পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - হাসি

৪৭৪৯-[৫] কতাদাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ’উমার (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ কি হাসতেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তবে তাঁদের অন্তরে পাহাড়ের চেয়েও অধিক বড় ঈমান ছিল। বিলাল ইবনু সা’দ বলেনঃ আমি সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ)-কে তীরের লক্ষ্যস্থলের মধ্যে দৌড়াতে দেখেছি, এমতাবস্থায়ও তাঁরা একে অপরকে দেখে হাসতে থাকতেন। আর যখন রাত হত, তখন তাঁরা আল্লাহর প্রতি অধিক ভীত হতেন। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

عَن قتادةَ قَالَ: سُئِلَ ابْنُ عُمَرَ: هَلْ كَانَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضْحَكُونَ؟ قَالَ: نَعَمْ وَالْإِيمَانُ فِي قُلُوبِهِمْ أَعْظَمُ مِنَ الْجَبَلِ. وَقَالَ بِلَالُ بْنُ سَعْدٍ: أَدْرَكْتُهُمْ يَشْتَدُّونَ بَيْنَ الْأَغْرَاضِ وَيَضْحَكُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ فَإِذَا كَانَ اللَّيْلُ كَانُوا رُهْبَانًا. رَوَاهُ فِي «شَرْحِ السّنة»

عن قتادة قال: سىل ابن عمر: هل كان اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم يضحكون؟ قال: نعم والايمان في قلوبهم اعظم من الجبل. وقال بلال بن سعد: ادركتهم يشتدون بين الاغراض ويضحك بعضهم الى بعض فاذا كان الليل كانوا رهبانا. رواه في «شرح السنة»

ব্যাখ্যাঃ তারা হাসতে সীমালঙ্ঘন করত না এবং অন্য কিছুর মাঝেও দীনের গন্ডির মাঝে থাকতেন। বেশি হাসার কারণে অন্তর মরে যাবে এমন হাসতেন না। বেশি হাসার জন্য তাদের অন্তর প্রকম্পিত হত। যেমন এসেছে অধিক হাসা অন্তরকে মেরে ফেলে। হাসার অর্থ উপহাস আর কাউকেও উপহাস করা বৈধ নয়।

ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তারা হাসতেন কিন্তু সীমালঙ্ঘন করতেন না। যার ফলে তাদের অন্তরসমূহকে মেরে ফেলবে বেশি হাসার ফলে, তাদের ঈমান কেঁপে উঠতো। যেমন হাদীসে এসেছে, নিশ্চয় বেশি হাসা অন্তরসমূহকে মেরে ফেলে, মৃত করে দেয়। তাই আল্লাহ সূরাহ্ মুতাফফিফীনের আয়াত উল্লেখ করে এটাই জানাতে চান যে, ‘‘নিশ্চয় পাপীরা মু’মিনদেরকে উদ্দেশ্য করে হাসত’’- (সূরাহ্ আল মুতাফফিফীন ৮৩ : ২৯) আর এটা ঠিক নয়, অনুচিত কাজ। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ) [সম্পাদক]


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ কাতাদাহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)