পরিচ্ছেদঃ ২১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অত্যাচার
৫১২৯-[৭] হুযায়ফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা অচৈতন্য হয়ো না যে, তোমরা বলবে, যদি লোকেরা আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে, আমরাও ভালো ব্যবহার করব; আর জুলুম করলে আমরাও জুলুম করব; বরং তোমরা নিজেদের জন্য এ আদেশ ঠিক করে দেবে যে, যদি লোকেরা তোমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে, তোমরাও ভালো ব্যবহার করবে। আর যদি খারাপ ব্যবহার করে, তবে তোমরা জুলুম করবে না (বদলা নিবে না)। (তিরমিযী)[1]
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে ‘‘আবূ হিশাম আর্ রিফাঈ মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াযীদ’’ নামের বর্ণনাকারী য‘ঈফ। জাওয়ামিউল কালিম সফটওয়্যার।
وَعَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَكُونُوا إِمَّعَةً تَقُولُونَ: إِنْ أَحْسَنَ النَّاسُ أَحْسَنَّا وَإِنْ ظَلَمُوا ظَلَمْنَا وَلَكِنْ وَطِّنُوا أَنْفُسَكُمْ إِنْ أَحْسَنَ النَّاسُ أَنْ تُحْسِنُوا وإِن أساؤوا فَلَا تظلموا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ. وَيصِح وَقفه على ابْن مَسْعُود
পরিচ্ছেদঃ ২১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অত্যাচার
৫১৩০-[৮] মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন তিনি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নিকট পত্র লেখলেন। ঐ পত্রে লেখা ছিল, আপনি আমাকে উপদেশ দান করে নাতিদীর্ঘ পত্র লেখবেন। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সেটার জবাবে লেখলেন, সালা-মুন ’আলায়কা। পর সমাচার, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি চায় মানুষের অসন্তুষ্টি সত্ত্বেও, তার সাহায্যের জন্য আল্লাহ তা’আলাই যথেষ্ট। তিনি তাকে মানুষের অত্যাচার থেকে বাঁচান। আর যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি চায় আল্লাহর অসন্তুষ্টি সত্ত্বেও, আল্লাহ তা’আলা তাকে মানুষের হাতে ছেড়ে দেন, আসসালা-মু ’আলায়কা। (তিরমিযী)[1]
وَعَنْ مُعَاوِيَةَ أَنَّهُ كَتَبَ إِلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنِ اكْتُبِي إِلَيَّ كِتَابًا تُوصِينِي فِيهِ وَلَا تُكْثِرِي. فَكَتَبَتْ: سَلَامٌ عَلَيْكَ أَمَّا بَعْدُ: فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول: «من التمَس رضى الله بسخط النَّاس كفاهُ اللَّهُ مؤونة النَّاس وَمن التمس رضى النَّاسِ بِسَخَطِ اللَّهِ وَكَلَهُ اللَّهُ إِلَى النَّاسِ» وَالسَّلَام عَلَيْك. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যাঃ (وَكَلَهُ اللهُ إِلَى النَّاسِ) অর্থাৎ- আল্লাহ রববুল ‘আলামীন তাকে মানুষের দিকে মুখাপেক্ষী করে দিবেন। ফলে মানুষ তার ওপর প্রাধান্য বিস্তার করবে এবং তাকে কষ্ট দিবে তার ওপর নির্যাতন চালাবে। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৪১৪)
ইমাম মুযহির (রহিমাহুল্লাহ) এ প্রসঙ্গে বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির সামনে যখন এমন কাজ উপস্থিত হয় যা করতে গেলে আল্লাহ খুশি হবেন কিন্তু মানুষ অসন্তুষ্ট হবে অথবা মানুষ সন্তুষ্ট হবে কিন্তু আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেন, এ সময় যদি সে প্রথমটা করে তাহলে তার ওপর আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন এবং মানুষের অনিষ্ট হতে তাকে হিফাযাত করবেন। পক্ষান্তরে সে যদি দ্বিতীয়টা করে তাহলে আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হবেন এবং মানুষের অনিষ্ট হতে তাকে হিফাযাত করবেন না এবং তাকে বিভিন্ন কাজে মানুষের দ্বারে ঘুরাবেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)