পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (সিয়াম) কাযা করা

২০৩৪-[৫] নাফি’ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছে অথচ তার ওপর সওম আদায়ের দায়িত্ব ছিল, এমতাবস্থায় তার তরফ থেকে (তার ওয়ারিসগণকে) প্রতিটি সওমের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাবার খাইয়ে দিতে হবে। (তিরমিযী; ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটির ব্যাপারে সঠিক কথা হলো, এটি ইবনু ’উমার পর্যন্ত মাওকূফ। এটি তাঁর কথা [অর্থাৎ- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা নয়]।)[1]

عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ فَلْيُطْعَمْ عَنْهُ مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مِسْكِينٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: وَالصَّحِيحُ أَنه مَوْقُوف على ابْن عمر

عن نافع عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «من مات وعليه صيام شهر رمضان فليطعم عنه مكان كل يوم مسكين» . رواه الترمذي وقال: والصحيح انه موقوف على ابن عمر

ব্যাখ্যা: এ হাদীস দ্বারা হানাফী ও মালিকী মাযহাবীগণ দলীল গ্রহণ করেছেন, তবে শর্তসাপেক্ষে, অর্থাৎ- যদি মৃত ব্যক্তি ওয়াসিয়্যাত করে থাকে তবে তার পক্ষ হতে মিসকীনকে খাদ্য খাওয়াতে হবে। আর যদি ওয়াসিয়্যাত না থাকে তাহলে আবশ্যক নয়। যা ইমাম শাফি‘ঈর মতের বিপরীত। ইমাম শাফি‘ঈর মতে মৃত ব্যক্তি ওয়াসিয়্যাত করুক বা না করুক মিসকীনকে খাদ্য দিতে হবে। ‘আল্লামা কারী (রহঃ) বলেন, ওয়ারিসদের ওপর মিসকীনকে খাদ্য খাওয়ানোর আবশ্যকতার ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির ওয়াসিয়্যাত আবশ্যক।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم) 7. Fasting