পরিচ্ছেদঃ ২৩. দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ এবং দুনিয়াতে তার অবস্থান, ঈসা (আঃ) এর অবতরণ এবং তার দ্বারা দাজ্জালকে হত্যা, দুনিয়া থেকে ভাল লোক এবং ঈমানের বিদায় গ্রহণ এবং নিকৃষ্ট লোকেদের অবস্থান, তাদের দ্বারা মূর্তিপূজা, শিঙ্গার ফুৎকার এবং কবর থেকে (সকলের) উত্থান

৭২৭১-(১১৬/২৯৪০) উবাইদুল্লাহ ইবনু মু’আয আল আম্বারী (রহঃ) ..... ইয়াকুব ইবনু আসিম ইবনু উরওয়াহ ইবনু মাসউদ আস্ সাকাফী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) কে আমি এ কথা বলতে শুনেছি যে, একদা জনৈক লোক তার কাছে এসে বললেন, এ কেমন হাদীস আপনি বর্ণনা করছেন যে, এতো এতো দিনের মধ্যে কিয়ামত সংঘটিত হবে। এ কথা শুনে তিনি বললেন, "সুবহানাল্লাহ অথবা ’লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ অথবা অবিকল কোন শব্দ। তারপর তিনি বললেন, আমি তো শুধু এ কথাই বলেছিলাম যে, অচিরেই তোমরা এমন ভয়াবহ ঘটনা প্রত্যক্ষ করবে যা ঘর-বাড়ী জ্বালিয়ে দিবে। এ ঘটনা কায়িম হবেই হবে।

এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যেই দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং সে চল্লিশ পর্যন্ত অবস্থান করবে। আমি জানি না চল্লিশ দিন, না চল্লিশ মাস, না চল্লিশ বছর। এ সময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মারইয়াম তনয় ঈসা (আঃ) কে প্রেরণ করবেন। তাঁর আকৃতি উরওয়াহ ইবনু মাসউদ এর অবিকল হবে। তিনি দাজ্জালকে সন্ধান করে তাকে ধ্বংস করে দিবেন। তারপর সাতটি বছর লোকেরা এমনভাবে অতিবাহিত করবে যে, দু’ ব্যক্তির মধ্যে কোন শত্রুতা থাকবে না। তখন আল্লাহ তা’আলা সিরিয়ার দিক হতে শীতল বাতাস প্রবাহিত করবেন। ফলে যার হৃদয়ে কল্যাণ বা ঈমান থাকবে, এ ধরনের কোন লোকই এ দুনিয়াতে আর বেঁচে থাকবে না। বরং এ ধরনের প্রত্যেকের জান আল্লাহ তা’আলা কবয করে নিবেন। এমনকি তোমাদের কোন লোক যদি পর্বতের গভীরে গিয়ে আত্মগোপন করে তবে সেখানেও বাতাস তার কাছে পৌছে তার জান কবয করে নিবে।

আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, তখন খারাপ লোকগুলো পৃথিবীতে অবশিষ্ট থাকবে। দ্রুতগামী পাখী এবং জ্ঞানশূন্য হিংস্রপ্রাণীর ন্যায় তাদের স্বভাব হবে। তারা কল্যাণকে অকল্যাণ বলে জানবে না এবং অকল্যাণকে অকল্যাণ বলে মনে করবে না। এ সময় শাইতান (শয়তান) এক আকৃতিতে তাদের কাছে এসে বলবে, তোমরা কি আহবানে সাড়া দিবে না? তারা বলবে, আপনি আমাদেরকে কোন বিষয়ের আদেশ করছেন? তখন সে তাদেরকে মূর্তি পূজার নির্দেশ দিবে। এমতাবস্থায়ও তাদের জীবনোপকরণে প্রশস্ততা থাকবে এবং তারা স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন-যাপন করবে। তখনই শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে। যে এ আওয়াজ শুনবে সে তার ঘাড় একদিকে অবনমিত করবে এবং অন্যদিকে উত্তোলন করবে। এ আওয়াজ সর্বপ্রথম ঐ লোকই শুনতে পাবে, যে তার উটের জন্য হাওয সংস্করণের কাজে নিযুক্ত থাকবে।

আওয়াজ শুনামাত্রই সে অজ্ঞান হয়ে লুটে পড়বে। সাথে সাথে অন্যান্য লোকেরাও অজ্ঞান হয়ে যাবে। অতঃপর মহান আল্লাহ শুক্র ফোটার অথবা ছায়ার ন্যায় বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। বর্ণনাকারী নুমান (রহঃ) সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এতে মানুষের শরীর পরিবর্ধিত হবে। আবার শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে। অকস্মাৎ তারা দাঁড়িয়ে তাকাতে থাকবে। অতঃপর আহবান করা হবে যে, হে লোক সকল! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট আসো। অতঃপর (ফেরেশতাদের বলা হবে) তাদেরকে থামাও, কারণ তাদেরকে প্রশ্ন করা হবে। তারপর আবারো বলা হবে, জাহান্নামী দল বের করো। জিজ্ঞেস করা হবে, কত জন? উত্তরে বলা হবে, প্রত্যেক হাজার থেকে নয়শ’ নিরানব্বই জন। অতঃপর তিনি বললেন, এ-ই তো ঐদিন, যেদিন কিশোরকে পরিণত করবে বৃদ্ধে এবং এ-ই চরম সঙ্কটাপন্ন অবস্থার দিন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১১৪, ইসলামিক সেন্টার ৭১৬৮)

باب في خروج الدجال ومكثه في الأرض ونزول عيسى وقتله إياه وذهاب أهل الخير والإيمان وبقاء شرار الناس وعبادتهم الأوثان والنفخ في الصور وبعث من في القبور

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ يَعْقُوبَ بْنَ عَاصِمِ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، وَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ مَا هَذَا الْحَدِيثُ الَّذِي تُحَدِّثُ بِهِ تَقُولُ إِنَّ السَّاعَةَ تَقُومُ إِلَى كَذَا وَكَذَا ‏.‏ فَقَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ - أَوْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهُمَا - لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ لاَ أُحَدِّثَ أَحَدًا شَيْئًا أَبَدًا إِنَّمَا قُلْتُ إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ بَعْدَ قَلِيلٍ أَمْرًا عَظِيمًا يُحَرَّقُ الْبَيْتُ وَيَكُونُ وَيَكُونُ ثُمَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَخْرُجُ الدَّجَّالُ فِي أُمَّتِي فَيَمْكُثُ أَرْبَعِينَ - لاَ أَدْرِي أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ أَرْبَعِينَ شَهْرًا أَوْ أَرْبَعِينَ عَامًا - فَيَبْعَثُ اللَّهُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ كَأَنَّهُ عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ فَيَطْلُبُهُ فَيُهْلِكُهُ ثُمَّ يَمْكُثُ النَّاسُ سَبْعَ سِنِينَ لَيْسَ بَيْنَ اثْنَيْنِ عَدَاوَةٌ ثُمَّ يُرْسِلُ اللَّهُ رِيحًا بَارِدَةً مِنْ قِبَلِ الشَّأْمِ فَلاَ يَبْقَى عَلَى وَجْهِ الأَرْضِ أَحَدٌ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ خَيْرٍ أَوْ إِيمَانٍ إِلاَّ قَبَضَتْهُ حَتَّى لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ دَخَلَ فِي كَبَدِ جَبَلٍ لَدَخَلَتْهُ عَلَيْهِ حَتَّى تَقْبِضَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ فَيَبْقَى شِرَارُ النَّاسِ فِي خِفَّةِ الطَّيْرِ وَأَحْلاَمِ السِّبَاعِ لاَ يَعْرِفُونَ مَعْرُوفًا وَلاَ يُنْكِرُونَ مُنْكَرًا فَيَتَمَثَّلُ لَهُمُ الشَّيْطَانُ فَيَقُولُ أَلاَ تَسْتَجِيبُونَ فَيَقُولُونَ فَمَا تَأْمُرُنَا فَيَأْمُرُهُمْ بِعِبَادَةِ الأَوْثَانِ وَهُمْ فِي ذَلِكَ دَارٌّ رِزْقُهُمْ حَسَنٌ عَيْشُهُمْ ثُمَّ يُنْفَخُ فِي الصُّورِ فَلاَ يَسْمَعُهُ أَحَدٌ إِلاَّ أَصْغَى لِيتًا وَرَفَعَ لِيتًا - قَالَ - وَأَوَّلُ مَنْ يَسْمَعُهُ رَجُلٌ يَلُوطُ حَوْضَ إِبِلِهِ - قَالَ - فَيَصْعَقُ وَيَصْعَقُ النَّاسُ ثُمَّ يُرْسِلُ اللَّهُ - أَوْ قَالَ يُنْزِلُ اللَّهُ - مَطَرًا كَأَنَّهُ الطَّلُّ أَوِ الظِّلُّ - نُعْمَانُ الشَّاكُّ - فَتَنْبُتُ مِنْهُ أَجْسَادُ النَّاسِ ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ أُخْرَى فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ ثُمَّ يُقَالُ يَا أَيُّهَا النَّاسُ هَلُمَّ إِلَى رَبِّكُمْ ‏.‏ وَقِفُوهُمْ إِنَّهُمْ مَسْئُولُونَ - قَالَ - ثُمَّ يُقَالُ أَخْرِجُوا بَعْثَ النَّارِ فَيُقَالُ مِنْ كَمْ فَيُقَالُ مِنْ كُلِّ أَلْفٍ تِسْعَمِائَةٍ وَتِسْعَةً وَتِسْعِينَ - قَالَ - فَذَاكَ يَوْمَ يَجْعَلُ الْوِلْدَانَ شِيبًا وَذَلِكَ يَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا عبيد الله بن معاذ العنبري، حدثنا ابي، حدثنا شعبة، عن النعمان بن سالم، قال سمعت يعقوب بن عاصم بن عروة بن مسعود الثقفي، يقول سمعت عبد الله بن عمرو، وجاءه رجل فقال ما هذا الحديث الذي تحدث به تقول ان الساعة تقوم الى كذا وكذا ‏.‏ فقال سبحان الله - او لا اله الا الله او كلمة نحوهما - لقد هممت ان لا احدث احدا شيىا ابدا انما قلت انكم سترون بعد قليل امرا عظيما يحرق البيت ويكون ويكون ثم قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يخرج الدجال في امتي فيمكث اربعين - لا ادري اربعين يوما او اربعين شهرا او اربعين عاما - فيبعث الله عيسى ابن مريم كانه عروة بن مسعود فيطلبه فيهلكه ثم يمكث الناس سبع سنين ليس بين اثنين عداوة ثم يرسل الله ريحا باردة من قبل الشام فلا يبقى على وجه الارض احد في قلبه مثقال ذرة من خير او ايمان الا قبضته حتى لو ان احدكم دخل في كبد جبل لدخلته عليه حتى تقبضه ‏"‏ ‏.‏ قال سمعتها من رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ فيبقى شرار الناس في خفة الطير واحلام السباع لا يعرفون معروفا ولا ينكرون منكرا فيتمثل لهم الشيطان فيقول الا تستجيبون فيقولون فما تامرنا فيامرهم بعبادة الاوثان وهم في ذلك دار رزقهم حسن عيشهم ثم ينفخ في الصور فلا يسمعه احد الا اصغى ليتا ورفع ليتا - قال - واول من يسمعه رجل يلوط حوض ابله - قال - فيصعق ويصعق الناس ثم يرسل الله - او قال ينزل الله - مطرا كانه الطل او الظل - نعمان الشاك - فتنبت منه اجساد الناس ثم ينفخ فيه اخرى فاذا هم قيام ينظرون ثم يقال يا ايها الناس هلم الى ربكم ‏.‏ وقفوهم انهم مسىولون - قال - ثم يقال اخرجوا بعث النار فيقال من كم فيقال من كل الف تسعماىة وتسعة وتسعين - قال - فذاك يوم يجعل الولدان شيبا وذلك يوم يكشف عن ساق ‏"‏ ‏.‏


'Abdullah b. 'Amr reported that a person came to him and said:
What is this hadith that you narrate that the Last Hour would come at such and such time? Thereupon he said: Hallowed be Allah, there is no god but Allah (or the words to the same effect). I have decided that I would not narrate anything to anyone now. I had only said that you would see after some time an important event that the (sacred) House (Ka'ba) would be burnt and it would happen and definitely happen. He then reported that Allah's Messenger (ﷺ) said: The Dajjal would appear in my Ummah and he would stay (in the world) for forty - I cannot say whether he meant forty days, forty months or forty years. And Allah would then send Jesus son of Mary who would resemble 'Urwa b Mas'ud. He (Jesus Christ) would chase him and kill him. Then people would live for seven years that there would be no rancour between two persons. Then Allah would send cold wind from the side of Syria that none would survive upon the earth having a speck of good in him or faith in him but he would die, so much so that even if some amongst you were to enter the innermost part of the mountain, this wind would reach that place also and that would cause his death. I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying: Only the wicked people would survive and they would be as careless as birds with the characteristics of beasts. They would never appreciate the good nor condemn evil. Then Satan would come to them in human form and would say: Don't you respond? And they would say: What do you order us? And he would command them to worship the idols but, in spite of this, they would have abundance of sustenance and lead comfortable lives. Then the trumpet would be blown and no one would hear that but he would bend his neck to one side and raise it from the other side and the first one to hear that trumpet would be the person who would be busy in setting right the tank meant for providing water to the camels. He would swoon and the other people would also swoon, then Allah would send or He would cause to send rain which would be like dew and there would grow out of it the bodies of the people. Then the second trumpet would be blown and they would stand up and begin to look (around). Then it would be said: O people, go to your Lord, and make them stand there. And they would be questioned. Then it would be said: Bring out a group (out of them) for the Hell-Fire. And then it would be asked: How much? It would be said: Nine hundred and ninty-nine out of one thousand for the Hell-Fire and that would be the day which would make the children old because of its terror and that would be the day about which it has been said: "On the day when the shank would be uncovered" (lxviii. 42).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৫৪। বিভিন্ন ফিতনাহ ও কিয়ামতের লক্ষনসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة) 54 The Book of Tribulations and Portents of the Last Hour

পরিচ্ছেদঃ ২৩. দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ এবং দুনিয়াতে তার অবস্থান, ঈসা (আঃ) এর অবতরণ এবং তার দ্বারা দাজ্জালকে হত্যা, দুনিয়া থেকে ভাল লোক এবং ঈমানের বিদায় গ্রহণ এবং নিকৃষ্ট লোকেদের অবস্থান, তাদের দ্বারা মূর্তিপূজা, শিঙ্গার ফুৎকার এবং কবর থেকে (সকলের) উত্থান

৭২৭২-(১১৭/...) মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... ইয়াকুব ইবনু আসিম ইবনু উরওয়াহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক লোককে শুনেছি যে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আমরকে প্রশ্ন করেছেন, আপনি কি বলেছেন, অমুক অমুক সময় কিয়ামত সংঘটিত হবে? এ কথা শুনে তিনি বললেন, আমি ইচ্ছা করেছি, তোমাদেরকে কোন কথাই আমি আর বলব না। আমি তো এ কথাই বলেছি যে, অল্প কিছু দিন পরেই তোমরা একটি ভয়ানক কাহিনী দেখতে পাবে। যা ঘর-বাড়ী জ্বালিয়ে ধ্বংস করে দিবে। বর্ণনাকারী শুবাহ এ কথা বা অনুরূপ কথাই বলেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যেই দাজ্জালের আবির্ভাব হবে। অতঃপর তিনি মু’আয এর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। এতে তিনি বলেছেন, যার হৃদয়ে অণুপরিমাণ ঈমান থাকবে, এ ধরনের কোন লোকই তখন আর অবশিষ্ট থাকবে না। বরং তার জান কবয করে নেয়া হবে। মুহাম্মাদ ইবনু জাফার (রহঃ) বলেন, শুবাহু (রহঃ) এ হাদীস আমার কাছে কয়েকবার বর্ণনা করেছেন এবং আমিও তার নিকট সেটা উথাপন করেছি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১১৫, ইসলামিক সেন্টার ৭১৬৯)

باب في خروج الدجال ومكثه في الأرض ونزول عيسى وقتله إياه وذهاب أهل الخير والإيمان وبقاء شرار الناس وعبادتهم الأوثان والنفخ في الصور وبعث من في القبور

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ، سَالِمٍ قَالَ سَمِعْتُ يَعْقُوبَ بْنَ عَاصِمِ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَجُلاً، قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو إِنَّكَ تَقُولُ إِنَّ السَّاعَةَ تَقُومُ إِلَى كَذَا وَكَذَا فَقَالَ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ لاَ أُحَدِّثَكُمْ بِشَىْءٍ إِنَّمَا قُلْتُ إِنَّكُمْ تَرَوْنَ بَعْدَ قَلِيلٍ أَمْرًا عَظِيمًا ‏.‏ فَكَانَ حَرِيقَ الْبَيْتِ - قَالَ شُعْبَةُ هَذَا أَوْ نَحْوَهُ - قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَخْرُجُ الدَّجَّالُ فِي أُمَّتِي ‏"‏ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ مُعَاذٍ وَقَالَ فِي حَدِيثِهِ ‏"‏ فَلاَ يَبْقَى أَحَدٌ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ إِيمَانٍ إِلاَّ قَبَضَتْهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنِي شُعْبَةُ بِهَذَا الْحَدِيثِ مَرَّاتٍ وَعَرَضْتُهُ عَلَيْهِ ‏.‏

وحدثني محمد بن بشار، حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن النعمان بن، سالم قال سمعت يعقوب بن عاصم بن عروة بن مسعود، قال سمعت رجلا، قال لعبد الله بن عمرو انك تقول ان الساعة تقوم الى كذا وكذا فقال لقد هممت ان لا احدثكم بشىء انما قلت انكم ترون بعد قليل امرا عظيما ‏.‏ فكان حريق البيت - قال شعبة هذا او نحوه - قال عبد الله بن عمرو قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يخرج الدجال في امتي ‏"‏ ‏.‏ وساق الحديث بمثل حديث معاذ وقال في حديثه ‏"‏ فلا يبقى احد في قلبه مثقال ذرة من ايمان الا قبضته ‏"‏ ‏.‏ قال محمد بن جعفر حدثني شعبة بهذا الحديث مرات وعرضته عليه ‏.‏


Ya'qub b. 'Asim b. Urwa b. Mas'ud reported:
I heard a person saying to 'Abdullah b. Amr: You say that the Last Hour would come at such and such time, whereupon he said: I had made up my mind that I would not narrate anything to you. I only said: But you would soon see after some time a very significant affair, for example the burning of the House (Ka'ba). Shu'ba said like this and 'Abdullah b Amr reported Allah's Messenger (ﷺ) having said: The Dajjal would appear in my Ummah. And in another hadith (the words are): None would survive who would have even a speck of faith in his heart, but he would be dead. Muhammad b. Ja'far reported that Shu'ba narrated to him this hadith many a time and I also read it out to him many a time.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৫৪। বিভিন্ন ফিতনাহ ও কিয়ামতের লক্ষনসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة) 54 The Book of Tribulations and Portents of the Last Hour

পরিচ্ছেদঃ ২৩. দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ এবং দুনিয়াতে তার অবস্থান, ঈসা (আঃ) এর অবতরণ এবং তার দ্বারা দাজ্জালকে হত্যা, দুনিয়া থেকে ভাল লোক এবং ঈমানের বিদায় গ্রহণ এবং নিকৃষ্ট লোকেদের অবস্থান, তাদের দ্বারা মূর্তিপূজা, শিঙ্গার ফুৎকার এবং কবর থেকে (সকলের) উত্থান

৭২৭৩-(১১৮/২৯৪১) আবু বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আমি একটি হাদীস আয়ত্ত্ব করেছি, যা কক্ষনো আমি ভুলিনি। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন হলো, পশ্চিম দিক হতে সূর্যোদয় হওয়া এবং একটা উদ্ভট জন্তু মানুষের নিকট চাশতের সময় বের হওয়া। এ দু’টির যে কোনটি প্রথমে প্রকাশ পাবে, পরক্ষণে অপরটিও দ্রুত প্রকাশ পাবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১১৬, ইসলামিক সেন্টার ৭১৭০)

باب في خروج الدجال ومكثه في الأرض ونزول عيسى وقتله إياه وذهاب أهل الخير والإيمان وبقاء شرار الناس وعبادتهم الأوثان والنفخ في الصور وبعث من في القبور

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ حَفِظْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا لَمْ أَنْسَهُ بَعْدُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّ أَوَّلَ الآيَاتِ خُرُوجًا طُلُوعُ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَخُرُوجُ الدَّابَّةِ عَلَى النَّاسِ ضُحًى وَأَيُّهُمَا مَا كَانَتْ قَبْلَ صَاحِبَتِهَا فَالأُخْرَى عَلَى إِثْرِهَا قَرِيبًا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا محمد بن بشر، عن ابي حيان، عن ابي زرعة، عن عبد الله بن عمرو، قال حفظت من رسول الله صلى الله عليه وسلم حديثا لم انسه بعد سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ ان اول الايات خروجا طلوع الشمس من مغربها وخروج الدابة على الناس ضحى وايهما ما كانت قبل صاحبتها فالاخرى على اثرها قريبا ‏"‏ ‏.‏


`Abdullah b. `Amr reported:
I committed to memory a hadith from Allah's Messenger (ﷺ) and I did not forget it after I had heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying: The first sign (out of the signs of the appearance of the Dajjal) would be the appearance of the sun from the west, the appearance of the beast before the people in the forenoon and which of the two happens first, the second one would follow immediately after that.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৫৪। বিভিন্ন ফিতনাহ ও কিয়ামতের লক্ষনসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة) 54 The Book of Tribulations and Portents of the Last Hour

পরিচ্ছেদঃ ২৩. দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ এবং দুনিয়াতে তার অবস্থান, ঈসা (আঃ) এর অবতরণ এবং তার দ্বারা দাজ্জালকে হত্যা, দুনিয়া থেকে ভাল লোক এবং ঈমানের বিদায় গ্রহণ এবং নিকৃষ্ট লোকেদের অবস্থান, তাদের দ্বারা মূর্তিপূজা, শিঙ্গার ফুৎকার এবং কবর থেকে (সকলের) উত্থান

৭২৭৪-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আবূ যুর’আহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। ’তিনি বলেন, মদীনায় মারওয়ান ইবনুল হাকাম এর কাছে তিনজন মুসলিম বসে ছিলেন। তিনি কিয়ামতের আলামতসমূহের বর্ণনা করছিলেন এবং তারা তা শুনছিলেন। আলোচনায় তিনি বলছিলেন যে, কিয়ামতের আলামতসমূহের প্রথম আলামত হলো, দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ হওয়া। এ কথা শুনে আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) বললেন, মারওয়ানের কথা কিছুই হয়নি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এমন একটি হাদীস আমি সংরক্ষণ করেছি, যা কক্ষনো আমি ভুলে যাইনি। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ কথা বলতে শুনেছি। তারপর তিনি অবিকল বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১১৭, ইসলামিক সেন্টার ৭১৭১)

باب في خروج الدجال ومكثه في الأرض ونزول عيسى وقتله إياه وذهاب أهل الخير والإيمان وبقاء شرار الناس وعبادتهم الأوثان والنفخ في الصور وبعث من في القبور

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، قَالَ جَلَسَ إِلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بِالْمَدِينَةِ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَسَمِعُوهُ وَهُوَ، يُحَدِّثُ عَنِ الآيَاتِ، أَنَّ أَوَّلَهَا، خُرُوجًا الدَّجَّالُ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو لَمْ يَقُلْ مَرْوَانُ شَيْئًا قَدْ حَفِظْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا لَمْ أَنْسَهُ بَعْدُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏.‏ فَذَكَرَ بِمِثْلِهِ ‏.‏

وحدثنا محمد بن عبد الله بن نمير، حدثنا ابي، حدثنا ابو حيان، عن ابي زرعة، قال جلس الى مروان بن الحكم بالمدينة ثلاثة نفر من المسلمين فسمعوه وهو، يحدث عن الايات، ان اولها، خروجا الدجال فقال عبد الله بن عمرو لم يقل مروان شيىا قد حفظت من رسول الله صلى الله عليه وسلم حديثا لم انسه بعد سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏.‏ فذكر بمثله ‏.‏


Abu Zur'a reported that three persons amongst Muslims had been sitting in Medina in the presence of Marwan b. Hakam and they heard him narrate these signs from him and the first amongst them was the appearance of the Dajjal. 'Abdullah b. 'Amr reported that Marwin said nothing (particular in this connection). I, however, heard a hadith from Allah's Messenger (ﷺ) and I did not forget that after I had heard that from Allah's Apostle (ﷺ) and he reported a hadith like the foregoing.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৫৪। বিভিন্ন ফিতনাহ ও কিয়ামতের লক্ষনসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة) 54 The Book of Tribulations and Portents of the Last Hour

পরিচ্ছেদঃ ২৩. দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ এবং দুনিয়াতে তার অবস্থান, ঈসা (আঃ) এর অবতরণ এবং তার দ্বারা দাজ্জালকে হত্যা, দুনিয়া থেকে ভাল লোক এবং ঈমানের বিদায় গ্রহণ এবং নিকৃষ্ট লোকেদের অবস্থান, তাদের দ্বারা মূর্তিপূজা, শিঙ্গার ফুৎকার এবং কবর থেকে (সকলের) উত্থান

৭২৭৫-(.../...) নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী (রহঃ) ...... আবু যুর’আহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মারওয়ান এর কাছে লোকেরা কিয়ামতের বিষয়ে আলোচনা করল। তখন আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পূর্বোক্ত হাদীস দুটোর অবিকল বর্ণনা করতে শুনেছি। কিন্তু এতে তিনি পূর্বাহ্নের কথা উল্লেখ করেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১১৮, ইসলামিক সেন্টার, নেই)

باب في خروج الدجال ومكثه في الأرض ونزول عيسى وقتله إياه وذهاب أهل الخير والإيمان وبقاء شرار الناس وعبادتهم الأوثان والنفخ في الصور وبعث من في القبور

وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، قَالَ تَذَاكَرُوا السَّاعَةَ عِنْدَ مَرْوَانَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِهِمَا وَلَمْ يَذْكُرْ ضُحًى ‏.‏

وحدثنا نصر بن علي الجهضمي، حدثنا ابو احمد، حدثنا سفيان، عن ابي حيان، عن ابي زرعة، قال تذاكروا الساعة عند مروان فقال عبد الله بن عمرو سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏.‏ بمثل حديثهما ولم يذكر ضحى ‏.‏


Abu Zur'a reported that there was a discussion in the presence of Marwan about the Last Hour, and Abdullah b. 'Amr said:
I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying. The rest of the hadith is the same, but there is no mention of forenoon.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৫৪। বিভিন্ন ফিতনাহ ও কিয়ামতের লক্ষনসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة) 54 The Book of Tribulations and Portents of the Last Hour
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে