পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৬৫-(৯২/২২১৮) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আমির (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তার আব্বা সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাযিঃ) উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাযিঃ) কে এ মর্মে প্রশ্ন করতে শুনেছেন যে, আপনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্লেগ সম্বন্ধে কি শুনেছেন? তখন উসামাহ্ (রাযিঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্লেগ একটি আযাব যা বনী ইসরাঈল অথবা (বর্ণনা সংশয়) যারা তোমাদের আগে ছিল তাদের উপরে প্রেরণ করা হয়েছিল। অতএব তোমরা কোন মহল্লায় প্লেগের ব্যাপারে শুনলে সেখানে যেও না। আর কোন এলাকায় প্লেগ চোখে পড়লে এবং তোমরা সেখানে অবস্থানরত থাকলে সেখান হতে বের হয়ে যাবে না। বর্ণনাকারী আবূ নাযর (রহঃ) বলেছেন, শুধু পলায়নের লক্ষ্যে সে জায়গা ছেড়ে যেও না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৮০, ইসলামিক সেন্টার ৫৬০৭)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، وَأَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَسْأَلُ، أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ مَاذَا سَمِعْتَ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الطَّاعُونِ فَقَالَ أُسَامَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الطَّاعُونُ رِجْزٌ أَوْ عَذَابٌ أُرْسِلَ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ أَوْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ تَقْدَمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ أَبُو النَّضْرِ ‏"‏ لاَ يُخْرِجُكُمْ إِلاَّ فِرَارٌ مِنْهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا يحيى بن يحيى، قال قرات على مالك عن محمد بن المنكدر، وابي النضر، مولى عمر بن عبيد الله عن عامر بن سعد بن ابي وقاص، عن ابيه، انه سمعه يسال، اسامة بن زيد ماذا سمعت من، رسول الله صلى الله عليه وسلم في الطاعون فقال اسامة قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الطاعون رجز او عذاب ارسل على بني اسراىيل او على من كان قبلكم فاذا سمعتم به بارض فلا تقدموا عليه واذا وقع بارض وانتم بها فلا تخرجوا فرارا منه ‏"‏ ‏.‏ وقال ابو النضر ‏"‏ لا يخرجكم الا فرار منه ‏"‏ ‏.‏


'Amir b. Sa'd b. Abu Waqqas reported on the authority of his father that he asked Usama b. Zaid:
What have you heard from Allah's Messenger (ﷺ) about plague? Thereupon Usama said: Allah's Messenger (ﷺ) said: Plague is a calamity which was sent to Bani Isra'il or upon those who were before you. So when you hear that it has broken out in a land, don't go to it, and when it has broken out in the land where you are, don't run out of it. In the narration transmitted on the authority of Abu Nadr there is a slight variation of wording.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শা‘বী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৬৬-(৯৩/...) আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ্ ইবনু কা’নাব ও কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... উসামাহ ইবনু যায়দ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্লেগ শাস্তির প্রতীক। মহীয়ান গরীয়ান আল্লাহ তা’আলা তা দ্বারা তার বান্দাদের কতিপয় ব্যক্তিকে পরীক্ষায় ফেলেছেন। তাই কোন অঞ্চলে এর প্রভাবের খবর পেলে তোমরা সেথায় যেও না এবং তোমরা কোন অঞ্চলে অবস্থানকালে সেখানে প্লেগ লক্ষ্য করলে সেখান থেকে পালিয়ে যাবে না। এ বর্ণনা কা’নাব (রহঃ) এর। আর কুতাইবাহ্ (রহঃ) এর বর্ণনাও সে রকম। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৮১, ইসলামিক সেন্টার ৫৬০৮)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ، - وَنَسَبَهُ ابْنُ قَعْنَبٍ فَقَالَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيُّ - عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ، بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الطَّاعُونُ آيَةُ الرِّجْزِ ابْتَلَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهِ نَاسًا مِنْ عِبَادِهِ فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ فَلاَ تَدْخُلُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَفِرُّوا مِنْهُ ‏"‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثُ الْقَعْنَبِيِّ وَقُتَيْبَةَ نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن مسلمة بن قعنب، وقتيبة بن سعيد، قالا اخبرنا المغيرة، - ونسبه ابن قعنب فقال ابن عبد الرحمن القرشي - عن ابي النضر، عن عامر بن سعد، بن ابي وقاص عن اسامة بن زيد، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الطاعون اية الرجز ابتلى الله عز وجل به ناسا من عباده فاذا سمعتم به فلا تدخلوا عليه واذا وقع بارض وانتم بها فلا تفروا منه ‏"‏ ‏.‏ هذا حديث القعنبي وقتيبة نحوه ‏.‏


Usama b. Zaid reported that Allah's Messenger (ﷺ) had said:
Plague is the sign of a calamity with which Allah, the Exalted and Glorious, affects people from His servants. So when you hear about it, don't enter there (where it has broken out), and when it has broken out in a land and you are there, then don't run away from it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৬৭-(৯৪/...) মুহাম্মাদ ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... উসামাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ প্লেগ একটি গযব, যা তোমাদের পূর্বেকার লোকদের উপরে অথবা বনী ইসরাঈলের উপরে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। সুতরাং কোন অঞ্চলে তা লক্ষ্য করলে তা থেকে পালানোর জন্য সে অঞ্চল ছেড়ে যেও না এবং কোন অঞ্চলে প্লেগ লক্ষ্য করলে সেথায় অনুপ্রবেশও করো না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৮২, ইসলামিক সেন্টার ৫৬০৯)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أُسَامَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ هَذَا الطَّاعُونَ رِجْزٌ سُلِّطَ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ أَوْ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ فَإِذَا كَانَ بِأَرْضٍ فَلاَ تَخْرُجُوا مِنْهَا فِرَارًا مِنْهُ وَإِذَا كَانَ بِأَرْضٍ فَلاَ تَدْخُلُوهَا ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا محمد بن عبد الله بن نمير، حدثنا ابي، حدثنا سفيان، عن محمد بن المنكدر، عن عامر بن سعد، عن اسامة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان هذا الطاعون رجز سلط على من كان قبلكم او على بني اسراىيل فاذا كان بارض فلا تخرجوا منها فرارا منه واذا كان بارض فلا تدخلوها ‏"‏ ‏.‏


Usama reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Plague is a calamity which was inflicted on those who were before you, or upon Bani Isra'il. So when it has broken out in a land, don't run out of it, and when it has spread in a land, then don't enter it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৬৮-(৯৫/...) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ..... আমির ইবনু সা’দ (রহঃ) হতে বর্ণিত। জনৈক লোক সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাযিঃ) কে প্লেগ সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাযিঃ) বললেন, আমি সে ব্যাপারে তোমাকে সংবাদ দিচ্ছি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তা একটি গযব অথবা একটি মহামারী যা আল্লাহ তা’আলা বনী ইসরাঈলের একটি উপদল কিংবা তোমাদের পূর্বেকার কোন একদল ব্যক্তির উপরে প্রেরণ করেছিলেন। অতএব কোন অঞ্চলে তার কথা তোমরা জানলে সেথায় তোমরা প্রবেশ করো না; তদ্রুপ কোন অঞ্চলে তোমাদের উপর তা এসে পড়লে সেখান থেকে পালিয়ে যেও না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৮৩, ইসলামিক সেন্টার ৫৬১০)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو، بْنُ دِينَارٍ أَنَّ عَامِرَ بْنَ سَعْدٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَجُلاً سَأَلَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ عَنِ الطَّاعُونِ، فَقَالَ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ أَنَا أُخْبِرُكَ عَنْهُ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ هُوَ عَذَابٌ أَوْ رِجْزٌ أَرْسَلَهُ اللَّهُ عَلَى طَائِفَةٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَوْ نَاسٍ كَانُوا قَبْلَكُمْ فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ تَدْخُلُوهَا عَلَيْهِ وَإِذَا دَخَلَهَا عَلَيْكُمْ فَلاَ تَخْرُجُوا مِنْهَا فِرَارًا ‏"‏ ‏.‏

حدثني محمد بن حاتم، حدثنا محمد بن بكر، اخبرنا ابن جريج، اخبرني عمرو، بن دينار ان عامر بن سعد، اخبره ان رجلا سال سعد بن ابي وقاص عن الطاعون، فقال اسامة بن زيد انا اخبرك عنه، قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ هو عذاب او رجز ارسله الله على طاىفة من بني اسراىيل او ناس كانوا قبلكم فاذا سمعتم به بارض فلا تدخلوها عليه واذا دخلها عليكم فلا تخرجوا منها فرارا ‏"‏ ‏.‏


'Amir b. Sa'd reported that a person asked Sa'd b. Abu Waqqas about the plague, whereupon Usama b. Zaid said:
I would inform you about it. The Messenger of Allah (ﷺ) said: It is a calamity or a disease which Allah sent to a group of Bani Isra'il, or to the people who were before you; so when you hear of it in land, don't enter it and when it has broken out in your land, don't run away from it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমির ইবন সা'দ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৬৯-(…/...) আবূ রাবী’ সুলাইমান ইবনু দাউদ, কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ ও আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রাযিঃ) আমর ইবনু দীনার (রহঃ) হতে ইবনু জুরায়জ (রহঃ) এর সূত্রে তার বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৮৪, ইসলামিক সেন্টার ৫৬১১)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، كِلاَهُمَا عَنْ عَمْرِو بْنِ، دِينَارٍ بِإِسْنَادِ ابْنِ جُرَيْجٍ نَحْوَ حَدِيثِهِ ‏.‏

وحدثنا ابو الربيع، سليمان بن داود وقتيبة بن سعيد قالا حدثنا حماد، وهو ابن زيد ح وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا سفيان بن عيينة، كلاهما عن عمرو بن، دينار باسناد ابن جريج نحو حديثه ‏.‏


This hadith has been narrated on the authority of Ibn Juraij through another chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু জুরায়জ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৭০-(৯৬/...) আবূ তাহির আহমাদ ইবনু আমর ও হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাযিঃ) এর সানাদে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেন, এ রোগ একটি মহামারী যা দ্বারা তোমাদের পূর্ববর্তী অনেক উম্মাতকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। অতঃপর তা জমিনেই রয়ে গেছে, তাই এক সময় তা চলে যায় ও আরেক সময় তা ফিরে আসে। অতএব যে লোক কোন অঞ্চলে এ রোগের কথা শুনতে পায় সে যেন কোনক্রমেই সেখানে না যায়, আর যে লোক কোথাও থাকা অবস্থায় সেথায় তা এসে পড়ে সেখান হতে যেন সে পালিয়ে না যায়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৮৫, ইসলামিক সেন্টার ৫৬১২)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرٍو وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ إِنَّ هَذَا الْوَجَعَ أَوِ السَّقَمَ رِجْزٌ عُذِّبَ بِهِ بَعْضُ الأُمَمِ قَبْلَكُمْ ثُمَّ بَقِيَ بَعْدُ بِالأَرْضِ فَيَذْهَبُ الْمَرَّةَ وَيَأْتِي الأُخْرَى فَمَنْ سَمِعَ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ يَقْدَمَنَّ عَلَيْهِ وَمَنْ وَقَعَ بِأَرْضٍ وَهُوَ بِهَا فَلاَ يُخْرِجَنَّهُ الْفِرَارُ مِنْهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثني ابو الطاهر، احمد بن عمرو وحرملة بن يحيى قالا اخبرنا ابن وهب، اخبرني يونس، عن ابن شهاب، اخبرني عامر بن سعد، عن اسامة بن زيد، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم انه قال ‏ "‏ ان هذا الوجع او السقم رجز عذب به بعض الامم قبلكم ثم بقي بعد بالارض فيذهب المرة وياتي الاخرى فمن سمع به بارض فلا يقدمن عليه ومن وقع بارض وهو بها فلا يخرجنه الفرار منه ‏"‏ ‏.‏


Usama b. Zaid reported Allah's Messenger (ﷺ) having said this:
This calamity or illness was a punishment with which were punished some of the nations before you. Then it was left upon the earth. It goes away once and comes back again. He who heard of its presence in a land should not go towards it, and he who happened to be in a land where it had broken out should not fly from it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৭১-(.../...) আবূ কামিল জাহদারী (রহঃ) ..... যুহরী (রহঃ) হতে ইউনুস (রহঃ) এর সূত্রে তার বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৮৬, ইসলামিক সেন্টার ৫৬১৩)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، - يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ - حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِ يُونُسَ نَحْوَ حَدِيثِهِ ‏.‏

وحدثناه ابو كامل الجحدري، حدثنا عبد الواحد، - يعني ابن زياد - حدثنا معمر، عن الزهري، باسناد يونس نحو حديثه ‏.‏


This hadith has been narrated on the authority of Zuhri with a different chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৭২-(৯৭/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... হাবীব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মদীনায় ছিলাম। তখন আমার নিকট সংবাদ আসলো যে, কুফায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। তখন ’আতা ইবনু ইয়াসার (রাযিঃ) প্রমুখ সাহাবাগণ আমাকে বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তুমি কোন অঞ্চলে অবস্থান করবে সেখানে তা প্রকাশ পেলে সেখান থেকে বের হয়ো না। আর যদি তোমার নিকট খবর পৌছে যে, তা কোন অঞ্চলে রয়েছে, তাহলে সেখানে গমন করো না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম-এ বর্ণনা কার পক্ষ হতে? তারা বললেন, ’আমির ইবনু সা’দ (রহঃ) হতে তিনি তা বর্ণনা করে থাকেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি তার নিকট গেলাম। তারা বলল, তিনি গৃহে নেই। তখন আমি তার ভাই ইবরাহীম ইবনু সা’দ (রহঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে প্রশ্ন করলাম।

তিনি বললেন, উসামাহ (রাযিঃ) যখন সা’দকে হাদীস শুনাচ্ছিলেন, তখন আমি উপস্থিত ছিলাম। তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, এ রোগ একটি মহামারী অথবা একটি আযাব কিংবা ’আযাবের অবশিষ্টাংশ’ যা দ্বারা তোমাদের পূর্বেকার কতিপয় লোককে শাস্তি দেয়া হয়েছিল। অতএব কোন অঞ্চলে তোমাদের অবস্থানকালে যদি তা থাকে সে সময় সেখান থেকে তোমরা বের হয়ো না। আর যদি তোমাদের নিকট খবর আসে যে, তা কোন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে, তবে সেখানে গমন করো না। হাবীব (রহঃ) বলেন, তখন আমি ইবরাহীম (রহঃ) কে বললাম, আপনি কি শুনেছেন যখন উসামাহ্ (রাযিঃ) সা’দ (রাযিঃ) এর নিকট হাদীস বর্ণনা করছিলেন, আর তিনি তা অস্বীকার করেননি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৮৭, ইসলামিক সেন্টার ৫৬১৪)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ حَبِيبٍ، قَالَ كُنَّا بِالْمَدِينَةِ فَبَلَغَنِي أَنَّ الطَّاعُونَ قَدْ وَقَعَ بِالْكُوفَةِ فَقَالَ لِي عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ وَغَيْرُهُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا كُنْتَ بِأَرْضٍ فَوَقَعَ بِهَا فَلاَ تَخْرُجْ مِنْهَا وَإِذَا بَلَغَكَ أَنَّهُ بِأَرْضٍ فَلاَ تَدْخُلْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ عَمَّنْ قَالُوا عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ يُحَدِّثُ بِهِ ‏.‏ قَالَ فَأَتَيْتُهُ فَقَالُوا غَائِبٌ - قَالَ - فَلَقِيتُ أَخَاهُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ سَعْدٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ شَهِدْتُ أُسَامَةَ يُحَدِّثُ سَعْدًا قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ إِنَّ هَذَا الْوَجَعَ رِجْزٌ أَوْ عَذَابٌ أَوْ بَقِيَّةُ عَذَابٍ عُذِّبَ بِهِ أُنَاسٌ مِنْ قَبْلِكُمْ فَإِذَا كَانَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا مِنْهَا وَإِذَا بَلَغَكُمْ أَنَّهُ بِأَرْضٍ فَلاَ تَدْخُلُوهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ حَبِيبٌ فَقُلْتُ لإِبْرَاهِيمَ آنْتَ سَمِعْتَ أُسَامَةَ يُحَدِّثُ سَعْدًا وَهُوَ لاَ يُنْكِرُ قَالَ نَعَمْ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، حدثنا ابن ابي عدي، عن شعبة، عن حبيب، قال كنا بالمدينة فبلغني ان الطاعون قد وقع بالكوفة فقال لي عطاء بن يسار وغيره ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اذا كنت بارض فوقع بها فلا تخرج منها واذا بلغك انه بارض فلا تدخلها ‏"‏ ‏.‏ قال قلت عمن قالوا عن عامر بن سعد يحدث به ‏.‏ قال فاتيته فقالوا غاىب - قال - فلقيت اخاه ابراهيم بن سعد فسالته فقال شهدت اسامة يحدث سعدا قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏"‏ ان هذا الوجع رجز او عذاب او بقية عذاب عذب به اناس من قبلكم فاذا كان بارض وانتم بها فلا تخرجوا منها واذا بلغكم انه بارض فلا تدخلوها ‏"‏ ‏.‏ قال حبيب فقلت لابراهيم انت سمعت اسامة يحدث سعدا وهو لا ينكر قال نعم ‏.‏


Shu'ba reported from Habib:
While we were in Medina we heard of plague having broken out in Kufa. 'Ata b. Yasir and others said to me that Allah's Messenger (ﷺ) had said. If you are in a land where it (this scourge) has broken out, don't get out of it, and if you were to know that it had broken (in another land, then don't enter it. I said to him: From whom (did you hear it)? They said: 'Amir b. Sa'd has narrated it. So I came to him. They said that he was not present there. So I met his brother Ibrahim b. Sa'd and asked him. He said: I bear testimony to the fact that Usama narrated it to Sa'd saying: I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying that it is a God-sent punishment from the calamity or from the remnant of the calamity with which people were afflicted before you. So when it is in a land and you are there, don't get out of it, and if (this news reaches you) that it has broken out in a land, then don't enter therein. Habib said: I said to Ibrahim: Did you hear Usama narrating it to Sa'd and he was not denying it. He said: Yes.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৭৩-(…/...) উবাইদুল্লাহ ইবনু মু’আয (রহঃ) ..... শু’বাহ্ (রহঃ) এর সূত্রে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি হাদীসের শুরুতে ’আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) সম্পর্কিত ঘটনা পেশ করেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৮৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৬১৫)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ قِصَّةَ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ فِي أَوَّلِ الْحَدِيثِ ‏.‏

وحدثناه عبيد الله بن معاذ، حدثنا ابي، حدثنا شعبة، بهذا الاسناد غير انه لم يذكر قصة عطاء بن يسار في اول الحديث ‏.‏




This hadith has been narrated on the authority of Shu'ba with the same chain of transmitters except for the fact that no mention has been made of the account of 'Ata b. Yasir as in the previous hadith.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শু'বা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৭৪-(…/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ..... সা’দ ইবনু মালিক (রাযিঃ) খুযাইমাহ্ ইবনু সাবিত (রাযিঃ) ও উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তারা বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অতঃপর শু’বাহ্ (রহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৮৯, ইসলামিক সেন্টার ৫৬১৬)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، بْنِ سَعْدٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ، وَخُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالُوا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ شُعْبَةَ ‏.‏

وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا وكيع، عن سفيان، عن حبيب، عن ابراهيم، بن سعد عن سعد بن مالك، وخزيمة بن ثابت، واسامة بن زيد، قالوا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم بمعنى حديث شعبة ‏.‏


This hadith has been transmitted on the authority of Sa'd b. Malik, Khuzaima b. Thabit and Usama b. Zaid.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৭৫-(…/...) উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... ইবরাহীম ইবনু সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাযিঃ) ও সা’দ (রাযিঃ) বসে বসে আলাপ করছিলেন। তারা উভয়ে বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (পূর্বোল্লেখিত) বর্ণনাকারীদের হাদীসের মতো। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৯০, ইসলামিক সেন্টার ৫৬১৭)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ جَرِيرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ كَانَ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَسَعْدٌ جَالِسَيْنِ يَتَحَدَّثَانِ فَقَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

وحدثنا عثمان بن ابي شيبة، واسحاق بن ابراهيم، كلاهما عن جرير، عن الاعمش، عن حبيب، عن ابراهيم بن سعد بن ابي وقاص، قال كان اسامة بن زيد وسعد جالسين يتحدثان فقالا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم بنحو حديثهم ‏.‏


Ibrahim b. Sa'd b. Abu Waqqas reported:
Usama b. Zaid and Sa'd had been sitting and they had been conversing and they said this hadith.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৭৬-(.../...) ওয়াহব ইবনু বাকিয়্যাহ (রহঃ) ..... ইবরাহীম ইবনু সা’দ ইবনু মালিক (রাযিঃ) তাঁর পিতা (সা’দ) এর সানাদে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উপরোল্লিখিত বর্ণনাকারীদের হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৯০, ইসলামিক সেন্টার ৫৬১৮)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

وَحَدَّثَنِيهِ وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي الطَّحَّانَ - عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ حَبِيبِ، بْنِ أَبِي ثَابِتٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

وحدثنيه وهب بن بقية، اخبرنا خالد، - يعني الطحان - عن الشيباني، عن حبيب، بن ابي ثابت عن ابراهيم بن سعد بن مالك، عن ابيه، عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بنحو حديثهم ‏.‏


This hadith has been transmitted by Ibrahim b. Sa'd b. Malik on the authority of his father.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৭৭-(৯৮/২২১৯) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া তামীমী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, উমার (রাযিঃ) শামের (সিরিয়ার) দিকে রওয়ানা হলেন। ’সারগ’ নামক স্থান পর্যন্ত পৌছলে ’আজনাদ’ অধিবাসীদের (প্রতিনিধি ও অধিনায়ক) আবূ উবাইদাহ ইবনু জাররাহ ও তার সহকর্মীগণ তার সাথে দেখা করলেন। তখন তারা সংবাদ দিলেন যে, শামে মহামারী আরম্ভ হয়েছে। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, তখন উমার (রাযিঃ) বললেন- প্রাথমিক যুগের মুহাজিরদের আমার নিকট ডেকে আন। আমি তাদের ডেকে নিয়ে আসলে তিনি তাদেরকে সংবাদ দিলেন যে, শামে মহামারী আরম্ভ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ চাইলেন। অতঃপর তারা দ্বন্দ্বে পড়ে গেল। তাদের কেউ কেউ বলল, আপনি একটা বিশেষ কাজের উদ্দেশে বের হয়েছেন, তাই আমরা আপনার ফিরে যাওয়া যথাযথ মনে করি না। আর কেউ কেউ বললেন, আপনার সঙ্গে অনেক প্রবীণ লোক এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ রয়েছেন। তাই আমরা তাদেরকে এ মহামারীর সম্মুখে ছেড়ে দেয়া যুক্তিসঙ্গত মনে করি না।

তিনি বললেন, আপনারা উঠুন! তারপর বললেন, আনসারীদের আমার নিকট ডেকে আনো। আমি তাদেরকে তার নিকট ডেকে নিয়ে আসলে তিনি তাদের কাছেও পরামর্শ চাইলেন। তারা মুহাজিরদের পন্থা অনুকরণ করলেন এবং মুহাজিরগণের মতো তাদের মধ্যেও দ্বিমত সৃষ্টি হলো। তিনি বললেন, আপনারা উঠুন। তারপর তিনি বললেন, (মক্কাহ) বিজয়ের পূর্বে হিজরতকারী কুরায়শের মুরুব্বীদের যারা এখানে আছেন, তাদের আমার নিকট পাঠাও। আমি তাদেরকে ডেকে আনলাম। তাদের দুজনও কিন্তু ভিন্নমত পোষণ করলেন না। তারা (সকলেই) বললেন, আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করি যে, আপনি লোকদের নিয়ে ফিরে যান এবং তাদেরকে এ মহামারীর দিকে ঠেলে দিবেন না।

তখন উমার (রাযিঃ) লোকদের মাঝে ঘোষণা দিলেন, আমি ভোরে সওয়ারীর উপর থাকবো, তোমরাও ভোরে সওয়ারীর উপর আরোহণ করবে। তখন আবূ উবাইদাহ ইবনু জাররাহ (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর তাকদীর হতে ভেগে যাওয়া? তখন উমার (রাযিঃ) বললেন, হে আবূ উবাইদাহ! তুমি ছাড়া অন্য কেউ এমন বললে, (রাবী বলেন) উমার (রাযিঃ) তার বিরুদ্ধাচরণ অপছন্দ করতেন। (তিনি বললেন) হ্যাঁ! আমরা আল্লাহর তাকদীর হতে আল্লাহরই তাকদীরের দিকে পলায়ন করছি। তোমার যদি একপাল উট থাকে আর তুমি একটি উপত্যকায় অবতীর্ণ হও যার দুটি প্রান্তর রয়েছে, যার একটু সবুজ শ্যামল, অপরটি তৃণশূন্য; সে ক্ষেত্রে তুমি যদি সবুজ শ্যামল প্রান্তরে (উট) চরাও, তাহলে আল্লাহর তাকদীরেই সেখানে চরাবে আর যদি তৃণশূন্য প্রান্তরে চরাও, তাহলেও আল্লাহর তাকদীরেই সেখানে চরাবে।

রাবী বলেন, এ সময় ’আব্দুর রহমান ইবনু আওফ (রাযিঃ) এলেন, তিনি (এতক্ষণ) তার কোন প্রয়োজনে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, এ বিষয়ে আমার নিকট (হাদীসের) ইলম রয়েছে। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যখন তোমরা কোন এলাকায় সেটার খবর শুনতে পাও, তখন তার উপরে (দুঃসাহস দেখিয়ে) এগিয়ে যেয়ো না। আর যখন কোন দেশে তোমাদের সেখানে থাকা অবস্থায় তা দেখা দেয়, তখন তা হতে পলায়ন করে বেরিয়ে পড়ো না। বর্ণনাকারী বলেন, তখন উমর (রাযিঃ) আল্লাহর প্রশংসা করলেন। অতঃপর চলে গেলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৯১, ইসলামিক সেন্টার ৫৬১৯)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ، الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، خَرَجَ إِلَى الشَّامِ حَتَّى إِذَا كَانَ بِسَرْغَ لَقِيَهُ أَهْلُ الأَجْنَادِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ وَأَصْحَابُهُ فَأَخْبَرُوهُ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ عُمَرُ ادْعُ لِيَ الْمُهَاجِرِينَ الأَوَّلِينَ ‏.‏ فَدَعَوْتُهُمْ فَاسْتَشَارَهُمْ وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ فَاخْتَلَفُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ قَدْ خَرَجْتَ لأَمْرٍ وَلاَ نَرَى أَنْ تَرْجِعَ عَنْهُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ مَعَكَ بَقِيَّةُ النَّاسِ وَأَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ نَرَى أَنْ تُقْدِمَهُمْ عَلَى هَذَا الْوَبَاءِ ‏.‏ فَقَالَ ارْتَفِعُوا عَنِّي ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِيَ الأَنْصَارَ فَدَعَوْتُهُمْ لَهُ فَاسْتَشَارَهُمْ فَسَلَكُوا سَبِيلَ الْمُهَاجِرِينَ وَاخْتَلَفُوا كَاخْتِلاَفِهِمْ ‏.‏ فَقَالَ ارْتَفِعُوا عَنِّي ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِي مَنْ كَانَ هَا هُنَا مِنْ مَشْيَخَةِ قُرَيْشٍ مِنْ مُهَاجِرَةِ الْفَتْحِ ‏.‏ فَدَعَوْتُهُمْ فَلَمْ يَخْتَلِفْ عَلَيْهِ رَجُلاَنِ فَقَالُوا نَرَى أَنْ تَرْجِعَ بِالنَّاسِ وَلاَ تُقْدِمْهُمْ عَلَى هَذَا الْوَبَاءِ ‏.‏ فَنَادَى عُمَرُ فِي النَّاسِ إِنِّي مُصْبِحٌ عَلَى ظَهْرٍ فَأَصْبِحُوا عَلَيْهِ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ أَفِرَارًا مِنْ قَدَرِ اللَّهِ فَقَالَ عُمَرُ لَوْ غَيْرُكَ قَالَهَا يَا أَبَا عُبَيْدَةَ - وَكَانَ عُمَرُ يَكْرَهُ خِلاَفَهُ - نَعَمْ نَفِرُّ مِنْ قَدَرِ اللَّهِ إِلَى قَدَرِ اللَّهِ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَتْ لَكَ إِبِلٌ فَهَبَطْتَ وَادِيًا لَهُ عِدْوَتَانِ إِحْدَاهُمَا خَصْبَةٌ وَالأُخْرَى جَدْبَةٌ أَلَيْسَ إِنْ رَعَيْتَ الْخَصْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ وَإِنْ رَعَيْتَ الْجَدْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ قَالَ فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَكَانَ مُتَغَيِّبًا فِي بَعْضِ حَاجَتِهِ فَقَالَ إِنَّ عِنْدِي مِنْ هَذَا عِلْمًا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ تَقْدَمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَحَمِدَ اللَّهَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ثُمَّ انْصَرَفَ ‏.‏

حدثنا يحيى بن يحيى التميمي، قال قرات على مالك عن ابن شهاب، عن عبد، الحميد بن عبد الرحمن بن زيد بن الخطاب عن عبد الله بن عبد الله بن الحارث بن نوفل، عن عبد الله بن عباس، ان عمر بن الخطاب، خرج الى الشام حتى اذا كان بسرغ لقيه اهل الاجناد ابو عبيدة بن الجراح واصحابه فاخبروه ان الوباء قد وقع بالشام ‏.‏ قال ابن عباس فقال عمر ادع لي المهاجرين الاولين ‏.‏ فدعوتهم فاستشارهم واخبرهم ان الوباء قد وقع بالشام فاختلفوا فقال بعضهم قد خرجت لامر ولا نرى ان ترجع عنه ‏.‏ وقال بعضهم معك بقية الناس واصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم ولا نرى ان تقدمهم على هذا الوباء ‏.‏ فقال ارتفعوا عني ‏.‏ ثم قال ادع لي الانصار فدعوتهم له فاستشارهم فسلكوا سبيل المهاجرين واختلفوا كاختلافهم ‏.‏ فقال ارتفعوا عني ‏.‏ ثم قال ادع لي من كان ها هنا من مشيخة قريش من مهاجرة الفتح ‏.‏ فدعوتهم فلم يختلف عليه رجلان فقالوا نرى ان ترجع بالناس ولا تقدمهم على هذا الوباء ‏.‏ فنادى عمر في الناس اني مصبح على ظهر فاصبحوا عليه ‏.‏ فقال ابو عبيدة بن الجراح افرارا من قدر الله فقال عمر لو غيرك قالها يا ابا عبيدة - وكان عمر يكره خلافه - نعم نفر من قدر الله الى قدر الله ارايت لو كانت لك ابل فهبطت واديا له عدوتان احداهما خصبة والاخرى جدبة اليس ان رعيت الخصبة رعيتها بقدر الله وان رعيت الجدبة رعيتها بقدر الله قال فجاء عبد الرحمن بن عوف وكان متغيبا في بعض حاجته فقال ان عندي من هذا علما سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ اذا سمعتم به بارض فلا تقدموا عليه واذا وقع بارض وانتم بها فلا تخرجوا فرارا منه ‏"‏ ‏.‏ قال فحمد الله عمر بن الخطاب ثم انصرف ‏.‏


'Abdullah b. 'Abbas reported:
Umar b. Khattab set out for Syria. As he came at Sargh (a town by the side of Hijaz on the way to Syria), there met him the commander of the forces, Abu Ubaida b. Jandb, and his companions. They informed him that a scourge had broken out in Syria. Ibn 'Abbas further reported that 'Umar said: Call to me tile earliest emigrants. So I called them. He (Hadrat 'Umar) sought their advice, and they told him that the scourge had broker, out in Syria. There was a difference of opinion (whether they should proceed further or go back to their homes in such a situation). Some of them said: You ('Umar) have set forth for a task, and, therefore, we would not advise you to go back, whereas some of them said: You have along with you the remnants (of the sacred galaxy) of men and (the blessed) Companions of Allah's Messenger (ﷺ), so we would not advise you to go forth towards this calamity (with such eminent persons and thus expose them deliberately to a danger). He (Hadrat 'Umar) said: You can now go away. He said: Call to me the Ansar. So I called them to him, and he consulted them, and they trod the same path as was trodden by the Muhajirin, and they differed in their opinions as they had differed. He said: Now, you can go. He again said: Call to me the old persons of the Quraish who had migrated before the Victory (that is the Victory of Mecca), so I called them (and Hadrat 'Umar consulted them) and not even two persons differed (from the opinion held by the earlier delegates). They said: Our opinion is that you better go back along with the people and do not make them go to this scourge, So 'Umar made announcement to the people: In the morning I would be on the back of my side. So they (set forth in the morning), whereupon Abu 'Ubaida b. Jarrah said: Are you going to run away from the Divine Decree? Thereupon 'Umar said: Had it been someone else to say this besides you! 'Umar (in fact) did not approve of his opposing (this decision) and he said: Yes, we are running from the Divine Decree (to the) Divine Decree. You should think if there had been camels for you and you happened to get down in a valley having two sides, one of them covered with verdure and the other being barren, would you not (be doing) according to the Divine Decree if you graze them in verdure? And in case you graze them in the barren land (even then you would be grazing them) according to the Divine Decree. There happened to come 'Abd al-Rahman b. 'Auf and he had been absent in connection with some of his needs. He said: I have with me a knowledge of it, that I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying: If you hear of its presence (the presence of plague) in a land, don't enter it, but if it spreads in the land where you are, don't fly from it. Thereupon 'Umar b. Khattab praised Allah and then went back?


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৭৮-(৯৯/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ), মুহাম্মাদ ইবনু রাফি ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) মা’মার (রহঃ) উপরোক্ত সূত্রে মালিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। মা’মার (রহঃ) এর হাদীসে অতিরিক্ত বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন [উমার (রাযিঃ)] আবূ উবাইদাহকে আরো বললেন, বলো তো, সে যদি তৃণশূন্য উপত্যকায় চড়ায় আর সবুজ শ্যামল উপত্যকা পরিত্যাগ করে তাহলে তুমি কি তাকে ব্যর্থ সাব্যস্ত করবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ! তিনি বললেন, তাহলে এবার চলো। বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তীতে সফর করে তিনি মদীনায় এসে বললেন, এটি অবস্থান স্থল অথবা তিনি বললেন, ইনশাআল্লাহ, এটি অবতরণ স্থল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৯২, ইসলামিক সেন্টার ৫৬২০)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ وَزَادَ فِي حَدِيثِ مَعْمَرٍ قَالَ وَقَالَ لَهُ أَيْضًا أَرَأَيْتَ أَنَّهُ لَوْ رَعَى الْجَدْبَةَ وَتَرَكَ الْخَصْبَةَ أَكُنْتَ مُعَجِّزَهُ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَسِرْ إِذًا ‏.‏ قَالَ فَسَارَ حَتَّى أَتَى الْمَدِينَةَ فَقَالَ هَذَا الْمَحِلُّ ‏.‏ أَوْ قَالَ هَذَا الْمَنْزِلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏.‏

وحدثنا اسحاق بن ابراهيم، ومحمد بن رافع، وعبد بن حميد، قال ابن رافع حدثنا وقال الاخران، اخبرنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، بهذا الاسناد ‏.‏ نحو حديث مالك وزاد في حديث معمر قال وقال له ايضا ارايت انه لو رعى الجدبة وترك الخصبة اكنت معجزه قال نعم ‏.‏ قال فسر اذا ‏.‏ قال فسار حتى اتى المدينة فقال هذا المحل ‏.‏ او قال هذا المنزل ان شاء الله ‏.‏


This hadith has been reported on the authority of Ma'mar with the same chain of transmitters but with this addition:
" Do you think that he would graze in the barren land but would abandon the green land? Would you not attribute it to be a failing on his part? He said: Yes. He said: Then proceed. And he moved on until he came to Medina. And he said to me: This is the right place, or he said: That is the destination if Allah so wills."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৭৯-(…/...) আবূ তাহির (রহঃ) ও হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সানাদে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস এটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেননি যে, আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৯২, ইসলামিক সেন্টার ৫৬২১)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ حَدَّثَهُ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏

وحدثنيه ابو الطاهر، وحرملة بن يحيى، قالا اخبرنا ابن وهب، اخبرني يونس، عن ابن شهاب، بهذا الاسناد غير انه قال ان عبد الله بن الحارث حدثه ‏.‏ ولم يقل عبد الله بن عبد الله ‏.‏


This hadith has been transmitted on the authority of 'Abdullah b. Harith with a slight variation of wording.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ

৫৬৮০-(১০০/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু আমির ইবনু রাবী’আহ হতে বর্ণিত যে, উমার (রাযিঃ) শামের দিকে সফরে বের হলেন, ’সারগ’ পর্যন্ত গমন করলে তার নিকটে (খবর) আসল যে, শামে মহামারী লক্ষ্য করা গেছে। তখন আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রাযিঃ) তাকে সংবাদ দিলেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যখন কোন অঞ্চলে মহামারীর (সংবাদ) শুনবে, তখন তার দিকে অগ্রসর হবে না। আর যখন কোন অঞ্চলে সেটা দেখা দিবে, আর তোমরা সেখানে রয়েছো, তাহলে সেখান থেকে পালিয়ে বের হয়ে যেও না। অতঃপর উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) সার্‌গ হতে প্রত্যাবর্তন করলেন। সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (ইবনু উমার) (রাযিঃ) হতে ইবনু শিহাব (রহঃ) এর বর্ণনাতে রয়েছে যে, আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাযিঃ) এর হাদীসের অনুসরণে উমার (রাযিঃ) লোকদের নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৯৩, ইসলামিক সেন্টার ৫৬২২)

باب الطَّاعُونِ وَالطِّيَرَةِ وَالْكَهَانَةِ وَنَحْوِهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ أَنَّ عُمَرَ، خَرَجَ إِلَى الشَّامِ فَلَمَّا جَاءَ سَرْغَ بَلَغَهُ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ ‏.‏ فَأَخْبَرَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلاَ تَقْدَمُوا عَلَيْهِ ‏.‏ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ ‏"‏ ‏.‏ فَرَجَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مِنْ سَرْغَ ‏.‏ وَعَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عُمَرَ إِنَّمَا انْصَرَفَ بِالنَّاسِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ ‏.‏

وحدثنا يحيى بن يحيى، قال قرات على مالك عن ابن شهاب، عن عبد الله بن، عامر بن ربيعة ان عمر، خرج الى الشام فلما جاء سرغ بلغه ان الوباء قد وقع بالشام ‏.‏ فاخبره عبد الرحمن بن عوف ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ اذا سمعتم به بارض فلا تقدموا عليه ‏.‏ واذا وقع بارض وانتم بها فلا تخرجوا فرارا منه ‏"‏ ‏.‏ فرجع عمر بن الخطاب من سرغ ‏.‏ وعن ابن شهاب عن سالم بن عبد الله ان عمر انما انصرف بالناس من حديث عبد الرحمن بن عوف ‏.‏


'Amir b. Rabi'ah reported:
'Umar went to Syria and as he came to Sargh, information was given to him that an epidemic had broken out in Syria. 'Abd al-Rahman b. 'Auf narrated to him that Allah's Messenger (ﷺ) had said: When you hear of its presence in a land, don't move towards it, and when it breaks out in a land and you are therein, then don't run away from it. So 'Umar b. Khattab came back from Sargh. Salim b. 'Abdullah reported that 'Umar went back, along with people on hearing the hadith reported on the authority of 'Abd al-Rahman b. 'Auf.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪০। সালাম (كتاب السلام) 40. The Book of Greetings
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে