা
১৯। আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানায় যাওয়ার সময় আংটি খুলে রাখতেন।[1]
মুনকার: যইফ আল-জামি’উস সাগীর ৪৩৯০, মিশকাত ৩৪৩।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি মুনকার। হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ইবনু জুরাইজ হতে, তিনি যিয়াদ ইবনু সা’দ হতে, তিনি যুহরী হতে আনাস সূত্রে মারফূ’ভাবে এভাবেঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি রূপার আংটি বানান, অতঃপর তা ফেলে দেন। হাদীসটি বর্ণনায় হাম্মামের ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। আর হাম্মাম ছাড়া কেউ এটি বর্ণনা করেননি।
হাদীসটি আরো বর্ণনা করেছেন ইয়াহইয়া ইবনু মুতাওয়াক্কিল ইবনু জুরাইজ থেকে, তিনি যুহরী থেকে আনাস সূত্রে সাঈদ ইবনু ‘আমিরের অনুরূপ হাম্মাম সূত্রের অনুকরণে এবং বর্ণনা করেছেন ‘আব্দুল্লাহ ইবনু হারিস মাখযুমী, আবূ আসিম, হিশাম ইবনু সুলাইমান এবং মূসা ইবনু ত্বারিক ইবনু জুরাইজ থেকে, তিনি যিয়াদ ইবনু সা‘দ থেকে, তিনি যুহরী থেকে আনাস সূত্রে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে তা দেখতে পেলেন এবং তিনি বললেনঃ ‘‘আমি এটি আর কখনো পরব না।’’ ইবনু জুরাইজ সূত্রে এটিই হচ্ছে মাহফুয ও সহীহ।
আর ইমাম বায়হাক্বী ইয়াহইয়া ইবনু মুতাওয়াক্কিল এর হাদীস সম্পর্কে বলেন, এটি একটি দুর্বল শাহিদ। কেননা এ ইয়াহইয়া ইবনু মুতাওয়াক্কিল সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় নিকৃষ্ট। ইবনু মাঈন বলেন, তিনি কিছুই না। মুহাদ্দিসগণের সকল দলই তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বায়হাক্বী উল্লেখ করেন যে, ইবনু জুরাইজ সূত্রে মাশহুর বর্ণনা হচ্ছে যিয়াদ ইবনু সা‘দ যুহরী থেকে আনাস সূত্রে বর্ণিতঃ ‘‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রূপার আংটি পরলেন অতঃপর সেটি ফেলে দিলেন।’’ এর ভিত্তিতে হাদীসটি শায অথবা মুনকার, যেমনটি আবূ দাঊদ বলেছেন, এবং গরীব, যেমন ইমাম তিরমিযী বলেছেন।
যদি বলা হয়, এর তা‘লীক্বে তো উল্লেখ করা হয়েছে যে, হাম্মাম এতে একক হয়ে গেছেন। এর জবাব দু’ভাবে দেয়া যায়ঃ প্রথমতঃ হাম্মাম এতে একক হয়ে যাননি। যেমন পূর্বে গত হয়েছেন। দ্বিতীয়তঃ হাম্মাম নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। আর নির্ভরযোগ্য সিক্বাহ বর্ণনাকারীর একক হওয়াটা হাদীস অস্বীকৃত হওয়াকে জরূরী করে না। বরং শেষ পর্যন্ত তা গরীব পর্যায়ের হয় যেমন তিরমিযী বলেছেন কিন্তু মুনকার বা শায হয় না- তাহক্বীক্ব ডঃ ‘আব্দুল ক্বাদীর। কিন্তু শায়খ আলবানী (রহঃ) মিশকাতের তাহক্বীকে বলেনঃ মুনকার হওয়াই সঠিক। সেজন্যই জমহুর মুহাদ্দিসগণ একে দুর্বল বলেছেন।
باب الْخَاتَمِ يَكُونُ فِيهِ ذِكْرُ اللهِ يَدْخُلُ بِهِ الْخَلَاءَ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الْحَنَفِيِّ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْخَلَاءَ وَضَعَ خَاتَمَهُ .
منكر : ضعيف الجامع الصغير ٤٣٩٠، المشكاة ٣٤٣
قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ وَإِنَّمَا يُعْرَفُ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم اتَّخَذَ خَاتَمًا مِنْ وَرِقٍ ثُمَّ أَلْقَاهُ .وَالْوَهَمُ فِيهِ مِنْ هَمَّامٍ وَلَمْ يَرْوِهِ إِلَّا هَمَّامٌ .
Narrated Anas ibn Malik:
When the Prophet (ﷺ) entered the privy, he removed his ring.
Abu Dawud said: This is a munkar tradition, i.e. it contradicts the well-known version reported by reliable narrators. On the authority of Anas the well-known version says: The Prophet (ﷺ) had a silver ring made for him. Then he cast it off. The misunderstanding is on the part of Hammam (who is the narrator of the previous tradition mentioned in the text). This is transmitted only by Hammam.