পরিচ্ছেদঃ ৪৩. খাইবার যুদ্ধ

৪৫৫৭-(১২০/১৩৬৫) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবারের যুদ্ধে যাত্রা করেন। আমরা সেদিন তার সঙ্গে সকালের সালাত (ফাজর) অন্ধকারে আদায় করি। তারপর আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বাহনে আরোহণ করলেন এবং আবূ তালহাহ্ (রাযিঃ)-ও তার সওয়ারীতে আরোহণ করলেন। আর আমি (আরোহী) ছিলাম আবূ তালহার পশ্চাতে। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবারের গলিপথে চললেন। (আমরা এত পাশাপাশি পথ চলছিলাম যে) আমার হাঁটু আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উরু স্পর্শ করেছিল। এমন সময় আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর লুঙ্গি তার উরুদেশ থেকে সরে গেল। আর আমি আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উরুর শুভ্রতা দেখতে পেলাম। তিনি যখন খাইবারের জনপদে প্রবেশ করলেন, তখন বললেনঃ আল্লাহু আকবার, খাইবার ধ্বংস হলো। আমরা যখন কোন কাওমের আঙ্গিনায় পৌছি, তখন যাদের সতর্ক করা হয়েছে, তাদের প্রভাত অশুভ হয়ে যায়। তিনি এ কথা তিনবার বললেন। রাবী বলেন, লোকজন তাদের কাজ-কর্মে বেরিয়ে গেল। তারা বলে উঠলো, "মুহাম্মাদ (এসে পড়েছেন দেখছি)"। রাবী আবদুল আযীয বলেন, আমাদের কোন কোন সঙ্গী বললেন, আর তার পঞ্চভুজবিশিষ্ট বাহিনীও। রাবী বলেন, আমরা প্রভাব বিস্তার করে তা জয় করে নিলাম। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫১৪, ইসলামিক সেন্টার ৪৫১৬)

باب غَزْوَةِ خَيْبَرَ ‏‏

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ - عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزَا خَيْبَرَ قَالَ فَصَلَّيْنَا عِنْدَهَا صَلاَةَ الْغَدَاةِ بِغَلَسٍ فَرَكِبَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَكِبَ أَبُو طَلْحَةَ وَأَنَا رَدِيفُ أَبِي طَلْحَةَ فَأَجْرَى نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي زُقَاقِ خَيْبَرَ وَإِنَّ رُكْبَتِي لَتَمَسُّ فَخِذَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَانْحَسَرَ الإِزَارُ عَنْ فَخِذِ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَإِنِّي لأَرَى بَيَاضَ فَخِذِ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا دَخَلَ الْقَرْيَةَ قَالَ ‏ "‏ اللَّهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَهَا ثَلاَثَ مِرَارٍ قَالَ وَقَدْ خَرَجَ الْقَوْمُ إِلَى أَعْمَالِهِمْ فَقَالُوا مُحَمَّدٌ - قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ وَقَالَ بَعْضُ أَصْحَابِنَا - وَالْخَمِيسَ قَالَ وَأَصَبْنَاهَا عَنْوَةً ‏.‏

وحدثني زهير بن حرب، حدثنا اسماعيل، - يعني ابن علية - عن عبد العزيز، بن صهيب عن انس، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم غزا خيبر قال فصلينا عندها صلاة الغداة بغلس فركب نبي الله صلى الله عليه وسلم وركب ابو طلحة وانا رديف ابي طلحة فاجرى نبي الله صلى الله عليه وسلم في زقاق خيبر وان ركبتي لتمس فخذ نبي الله صلى الله عليه وسلم وانحسر الازار عن فخذ نبي الله صلى الله عليه وسلم واني لارى بياض فخذ نبي الله صلى الله عليه وسلم فلما دخل القرية قال ‏ "‏ الله اكبر خربت خيبر انا اذا نزلنا بساحة قوم فساء صباح المنذرين ‏"‏ ‏.‏ قالها ثلاث مرار قال وقد خرج القوم الى اعمالهم فقالوا محمد - قال عبد العزيز وقال بعض اصحابنا - والخميس قال واصبناها عنوة ‏.‏


It has been narrated on the authority of Anas that the Messenger of Allah (ﷺ) raided Khaibar. One morning we offered prayers in the darkness of early dawn (near Khaibar). Then the Messenger of Allah (ﷺ) mounted (his horse). Abu Talha mounted his and I mounted behind Abu Talha on the same horse. The Prophet of Allah (ﷺ) rode through the streets of Khaibar and (I rode so close to him) that my knee touched the thigh of the Prophet of Allah (ﷺ). The wrapper got aside from his thigh, and I could see its whiteness. When he entered the town, he said:
God is Great. Khaibar shall face destruction. When we descend in the city-square of a people, it is a bad day for them who have been warned (and have not taken heed). He said these words thrice. The people of the town had just come out from (their houses) to go about their jobs. They said (in surprise): Muhammad has come. We captured Khaibar by force.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. খাইবার যুদ্ধ

৪৫৫৮-(১২১/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খাইবারের যুদ্ধের দিন আমি আবূ তালহার পিছনে (একই ঘোড়ার পিঠে সওয়ার) ছিলাম। আমার দু’পা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পদদ্বয়কে স্পর্শ করছিল। রাবী বলেন, সূর্যোদয়ের সময় আমরা সেখানে এলাম। তখন লোকজন তাদের পশুগুলো সবেমাত্র ঘর থেকে বের করেছে এবং তারা তাদের কোদাল, কুড়াল, রশি-জাম্বিল নিয়ে (কাজের জন্য) বেরিয়ে পড়েছে। তখন তারা (সবিস্ময়ে) বলল, “মুহাম্মাদ এবং পঞ্চভুজবিশিষ্ট বাহিনী!” রাবী বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ খাইবার ধ্বংস হলো। আমরা যখন কোন কাওমের আঙ্গিনায় অবতরণ করি তখন সতর্ককৃতদের প্রভাত অশুভ হয়ে যায়। রাবী বলেন, মহান আল্লাহ তা’আলা তাদের ধ্বংস করে দিলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫১৫, ইসলামিক সেন্টার ৪৫১৭)

باب غَزْوَةِ خَيْبَرَ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كُنْتُ رِدْفَ أَبِي طَلْحَةَ يَوْمَ خَيْبَرَ وَقَدَمِي تَمَسُّ قَدَمَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَأَتَيْنَاهُمْ حِينَ بَزَغَتِ الشَّمْسُ وَقَدْ أَخْرَجُوا مَوَاشِيَهُمْ وَخَرَجُوا بِفُئُوسِهِمْ وَمَكَاتِلِهِمْ وَمُرُورِهِمْ فَقَالُوا مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيسَ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَهَزَمَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا عفان، حدثنا حماد بن سلمة، حدثنا ثابت، عن انس، قال كنت ردف ابي طلحة يوم خيبر وقدمي تمس قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فاتيناهم حين بزغت الشمس وقد اخرجوا مواشيهم وخرجوا بفىوسهم ومكاتلهم ومرورهم فقالوا محمد والخميس ‏.‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ خربت خيبر انا اذا نزلنا بساحة قوم فساء صباح المنذرين ‏"‏ ‏.‏ قال فهزمهم الله عز وجل ‏.‏


It has been narrated (through another chain of transmitters) on the authority of the same narrator (i. e. Anas) who said:
I was riding behind Abu Talha on the day of the Battle of Khaibar (and we were riding so close to the Prophet that) my foot would touch his We encountered the people at sunrise when they had come out with their axes, spades and strings driving their cattle along. They shouted (in surprise): Muhammad has come along with his force! The Messenger of Allah (ﷺ) said: Khaibar shall face destruction. Behold! when we descend in the city-square of a people, it is a bad day for those who have been warned (but have not taken heed). Allah, the Glorious and Majestic, inflicted defeat upon them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. খাইবার যুদ্ধ

৪৫৫৯-(১২২/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খাইবারে এলেন, তখন বললেন, আমরা যখন কোন কাওমের আঙ্গিনায় পৌছি, তখন সতর্ককৃতদের প্রভাত অশুভ হয়ে যায়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫১৬, ইসলামিক সেন্টার ৪৫১৮)

باب غَزْوَةِ خَيْبَرَ ‏‏

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ قَالَ ‏ "‏ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا اسحاق بن ابراهيم، واسحاق بن منصور، قالا اخبرنا النضر بن شميل، اخبرنا شعبة، عن قتادة، عن انس بن مالك، قال لما اتى رسول الله صلى الله عليه وسلم خيبر قال ‏ "‏ انا اذا نزلنا بساحة قوم فساء صباح المنذرين ‏"‏ ‏.‏


This hadith has been transmitted on the authority of Anas b. Malik with a slight variation of words.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. খাইবার যুদ্ধ

৪৫৬০-(১২৩/১৮০২) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনু আব্বাদ (রহঃ) ..... সালামাহ্ ইবনু আকওয়া (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে খাইবার অভিযানে বের হলাম। আমরা রাতের বেলা (এ অভিযানে) বেরিয়েছিলাম। তখন এক ব্যক্তি (আমার ভাই) আমির ইবনু আকওয়া (রাযিঃ) কে বললঃ "ওহে! তুমি কি তোমার রণ সঙ্গীত থেকে আমাদেরকে কিছু শুনাবে না?" আমির (রাযিঃ) ছিলেন একজন কবি। তখন তিনি সওয়ারী থেকে অবতরণ করে সকলকে শুনিয়ে শুনিয়ে তার হুদী সঙ্গীত আবূত্তি করতে করতে লোকদেরকে হাকিয়ে নিয়ে চললেনঃ “ইয়া আল্লাহ! আপনি না হলে আমরা হিদায়াত পেতাম না, আমরা সাদাকা্ ও সালাত আদায় করতাম না। আপনার জন্য আমাদের জান কুরবান, আমাদের পিছনের সকল অপরাধ আপনি ক্ষমা করে দিন, যতদিন আমরা আপনার আনুগত্য করব।

শত্রুর সম্মুখীন হলে আমাদের পা অটল রাখুন।

আমাদের উপর শান্তি বর্ষণ করুন।

যখন আমাদের ডাকা হয় আমরা উপস্থিত হই।

এবং তারাই চীৎকার দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে লোক জমা করে।"

তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, "এ চালকটি কে?" সাহাবীগণ বললেন, আমির’। তিনি বললেন, ’আল্লাহ তার প্রতি রহমত করুন " তখন গোত্রের এক ব্যক্তি বলল, “তার জন্যে তো শাহাদাত অবধারিত হয়ে গেছে, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমাদের যদি তার দ্বারা আরো উপকৃত করতেন, (তবে ভাল হত)। রাবী বলেন, তারপর আমরা খাইবারে এসে তাদের ঘেরাও করলাম। (অবরোধ দীর্ঘ হল) এমনকি আমাদের দারুন খাদ্যাভাব দেখা দিল। তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করেছেন। তারপর বিজয়ের দিন যখন লোকদের সন্ধ্যা হলো তখন তারা বহু স্থানে আগুন জ্বালালো।

তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন। এ আগুন কিসের? কিসের উপর (কী রান্না করার জন্যে) লোকজন এ আগুন জ্বালাচ্ছে? তারা বললেন, মাংস। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ কিসের মাংস? তারা বললেন, গৃহপালিত গাধার মাংস। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এগুলো ফেলে দাও আর রান্নাপাত্রগুলো ভেঙ্গে ফেল। এক ব্যক্তি বলল, তারা কি এগুলো ফেলে দেবে এবং রান্নার পাত্রগুলো ধুয়ে ফেলবে? তিনি বললেনঃ তা হতে পারে। রাবী বলেন, এরপর যখন লোকজন (যুদ্ধের জন্য) সারিবদ্ধ হল, আমিরের তরবারিখানা ছিল খাটো। তিনি জনৈক ইয়াহুদীর পায়ের নলা লক্ষ্য করে যে আঘাত করলেন সে আঘাত ফিরে এসে আমিরের হাঁটুতে লাগে, এতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তারপর যখন লোকজন (খাইবার থেকে) ফিরে এলো, তখন সালামাহ্ আমার হাত ধরে বললেন, (রাবী বললেন) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আমাকে নির্বাক অবস্থায় দেখতে পেলেন, তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কী হয়েছে? আমি বললাম, "আমার পিতামাতা আপনার জন্যে কুরবান হোক! লোকজনের ধারণা আমির (আত্মহত্যা) করে তার (সারা জীবনের) আমল বরবাদ করে দিয়েছেন।” তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তা কে বলেছে? আমি বললাম, অমুক অমুক এবং উসায়দ ইবনু হুযায়র আনসারী।

তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে এরূপ বলেছে, সে মিথ্যা বলেছে। অবশ্যই তার (’আমিরের) জন্যে দ্বিগুণ পুরস্কার রয়েছে। তখন তিনি তার দুটি আঙ্গুল একত্রিত করলেন (এবং বললেন), সে (আল্লাহর রাস্তায়) সত্যিকার যোদ্ধা ও মুজাহিদ। খুব কম আরবই তার মতো চলেছে (বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছে)। কুতাইবাহ এ হাদীস বর্ণনায় মুহাম্মাদের সাথে দুটি শব্দে দ্বিমত করেছেন। ইবনু আব্বাদ (রহঃ) এর রিওয়ায়াতে আছে وَأَلْقِ سَكِينَةً عَلَيْنَا। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫১৭, ইসলামিক সেন্টার ৪৫১৯)

باب غَزْوَةِ خَيْبَرَ ‏‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ عَبَّادٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، - وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ - عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، مَوْلَى سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى خَيْبَرَ فَتَسَيَّرْنَا لَيْلاً فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ لِعَامِرِ بْنِ الأَكْوَعِ أَلاَ تُسْمِعُنَا مِنْ هُنَيْهَاتِكَ وَكَانَ عَامِرٌ رَجُلاً شَاعِرًا فَنَزَلَ يَحْدُو بِالْقَوْمِ يَقُولُ اللَّهُمَّ لَوْلاَ أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا وَلاَ تَصَدَّقْنَا وَلاَ صَلَّيْنَا فَاغْفِرْ فِدَاءً لَكَ مَا اقْتَفَيْنَا وَثَبِّتِ الأَقْدَامَ إِنْ لاَقَيْنَا وَأَلْقِيَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا إِنَّا إِذَا صِيحَ بِنَا أَتَيْنَا وَبِالصِّيَاحِ عَوَّلُوا عَلَيْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ هَذَا السَّائِقُ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا عَامِرٌ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ يَرْحَمُهُ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ وَجَبَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْلاَ أَمْتَعْتَنَا بِهِ ‏.‏ قَالَ فَأَتَيْنَا خَيْبَرَ فَحَصَرْنَاهُمْ حَتَّى أَصَابَتْنَا مَخْمَصَةٌ شَدِيدَةٌ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ فَتَحَهَا عَلَيْكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا أَمْسَى النَّاسُ مَسَاءَ الْيَوْمِ الَّذِي فُتِحَتْ عَلَيْهِمْ أَوْقَدُوا نِيرَانًا كَثِيرَةً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا هَذِهِ النِّيرَانُ عَلَى أَىِّ شَىْءٍ تُوقِدُونَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالُوا عَلَى لَحْمٍ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَىُّ لَحْمٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا لَحْمُ حُمُرِ الإِنْسِيَّةِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَهْرِيقُوهَا وَاكْسِرُوهَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ أَوْ يُهَرِيقُوهَا وَيَغْسِلُوهَا فَقَالَ ‏"‏ أَوْ ذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا تَصَافَّ الْقَوْمُ كَانَ سَيْفُ عَامِرٍ فِيهِ قِصَرٌ فَتَنَاوَلَ بِهِ سَاقَ يَهُودِيٍّ لِيَضْرِبَهُ وَيَرْجِعُ ذُبَابُ سَيْفِهِ فَأَصَابَ رُكْبَةَ عَامِرٍ فَمَاتَ مِنْهُ قَالَ فَلَمَّا قَفَلُوا قَالَ سَلَمَةُ وَهُوَ آخِذٌ بِيَدِي قَالَ فَلَمَّا رَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَاكِتًا قَالَ ‏"‏ مَا لَكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ لَهُ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي زَعَمُوا أَنَّ عَامِرًا حَبِطَ عَمَلُهُ قَالَ ‏"‏ مَنْ قَالَهُ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ وَأُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ ‏"‏ كَذَبَ مَنْ قَالَهُ إِنَّ لَهُ لأَجْرَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ وَجَمَعَ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ ‏"‏ إِنَّهُ لَجَاهِدٌ مُجَاهِدٌ قَلَّ عَرَبِيٌّ مَشَى بِهَا مِثْلَهُ ‏"‏ ‏.‏ وَخَالَفَ قُتَيْبَةُ مُحَمَّدًا فِي الْحَدِيثِ فِي حَرْفَيْنِ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ عَبَّادٍ وَأَلْقِ سَكِينَةً عَلَيْنَا ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، ومحمد بن عباد، - واللفظ لابن عباد - قالا حدثنا حاتم، - وهو ابن اسماعيل - عن يزيد بن ابي عبيد، مولى سلمة بن الاكوع عن سلمة بن الاكوع، قال خرجنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم الى خيبر فتسيرنا ليلا فقال رجل من القوم لعامر بن الاكوع الا تسمعنا من هنيهاتك وكان عامر رجلا شاعرا فنزل يحدو بالقوم يقول اللهم لولا انت ما اهتدينا ولا تصدقنا ولا صلينا فاغفر فداء لك ما اقتفينا وثبت الاقدام ان لاقينا والقين سكينة علينا انا اذا صيح بنا اتينا وبالصياح عولوا علينا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ من هذا الساىق ‏"‏ ‏.‏ قالوا عامر ‏.‏ قال ‏"‏ يرحمه الله ‏"‏ ‏.‏ فقال رجل من القوم وجبت يا رسول الله لولا امتعتنا به ‏.‏ قال فاتينا خيبر فحصرناهم حتى اصابتنا مخمصة شديدة ثم قال ‏"‏ ان الله فتحها عليكم ‏"‏ ‏.‏ قال فلما امسى الناس مساء اليوم الذي فتحت عليهم اوقدوا نيرانا كثيرة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ما هذه النيران على اى شىء توقدون ‏"‏ ‏.‏ فقالوا على لحم ‏.‏ قال ‏"‏ اى لحم ‏"‏ ‏.‏ قالوا لحم حمر الانسية ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اهريقوها واكسروها ‏"‏ ‏.‏ فقال رجل او يهريقوها ويغسلوها فقال ‏"‏ او ذاك ‏"‏ ‏.‏ قال فلما تصاف القوم كان سيف عامر فيه قصر فتناول به ساق يهودي ليضربه ويرجع ذباب سيفه فاصاب ركبة عامر فمات منه قال فلما قفلوا قال سلمة وهو اخذ بيدي قال فلما راني رسول الله صلى الله عليه وسلم ساكتا قال ‏"‏ ما لك ‏"‏ ‏.‏ قلت له فداك ابي وامي زعموا ان عامرا حبط عمله قال ‏"‏ من قاله ‏"‏ ‏.‏ قلت فلان وفلان واسيد بن حضير الانصاري فقال ‏"‏ كذب من قاله ان له لاجرين ‏"‏ ‏.‏ وجمع بين اصبعيه ‏"‏ انه لجاهد مجاهد قل عربي مشى بها مثله ‏"‏ ‏.‏ وخالف قتيبة محمدا في الحديث في حرفين وفي رواية ابن عباد والق سكينة علينا ‏.‏


It has been narrated on the authority of Salama b. al-Akwa' who said:
We marched upon Khaibar with the Messenger of Allah (ﷺ). We journeyed during the night. One of the people said to (my brother) 'Amir b. al-Akwa': Won't you recite to us some of your verses? Amir was a poet. So he began to chant his verses to urge the camels, reciting: O God, if Thou hadst not guided us We would have neither been guided rightly nor practised charity, Nor offered prayers. We wish to lay down our lives for Thee; so forgive Thou our lapses, And keep us steadfast when we encounter (our enemies). Bestow upon us peace and tranquillity. Behold, when with a cry they called upon us to help. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Who is this driver (of the camels)? They said: It is 'Amir. He said: God will show mercy to him. A man said: Martyrdom is reserved for him. Messenger of Allah, would that you had allowed us to benefit ourselves from his life. (The narrator says): We reached Khaibar and besieged them, and (we continued the siege) until extreme hunger afflicted us. Then the Messenger of Allah (ﷺ) said: Behold, God has conquered it for you. When it was evening of the day on which the city was conquered. the Muslims lit many fires. The Messenger of Allah (ﷺ) said: What are these fires? And what are they cooking? They said: They are cooking meat. He asked. Which meat? They said: That of domestic asses. He said: Let them throw it away and break the pots (in which it is being cooked). A man said: Or should they throw it away and wash the pots? He said: They may do that. When the people drew themselves up in battle array 'Amir caught hold of his sword that was rather short He drove a Jew before him to strike him with it. (As he struck him), his sword recoiled and struck his own knee, and 'Amir died of the wound. When the people returned (after the conquest of Kliaibar) and he (Salama) had caught hold of my hand, and said: The Messenger of Allah (ﷺ) saw that I was silent (and dejected) ; he said: What's the matter with thee? I said to him: My father and my mother be thy ransom, people presume that 'Amir's sacrifice has been in vain. He asked: Who has said that? I said: So and so and Usaid b. Hudair al-Ansari. He said: Who has said that has lied. For him (for 'Amir) there is a double reward. (He indicated this by putting two of his fingers together.) He was a devotee of God and a warrior fighting for His cause. There will be hardly any Arab who can fight as bravely as he did. Qutaiba has differed in a few words.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. খাইবার যুদ্ধ

৪৫৬১-(১২৪/...) আবূ তাহির (রহঃ) ..... সালামাহ্ ইবনু আকওয়া (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খাইবারের যুদ্ধের দিন আমার ভাই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে থেকে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেন। তার তরবারি ফিরে এসে স্বয়ং তাকেই নিহত করে। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ তার ব্যাপারে নানা মন্তব্য করতে থাকেন এবং তার শাহাদাতের ব্যাপারে সন্দেহ করেন। তারা বলাবলি করেন যে, সে এমন লোক যে তার নিজ অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছে। আর তারা তার কোন কোন ব্যাপারেও সন্দেহ করেন।

সালামাহ্ বলেন, তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবার থেকে ফিরলে আমি বললাম, "হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার কবিতার কয়েকটি পংক্তি আবূত্তি করি।" রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি দিলেন। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) তখন বলে উঠলেন, আমি জানি, তুমি কী বলবে। রাবী বলেন, তারপর আমি আবূত্তি করলামঃ “হে আল্লাহ! আপনি না করলে, আমরা হিদায়াত পেতাম না, আমরা সাদাকা্ দিতাম না এবং সালাত আদায় করতাম না।”

তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি যথার্থই বলেছো। তখন আমি আবূত্তি করে চললামঃ “আমাদের প্রশান্তি দান করুন এবং শত্রুর সম্মুখীন হলে আমাদের পা অটল রাখুন। মুশরিকরা আমাদের প্রতি বিদ্রোহী হল।" যখন আমি আমার কবিতা আবূত্তি শেষ করলাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ কবিতাটি কে রচনা করেছে? আমি বললাম, আমার ভাই। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ তার প্রতি সদয় হোন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কিছু লোক তার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষণে দ্বিধাগ্রস্ত! তারা বলেন, সে এমন লোক যে তার নিজ অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছে। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে জিহাদ করতে করতে মুজাহিদের মত মরেছে।

রাবী ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, তারপর আমি সালামার এক পুত্রকে প্রশ্ন করলে তিনি আমাকে তার পিতার সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। তবে ব্যতিক্রম এতটুকু যে, তিনি বলেন, আমি যখন বললাম, কিছু কিছু লোক তার প্রতি দু’আ করতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তারা মিথ্যা বলেছে। সে জিহাদ করতে করতে মুজাহিদের মত মারা গেছে। তার দুটি পুরস্কার এজন্যে নির্ধারিত রয়েছে। এবং তিনি তখন তার দু’টি অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫১৮, ইসলামিক সেন্টার ৪৫২০)

باب غَزْوَةِ خَيْبَرَ ‏‏

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - وَنَسَبَهُ غَيْرُ ابْنِ وَهْبٍ فَقَالَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ - أَنَّ سَلَمَةَ، بْنَ الأَكْوَعِ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ قَاتَلَ أَخِي قِتَالاً شَدِيدًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَارْتَدَّ عَلَيْهِ سَيْفُهُ فَقَتَلَهُ فَقَالَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذَلِكَ وَشَكُّوا فِيهِ رَجُلٌ مَاتَ فِي سِلاَحِهِ ‏.‏ وَشَكُّوا فِي بَعْضِ أَمْرِهِ ‏.‏ قَالَ سَلَمَةُ فَقَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ خَيْبَرَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي أَنْ أَرْجُزَ لَكَ ‏.‏ فَأَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَعْلَمُ مَا تَقُولُ قَالَ فَقُلْتُ وَاللَّهِ لَوْلاَ اللَّهُ مَا اهْتَدَيْنَا وَلاَ تَصَدَّقْنَا وَلاَ صَلَّيْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ صَدَقْتَ ‏"‏ ‏.‏ وَأَنْزِلَنَّ سَكِينَةً عَلَيْنَا وَثَبِّتِ الأَقْدَامَ إِنْ لاَقَيْنَا وَالْمُشْرِكُونَ قَدْ بَغَوْا عَلَيْنَا قَالَ فَلَمَّا قَضَيْتُ رَجَزِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ قَالَ هَذَا ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ قَالَهُ أَخِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَرْحَمُهُ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ نَاسًا لَيَهَابُونَ الصَّلاَةَ عَلَيْهِ يَقُولُونَ رَجُلٌ مَاتَ بِسِلاَحِهِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَاتَ جَاهِدًا مُجَاهِدًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ ثُمَّ سَأَلْتُ ابْنًا لِسَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ فَحَدَّثَنِي عَنْ أَبِيهِ مِثْلَ ذَلِكَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ - حِينَ قُلْتُ إِنَّ نَاسًا يَهَابُونَ الصَّلاَةَ عَلَيْهِ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ كَذَبُوا مَاتَ جَاهِدًا مُجَاهِدًا فَلَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ وَأَشَارَ بِإِصْبَعَيْهِ ‏.‏

وحدثني ابو الطاهر، اخبرنا ابن وهب، اخبرني يونس، عن ابن شهاب، اخبرني عبد الرحمن، - ونسبه غير ابن وهب فقال ابن عبد الله بن كعب بن مالك - ان سلمة، بن الاكوع قال لما كان يوم خيبر قاتل اخي قتالا شديدا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فارتد عليه سيفه فقتله فقال اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم في ذلك وشكوا فيه رجل مات في سلاحه ‏.‏ وشكوا في بعض امره ‏.‏ قال سلمة فقفل رسول الله صلى الله عليه وسلم من خيبر فقلت يا رسول الله اىذن لي ان ارجز لك ‏.‏ فاذن له رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال عمر بن الخطاب اعلم ما تقول قال فقلت والله لولا الله ما اهتدينا ولا تصدقنا ولا صلينا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ صدقت ‏"‏ ‏.‏ وانزلن سكينة علينا وثبت الاقدام ان لاقينا والمشركون قد بغوا علينا قال فلما قضيت رجزي قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ من قال هذا ‏"‏ ‏.‏ قلت قاله اخي فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يرحمه الله ‏"‏ ‏.‏ قال فقلت يا رسول الله ان ناسا ليهابون الصلاة عليه يقولون رجل مات بسلاحه ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مات جاهدا مجاهدا ‏"‏ ‏.‏ قال ابن شهاب ثم سالت ابنا لسلمة بن الاكوع فحدثني عن ابيه مثل ذلك غير انه قال - حين قلت ان ناسا يهابون الصلاة عليه - فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ كذبوا مات جاهدا مجاهدا فله اجره مرتين ‏"‏ ‏.‏ واشار باصبعيه ‏.‏


It has been reported on the authority of Salama b. Akwa' who said:
On the day of the Battle of Khaibar my brother fought a fierce fight by the side of the Messenger of Allah (ﷺ). His sword rebounded and killed him. The Companions of the Messenger of Allah (may peace be upon hill) talked about his death and doubted (whether it was martyrdom). (They said): (He is) a man killed by his own weapon, and expressed doubt about his affair. Salama said: When the Messenger of Allah (ﷺ) returned from Khaibar, I said: Messenger of Allah, permit me that I may recite to you some rajaz verses. The Messenger of Allah (ﷺ) permitted him. 'Umar b. Khattab said: I know what you will recite. I recited: By God, if God had guided us not, We would hive neither been guided aright nor practised charity, Nor offered prayers. The Messenger of Allah (ﷺ) said: What you have said is true, 'I (continued): And descend on us peace and tranquillity And keep us steadfast if we encounter (with our enemies) And the polytheists have rebelled against us. When I finished my rajaz, the Messenger of Allah (ﷺ) said: Who composed these verses? I said: They were composed by my brother. The Messenger of Allah (ﷺ) said: May God show mercy to him! I said: By God, some people are reluctant to invoke God's mercy on him (because) they say he is a man who died by his own sword. (Hearing this) the Messenger of Allah (ﷺ) said: He died as God's devotee and warrior. Ibn Shihab has said: I asked one of the sons of Salama (b. Akwa') about (the death of 'Amir). He related to me a similar tradition except that he said: When I said some people were reluctant invoke God's blessings on him, the Messenger of Allah (may peace be, upon him said: They lied. ('Amir) died as God's devotee and warrior (in the cause of Allah). For him there is a double reward, and he pointed out this by putting his two fingers together.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে