পরিচ্ছেদঃ
১৭৩. আলী ইবনে রবী’আ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আলী (রাঃ) এর সামনে উপস্থিত হলাম। তখন তাঁর কাছে একটি জানোয়ারকে আরোহণের জন্য আনা হলো। যখন তিনি সে পশুটির পাদানীতে পা রাখলেন এবং বললেন, “বিসমিল্লা-হ”। অতঃপর জানোয়ারের পিঠে যখন সোজা হয়ে বসলেন তখন বললেন, “আলহামদু লিল্লা-হ” (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর) অতঃপর বললেনঃ
سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ
“সুবহা-নাল্লাযী সাখখারা লানা- হা-যা- ওয়ামা- কুন্না- লাহু মুক্বরিনীন, ওয়া ইন্না-ইলা- রব্বিনা-লামুনক্বালিবূন”
অর্থাৎ হে আল্লাহ! মহান সত্তার পবিত্রতা জ্ঞাপন করছি, যিনি আমাদের জন্য একে বশীভূত করেছেন। আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম নই। বস্তুত আমরা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করছি।[1]
এরপর তিনি ৩ বার “আলহামদু লিল্লাহ” এবং ৩ বার “আল্লাহু আকবর” পাঠ করলেন। এরপর এ দু’আ পড়লেনঃ
سُبْحَانَكَ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ، فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلا أَنْتَ
“সুবহা-নাকা ইন্নী যলামতু নাফসী ফাগফিরলী ফাইন্নাহু লা- ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা”।
অর্থাৎ আল্লাহ পবিত্র! নিশ্চয় আমি আমার নিজের উপর সীমালঙ্ঘন করেছি। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। কারণ, আপনি ছাড়া গুনাহ ক্ষমাকারী আর কেউ নেই।
এরপর তিনি হাসলেন। তখন আমি তাঁকে বললাম, আমীরুল মু’মিনীন! আপনার হাসি পেল? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এমনভাবে দেখেছি যেভাবে আমি এইমাত্র কথা ও কাজ সম্পন্ন করলাম। এরপর তিনি মুচকি হাসি দিলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কোন জিনিস আপনাকে হাসাল? তিনি বললেন, তোমার প্রতিপালক তাঁর বান্দার এ কথা খুবই পছন্দ করেন যখন সে বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দাও, এ বিশ্বাস রেখে যে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না।[2]
[2] মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৫৩; মুসনাদুত তায়ালুসী, হা/১৩৪; সুনানুল কাবীর লিন নাসাঈ, হা/৮৭৪৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৪৩; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/২৬৯৮।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ ، قَالَ : شَهِدْتُ عَلِيًّا ، أُتِيَ بِدَابَّةٍ لِيَرْكَبَهَا فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الرِّكَابِ ، قَالَ : بِسْمِ اللَّهِ ، فَلَمَّا اسْتَوَى عَلَى ظَهْرِهَا ، قَالَ : الْحَمْدُ لِلَّهِ ، ثُمَّ قَالَ : سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ ( 13 ) وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ سورة الزخرف آية 13-14 ، ثُمَّ قَالَ : الْحَمْدُ لِلَّهِ ثَلاثًا ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ ثَلاثًا ، سُبْحَانَكَ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ، فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلا أَنْتَ ، ثُمَّ ضَحِكَ . فَقُلْتُ لَهُ : مِنْ أَيِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ ؟ قَالَ : رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَنَعَ كَمَا صَنَعْتُ ثُمَّ ضَحِكَ ، فَقُلْتُ : مِنْ أَيِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ؟ قَالَ : " إِنَّ رَبَّكَ لَيَعْجَبُ مِنْ عَبْدِهِ , إِذَا قَالَ : رَبِّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي ، إِنَّهُ لا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ غَيْرُكَ " .
Ali ibn Rabiah radiyallahu anhu says, “I was present when a conveyance (A horse or something) was brought to Hazrat Ali radiyallahu anhu (in the period of his khilafah). He recited Bismillah and put his leg in the stirrup. After he had mounted he said Alhamdulillah and recited this dua:
Translation: Glorified be He Who hath sudued those unto us, and we were not capable (Of subduing them); And lo! Unto our Lord we are returning. (Surah Zukhruf 13-14)
Ali radiyallahu anhu then said Alhamdulillah three times, Allahu Akbar three times, then recited:
Translation: Glorified be Thou! Behold, I have wronged myself. So forgive thou me. Indeed, non forgiveth sins but Thou.
Then (Sayyidina Ali radiyallahu anhu) laughed (smiled). I said to him, ‘What is the reason for laughing, O Ameerul Mumineen?’ He replied, ‘Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam also recited these duas in this manner and thereafter laughed (smiled). I also inquired from Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam the reason for laughing (smiling) as you have asked me.
Rasoolullah sallallahu alaihe wasallam said, ‘Allah Ta’ala becomes happy when His servants say, ‘No one can forgive me save You.’ My servant knows that no one forgives sins besides Me.
পরিচ্ছেদঃ
২৭৪. আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপহার গ্রহণ করতেন এবং প্রতিউপহারও দিতেন।[1]
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ ، قَالُوا : حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ : " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَ يَقْبَلُ الْهَدِيَّةَ , وَيُثِيبُ عَلَيْهَا " .
'Aayeshah Radiyallahu 'Anha reports that Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam accepted gifts, and also gave presents in return.
এ হাদীসের শিক্ষা হলো, হাদিয়া গ্রহণ করা এবং হাদিয়ার প্রতিদান প্রদান করা নবী (সাঃ) এর সুন্নাত।
It is a sign of complete etiquette, that the feeling of a person is taken into consideration in returning a present. There is no benefit for one in not recompensating a gift. Many a time due to intense love one goes through hardships to give presents. In recompensating a present one is also made happy. It does not result in a loss, but is of benefit. Therefore in some ahaadith instead of 'Wa yuthibu minha' (and he recompensated it), 'Wa yuthibu khayram minha' (and he recompensated some- thing better than it) is mentioned. From other ahaadith too this noble habit of Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam is evident, that he gave more in return for a present received.