পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গোসলের বিবরণ
৪৪১-[১২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন পুরুষ লোক (ঘুম থেকে জেগে শুক্রের) আর্দ্রতা পেল, অথচ স্বপ্নদোষের কথা তার মনে পড়ছে না। তখন সে কী করবে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সে (ফরয) গোসল করবে। অপরদিকে কোন পুরুষের স্মরণ আছে, তার স্বপ্নদোষ হয়েছে অথচ (কাপড়ে শুক্রের) কোন আর্দ্রতা সে খুঁজে পাচ্ছে না, (তখন সে কী করবে?) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তাকে (ফরয) গোসল করতে হবে না। উম্মু সুলায়ম (রাঃ)জিজ্ঞেস করলেন, কোন স্ত্রীলোক যদি এরূপ দেখে তার ওপরও কি গোসল ফরয হবে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, স্ত্রীলোকরাও পুরুষের মতো। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]
দারিমী ও ইবনু মাজাহ ’’তাকে গোসল করতে হবে না’’ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الرَّجُلِ يَجِدُ الْبَلَلَ وَلَا يَذْكُرُ احْتِلَامًا قَالَ «يَغْتَسِلُ» وَعَنِ الرَّجُلِ يَرَى أَنه قد احْتَلَمَ وَلم يَجِدُ بَلَلًا قَالَ: «لَا غُسْلَ عَلَيْهِ» قَالَتْ أم سَلمَة يَا رَسُول الله هَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ تَرَى ذَلِكَ غُسْلٌ قَالَ «نَعَمْ إِنَّ النِّسَاءَ شَقَائِقُ الرِّجَالِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَرَوَى الدَّارِمِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ إِلَى قَوْله: «لَا غسل عَلَيْهِ»
ব্যাখ্যা: قوله (يَجِدُ بَلَلًا) অর্থাৎ- বীর্যের আর্দ্রতা তার শরীরে। ( باء ও لام উভয় অক্ষর ফাতাহ হবে)। অথবা কাপড়ে পেশাবের আর্দ্রতা দেখার দ্বারা যে ঘুম থেকে জাগ্রত হয় তার ওপর গোসল করা অত্যাবশ্যক, এ কথা কেউ বলেনি।
তিনি বলেন, (يَغْتَسِلُ) খবর ‘আমরের অর্থে আর এটা অত্যাবশ্যক। এটাতে দলীল রয়েছে যে, নিদ্রা হতে জাগ্রত হবে তার উপর গোসল করা ওয়াজিব শুধু বীর্যের অস্তিত্ব পাওয়ার দিক থেকে। কুপ্রবৃত্তির ধারণার সাথে মিলিত হবে। এমনকি উল্লেখ করা হয়, নিদ্রা হতে জাগ্রত হওয়ার কথা, নিশ্চয়ই যে ঘুমের মধ্যে কারো সাথে সহবাস করে থাকবে।
সমকক্ষের সঙ্গে সমকক্ষের হুকুম মিলানো। অর্থাৎ- ভিজা দেখার জন্য স্ত্রীলোকের ওপর গোসল করা ওয়াজিব যেমন পুরুষের ওপর অত্যাবশ্যক।
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গোসলের বিবরণ
৪৪২-[১৩] উক্ত রাবী [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পুরুষের খতনার জায়গা মহিলার খতনার জায়গা অতিক্রম করলেই গোসল করা ফরয হয়ে যাবে। তিনি [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] বলেন, আমি ও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করেছি, তারপর দু’জনেই গোসল করেছি। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا جَاوَزَ الْخِتَانُ الْخِتَانَ وَجَبَ الْغُسْلُ. فَعَلْتُهُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاغْتَسَلْنَا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَه
ব্যাখ্যা: (مَجَاوَزَةُ الْخِتَانُ الْخِتَانَ) অর্থাৎ- সহবাস করা, মিলন করা; এমন অবস্থায় যে, পুরুষের লিঙ্গ স্ত্রীলিঙ্গের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়। আর ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস-এর হাদীসে রয়েছে- (اذا التقى الختانان الخ) পূর্বের হাদীসের মতই অর্থ তবে সামান্য শাব্দিক পার্থক্য ছাড়া। (فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ) অতঃপর উভয়ের ওপর গোসল করা ওয়াজিব হবে।
যখন চার শাখার মাঝে (স্বামী ও স্ত্রী) বসবে ও উভয়ের লিঙ্গ একটা আর একটাকে স্পর্শ করবে। অথবা, উভয়ে সঙ্গমে লিপ্ত হবে তখনই গোসল অত্যাবশ্যক হবে।
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গোসলের বিবরণ
৪৪৩-[১৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শরীরের প্রত্যেক পশমের গোড়ায় নাপাকী থাকে। সুতরাং শরীরের পশমগুলোকে ভালোভাবে ধুবে এবং চামড়াকে উত্তমভাবে পরিষ্কার করবে। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ্)[1]
ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেছেন, এ হাদীসটি গরীব। এর রাবী হারিস ইবনু ওয়াজীহ তেমন গ্রহণযোগ্য নন।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: «تَحت كل شَعْرَة جَنَابَةٌ فَاغْسِلُوا الشَّعْرَ وَأَنْقُوا الْبَشْرَةَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَالْحَارِثُ بْنُ وَجِيهٍ الرَّاوِي وَهُوَ شيخ لَيْسَ بذلك
ব্যাখ্যা: قوله (تَحْتَ كُلِّ شَعَرَةٍ جَنَابَةٌ) প্রত্যেক লোমের নিচে অপবিত্রতা হয়ে থাকে। এ কারণেই চুলের নীচে পানি পৌঁছানো হাদীসের দাবী। চুলকে ধৌত করা দাবী করে না, এমনি চামড়াকেও পরিষ্কার করা দাবী করে না।
যদি একচুলও বাকী থাকে সেটাতে পানি না পৌঁছে তাহলে অপবিত্র ব্যক্তির অপবিত্রতা ও নাপাকি অবশিষ্ট থাকে। বাহ্যিক হাদীস দ্বারা বুঝা যায় শিং খোঁপা খুলতে হবে এটা অত্যাবশ্যক যখন নাপাকি থেকে গোসল করতে ইচ্ছা করবে। আর এখানে চুলের গোড়াকে বুঝানো হয়েছে। কিন্তু মেয়েদের মাথার খোঁপা খুলতে হবে না, এ প্রসঙ্গে অনুমতি দেয়া হয়েছে যেমন পূর্বে আলোচনা হয়েছে। অতএব পুরুষদের হুকুম মেয়েদের বিপরীত।
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গোসলের বিবরণ
৪৪৪-[১৫] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক নাপাকীর এক চুল পরিমাণও ছেড়ে দিবে এবং তা ধুবে না তাকে এভাবে এভাবে জাহান্নামের ’আযাব দেয়া হবে। ’আলী (রাঃ) বললেন, সেদিন হতে আমি আমার মাথার সাথে শত্রুতা করছি। সেদিন হতে আমি আমার মাথার সাথে শত্রুতা করেছি। সেদিন থেকে আমি আমার মাথার সাথে শত্রুতা করে আসছি- এরূপ তিনবার বললেন। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ تَرَكَ مَوْضِعَ شَعَرَةٍ مِنْ جَنَابَةٍ لَمْ يَغْسِلْهَا فعل بهَا كَذَا وَكَذَا من النَّار» . قَالَ عَليّ فَمن ثمَّ عاديت رَأْسِي ثَلَاثًا فَمن ثمَّ عاديت رَأْسِي ثَلَاثًا فَمِنْ ثَمَّ عَادَيْتُ رَأْسِي ثَلَاثًا. (رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَأَحْمَدُ وَالدَّارِمِيُّ إِلَّا أَنَّهُمَا لَمْ يُكَرِّرَا: فَمن ثمَّ عاديت رَأْسِي)
ব্যাখ্যা: চুলের জায়গার নাপাকী ধৌত করা থেকে বিরত থাকবো না, অবশ্যই নাপাক দূর করবো, কারণ লোমের গোড়ায় যদি পানি না পৌঁছে এবং উযূর কোন অঙ্গ শুকনা থাকে তাহলে হাদীসে কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে ও ধমক দেয়া হয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গোসলের বিবরণ
৪৪৫-[১৬] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসলের পর (সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বা অন্যান্য ’ইবাদাতের জন্য নতুন করে) উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতেন না। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী ও ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يتَوَضَّأ بعد الْغسْل. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ
ব্যাখ্যা: قوله (لَا يَتَوَضَّأُ بَعْدَ الْغُسْلِ) গোসল করার পর উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতে হবে না। উযূ (ওযু/ওজু/অজু) না করেই সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সম্পাদন করা যাবে। গোসলের পূর্বে যে উযূ করা হয়েছে ঐ উযূ সালাতের জন্য যথেষ্ট হবে। নতুন উযূর প্রয়োজন হবে না যদি উযূ নষ্ট হওয়ার কারণ না পাওয়া যায়।
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অভ্যাস ছিল ফরয গোসলের পূর্বে উযূ করতেন। যা পূর্বে বর্ণনা হয়েছে।
উযূর সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পানি পৌঁছানোর কারণে নাপাকি গোসল করার পর উযূ করা অত্যাবশ্যক হয় না। এ প্রসঙ্গে আলিমদের মতভেদ নেই।
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গোসলের বিবরণ
৪৪৬-[১৭] উক্ত রাবী [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয গোসলের সময় খিত্বমী দিয়ে নিজের মাথা ধুতেন, অথচ তিনি নাপাক। খিত্বমী দিয়ে ধৌত করাকেই যথেষ্ট মনে করতেন। মাথায় পানি ঢালতেন না। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَغْسِلُ رَأْسَهُ بِالْخِطْمِيِّ وَهُوَ جُنُبٌ يَجْتَزِئُ بِذَلِكَ وَلَا يَصُبُّ عَلَيْهِ الْمَاءَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ফরয গোসলের সময় হালাল সাবান, হালাল শ্যাম্পু ইত্যাদি দ্বারা মাথা ভালোভাবে পরিষ্কার করা মুসতাহাব এবং মাথা পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত খিত্বমী বা সাবানের ফেনা ধুয়ে ফেলার জন্য যে পানি ব্যবহার করা হয়, তাই মাথার পবিত্রতার জন্য যথেষ্ট। পুনরায় নতুন পানি গ্রহণের প্রয়োজন নেই। ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) খিত্বমী দ্বারা মাথা ধুয়ে পরিষ্কার করতেন এবং ফরয গোসলের ক্ষেত্রে তা-ই যথেষ্ট মনে করতেন।
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গোসলের বিবরণ
৪৪৭-[১৮] ইয়া’লা [ইবনু মুররাহ্] (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে উলঙ্গ উন্মুক্ত জায়গায় গোসল করতে দেখলেন এবং (রাগভরে) তিনি মিম্বারে দাঁড়ালেন। প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করলেন, এরপর বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা বড় লজ্জাশীল ও পর্দাশীল। তিনি লজ্জাশীলতা ও পর্দা করাকে বেশী পছন্দ করেন। তাই তোমাদের কেউ গোসল করতে গেলে যেন পর্দা অবলম্বন করে। (আবূ দাঊদ)[1]
নাসায়ীর এক বর্ণনায় আছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা বড় পর্দাশীল। অতএব তোমাদের কেউ গোসল করতে ইচ্ছা করলে সে যেন কোন কিছু দিয়ে পর্দা করে নেয়।
وَعَن يعلى: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَجُلًا يَغْتَسِلُ بِالْبَرَازِ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَحَمِدَ الله وَأثْنى عَلَيْهِ وَقَالَ: «إِن الله عز وَجل حييّ حييّ ستير يحب الْحيَاء والستر فَإِذَا اغْتَسَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْتَتِرْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَفِي رِوَايَتِهِ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ سِتِّيرٌ فَإِذَا أَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يَغْتَسِلَ فَلْيَتَوَارَ بِشَيْءٍ»
ব্যাখ্যা: গোসলে লজ্জাশীলতা অবলম্বন করা এবং অন্তরালে গোসল করা ওয়াজিব। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিবস্ত্র অবস্থায় গোসল করা দ্বারা তা বৈধতার বিবরণ পাওয়া যায়। তবে সেটা এমন নির্জন স্থান হতে হবে যেখানে তার স্ত্রী ছাড়া কেউ তাকে দেখবে না। সেক্ষেত্রে বিবস্ত্র অবস্থায় গোসল করা বৈধ। তবে অন্তরালে বা পর্দা করে গোসল করাই উত্তম। এ ব্যাপারে আবূ দাঊদ ও তিরমিযীর রিওয়ায়াতে বাহয ইবনু হাকিম বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি তোমার লজ্জাস্থান হিফাযাত কর স্ত্রী ব্যতীত অন্যদের থেকে। আমি বললাম, ব্যক্তি যদি নির্জনস্থানে হয় তবে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তরে বললেন, আল্লাহ তা‘আলা লজ্জাশীলতা অবলম্বনের জন্য সর্বাধিক হকদার। আর যদি গোসলখানা এমন হয় যে, সেখানে যাদের জন্য তার আবরু দেখা হারাম, তাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে অবশ্যই তার পর্দা করতে হবে।