পরিচ্ছেদঃ ৩২. মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তার জন্য ত্যাগ স্বীকার করার ফযীলত

৫২৫৪-(১৭২/২০৫৪) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, আমি চরম অনাহারে ভুগছি। তিনি তার কোন এক সহধর্মিণীর নিকট লোক প্রেরণ করলে তিনি বললেন, যে স্রষ্টা আপনাকে সঠিক দীনসহ পাঠিয়েছেন তার কসম! আমার নিকট পানি ব্যতীত আর কিছু নেই। তিনি অপর এক স্ত্রীর নিকট লোক প্রেরণ করলে তিনিও অনুরূপ কথা বললেন। এভাবে তারা সবাই একই কথা বললেন যে, সে সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন, আমার কাছে পানি ব্যতীত আর কিছু নেই। তখন তিনি বললেন, আজ রাত্রে লোকটির কে অতিথিপরায়ণ হবে? আল্লাহ তার উপর দয়া করুন! তখন এক আনুসারী লোক উঠে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি।

অতঃপর লোকটিকে নিয়ে আনুসারী নিজ বাড়িতে গেলেন এবং তার সহধর্মিণীকে বললেন, তোমার নিকট কিছু আছে কি? সে বলল, না। তবে সন্তানদের জন্য অল্প কিছু খাবার আছে। তিনি বললেন, তুমি তাদের কিছু একটা দিয়ে ব্যস্ত রাখো। আর যখন অতিথি ঘরে ঢুকবে, তখন তুমি আলোটা নিভিয়ে দেবে। আর তাকে বুঝাবো যে, আমরাও খাবার খাচ্ছি। সে (মেহমান) যখন খাওয়া আরম্ভ করবে তখন তুমি আলোর পাশে যেয়ে সেটা নিভিয়ে দেবে। রাবী বলেন, অতঃপর তারা বসে থাকলেন এবং অতিথি খেতে শুরু করলো। সকালে তিনি (আনসারী) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলে, তিনি বললেনঃ আজ রাত্রে অতিথির সঙ্গে তোমাদের উভয়ের ব্যবহারে আল্লাহ খুশী হয়েছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫১৮৬, ইসলামিক সেন্টার ৫১৯৮)

باب إِكْرَامِ الضَّيْفِ وَفَضْلِ إِيثَارِهِ ‏‏

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي مَجْهُودٌ ‏.‏ فَأَرْسَلَ إِلَى بَعْضِ نِسَائِهِ فَقَالَتْ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا عِنْدِي إِلاَّ مَاءٌ ‏.‏ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى أُخْرَى فَقَالَتْ مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى قُلْنَ كُلُّهُنَّ مِثْلَ ذَلِكَ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا عِنْدِي إِلاَّ مَاءٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ مَنْ يُضِيفُ هَذَا اللَّيْلَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَحْلِهِ فَقَالَ لاِمْرَأَتِهِ هَلْ عِنْدَكِ شَىْءٌ ‏.‏ قَالَتْ لاَ إِلاَّ قُوتُ صِبْيَانِي ‏.‏ قَالَ فَعَلِّلِيهِمْ بِشَىْءٍ فَإِذَا دَخَلَ ضَيْفُنَا فَأَطْفِئِي السِّرَاجَ وَأَرِيهِ أَنَّا نَأْكُلُ فَإِذَا أَهْوَى لِيَأْكُلَ فَقُومِي إِلَى السِّرَاجِ حَتَّى تُطْفِئِيهِ ‏.‏ قَالَ فَقَعَدُوا وَأَكَلَ الضَّيْفُ ‏.‏ فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ قَدْ عَجِبَ اللَّهُ مِنْ صَنِيعِكُمَا بِضَيْفِكُمَا اللَّيْلَةَ ‏"‏ ‏.‏

حدثني زهير بن حرب، حدثنا جرير بن عبد الحميد، عن فضيل بن غزوان، عن ابي حازم الاشجعي، عن ابي هريرة، قال جاء رجل الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال اني مجهود ‏.‏ فارسل الى بعض نساىه فقالت والذي بعثك بالحق ما عندي الا ماء ‏.‏ ثم ارسل الى اخرى فقالت مثل ذلك حتى قلن كلهن مثل ذلك لا والذي بعثك بالحق ما عندي الا ماء ‏.‏ فقال ‏"‏ من يضيف هذا الليلة رحمه الله ‏"‏ ‏.‏ فقام رجل من الانصار فقال انا يا رسول الله ‏.‏ فانطلق به الى رحله فقال لامراته هل عندك شىء ‏.‏ قالت لا الا قوت صبياني ‏.‏ قال فعلليهم بشىء فاذا دخل ضيفنا فاطفىي السراج واريه انا ناكل فاذا اهوى لياكل فقومي الى السراج حتى تطفىيه ‏.‏ قال فقعدوا واكل الضيف ‏.‏ فلما اصبح غدا على النبي صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ قد عجب الله من صنيعكما بضيفكما الليلة ‏"‏ ‏.‏


Abu Huraira reported that a person came to Allah's Messenger (ﷺ) and said:
I am hard pressed by hunger. He sent (message) to one of his wives (to procure food for him). but she said: By Him Who has sent you with Truth, thrre is nothing with me (to serve him) but only water. He (the Holy Prophet) then sent the (same) message to another, and she gave the same reply, until all of them gave the same reply: By Him Who has sent thee with the Truth, there is nothing with me but only water, whereupon he (the Holy Prophet) said: Allah would show mercy to him who will entertain this guest tonight. A person from the Ansar stood up and said: Messenger of Allah, I (am ready to entertain). He took him to his house and said to his wife: Is there anything with you (to serve the gdest)? She said: No, but only a subsistence for our children. He said: Distract their attention with something, and when the guest enters extinguish the lamp and give him the impression that we are eating. So they sat down. and the guest had his meal. When it was morning he went to Allah's Apostle (ﷺ) who said: Allah was well pleased with what you both did for your guest this night.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৭। পানীয় বস্তু (كتاب الأشربة) 37. The Book of Drinks

পরিচ্ছেদঃ ৩২. মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তার জন্য ত্যাগ স্বীকার করার ফযীলত

৫২৫৫-(১৭৩/...) আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু ’আলা (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, এক আনসারী লোকের বাড়িতে এক অতিথি রাত কাটালেন। তার কাছে তার ও সন্তানদের জন্য অল্প কিছু খাদ্য ব্যতীত আর কিছু ছিল না। তিনি তার স্ত্রীকে বললেন, বাচ্চাদের ঘুমিয়ে দাও, আলোটা বন্ধ করে দাও এবং তোমার নিকট যা কিছু আছে তাই অতিথির জন্য পেশ করো। রাবী বলেন, এরপর এ আয়াতটি নাযিল হয়ঃ "তারা তাদের উপর অপরকে প্রাধান্য দেয়, যদিও তারা অনাহারে থাকে”— (সূরা আল হাশর ৫৯ঃ ৯)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫১৮৭, ইসলামিক সেন্টার ৫১৯৯)

باب إِكْرَامِ الضَّيْفِ وَفَضْلِ إِيثَارِهِ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ أَبِي، حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ‏.‏ أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ بَاتَ بِهِ ضَيْفٌ فَلَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ إِلاَّ قُوتُهُ وَقُوتُ صِبْيَانِهِ فَقَالَ لاِمْرَأَتِهِ نَوِّمِي الصِّبْيَةَ وَأَطْفِئِي السِّرَاجَ وَقَرِّبِي لِلضَّيْفِ مَا عِنْدَكِ - قَالَ - فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏(‏ وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ‏)‏

حدثنا ابو كريب، محمد بن العلاء حدثنا وكيع، عن فضيل بن غزوان، عن ابي، حازم عن ابي هريرة، ‏.‏ ان رجلا، من الانصار بات به ضيف فلم يكن عنده الا قوته وقوت صبيانه فقال لامراته نومي الصبية واطفىي السراج وقربي للضيف ما عندك - قال - فنزلت هذه الاية ‏(‏ ويوثرون على انفسهم ولو كان بهم خصاصة‏)‏


Abu Huraira reported that a guest spent the night with a person from the Ansar who had nothing with him but food (sufficient) for his own self and his children. He said to his wife:
(Lull) the children to sleep, and put out the lamp, and serve the guest with what you have with you. It was on this occasion that this verse was revealed:" Those who prefer the needy to their own selves in spite of the fact that they are themselves in pressing need" (Lix. 9).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৭। পানীয় বস্তু (كتاب الأشربة) 37. The Book of Drinks

পরিচ্ছেদঃ ৩২. মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তার জন্য ত্যাগ স্বীকার করার ফযীলত

৫২৫৬-(…/...) আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মেহমান হয়ে এক লোক তার নিকট এলেন। কিন্তু তার কাছে এমন কিছু ছিল না যা দিয়ে তিনি সে ব্যক্তির আপ্যায়ন করবেন। তখন তিনি বললেন, এর মেহমানদারী করার মতো কেউ কি আছে? আল্লাহ তার উপর দয়া করুক। এ সময় আবূ তালহাহ নামক এক আনসারী লোক দাঁড়ালেন এবং লোকটিকে আপন গৃহে নিয়ে গেলেন। অতঃপর রাবী শেষ পর্যন্ত হাদীসটি জারীর (রহঃ) এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। আর তিনি ওয়াকী’ (রহঃ) এর মতো আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কথাও বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫১৮৮, ইসলামিক সেন্টার ৫২০০)

باب إِكْرَامِ الضَّيْفِ وَفَضْلِ إِيثَارِهِ ‏‏

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُضِيفَهُ فَلَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ مَا يُضِيفُهُ فَقَالَ ‏ "‏ أَلاَ رَجُلٌ يُضِيفُ هَذَا رَحِمَهُ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ أَبُو طَلْحَةَ فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَحْلِهِ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ جَرِيرٍ وَذَكَرَ فِيهِ نُزُولَ الآيَةِ كَمَا ذَكَرَهُ وَكِيعٌ ‏.‏

وحدثناه ابو كريب، حدثنا ابن فضيل، عن ابيه، عن ابي حازم، عن ابي هريرة، قال جاء رجل الى رسول الله صلى الله عليه وسلم ليضيفه فلم يكن عنده ما يضيفه فقال ‏ "‏ الا رجل يضيف هذا رحمه الله ‏"‏ ‏.‏ فقام رجل من الانصار يقال له ابو طلحة فانطلق به الى رحله ‏.‏ وساق الحديث بنحو حديث جرير وذكر فيه نزول الاية كما ذكره وكيع ‏.‏


Abu Huraira reported that a man came to Allah's Messenger (ﷺ) so that he should entertain him as a guest, but he had nothing with which he could entertain him. He, therefore, asked if there was any person who would entertain him (assuring the audience) that Allah would show mercy to him. A person from the Ansar who was called Abu Talha stood up and he took him to his house. The rest of the hadith is the same and mention is (also) made in that about the revelation of the verse as narrated by Waki'.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৭। পানীয় বস্তু (كتاب الأشربة) 37. The Book of Drinks

পরিচ্ছেদঃ ৩২. মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তার জন্য ত্যাগ স্বীকার করার ফযীলত

৫২৫৭-(১৭৪/২০৫৫) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ..... মিকদাদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রচুর খাদ্য সংকটে আমার ও আমার দু’সাথীর দৃষ্টিশক্তি ও শ্রুতিশক্তি কমে যায়। অতঃপর আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের নিকটে নিজেদের উত্থাপন করতে লাগলাম। কিন্তু তাদের কেউ আমাদের কথা শুনলেন না। সবশেষে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আগমন করলে তিনি আমাদের সাথে নিয়ে তার পরিবারের নিকটে গেলেন। সেখানে তিনটি বকরী ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা দুধ দোহন করবে। এ দুধ আমরা বণ্টন করে পান করবো। তিনি বলেন, এরপর থেকে আমরা দুধ দোহন করতাম। আমাদের সবাই যার যার অংশ পান করতো। আর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য তার অংশ উঠিয়ে রাখতাম। মিকদাদ (রাযিঃ) বলেন, তিনি রাত্রে এসে এমনভাবে সালাম দিতেন যাতে নিদ্রারত লোক উঠে না যায় এবং জাগ্রত লোক শুনতে পায়।

বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি মসজিদে এসে সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করতেন। প্রত্যাবর্তন করে দুধ পান করতেন। একদা রাতে আমার নিকটে শাইতান আগমন করলো। আমি তো আমার অংশ পান করে ফেলেছিলাম। সে বলল, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারীদের নিকটে গেলে তারা তাকে উপঢৌকন দিবে এবং তাদের নিকটে তার এ অল্প দুধের প্রয়োজনীয়তাও ফুরিয়ে যাবে। অতঃপর আমি এসে সেটুকুও পান করে ফেললাম। দুধ যখন উত্তমভাবে আমার পেটে ঢুকে গেলে আমি বুঝলাম, এ দুধ বের করার আর কোন উপায় নেই তখন শইতান আমার থেকে দূরে সরে গিয়ে বলল, তোমার ধ্বংস হোক, তুমি একি করলে তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুধ পান করে ফেলেছ? তিনি জাগ্রত হয়ে যখন তা পাবেন না, তখন তোমার উপর বদ-দু’আ করবেন এতে তুমি সর্বনাশ হয়ে যাবে এবং তোমার ইহকাল ও পরকাল নিঃশেষ হয়ে যাবে।

আমার শরীরে একটা চাদর ছিল। আমি যদি তা আমার পাদ্বয়ের উপর রাখি তাহলে আমার মাথা বের হয়ে পড়ে, আর যদি আমি তা আমার মাথার উপর রাখি তাহলে আমার পদদ্বয় বেরিয়ে পড়ে। কিছুতেই আমার ঘুম আসছিল না। আমার সাথীদ্বয় তো নিদ্রাচ্ছন্ন ছিল। তারা তো আমার মতো কাজ করেনি। তিনি বলেন, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমন করে যেভাবে সালাম করতেন সেভাবেই সালাম করলেন। অতঃপর তিনি মসজিদে এসে সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করলেন। অতঃপর দুধের নিকটে এসে ঢাকনা খুলে সেখানে কিছুই পেলেন না। এরপর তিনি নিজ মাথা আকাশের দিকে তুললেন। আমি তখন (মনে মনে) বললাম, এখনই হয়তো আমার উপর তিনি বদদুআ করবেন, আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাবো। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! যে লোক আমার খাবারের ব্যবস্থা করে তুমি তার খাদ্যের ব্যবস্থা কর। আর যে আমাকে পান করায় তাকে তুমি পান করাও।

মিকদাদ (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি চাদরটি নিয়ে গায়ে বাঁধলাম এবং একটি ছুরি নিলাম, অতঃপর (এ ভেবে) বকরীগুলোর কাছে গেলাম যে, এদের মধ্যে যেটি সবচেয়ে বেশি মোটাতাজা আমি সেটি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য যাবাহ করবো। সেখানে গিয়ে দেখলাম, সেটি দুধে পরিপূর্ণ এবং অন্যান্য সব বকরীও দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অতঃপর আমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিবারের একটি বাসন নিয়ে এলাম যার মধ্যে তারা দুধ দোহাতেন না। তিনি [মিকদাদ (রাযিঃ)] বলেন, আমি তার মধ্যেই দুধ দোহন করলাম, এমনকি বাসনের উপরের অংশ ফেনা ভেসে উঠলো। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আগমন করলাম। তিনি বললেন, তোমরা কি রাত্রের দুধ পান করেছো? তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি পান করুন। তিনি পান করে আমাকে দিলেন।

আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি পান করুন। তিনি পান করে আমাকে দিলেন। আমি যখন বুঝতে পারলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিতৃপ্ত হয়ে গেছেন এবং আমি তার নেক দু’আ পেয়ে গেছি, তখন আমি খুশীতে হাসতে হাসতে মাটিতে নুয়ে পড়লে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে মিকদাদ এটা তোমার এক মন্দকাজ? তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার এ ঘটনা ঘটে গেছে। কিংবা তিনি বলেছেন, আমার দ্বারা এরূপ কাজ হয়ে গেছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা একমাত্র আল্লাহর মেহেরবানী! তুমি কেন আমাকে জানালে না? আমরা আমাদের সঙ্গীদ্বয়কে জাগাতাম, তাহলে তারাও এর অংশ পেত। তিনি বলেন, আমি তখন বললাম, যে মহান স্রষ্টা আপনাকে সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন তার কসম! আপনি যখন পেয়েছেন এবং আমি যখন আপনার সঙ্গে ভাগ পেয়েছি, তখন ভিন্ন কোন ব্যক্তি পাওয়া না পাওয়ার আমি তোয়াক্কা করি না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫১৮৯, ইসলামিক সেন্টার ৫২০১)

باب إِكْرَامِ الضَّيْفِ وَفَضْلِ إِيثَارِهِ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْمِقْدَادِ، قَالَ أَقْبَلْتُ أَنَا وَصَاحِبَانِ، لِي وَقَدْ ذَهَبَتْ أَسْمَاعُنَا وَأَبْصَارُنَا مِنَ الْجَهْدِ فَجَعَلْنَا نَعْرِضُ أَنْفُسَنَا عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْهُمْ يَقْبَلُنَا فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقَ بِنَا إِلَى أَهْلِهِ فَإِذَا ثَلاَثَةُ أَعْنُزٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ احْتَلِبُوا هَذَا اللَّبَنَ بَيْنَنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَكُنَّا نَحْتَلِبُ فَيَشْرَبُ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنَّا نَصِيبَهُ وَنَرْفَعُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَصِيبَهُ - قَالَ - فَيَجِيءُ مِنَ اللَّيْلِ فَيُسَلِّمُ تَسْلِيمًا لاَ يُوقِظُ نَائِمًا وَيُسْمِعُ الْيَقْظَانَ - قَالَ - ثُمَّ يَأْتِي الْمَسْجِدَ فَيُصَلِّي ثُمَّ يَأْتِي شَرَابَهُ فَيَشْرَبُ فَأَتَانِي الشَّيْطَانُ ذَاتَ لَيْلَةٍ وَقَدْ شَرِبْتُ نَصِيبِي فَقَالَ مُحَمَّدٌ يَأْتِي الأَنْصَارَ فَيُتْحِفُونَهُ وَيُصِيبُ عِنْدَهُمْ مَا بِهِ حَاجَةٌ إِلَى هَذِهِ الْجُرْعَةِ فَأَتَيْتُهَا فَشَرِبْتُهَا فَلَمَّا أَنْ وَغَلَتْ فِي بَطْنِي وَعَلِمْتُ أَنَّهُ لَيْسَ إِلَيْهَا سَبِيلٌ - قَالَ - نَدَّمَنِي الشَّيْطَانُ فَقَالَ وَيْحَكَ مَا صَنَعْتَ أَشَرِبْتَ شَرَابَ مُحَمَّدٍ فَيَجِيءُ فَلاَ يَجِدُهُ فَيَدْعُو عَلَيْكَ فَتَهْلِكُ فَتَذْهَبُ دُنْيَاكَ وَآخِرَتُكَ ‏.‏ وَعَلَىَّ شَمْلَةٌ إِذَا وَضَعْتُهَا عَلَى قَدَمَىَّ خَرَجَ رَأْسِي وَإِذَا وَضَعْتُهَا عَلَى رَأْسِي خَرَجَ قَدَمَاىَ وَجَعَلَ لاَ يَجِيئُنِي النَّوْمُ وَأَمَّا صَاحِبَاىَ فَنَامَا وَلَمْ يَصْنَعَا مَا صَنَعْتُ - قَالَ - فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ كَمَا كَانَ يُسَلِّمُ ثُمَّ أَتَى الْمَسْجِدَ فَصَلَّى ثُمَّ أَتَى شَرَابَهُ فَكَشَفَ عَنْهُ فَلَمْ يَجِدْ فِيهِ شَيْئًا فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقُلْتُ الآنَ يَدْعُو عَلَىَّ فَأَهْلِكُ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِي وَأَسْقِ مَنْ أَسْقَانِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَعَمَدْتُ إِلَى الشَّمْلَةِ فَشَدَدْتُهَا عَلَىَّ وَأَخَذْتُ الشَّفْرَةَ فَانْطَلَقْتُ إِلَى الأَعْنُزِ أَيُّهَا أَسْمَنُ فَأَذْبَحُهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هِيَ حَافِلَةٌ وَإِذَا هُنَّ حُفَّلٌ كُلُّهُنَّ فَعَمَدْتُ إِلَى إِنَاءٍ لآلِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم مَا كَانُوا يَطْمَعُونَ أَنْ يَحْتَلِبُوا فِيهِ - قَالَ - فَحَلَبْتُ فِيهِ حَتَّى عَلَتْهُ رَغْوَةٌ فَجِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ أَشَرِبْتُمْ شَرَابَكُمُ اللَّيْلَةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ اشْرَبْ ‏.‏ فَشَرِبَ ثُمَّ نَاوَلَنِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ اشْرَبْ ‏.‏ فَشَرِبَ ثُمَّ نَاوَلَنِي فَلَمَّا عَرَفْتُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدْ رَوِيَ وَأَصَبْتُ دَعْوَتَهُ ضَحِكْتُ حَتَّى أُلْقِيتُ إِلَى الأَرْضِ - قَالَ - فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِحْدَى سَوْآتِكَ يَا مِقْدَادُ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَانَ مِنْ أَمْرِي كَذَا وَكَذَا وَفَعَلْتُ كَذَا ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا هَذِهِ إِلاَّ رَحْمَةٌ مِنَ اللَّهِ أَفَلاَ كُنْتَ آذَنْتَنِي فَنُوقِظَ صَاحِبَيْنَا فَيُصِيبَانِ مِنْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُبَالِي إِذَا أَصَبْتَهَا وَأَصَبْتُهَا مَعَكَ مَنْ أَصَابَهَا مِنَ النَّاسِ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا شبابة بن سوار، حدثنا سليمان بن المغيرة، عن ثابت، عن عبد الرحمن بن ابي ليلى، عن المقداد، قال اقبلت انا وصاحبان، لي وقد ذهبت اسماعنا وابصارنا من الجهد فجعلنا نعرض انفسنا على اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فليس احد منهم يقبلنا فاتينا النبي صلى الله عليه وسلم فانطلق بنا الى اهله فاذا ثلاثة اعنز فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ احتلبوا هذا اللبن بيننا ‏"‏ ‏.‏ قال فكنا نحتلب فيشرب كل انسان منا نصيبه ونرفع للنبي صلى الله عليه وسلم نصيبه - قال - فيجيء من الليل فيسلم تسليما لا يوقظ ناىما ويسمع اليقظان - قال - ثم ياتي المسجد فيصلي ثم ياتي شرابه فيشرب فاتاني الشيطان ذات ليلة وقد شربت نصيبي فقال محمد ياتي الانصار فيتحفونه ويصيب عندهم ما به حاجة الى هذه الجرعة فاتيتها فشربتها فلما ان وغلت في بطني وعلمت انه ليس اليها سبيل - قال - ندمني الشيطان فقال ويحك ما صنعت اشربت شراب محمد فيجيء فلا يجده فيدعو عليك فتهلك فتذهب دنياك واخرتك ‏.‏ وعلى شملة اذا وضعتها على قدمى خرج راسي واذا وضعتها على راسي خرج قدماى وجعل لا يجيىني النوم واما صاحباى فناما ولم يصنعا ما صنعت - قال - فجاء النبي صلى الله عليه وسلم فسلم كما كان يسلم ثم اتى المسجد فصلى ثم اتى شرابه فكشف عنه فلم يجد فيه شيىا فرفع راسه الى السماء فقلت الان يدعو على فاهلك ‏.‏ فقال ‏"‏ اللهم اطعم من اطعمني واسق من اسقاني ‏"‏ ‏.‏ قال فعمدت الى الشملة فشددتها على واخذت الشفرة فانطلقت الى الاعنز ايها اسمن فاذبحها لرسول الله صلى الله عليه وسلم فاذا هي حافلة واذا هن حفل كلهن فعمدت الى اناء لال محمد صلى الله عليه وسلم ما كانوا يطمعون ان يحتلبوا فيه - قال - فحلبت فيه حتى علته رغوة فجىت الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ اشربتم شرابكم الليلة ‏"‏ ‏.‏ قال قلت يا رسول الله اشرب ‏.‏ فشرب ثم ناولني فقلت يا رسول الله اشرب ‏.‏ فشرب ثم ناولني فلما عرفت ان النبي صلى الله عليه وسلم قد روي واصبت دعوته ضحكت حتى القيت الى الارض - قال - فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ احدى سواتك يا مقداد ‏"‏ ‏.‏ فقلت يا رسول الله كان من امري كذا وكذا وفعلت كذا ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ما هذه الا رحمة من الله افلا كنت اذنتني فنوقظ صاحبينا فيصيبان منها ‏"‏ ‏.‏ قال فقلت والذي بعثك بالحق ما ابالي اذا اصبتها واصبتها معك من اصابها من الناس ‏.‏


Miqdad reported:
I and two of my companions were so much afflicted by hunger that we had lost our power of seeing and hearing. We presented ourselves (as guests) to the Companions of the Prophet (ﷺ), but none amongst them would entertain us. So we came to Allah's Apostle (ﷺ), and he took us to his residence and there were three goats. Allah's Apostle (ﷺ) said: Milk these for us. So we milked them and every person amongst us drank his share and we set aside the share of Allah's Apostle (ﷺ). (It was his habit) to come during the night and greet (the people present there) in a manner that would not wake up one in sleep but make one who was awake hear it. He would then go to the mosque and say prayer, then go to the milk and drink it. Miqdad added: One night the Satan came to me when I had taken my share, and he said: Muhammad has gone to the Ansar, who would offer him hospitality and he would get what is with them, and he has no need for this draught (of milk). So I took (that milk) and drank it, and when it had penetrated deeply in my stomach and I was certain that there was no way out (but to digest it), the Satan aroused (my sense of) remorse and said: Woe be to thee! what have you done? You have taken the drink reserved for Muhammad! When he would come and he would not find it, he would curse you, and you would be ruined, and thus there would go (waste) this world and the Hereafter (for) you. There was a sheet over me; as I placed (pulled) it upon my feet, my head was uncovered and as I placed it upon my head, my feet were uncovered, and I could not sleep, but my two companions had gone to sleep for they had not done what I had done. There came Allah's Apostle (ﷺ), and he greeted as he used to greet (by saying as-Salamu 'Alaikum). He then came to the mosque and observed prayer and then came to his drink (milk) and uncovered it, but did not find anything in it. He raised his head towards the sky, and I said (to myself) that he (the Holy Prophet) was going to invoke curse upon me and I would be thus ruined; but he (the Holy Prophet) said: Allah, feed him who fed me and give drink to him who provided me drink. I held tight the sheet upon myself (and when he had supplicated), I took hold of the knife and went to the goats (possessed by the Holy Prophet) so that I may slauhter one for Allah's Messenger (ﷺ) which was the fattest amongst them, and in fact all of them were milch goats; then I took hold of the vessel which belonged to the family of Allah's Messenger (ﷺ) in which they used to milk and drink therefrom, and milked them in that until it swelled up with foam. I came to Allah's Messenger (ﷺ) and he said: Have you taken your share of the milk during the night? I said: Drink it. and he drank it; he then handed over (the vessel) to me and I said: Allah's Messenger, drink it, and he drank it and handed over (the vessel) to me again, I then perceived that Allah's Apostle (ﷺ) had been satiated and I had got his blessings. I burst into laughter (so much) so that I fell upon the ground, whereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: Miqdad, it must be one of your mischiefs. I said: Allah's Messenger, this affair of mind is like this and this. and I have done so. Thereupon. Allah's Apostle (ﷺ) said: This is nothing but a mercy from Allah. Why is it that you did not give me an opportunity so that we should have awakened our two friends and they would have got their share (of the milk)? I said: By Him Who has sent you with Truth. I do not mind whatever you give (to them), and whatever the (other) people happen to get, when I had got it along with you from among the people.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৭। পানীয় বস্তু (كتاب الأشربة) 37. The Book of Drinks

পরিচ্ছেদঃ ৩২. মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তার জন্য ত্যাগ স্বীকার করার ফযীলত

৫২৫৮-(.../...) ইসহাক ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ) ..... সুলাইমান ইবনু মুগীরাহ (রহঃ) হতে উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত রয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫১৯০, ইসলামিক সেন্টার ৫২০২)

باب إِكْرَامِ الضَّيْفِ وَفَضْلِ إِيثَارِهِ ‏‏

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

وحدثنا اسحاق بن ابراهيم، اخبرنا النضر بن شميل، حدثنا سليمان بن المغيرة، بهذا الاسناد ‏.‏


This hadith has been reported on the authority of Mughira with the same chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৭। পানীয় বস্তু (كتاب الأشربة) 37. The Book of Drinks

পরিচ্ছেদঃ ৩২. মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তার জন্য ত্যাগ স্বীকার করার ফযীলত

৫২৫৯-(১৭৫/২০৫৬) উবাইদুল্লাহ ইবনু মুআয আম্বারী, হামিদ ইবনু উমার বাকরাবী ও মুহাম্মাদ ইবনু ’আবদুল আ’লা (রহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একশ’ তিরিশ জন ব্যক্তি (এক সফরে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের মাঝে কারো নিকট খাবার আছে কি? দেখা গেল, এক লোকের নিকটে এক সা’ বা সমপরিমাণ খাদ্য রয়েছে। তা (মিশিয়ে) খামীর করা হলো। অতঃপর এলোমেলো চুলে দীর্ঘাঙ্গ এক মুশরিক লোক কিছু ছাগল হাকিয়ে নিয়ে আসলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এগুলো বিক্রি করে দিবে না উপটৌকন হিসেবে দিবে? কিংবা উপঢৌকন শব্দের স্থলে তিনি দান করবে বলেছিলেন। লোকটি স্বলল, না; আমি বরং বিক্রি করবো।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট থেকে একটি বকরী ক্রয় করলেন। বকরীটা যাবাহ করা হলো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কলিজা ভূনা করতে নির্দেশ দিলেন। বর্ণনাকারী আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! একশ’ ত্রিশজনের মাঝে একজনও এমন ছিল না যাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক টুকরা কলিজা দেননি। যারা সমবেত ছিল তাদেরকে তো তখনই দিয়েছেন। আর যারা উপস্থিত ছিল না তাদের জন্য পৃথকভাবে তুলে রেখেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, মাংস দুটি বাসনে বন্টন করে রাখলেন। আমরা সবাই তৃপ্তি সহকারে খেলাম। তারপরও বাসন দুটিতে মাংস অতিরিক্ত থাকলো। আমি তা উটের উপর বহন করে নিয়ে গেলাম। কিংবা তিনি (রাবী) যেভাবে রিওয়ায়াত করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫১৯১, ইসলামিক সেন্টার ৫২০৩)

باب إِكْرَامِ الضَّيْفِ وَفَضْلِ إِيثَارِهِ ‏‏

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، وَحَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، الأَعْلَى جَمِيعًا عَنِ الْمُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ مُعَاذٍ - حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، - وَحَدَّثَ أَيْضًا، - عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثِينَ وَمِائَةً فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَلْ مَعَ أَحَدٍ مِنْكُمْ طَعَامٌ ‏"‏ ‏.‏ فَإِذَا مَعَ رَجُلٍ صَاعٌ مِنْ طَعَامٍ أَوْ نَحْوُهُ فَعُجِنَ ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ مُشْرِكٌ مُشْعَانٌّ طَوِيلٌ بِغَنَمٍ يَسُوقُهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَبَيْعٌ أَمْ عَطِيَّةٌ - أَوْ قَالَ - أَمْ هِبَةٌ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ لاَ بَلْ بَيْعٌ ‏.‏ فَاشْتَرَى مِنْهُ شَاةً فَصُنِعَتْ وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَوَادِ الْبَطْنِ أَنْ يُشْوَى ‏.‏ قَالَ وَايْمُ اللَّهِ مَا مِنَ الثَّلاَثِينَ وَمِائَةٍ إِلاَّ حَزَّ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُزَّةً حُزَّةً مِنْ سَوَادِ بَطْنِهَا إِنْ كَانَ شَاهِدًا أَعْطَاهُ وَإِنْ كَانَ غَائِبًا خَبَأَ لَهُ - قَالَ - وَجَعَلَ قَصْعَتَيْنِ فَأَكَلْنَا مِنْهُمَا أَجْمَعُونَ وَشَبِعْنَا وَفَضَلَ فِي الْقَصْعَتَيْنِ فَحَمَلْتُهُ عَلَى الْبَعِيرِ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ ‏.‏

وحدثنا عبيد الله بن معاذ العنبري، وحامد بن عمر البكراوي، ومحمد بن عبد، الاعلى جميعا عن المعتمر بن سليمان، - واللفظ لابن معاذ - حدثنا المعتمر، حدثنا ابي، عن ابي عثمان، - وحدث ايضا، - عن عبد الرحمن بن ابي بكر، قال كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم ثلاثين وماىة فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هل مع احد منكم طعام ‏"‏ ‏.‏ فاذا مع رجل صاع من طعام او نحوه فعجن ثم جاء رجل مشرك مشعان طويل بغنم يسوقها فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ابيع ام عطية - او قال - ام هبة ‏"‏ ‏.‏ فقال لا بل بيع ‏.‏ فاشترى منه شاة فصنعت وامر رسول الله صلى الله عليه وسلم بسواد البطن ان يشوى ‏.‏ قال وايم الله ما من الثلاثين وماىة الا حز له رسول الله صلى الله عليه وسلم حزة حزة من سواد بطنها ان كان شاهدا اعطاه وان كان غاىبا خبا له - قال - وجعل قصعتين فاكلنا منهما اجمعون وشبعنا وفضل في القصعتين فحملته على البعير ‏.‏ او كما قال ‏.‏


'Abd al-Rahman b. Abu Bakr reported:
We were one hundred and thirty (persons) with Allah's Apostle (ﷺ). Allah's Apostle (ﷺ) said: Does any one of You possess food? There was a person with (us) who had a sa' of flour or something about that, and it was kneaded. Then a tall polytheist with dishevelled hair came driving his flock of sheep. Thereupon Allah's Apostle (ﷺ) said: Would you like to sell it (any one of these goats) or offer it as a gift or a present? He said: No, (I am not prepared to offer as a gift), but I would sell it. He (the Holy Prophet) bought a sheep from him, and it was slaughtered and its meat was prepared, and Allah's Messenger (ﷺ) commanded that its liver should be roasted. He (the narrator) said: By Allah, none among one hundred and thirty persons was left whom Allah's Messenger (ﷺ) had not given a part out of her liver; if anyone was present he gave it to him. but if he was absent it was set aside for him. And he (the Holy Prophet) filled two bowls (one with soup and the other with mutton) and we all ate out of them to our hearts' content, but (still) some part was (left) in (those) two bowls, and I placed it on the camel- (or words to the same effect).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৭। পানীয় বস্তু (كتاب الأشربة) 37. The Book of Drinks

পরিচ্ছেদঃ ৩২. মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তার জন্য ত্যাগ স্বীকার করার ফযীলত

৫২৬০-(১৭৬/২০৫৭) উবাইদুল্লাহ ইবনু মুআয আম্বারী, হামিদ ইবনু উমার বাকরাবী ও মুহাম্মাদ ইবনু ’আবদুল আ’লা কাইসী (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, আসহাবে সুফফার মানুষজন দরিদ্র ছিলেন। তাই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বললেনঃ যার কাছে দু’জনের খাদ্য আছে সে যেন তৃতীয় এক জনকে নিয়ে যায়। আর যার নিকটে চার জনের খাদ্য রয়েছে, সে যেন পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ ব্যক্তিকে নিয়ে যায়। কিংবা রাবী যেভাবে বর্ণনা করেছেন।

রাবী বলেন, আবূ বকর (রাযিঃ) তিনজনকে সাথে নিয়ে আগমন করলেন। আর আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশজনকে নিয়ে রওনা হলেন। আমার পরিবারে আমরা ছিলাম তিনজন আমি, আমার আব্বা ও আমার আম্মা। রাবী বলেন, আমি জানি না, তিনি বলেছেন কি-না যে, আমার সহধর্মিণী আমাদের ও আবূ বকরের গৃহে শারীক খাদিম। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ বকর (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাড়িতে রাতের খাবার খেলেন। অতঃপর তিনি প্রতীক্ষা করলেন। পরিশেষে ইশার সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করা হলো।

সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) শেষে ফিরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিদ্রাচ্ছন্ন হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রতীক্ষা করলেন। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় রাত্রির কিছু অংশ পার হলে তিনি (বাড়িতে) প্রত্যাবর্তন করলেন। তার স্ত্রী তাকে বললেন, অতিথি রেখে দেরী করলেন কেন? তিনি বললেন, কেন? তুমি কি তাদের রাত্রের খাবার খাওয়াওনি? তার সহধর্মিণী বললেন, আপনি না ফেরা পর্যন্ত তারা খাবার খেতে নারাজ। কয়েক বারই খাবার দেয়া হয়েছে কিন্তু মেহমানরা তাদের কথা হতে ফিরে আসেনি। ’আবদুর রহমান (রাযিঃ) বলেন, আমি যেয়ে পালিয়ে রইলাম। তিনি বললেন, হে নির্বোধ! অতঃপর তিনি আমাকে বকাঝকা করলেন। আর (মেহমানদের) বললেন, ভাল হলো না। আপনারা খাবার গ্রহণ করুন। তিনি আরও বললেন, আল্লাহর শপথ আমি এ খাবার গ্রহণ করবো না।

আবদুর রহমান (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা যে লোকমাই মুখে দিচ্ছিলাম তার নীচে এর থেকে বহু পরিমাণে বৃদ্ধি পেত। এমনকি আমরা পেটপুরে খেয়েও আমাদের খাওয়ার আগে যা ছিল তার তুলনায় প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে আবূ বকর (রাযিঃ) খাবারের প্রতি খেয়াল করে দেখলেন, তা যেমন ছিল তেমনি আছে বা তার চেয়েও বেশী হয়েছে। তিনি তার স্ত্রীকে বললেন, হে উখত (বোন) বানী ফিরাস! একি অবস্থা, তিনি বললেন, কিছু না। আমার চোখের প্রশান্তি এগুলো যা আগে ছিল তার থেকে তিন গুণ বর্ধিত হয়েছে। আবদুর রহমান বলেন, অতঃপর আবূ বকর (রাযিঃ) কিছু খেয়ে বললেন, ওটা অর্থাৎ- শপথটা ছিল শাইতানের নিকট থেকে, তারপর আরও এক লোকমা খেলেন।

অতঃপর সেগুলো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে নিয়ে চললেন। আমিও তার নিকটে সকাল পর্যন্ত ছিলাম। তিনি বলেন, আমাদের এবং কোন এক গোত্রের মধ্যে একটি অঙ্গীকারনামা ছিল। যার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আমরা (বারটি দল করে) বার জন ব্যক্তি নিযুক্ত করলাম। প্রত্যেক ব্যক্তির সঙ্গে অনেক ব্যক্তি ছিল। আল্লাহই ভাল জানেন, প্রত্যেক লোকের সাথে কতজন ব্যক্তি ছিল। তাদের প্রত্যেকের কাছে এ খাদ্য প্রেরণ করা হলো এবং তারা সকলেই সে খাবার খেলেন। কিংবা রাবী যেভাবে বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫১৯২, ইসলামিক সেন্টার ৫২০৪)

باب إِكْرَامِ الضَّيْفِ وَفَضْلِ إِيثَارِهِ ‏‏

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، وَحَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، الْقَيْسِيُّ كُلُّهُمْ عَنِ الْمُعْتَمِرِ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ مُعَاذٍ - حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ قَالَ أَبِي حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ أَصْحَابَ الصُّفَّةِ، كَانُوا نَاسًا فُقَرَاءَ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَرَّةً ‏ "‏ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ اثْنَيْنِ فَلْيَذْهَبْ بِثَلاَثَةٍ وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ أَرْبَعَةٍ فَلْيَذْهَبْ بِخَامِسٍ بِسَادِسٍ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ ‏.‏ وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ جَاءَ بِثَلاَثَةٍ وَانْطَلَقَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعَشَرَةٍ وَأَبُو بَكْرٍ بِثَلاَثَةٍ - قَالَ - فَهُوَ وَأَنَا وَأَبِي وَأُمِّي - وَلاَ أَدْرِي هَلْ قَالَ وَامْرَأَتِي وَخَادِمٌ بَيْنَ بَيْتِنَا وَبَيْتِ أَبِي بَكْرٍ - قَالَ وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ تَعَشَّى عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ ثُمَّ لَبِثَ حَتَّى صُلِّيَتِ الْعِشَاءُ ثُمَّ رَجَعَ فَلَبِثَ حَتَّى نَعَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ بَعْدَ مَا مَضَى مِنَ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللَّهُ قَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ مَا حَبَسَكَ عَنْ أَضْيَافِكَ - أَوْ قَالَتْ - ضَيْفِكَ قَالَ أَوَمَا عَشَّيْتِهِمْ قَالَتْ أَبَوْا حَتَّى تَجِيءَ قَدْ عَرَضُوا عَلَيْهِمْ فَغَلَبُوهُمْ - قَالَ - فَذَهَبْتُ أَنَا فَاخْتَبَأْتُ وَقَالَ يَا غُنْثَرُ ‏.‏ فَجَدَّعَ وَسَبَّ وَقَالَ كُلُوا لاَ هَنِيئًا ‏.‏ وَقَالَ وَاللَّهِ لاَ أَطْعَمُهُ أَبَدًا - قَالَ - فَايْمُ اللَّهِ مَا كُنَّا نَأْخُذُ مِنْ لُقْمَةٍ إِلاَّ رَبَا مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا - قَالَ - حَتَّى شَبِعْنَا وَصَارَتْ أَكْثَرَ مِمَّا كَانَتْ قَبْلَ ذَلِكَ فَنَظَرَ إِلَيْهَا أَبُو بَكْرٍ فَإِذَا هِيَ كَمَا هِيَ أَوْ أَكْثَرُ ‏.‏ قَالَ لاِمْرَأَتِهِ يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ مَا هَذَا قَالَتْ لاَ وَقُرَّةِ عَيْنِي لَهِيَ الآنَ أَكْثَرُ مِنْهَا قَبْلَ ذَلِكَ بِثَلاَثِ مِرَارٍ - قَالَ - فَأَكَلَ مِنْهَا أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ - يَعْنِي يَمِينَهُ - ثُمَّ أَكَلَ مِنْهَا لُقْمَةً ثُمَّ حَمَلَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ - قَالَ - وَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمٍ عَقْدٌ فَمَضَى الأَجَلُ فَعَرَّفْنَا اثْنَا عَشَرَ رَجُلاً مَعَ كُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ أُنَاسٌ اللَّهُ أَعْلَمُ كَمْ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ إِلاَّ أَنَّهُ بَعَثَ مَعَهُمْ فَأَكَلُوا مِنْهَا أَجْمَعُونَ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ ‏.‏

حدثنا عبيد الله بن معاذ العنبري، وحامد بن عمر البكراوي، ومحمد بن عبد الاعلى، القيسي كلهم عن المعتمر، - واللفظ لابن معاذ - حدثنا المعتمر بن سليمان، قال قال ابي حدثنا ابو عثمان، انه حدثه عبد الرحمن بن ابي بكر، ان اصحاب الصفة، كانوا ناسا فقراء وان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال مرة ‏ "‏ من كان عنده طعام اثنين فليذهب بثلاثة ومن كان عنده طعام اربعة فليذهب بخامس بسادس ‏"‏ ‏.‏ او كما قال ‏.‏ وان ابا بكر جاء بثلاثة وانطلق نبي الله صلى الله عليه وسلم بعشرة وابو بكر بثلاثة - قال - فهو وانا وابي وامي - ولا ادري هل قال وامراتي وخادم بين بيتنا وبيت ابي بكر - قال وان ابا بكر تعشى عند النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ ثم لبث حتى صليت العشاء ثم رجع فلبث حتى نعس رسول الله صلى الله عليه وسلم فجاء بعد ما مضى من الليل ما شاء الله قالت له امراته ما حبسك عن اضيافك - او قالت - ضيفك قال اوما عشيتهم قالت ابوا حتى تجيء قد عرضوا عليهم فغلبوهم - قال - فذهبت انا فاختبات وقال يا غنثر ‏.‏ فجدع وسب وقال كلوا لا هنيىا ‏.‏ وقال والله لا اطعمه ابدا - قال - فايم الله ما كنا ناخذ من لقمة الا ربا من اسفلها اكثر منها - قال - حتى شبعنا وصارت اكثر مما كانت قبل ذلك فنظر اليها ابو بكر فاذا هي كما هي او اكثر ‏.‏ قال لامراته يا اخت بني فراس ما هذا قالت لا وقرة عيني لهي الان اكثر منها قبل ذلك بثلاث مرار - قال - فاكل منها ابو بكر وقال انما كان ذلك من الشيطان - يعني يمينه - ثم اكل منها لقمة ثم حملها الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فاصبحت عنده - قال - وكان بيننا وبين قوم عقد فمضى الاجل فعرفنا اثنا عشر رجلا مع كل رجل منهم اناس الله اعلم كم مع كل رجل الا انه بعث معهم فاكلوا منها اجمعون ‏.‏ او كما قال ‏.‏


'Abd al-Rabman b. Abu Bakr reported that the people of Suffa were very poor. Once the Messenger of Allah (ﷺ) said (to his Companions):
He who amongst you has food for two persons should take three (guests with him). and he who has with him food for four persons should take five or six (guests with him for entertaining them). It was (in accordance with these instructions of the Holy Prophet) that Abu Bakr brought three persons, and the Messenger of Allah (ﷺ) brought ten persons (as guests to their respective houses). Abu Bakr had brought three persons (he himself, and myself), my father and my mother (along with therm). He (the narrator) said: I do not know whether he also said: My wife and one servant who was common between our house and that of Abu Bakr. Abu Bakr had had his evening meal with Allah's Apostle (ﷺ). He stayed here until night prayer had been offered. He then came back (to the house of Allah's Apostle) and stayed there until Allah's Messenger (ﷺ) felt drowsy and (Abu Bakr) then came (back to his own house) when (a considerable) part of the night had been over, as Allah had desired. His wife said to him: What held you back from your guests? He said: Oh! have you not served them the evening meal (by this time)? She said: It was in fact served to them. but they refused to eat until you came. He ('Abd al-Rahman) said: I slunk away and bid myself. He (Abu Bakr) said: O, you stupid fellow, and he reprimanded me, and said to the guests: Eat, though it may not be pleasant now. He said: By Allah. I will never eat it He ('Abd al-Rahman) said: By Allah. we did not take a morsel when from beneath that (there appeared) more until they had eaten to their fill, and lo! it was more than what it was before. Abu Bakr saw that and found that it was so or more than that. He said to his wife: Sister of Band Firis, what is th-is? She said: By the coolness of my eyes. it is in excess by three times over the previous one. Then Abu Bakr ate saying: That was from the Satan (viz. his vow for not eating the food). He then took a morsel out of that and then took it (the rest) to the Messenger of Allah (ﷺ), and it was kept there until morning, and during (those days) there was a covenant between us and some other people, and the period of covenant was over, and we had appointed twelve officials with every person amongst them. It is Allah only Who knows as to how many people were there with each of them. He sent (this food to them) and all of them ate out of it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৭। পানীয় বস্তু (كتاب الأشربة) 37. The Book of Drinks

পরিচ্ছেদঃ ৩২. মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তার জন্য ত্যাগ স্বীকার করার ফযীলত

৫২৬১-(১৭৭/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার কিছু অতিথি আমাদের গৃহে আসলেন। (বর্ণনাকারী বলেন) আমার আব্বা রাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে কথোপকথন করতেন। তাই তিনি যাওয়ার সময় বললেন, হে আবদুর রহমান! মেহমানদারীর সব কাজ সুন্দরভাবে শেষ করবে। আবদুর রহমান বলেন, রাত হলে আমি অতিথিদের আহার নিয়ে আসলাম। কিন্তু তারা খেতে সম্মত হলেন না। তারা বললেন, যতক্ষণ গৃহের মালিক এসে আমাদের সঙ্গে না খাবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা খাবো না। আমি তাদের বললাম, তিনি অত্যন্ত ক্ষিপ্ত লোক। আপনারা যদি খাওয়া দাওয়া না করেন তাহলে আমার শঙ্কা হচ্ছে তার পক্ষ হতে আমাকে হয়তো বকাঝকা শুনতে হবে। তিনি বলেন, তারা কেউ সম্মত হলোই না।

আমার আব্বা এসে শুরুতেই তাদের সংবাদ নিলেন। তিনি বললেন, তোমরা কি অতিথিপরায়ণের কাজ শেষ করেছো? তারা বললো, না। আল্লাহর শপথ আমরা সমাপ্ত করিনি। তিনি বললেন, আমি কি আবদুর রহমানকে আদেশ দিয়ে যাইনি? আবদুর রহমান বলেন, আমি তার চোখের পলক হতে আড়ালে গিয়েছিলাম। তিনি বললেন, হে আব্দুর রহমান! আমি আরও সরে গেলাম। তিনি আবার বললেন, ওরে নির্বোধ! আমি শপথ করে তোমাকে বলছি যদি তুমি আমার শব্দ শুনে থাকো তাহলে উপস্থিত হও। তিনি বলেন, তখন আমি উপস্থিত হয়ে বললাম, আল্লাহর শপথ আমার কোন দোষ নেই। আপনার অতিথিদের প্রশ্ন করে দেখুন। আমি তাদের আহার নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু আপনি না ফেরা পর্যন্ত তারা খেতে রাযী হলেন না। তখন তিনি (অতিথিদের) বললেন, আপনাদের কি হয়েছে? আপনারা কেন আমাদের পরিবেশন কবুল করেননি।

’আবদুর রহমান বলেন, তখন আবূ বকর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ আজ রাতে খাবো না। অতিথিরাও শপথ করে বলল, যতক্ষণ আপনি না খাবেন ততক্ষণ আমরাও খাব না। তখন আবূ বকর (রাযিঃ) বললেন, আজকের রাত্রের মতো এতো মন্দ রাত আমি আর দেখিনি। আফসোস, তোমরা কেন আমাদের আপ্যায়ন কবুল করবে না? তিনি বললেন, প্রথমে যা হয়েছে তা শাইতানের তরফ হতে হয়েছে। তোমরা খাবার নিয়ে আসো। রাবী বলেন, অতঃপর খাবার নিয়ে আসলে তিনি বিসমিল্লাহ্ পড়ে খাওয়া শুরু করলেন। তারাও খাওয়া শুরু করলো। ’আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বলেন, পরদিন সকালে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যেয়ে বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! তারা তো শপথ পূর্ণ করেছে। কিন্তু আমি শপথ ভেঙ্গে ফেলেছি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বরং তুমি সবচেয়ে বেশী সৎকর্মশীল এবং উত্তম ব্যক্তি। ’আব্দুর রহমান বলেন, কাফফারার কথা আমার নিকটে পৌঁছেনি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫১৯৩, ইসলামিক সেন্টার ৫২০৫)

باب إِكْرَامِ الضَّيْفِ وَفَضْلِ إِيثَارِهِ ‏‏

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ الْعَطَّارُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ نَزَلَ عَلَيْنَا أَضْيَافٌ لَنَا - قَالَ - وَكَانَ أَبِي يَتَحَدَّثُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ - قَالَ - فَانْطَلَقَ وَقَالَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ افْرُغْ مِنْ أَضْيَافِكَ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا أَمْسَيْتُ جِئْنَا بِقِرَاهُمْ - قَالَ - فَأَبَوْا فَقَالُوا حَتَّى يَجِيءَ أَبُو مَنْزِلِنَا فَيَطْعَمَ مَعَنَا - قَالَ - فَقُلْتُ لَهُمْ إِنَّهُ رَجُلٌ حَدِيدٌ وَإِنَّكُمْ إِنْ لَمْ تَفْعَلُوا خِفْتُ أَنْ يُصِيبَنِي مِنْهُ أَذًى - قَالَ - فَأَبَوْا فَلَمَّا جَاءَ لَمْ يَبْدَأْ بِشَىْءٍ أَوَّلَ مِنْهُمْ فَقَالَ أَفَرَغْتُمْ مِنْ أَضْيَافِكُمْ قَالَ قَالُوا لاَ وَاللَّهِ مَا فَرَغْنَا ‏.‏ قَالَ أَلَمْ آمُرْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ قَالَ وَتَنَحَّيْتُ عَنْهُ فَقَالَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ‏.‏ قَالَ فَتَنَحَّيْتُ - قَالَ - فَقَالَ يَا غُنْثَرُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ إِنْ كُنْتَ تَسْمَعُ صَوْتِي إِلاَّ جِئْتَ - قَالَ - فَجِئْتُ فَقُلْتُ وَاللَّهِ مَا لِي ذَنْبٌ هَؤُلاَءِ أَضْيَافُكَ فَسَلْهُمْ قَدْ أَتَيْتُهُمْ بِقِرَاهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يَطْعَمُوا حَتَّى تَجِيءَ - قَالَ - فَقَالَ مَا لَكُمْ أَلاَ تَقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ - قَالَ - فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَوَاللَّهِ لاَ أَطْعَمُهُ اللَّيْلَةَ - قَالَ - فَقَالُوا فَوَاللَّهِ لاَ نَطْعَمُهُ حَتَّى تَطْعَمَهُ ‏.‏ قَالَ فَمَا رَأَيْتُ كَالشَّرِّ كَاللَّيْلَةِ قَطُّ وَيْلَكُمْ مَا لَكُمْ أَنْ لاَ تَقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ قَالَ ثُمَّ قَالَ أَمَّا الأُولَى فَمِنَ الشَّيْطَانِ هَلُمُّوا قِرَاكُمْ - قَالَ - فَجِيءَ بِالطَّعَامِ فَسَمَّى فَأَكَلَ وَأَكَلُوا - قَالَ - فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَرُّوا وَحَنِثْتُ - قَالَ - فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ ‏ "‏ بَلْ أَنْتَ أَبَرُّهُمْ وَأَخْيَرُهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَلَمْ تَبْلُغْنِي كَفَّارَةٌ ‏.‏

حدثني محمد بن المثنى، حدثنا سالم بن نوح العطار، عن الجريري، عن ابي عثمان، عن عبد الرحمن بن ابي بكر، قال نزل علينا اضياف لنا - قال - وكان ابي يتحدث الى رسول الله صلى الله عليه وسلم من الليل - قال - فانطلق وقال يا عبد الرحمن افرغ من اضيافك ‏.‏ قال فلما امسيت جىنا بقراهم - قال - فابوا فقالوا حتى يجيء ابو منزلنا فيطعم معنا - قال - فقلت لهم انه رجل حديد وانكم ان لم تفعلوا خفت ان يصيبني منه اذى - قال - فابوا فلما جاء لم يبدا بشىء اول منهم فقال افرغتم من اضيافكم قال قالوا لا والله ما فرغنا ‏.‏ قال الم امر عبد الرحمن قال وتنحيت عنه فقال يا عبد الرحمن ‏.‏ قال فتنحيت - قال - فقال يا غنثر اقسمت عليك ان كنت تسمع صوتي الا جىت - قال - فجىت فقلت والله ما لي ذنب هولاء اضيافك فسلهم قد اتيتهم بقراهم فابوا ان يطعموا حتى تجيء - قال - فقال ما لكم الا تقبلوا عنا قراكم - قال - فقال ابو بكر فوالله لا اطعمه الليلة - قال - فقالوا فوالله لا نطعمه حتى تطعمه ‏.‏ قال فما رايت كالشر كالليلة قط ويلكم ما لكم ان لا تقبلوا عنا قراكم قال ثم قال اما الاولى فمن الشيطان هلموا قراكم - قال - فجيء بالطعام فسمى فاكل واكلوا - قال - فلما اصبح غدا على النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله بروا وحنثت - قال - فاخبره فقال ‏ "‏ بل انت ابرهم واخيرهم ‏"‏ ‏.‏ قال ولم تبلغني كفارة ‏.‏


'Abd al-Rahman b. Abd Bakr reported:
There came to our house some guests. It was a common practice with my father to (go) and talk to Allah's Messenger (ﷺ) during the night. While going he said: 'Abd al-Rahman, entertain the guests. When it was evening we served the food to them, but they refused saying: So long as the owner of the house does not come and join us, we would not take the meal. I said to them: He ('Abd Bakr) is a stern person, and if you would not do that (if you do not take the food). I fear, I may be harmed by him, but they refused. As he (my father) came, the first thing he asked was: Have you served the guests? They (the peopleof the household) said: We have not served them sofar. He said: Did I not command 'Abd al-Rahman (to do this)? He ('Abd al-Rahman) said: I slunk away and kept myself away by that time. He again said: O stupid fellow, I ask you on oath that In case you hear my voice you come to me. I came and said: By Allah, there is no fault of mine. These are your guests; you may ask them. I provided them with food but they refused to eat until you came. He said to them: Why is it that you did not accept our food? By Allah, I shall not even take food tonight (as you have not taken). They said: By Allah, we would not take until you join us. Thereupon he Abu Bakr) said: I have never seen a more unfortunate night than this. Woe be to thee! that you do not accept from us food prepared for you. He again said: What I did first (that is the taking of vow for not eating the food) was prompted by the Satan. Bring the food. The food was brought, and he ate by reciting the name of Allah and they also ate, and when it was morning he came to Allah's Apostle (ﷺ) and said: Allah's Messenger, their oath (that of the guests) came to be true, but mine was not true, and after that he informed him of the whole incident. He said: Your oath came to be the most true and you are the best of them. He (the narrator) said. I do not know whether he made an atonement for it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৭। পানীয় বস্তু (كتاب الأشربة) 37. The Book of Drinks
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে