পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম
৪১৪৬-[৪৩] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মূর্খতার যুগের লোকেরা কোন কোন জিনিস খেতো, আবার কোন কোন জিনিসকে ঘৃণাবশতঃ বর্জন করত। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা স্বীয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পাঠালেন এবং অবতীর্ণ করলেন নিজের কিতাব (আল কুরআন)। তাতে তিনি হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম বলে ঘোষণা দিলেন। সুতরাং তিনি যা হালাল বলেছেন তা-ই হালাল আর তিনি যা হারাম করেছেন তা-ই হারাম। আর যে বস্তুতে নীরব রয়েছেন তা মার্জনীয়। এ বলে তিনি তিলাওয়াত করলেন- ’’বলে দিন, আমার নিকট যা কিছু ওয়াহী করা হয়েছে তাতে লোকে যা আহার করে তার মধ্যে আমি কিছুই নিষিদ্ধ পাইনি; মৃত, প্রবহমান রক্ত ও শূকরের মাংস ব্যতীত’’- (সূরাহ্ আল আন্’আম ৬ : ১৪৫)। (আবূ দাঊদ)[1]
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَأْكُلُونَ أَشْيَاءَ وَيَتْرُكُونَ أَشْيَاءَ تَقَذُّرًا فَبَعَثَ اللَّهُ نَبِيَّهُ وَأَنْزَلَ كِتَابَهُ وَأَحَلَّ حَلَالَهُ وَحَرَّمَ حَرَامَهُ فَمَا أَحَلَّ فَهُوَ حَلَالٌ وَمَا حَرَّمَ فَهُوَ حَرَامٌ وَمَا سَكَتَ عَنْهُ فهوَ عفْوٌ وتَلا (قُلْ لَا أَجِدُ فِيمَا أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَى طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مَيْتَةً أَو دَمًا)
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম
৪১৪৭-[৪৪] যাহিরুল আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি হাঁড়িতে গাধার মাংস জ্বাল দিচ্ছিলাম, সে সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘোষক ঘোষণা করছিলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে গাধার মাংস খেতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী)[1]
وَعَن زاهرٍ الأسلميِّ قَالَ: إِنِّي لَأُوقِدُ تَحْتَ الْقُدُورِ بِلُحُومِ الْحُمُرِ إِذْ نَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَاكُمْ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যাঃ উপরোল্লিখিত ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল খায়বারের যুদ্ধে। কেননা গৃহপালিত গাধার গোশত খাওয়ার নিষেধাজ্ঞাটা হুদায়বিয়ার দিনে সংঘটিত হয়নি, বরং তা খায়বারে হয়েছে। তা ছাড়া এটা হুদায়বিয়ায় হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তবে ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসে হুদায়বিয়ার প্রসঙ্গে যা উল্লেখ করেছেন وكان ممن شهد الشجرة অর্থাৎ হুদায়বিয়ার (গাছের নিকট) উপস্থিত ছিলেন। এ কথাটি ঘোষকের ঘোষণা দেয়ার জায়গার সাথে বৈপরীত্যপূর্ণ নয়। কারণ যারা হুদায়বিয়ার বায়‘আতে উপস্থিত ছিলেন তাদের অধিকাংশ সাহাবী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে খায়বারেও উপস্থিত ছিলেন। (ফাতহুল বারী ৭ম খন্ড, হাঃ ৪১৭৩)
পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম
৪১৪৮-[৪৫] আবূ সা’লাবাহ্ আল খুশানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি মারফূ’ সূত্রে (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে) বর্ণনা করেছেন : জীন জাতি তিন প্রকার। একপ্রকার জিনের ডানা আছে, তারা শূন্যে উড়ে বেড়ায়। দ্বিতীয় প্রকারের জীন সাপ ও কুকুরের আকৃতি ধারণ করে। আর তৃতীয় প্রকারের জীন কোন এক নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে এবং তথা হতে অন্যত্র চলেও যায়। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
وَعَن أبي ثعلبةَ الخُشَنيَّ يَرْفَعُهُ: «الْجِنُّ ثَلَاثَةُ أَصْنَافٍ صِنْفٌ لَهُمْ أَجْنِحَةٌ يَطِيرُونَ فِي الْهَوَاءِ وَصِنْفٌ حَيَّاتٌ وَكِلَابٌ وَصِنْفٌ يُحلُّونَ ويظعنونَ» . رَوَاهُ فِي شرح السنَّة