পরিচ্ছেদঃ ৭. ধুম্র প্রসঙ্গ

৬৯৫৯-(৩৯/২৭৯৮) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... মাসরুক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। এ সময় তিনি আমাদের মাঝে এক পার্শ্বদেশ হয়ে ঘুমিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় তার কাছে জনৈক লোক এসে বলল, হে আবু আবদুর রহমান। কিনদা দ্বারপ্রান্তে এক বক্তা বলছেন, কুরআনে বর্ণিত ধোয়ার কাহিনীটি ভবিষ্যতে সংঘটিত হবে। তা প্রবাহিত হয়ে কাফিরদের শ্বাসরুদ্ধ করে দিবে এবং এতে মুমিনদের সর্দির মতো অবস্থা হবে। এ কথা শুনে তিনি গোস্বা হয়ে বসলেন এবং বললেন, হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। তোমাদের কেউ কোন কথার জ্ঞান থাকলে সে যেন তা-ই বলে। আর যে না জানে সে যেন বলে- আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানে। কেননা প্রকৃত জ্ঞানের কথা হচ্ছে এই যে, যে বিষয়ে তার জ্ঞান নেই সে বিষয়ে বলবে, আল্লাহই অধিক ভাল জানেন। কারণ আল্লাহ তা’আলা তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলেছেন, "বলো, আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোন প্রতিফল চাই না এবং আমি মিথ্যা দাবীদারদের অন্তর্ভুক্ত নই।"

প্রকৃত অবস্থা তো এই যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন লোকেদের মাঝে দীন বিমুখ দেখলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, হে আল্লাহ ইউসুফ (আঃ) এর সময়ের ন্যায় অভাব-অনটনের সাতটি বছর তাদের উপর আপতিত কর। তারপর তাদের উপর অভাব-অনটন এমনভাবে পতিত হলো যে, তা সব কিছুকে নিঃশেষ করে দিল। ফলে ক্ষুধার জ্বালায় তারা চামড়া ও মৃত দেহ খাদ্য উপকরণ হিসেবে গ্রহণ করলো। এমনকি তাদের কোন লোক আকাশের দিকে তাকালে শুধু ধোয়ার মতই দেখতে পেত। অতঃপর আবু সুফইয়ান রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আপনি তো আল্লাহর আনুগত্যের আদেশ করেন এবং আত্মীয়তার হক আদায় করার আদেশ দিয়ে আসছেন, অথচ আপনার সম্প্রদায় তো ধ্বংস হয়ে গেলো। আপনি তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন।

(এ প্রসঙ্গে) আল্লাহ তা’আলা বললেনঃ “অতএব আপনি অপেক্ষা করুন সে দিনের, যেদিন স্পষ্ট ধূম্রাচ্ছন্ন হবে আকাশ এবং সেটা আবৃত করে ফেলবে মানব জাতিকে। এ হবে কঠিন শাস্তি। ... তোমরা তো তোমাদের পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে।" এ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেন। (সূরাহ্ আদ দুখান ৪৪ঃ ১০-১২) ’আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আখিরাতের শাস্তি কি লাঘব করা হবে? (আল্লাহ তা’আলা আরো বলেছেন), "যেদিন আমি তোমাদের সুদৃঢ়ভাবে পাকড়াও করব, অবশ্যই সেদিন আমি তোমাদের নিকট থেকে প্রতিশোধ নিব।" (সূরাহ্ আদ দুখান ৪৪ঃ ১৬) অনুরূপ এ আয়াতে বাতশাহ্ দ্বারা বদরের যুদ্ধ উদ্দেশ্য করা হয়েছে। কাজেই দুখান (ধোয়ার নিদর্শন), আল বাতশাহ্ (পাকড়াও), লিযাম (আবশ্যিক শাস্তি) এবং রূম (রোমকদের পরাজয়ের কাহিনী) এসব অতীত হয়ে গেছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৮০৯, ইসলামিক সেন্টার ৬৮৬৩)

باب الدُّخَانِ ‏‏

أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ جُلُوسًا وَهُوَ مُضْطَجِعٌ بَيْنَنَا فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّ قَاصًّا عِنْدَ أَبْوَابِ كِنْدَةَ يَقُصُّ وَيَزْعُمُ أَنَّ آيَةَ الدُّخَانِ تَجِيءُ فَتَأْخُذُ بِأَنْفَاسِ الْكُفَّارِ وَيَأْخُذُ الْمُؤْمِنِينَ مِنْهُ كَهَيْئَةِ الزُّكَامِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَجَلَسَ وَهُوَ غَضْبَانُ يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا اللَّهَ مَنْ عَلِمَ مِنْكُمْ شَيْئًا فَلْيَقُلْ بِمَا يَعْلَمُ وَمَنْ لَمْ يَعْلَمْ فَلْيَقُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ فَإِنَّهُ أَعْلَمُ لأَحَدِكُمْ أَنْ يَقُولَ لِمَا لاَ يَعْلَمُ اللَّهُ أَعْلَمُ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ لِنَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم ‏(‏ قُلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ‏)‏ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا رَأَى مِنَ النَّاسِ إِدْبَارًا فَقَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ سَبْعٌ كَسَبْعِ يُوسُفَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَأَخَذَتْهُمْ سَنَةٌ حَصَّتْ كُلَّ شَىْءٍ حَتَّى أَكَلُوا الْجُلُودَ وَالْمَيْتَةَ مِنَ الْجُوعِ وَيَنْظُرُ إِلَى السَّمَاءِ أَحَدُهُمْ فَيَرَى كَهَيْئَةِ الدُّخَانِ فَأَتَاهُ أَبُو سُفْيَانَ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّكَ جِئْتَ تَأْمُرُ بِطَاعَةِ اللَّهِ وَبِصِلَةِ الرَّحِمِ وَإِنَّ قَوْمَكَ قَدْ هَلَكُوا فَادْعُ اللَّهَ لَهُمْ - قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ * يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏(‏ إِنَّكُمْ عَائِدُونَ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَفَيُكْشَفُ عَذَابُ الآخِرَةِ ‏(‏ يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى إِنَّا مُنْتَقِمُونَ‏)‏ فَالْبَطْشَةُ يَوْمَ بَدْرٍ وَقَدْ مَضَتْ آيَةُ الدُّخَانِ وَالْبَطْشَةُ وَاللِّزَامُ وَآيَةُ الرُّومِ ‏.‏

اخبرنا اسحاق بن ابراهيم، اخبرنا جرير، عن منصور، عن ابي الضحى، عن مسروق، قال كنا عند عبد الله جلوسا وهو مضطجع بيننا فاتاه رجل فقال يا ابا عبد الرحمن ان قاصا عند ابواب كندة يقص ويزعم ان اية الدخان تجيء فتاخذ بانفاس الكفار وياخذ المومنين منه كهيىة الزكام فقال عبد الله وجلس وهو غضبان يا ايها الناس اتقوا الله من علم منكم شيىا فليقل بما يعلم ومن لم يعلم فليقل الله اعلم فانه اعلم لاحدكم ان يقول لما لا يعلم الله اعلم فان الله عز وجل قال لنبيه صلى الله عليه وسلم ‏(‏ قل ما اسالكم عليه من اجر وما انا من المتكلفين‏)‏ ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لما راى من الناس ادبارا فقال ‏"‏ اللهم سبع كسبع يوسف ‏"‏ ‏.‏ قال فاخذتهم سنة حصت كل شىء حتى اكلوا الجلود والميتة من الجوع وينظر الى السماء احدهم فيرى كهيىة الدخان فاتاه ابو سفيان فقال يا محمد انك جىت تامر بطاعة الله وبصلة الرحم وان قومك قد هلكوا فادع الله لهم - قال الله عز وجل ‏(‏ فارتقب يوم تاتي السماء بدخان مبين * يغشى الناس هذا عذاب اليم‏)‏ الى قوله ‏(‏ انكم عاىدون‏)‏ ‏.‏ قال افيكشف عذاب الاخرة ‏(‏ يوم نبطش البطشة الكبرى انا منتقمون‏)‏ فالبطشة يوم بدر وقد مضت اية الدخان والبطشة واللزام واية الروم ‏.‏


Masruq reported:
We were sitting in the company of Abdullah and he was lying on the bed that a person came and said: Abd Abd al-Rabmin, a story-teller at the gates of Kinda says that the verse (of the Qur'an) which deals with the" smoke" implies that which is about to come and it would hold the breath of the infidels and would inflict the believers with cold. Thereupon Abdullah got up and said in anger. O people, fear Allah and say only that which one knows amongst you and do not say which he does not know and he should simply say: Allah has the best knowledge for He has the best knowledge amongst all of you. It does not behove him to say that which he does not know. Allah has the best knowledge of it. Verily Allah, the Exalted and Glorious, said to His Prophet (ﷺ) to state:" I do not ask from you any remuneration and I am not the one to put you in trouble," and when Allah's Mesqenger (ﷺ) saw people turning back (from religion) he said: O Allah, afflict thern with seven famines as was done in the case of Yusuf, so they were afflicted with famine by which they were forced to eat everything until they were obliged to eat the hides and the dead bodies because of hunger, and every one of them looked towards the sky and he found a smoke. And Abu Sufyan came and he said: Muhammad, you have come to command us to obey Allah and cement the ties of blood- relation whereas your people are undone; supplicate Allah for tlicm. Thereupon Allah, the Exalted and Glorious, said:" Wait for the day when there would be clear smoke from the sky which would envelop people and that would be grievous torivent" up to the words:" you are going to return to (evil)." (if this verse implied the torment of the next life) could the chastisement of the next (life) be averted (as the Qur'an states): On the day when We seize (them) with the most violent seizing; surely We shall exact retribution" (xliv. 16)? The seizing (in the hadith) implies that of the Day of Badr. And so far as the sign of smoke, seizing, inevitability and signs of Rome are concern- ed, they have become things of the past now.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৫২। কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা (كتاب صفة القيامة والجنة والنار) 52 Characteristics of the Day of Judgment, Paradise, and Hell

পরিচ্ছেদঃ ৭. ধুম্র প্রসঙ্গ

৬৯৬০-(৪০/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ, আবূ সাঈদ আল আশাজ্জ, উসমান ইবনু আবু শাইবাহ, ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... মাসরুক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ (রাযিঃ) এর কাছে এক লোক এসে বলল, আমি মসজিদে এক লোককে দেখে এসেছি, সে কুরআনের ইচ্ছামাফিক তাফসীর করছে। সে يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলছে যে, কিয়ামতের দিন ধোয়া এসে লোকেদের আবৃত করে ফেলবে ও তাদের শ্বাসরুদ্ধ করে ফেলবে, এমনকি এতে লোকেদের সর্দির ন্যায় অবস্থা হয়ে যাবে। এ কথা শুনে আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, যে ব্যক্তি যে বিষয়ে জানে সে তা বর্ণনা করবে। আর যে না জানে তার বলা উচিত, আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। কেননা অজানা বিষয় সম্বন্ধে আল্লাহই অধিক জ্ঞাত, এ কথা বলাই মানুষের পরিপূর্ণ জ্ঞানের লক্ষণ। কারণ এ বিষয়টি তখনই সংঘটিত হয়েছিল, যখন কুরায়শরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অবাধ্যতা করেছিল। তখন তিনি তাদের বিরুদ্ধে দুআ করেন যেন ইউসুফ (আঃ) এর সময়ের সাত বছরের মতো অভাব-অনটন তাদের উপর নিপতিত হয়। এরপর তাদের উপর অভাব-অনটন এবং ক্ষুধার কষ্ট এমনভাবে নিপতিত হলো যে, কেউ আকাশের দিকে তাকালে সে ধূম্ৰাচ্ছন্ন দেখত, এমনকি তারা হাড্ডি খাওয়া শুরু করল।

তখন জনৈক লোক এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলল, হে আল্লাহর রসূল! মুযার গোত্রের জন্য আল্লাহর কাছে মার্জনা প্রার্থনা করুন। তারা নিশ্চয় ধ্বংস হয়ে গেল। তিনি বললেন, মুযার গোত্রের জন্য তুমি তো দুর্দান্ত সাহসী। রাবী বলেন, তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করলেন। তখন আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করলেন, “আমি তোমাদের শাস্তি কিছু সময়ের জন্য বিরত রেখেছি। তোমরা তো তোমাদের আগের অবস্থায়ই প্রত্যাবর্তন করবে"- (সূরাহ্ আদ দুখান ৪৪ঃ ১৫)। রাবী বলেন, অতঃপর তাদের উপর অনবরত বৃষ্টি হলো। এরপর তাদের যখন স্বচ্ছলতা ফিরে এলো তখন তারা আবার আগের অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করল। তখন আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করলেন, "অতএব আপনি অপেক্ষা করুন সেদিনের, যেদিন ধূম্রাচ্ছন্ন হবে আকাশ এবং সেটা মানব জাতিকে ঢেকে ফেলবে। এ হবে কঠিন শাস্তি"- (সুরাহ্ আদ দুখান ৪৪ঃ ১০-১১)। যেদিন আমি তোমাদের শক্তভাবে পাকড়াও করব, সেদিন আমি তোমাদেরকে আযাব দিবই"- (সূরাহ্ আদ দুখান ৪৪ঃ ১৬)। রাবী বলেন, অর্থাৎ- বদরের দিন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৮১০, ইসলামিক সেন্টার ৬৮৬৪)

باب الدُّخَانِ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ، الأَشَجُّ أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو كُرَيْبٍ - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ صُبَيْحٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ جَاءَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ رَجُلٌ فَقَالَ تَرَكْتُ فِي الْمَسْجِدِ رَجُلاً يُفَسِّرُ الْقُرْآنَ بِرَأْيِهِ يُفَسِّرُ هَذِهِ الآيَةَ ‏(‏ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ‏)‏ قَالَ يَأْتِي النَّاسَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ دُخَانٌ فَيَأْخُذُ بِأَنْفَاسِهِمْ حَتَّى يَأْخُذَهُمْ مِنْهُ كَهَيْئَةِ الزُّكَامِ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ مَنْ عَلِمَ عِلْمًا فَلْيَقُلْ بِهِ وَمَنْ لَمْ يَعْلَمْ فَلْيَقُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ فَإِنَّ مِنْ فِقْهِ الرَّجُلِ أَنْ يَقُولَ لِمَا لاَ عِلْمَ لَهُ بِهِ اللَّهُ أَعْلَمُ ‏.‏ إِنَّمَا كَانَ هَذَا أَنَّ قُرَيْشًا لَمَّا اسْتَعْصَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم دَعَا عَلَيْهِمْ بِسِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ فَأَصَابَهُمْ قَحْطٌ وَجَهْدٌ حَتَّى جَعَلَ الرَّجُلُ يَنْظُرُ إِلَى السَّمَاءِ فَيَرَى بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا كَهَيْئَةِ الدُّخَانِ مِنَ الْجَهْدِ وَحَتَّى أَكَلُوا الْعِظَامَ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَغْفِرِ اللَّهَ لِمُضَرَ فَإِنَّهُمْ قَدْ هَلَكُوا فَقَالَ ‏"‏ لِمُضَرَ إِنَّكَ لَجَرِيءٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَدَعَا اللَّهَ لَهُمْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ إِنَّا كَاشِفُو الْعَذَابِ قَلِيلاً إِنَّكُمْ عَائِدُونَ‏)‏ قَالَ فَمُطِرُوا فَلَمَّا أَصَابَتْهُمُ الرَّفَاهِيَةُ - قَالَ - عَادُوا إِلَى مَا كَانُوا عَلَيْهِ - قَالَ - فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ * يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ‏)‏ ‏(‏ يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى إِنَّا مُنْتَقِمُونَ‏)‏ قَالَ يَعْنِي يَوْمَ بَدْرٍ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا ابو معاوية، ووكيع، ح وحدثني ابو سعيد، الاشج اخبرنا وكيع، ح وحدثنا عثمان بن ابي شيبة، حدثنا جرير، كلهم عن الاعمش، ح وحدثنا يحيى بن يحيى، وابو كريب - واللفظ ليحيى - قالا حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن مسلم بن صبيح، عن مسروق، قال جاء الى عبد الله رجل فقال تركت في المسجد رجلا يفسر القران برايه يفسر هذه الاية ‏(‏ يوم تاتي السماء بدخان مبين‏)‏ قال ياتي الناس يوم القيامة دخان فياخذ بانفاسهم حتى ياخذهم منه كهيىة الزكام ‏.‏ فقال عبد الله من علم علما فليقل به ومن لم يعلم فليقل الله اعلم فان من فقه الرجل ان يقول لما لا علم له به الله اعلم ‏.‏ انما كان هذا ان قريشا لما استعصت على النبي صلى الله عليه وسلم دعا عليهم بسنين كسني يوسف فاصابهم قحط وجهد حتى جعل الرجل ينظر الى السماء فيرى بينه وبينها كهيىة الدخان من الجهد وحتى اكلوا العظام فاتى النبي صلى الله عليه وسلم رجل فقال يا رسول الله استغفر الله لمضر فانهم قد هلكوا فقال ‏"‏ لمضر انك لجريء ‏"‏ ‏.‏ قال فدعا الله لهم فانزل الله عز وجل ‏(‏ انا كاشفو العذاب قليلا انكم عاىدون‏)‏ قال فمطروا فلما اصابتهم الرفاهية - قال - عادوا الى ما كانوا عليه - قال - فانزل الله عز وجل ‏(‏ فارتقب يوم تاتي السماء بدخان مبين * يغشى الناس هذا عذاب اليم‏)‏ ‏(‏ يوم نبطش البطشة الكبرى انا منتقمون‏)‏ قال يعني يوم بدر ‏.‏


Masruq reported that there came to Abdullah a person and said:
I have left behind in the mosque a man who explains the Qur'an according to his personal discretion and he explained this verse:" So wait for the day when the Heaven brings a clear smoke." He says that a smoke would come to the people on the Day of Resurrection anl it will withhold breath and they would be inflicted with cold. 'Abdullah said: He who has knowledge should say something and he who has no knowledge should simply say: Allah is best aware. This reflects the understanding of a person that he should say about that which he does not know that it is Allah who knows best. The fact is that when the Quraish disobeyed Allah's Apostle (ﷺ) he supplicated Allah that they should be afflicted with famine and starvation as was done in case of Yusuf. And they were so much hard pressed that a person would ace the sky and he would see between him and the sky something like smoke and they were so much hard pressed that they began to cat the bones, and a person came to Allah's Apostle (ﷺ) and said: Allah's Messenger. seek forgiveness for the tribe of Mudar for (its people) have been undone. The Messenger (ﷺ) said: For Mudar? You are overbold, but he supplicated Allah for them. It was upon this that this verse was revealed:" We shall remove the chastisement a little, but they will surely return to evil" (xliv. 15). lie (the narrator) said: There was a downpoor of rain upon them. When there was some relief for them they returned to the same position as they had been before, and Allah, the Exalted and Glorious, revealed this verse:" So wait for the day when the heaven brings a clear smoke enveloping people. This is a grievous torment on the day when We seize them with the most violent seizing; surely, We shall exact retribution." And this (seizing) implied (Battle) of Badr.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৫২। কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা (كتاب صفة القيامة والجنة والنار) 52 Characteristics of the Day of Judgment, Paradise, and Hell

পরিচ্ছেদঃ ৭. ধুম্র প্রসঙ্গ

৬৯৬১-(৪১/…) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পাঁচটি বিষয় অতীত হয়ে গেছেঃ ধোঁয়া, শাস্তি, রোম এর পরাজয়, পাকড়াও এবং চন্দ্রের নিদর্শন অর্থাৎ বিদীর্ণ হওয়া। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৮১১, ইসলামিক সেন্টার ৬৮৬৫)

باب الدُّخَانِ ‏‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ خَمْسٌ قَدْ مَضَيْنَ الدُّخَانُ وَاللِّزَامُ وَالرُّومُ وَالْبَطْشَةُ وَالْقَمَرُ ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا جرير، عن الاعمش، عن ابي الضحى، عن مسروق، عن عبد الله، قال خمس قد مضين الدخان واللزام والروم والبطشة والقمر ‏.‏


Abdullah said that five signs have (become things) of the past (and have proved the truth of the Holy Prophet):
(Enveloping) by the smoke, inevitable (punishment to the Meccans at Badr), (the victory of) Rome, (violent) seizing (of the Meccans at Badr) and (the splitting up of) the Moon.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৫২। কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা (كتاب صفة القيامة والجنة والنار) 52 Characteristics of the Day of Judgment, Paradise, and Hell

পরিচ্ছেদঃ ৭. ধুম্র প্রসঙ্গ

৬৯৬২-(…/...) আবু সাঈদ আল আশাজ্জ, ওয়াকী (রহঃ) এর সূত্রে আ’মাশ (রহঃ) হতে এ সানাদে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৮১১, ইসলামিক সেন্টার ৬৮৬৬)

باب الدُّخَانِ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

حدثنا ابو سعيد الاشج، حدثنا وكيع، حدثنا الاعمش، بهذا الاسناد مثله ‏.‏


This hadith has been narrated on the authority of A'mash with the same chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আ‘মাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৫২। কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা (كتاب صفة القيامة والجنة والنار) 52 Characteristics of the Day of Judgment, Paradise, and Hell

পরিচ্ছেদঃ ৭. ধুম্র প্রসঙ্গ

৬৯৬৩-(৪২/২৭৯৯) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না, মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার ও আবু বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ... উবাই ইবনু কা’ব (রাযিঃ) আল্লাহর বাণী- “বড় বড় শাস্তির পূর্বে তাদের আমি অবশ্যই ছোট ছোট শাস্তি আস্বাদন করাব”— (সুরা আস্ সিজদা ৩২ঃ ২১) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ উদ্দেশ্য হলো পার্থিব বিপদাপদ, রোমের পরাজয়, পাকড়াও অথবা ধোঁয়া। পাকড়াও না ধোঁয়া’ এ সম্পর্কে শুবাহ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৮১৩, ইসলামিক সেন্টার ৬৮৬৭)

باب الدُّخَانِ ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أُبَىِّ، بْنِ كَعْبٍ فِي قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ وَلَنُذِيقَنَّهُمْ مِنَ الْعَذَابِ الأَدْنَى دُونَ الْعَذَابِ الأَكْبَرِ‏)‏ قَالَ مَصَائِبُ الدُّنْيَا وَالرُّومُ وَالْبَطْشَةُ أَوِ الدُّخَانُ ‏.‏ شُعْبَةُ الشَّاكُّ فِي الْبَطْشَةِ أَوِ الدُّخَانِ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، ومحمد بن بشار، قالا حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، ح وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، - واللفظ له - حدثنا غندر، عن شعبة، عن قتادة، عن عزرة، عن الحسن العرني، عن يحيى بن الجزار، عن عبد الرحمن بن ابي ليلى، عن ابى، بن كعب في قوله عز وجل ‏(‏ ولنذيقنهم من العذاب الادنى دون العذاب الاكبر‏)‏ قال مصاىب الدنيا والروم والبطشة او الدخان ‏.‏ شعبة الشاك في البطشة او الدخان ‏.‏


Ubayy b. Ka'b reported that the words of Allah, the Exalted and Glorious:
" We will, surely, make them taste the lesser punishment before the severer punishment (that haply they may return)" (xxxii. 21) imply the torments of the world. (victory of) Rome, seizing (of the Meccans), or smoke. And Shalba was in doubt about seizing or smoke.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৫২। কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা (كتاب صفة القيامة والجنة والنار) 52 Characteristics of the Day of Judgment, Paradise, and Hell
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে