পরিচ্ছেদঃ ৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুঃখ-যাতনা

৪৫৪১-(১০৭/১৭৯৪) আবদুল্লাহ ইবনু উমার ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আবান জু’ফী (রহঃ) ..... ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহিল হারামের নিকট সালাত আদায় করছিলেন। আবূ জাহল ও তার সাথীরা অদূরে উপবিষ্ট ছিল। পূর্বদিন সেখানে একটি উট নহর করা হয়েছিল। আবূ জাহল বলল, কে অমুক গোত্রের উটের (নাড়ি-ভূড়িসহ) জরায়ুকে নিয়ে আসবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সিজদারত হবে, তখন তার দু’কাঁধের মাঝখানে তা রেখে দেবে? তখন সম্প্রদায়ের সবচাইতে হতভাগা দূরাচার লোকটি উঠে দাঁড়ালো এবং তা নিয়ে আসলো এবং যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদায় গেলেন তখন তার দু’কাঁধের মাঝখানে তা রেখে দিল। তখন তারা হাসাহসি করতে লাগলো এবং একে অপরের গায়ের উপর ঢলে পড়তে লাগলো, আর আমি তখন দাঁড়িয়ে তা দেখলাম। যদি আমার প্রতিরোধের সাধ্য থাকতো তবে আমি তা অবশ্যই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিঠ থেকে ফেলে দিতাম।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদায় রইলেন এবং তিনি মাথা উঠাতে পারছিলেন না। অবশেষে একব্যক্তি গিয়ে ফাতিমাহকে খবর দিল। ফাতিমাহ সাথে সাথে আসলেন। আর তিনি তখন বালিকা। তিনি তা তার উপর থেকে ফেলে দিলেন। তারপর তাদের দিকে মুখ করে তাদেরকে মন্দাচারের বিষয়ে বলছিলেন। তারপর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত সম্পন্ন করলেন তখন উচ্চস্বরে তাদেরকে বদদুআ দিলেন আর তিনি যখন দু’আ করতেন (সাধারণতঃ) তিনবার করতেন এবং যখন কিছু প্রার্থনা করতেন তখন তিনি তিনবার করতেন।

তারপর তিনি তিন তিনবার বললেন "ইয়া আল্লাহ! তোমার উপরেই কুরায়শদের বিচারের ভার ন্যস্ত করলাম। যখন তারা তার আওয়াজ শুনতে পেল তখন তাদের হাসি চলে গেল এবং তারা তার বদ দু’আয় ভয় পেয়ে গেল। তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আবূ জাহল ইবনু হিশাম, উতবাহ ইবনু রাবী’আহ, শাইবাহ ইবনু রাবী আহ, ওয়ালীদ ইবনু উকবাহ, উমাইয়াহ ইবনু খালাফ ও উকবাহ ইবনু আবূ মুআয়তের শাস্তির ভার তোমার উপর ন্যস্ত। রাবী বলেন, তিনি সপ্তম আরেকজনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। আমি তা স্মরণ রাখতে পরিনি। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যে পবিত্র সত্তা সত্যসহ রসূলরূপে প্রেরণ করেছেন, তার কসম! তিনি যাদের নাম সেদিন উচ্চারণ করেছিলেন বদরের দিন তাদের পতিত লাশ আমি দেখেছি। তারপর তাদের হেঁচড়িয়ে বদরের একটি নোংরা কূপে নিক্ষেপ করা হয়। আবূ ইসহাক বলেন, ওয়ালীদ ইবনু উকবার নাম এখানে ভুলে হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৯৮, ইসলামিক সেন্টার ৪৫০০)

باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ ‏‏

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبَانَ الْجُعْفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ، - يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ - عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ الأَوْدِيِّ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي عِنْدَ الْبَيْتِ وَأَبُو جَهْلٍ وَأَصْحَابٌ لَهُ جُلُوسٌ وَقَدْ نُحِرَتْ جَزُورٌ بِالأَمْسِ فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ أَيُّكُمْ يَقُومُ إِلَى سَلاَ جَزُورِ بَنِي فُلاَنٍ فَيَأْخُذُهُ فَيَضَعُهُ فِي كَتِفَىْ مُحَمَّدٍ إِذَا سَجَدَ فَانْبَعَثَ أَشْقَى الْقَوْمِ فَأَخَذَهُ فَلَمَّا سَجَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَضَعَهُ بَيْنَ كَتِفَيْهِ قَالَ فَاسْتَضْحَكُوا وَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يَمِيلُ عَلَى بَعْضٍ وَأَنَا قَائِمٌ أَنْظُرُ ‏.‏ لَوْ كَانَتْ لِي مَنَعَةٌ طَرَحْتُهُ عَنْ ظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَاجِدٌ مَا يَرْفَعُ رَأْسَهُ حَتَّى انْطَلَقَ إِنْسَانٌ فَأَخْبَرَ فَاطِمَةَ فَجَاءَتْ وَهِيَ جُوَيْرِيَةُ فَطَرَحَتْهُ عَنْهُ ‏.‏ ثُمَّ أَقْبَلَتْ عَلَيْهِمْ تَشْتِمُهُمْ فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَلاَتَهُ رَفَعَ صَوْتَهُ ثُمَّ دَعَا عَلَيْهِمْ وَكَانَ إِذَا دَعَا دَعَا ثَلاَثًا ‏.‏ وَإِذَا سَأَلَ سَأَلَ ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ ‏"‏ ‏.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَلَمَّا سَمِعُوا صَوْتَهُ ذَهَبَ عَنْهُمُ الضِّحْكُ وَخَافُوا دَعْوَتَهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِأَبِي جَهْلِ بْنِ هِشَامٍ وَعُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَالْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ وَأُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ وَعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ ‏"‏ ‏.‏ وَذَكَرَ السَّابِعَ وَلَمْ أَحْفَظْهُ فَوَالَّذِي بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ لَقَدْ رَأَيْتُ الَّذِينَ سَمَّى صَرْعَى يَوْمَ بَدْرٍ ثُمَّ سُحِبُوا إِلَى الْقَلِيبِ قَلِيبِ بَدْرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ غَلَطٌ فِي هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

وحدثنا عبد الله بن عمر بن محمد بن ابان الجعفي، حدثنا عبد الرحيم، - يعني ابن سليمان - عن زكرياء، عن ابي اسحاق، عن عمرو بن ميمون الاودي، عن ابن مسعود، قال بينما رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي عند البيت وابو جهل واصحاب له جلوس وقد نحرت جزور بالامس فقال ابو جهل ايكم يقوم الى سلا جزور بني فلان فياخذه فيضعه في كتفى محمد اذا سجد فانبعث اشقى القوم فاخذه فلما سجد النبي صلى الله عليه وسلم وضعه بين كتفيه قال فاستضحكوا وجعل بعضهم يميل على بعض وانا قاىم انظر ‏.‏ لو كانت لي منعة طرحته عن ظهر رسول الله صلى الله عليه وسلم والنبي صلى الله عليه وسلم ساجد ما يرفع راسه حتى انطلق انسان فاخبر فاطمة فجاءت وهي جويرية فطرحته عنه ‏.‏ ثم اقبلت عليهم تشتمهم فلما قضى النبي صلى الله عليه وسلم صلاته رفع صوته ثم دعا عليهم وكان اذا دعا دعا ثلاثا ‏.‏ واذا سال سال ثلاثا ثم قال ‏"‏ اللهم عليك بقريش ‏"‏ ‏.‏ ثلاث مرات فلما سمعوا صوته ذهب عنهم الضحك وخافوا دعوته ثم قال ‏"‏ اللهم عليك بابي جهل بن هشام وعتبة بن ربيعة وشيبة بن ربيعة والوليد بن عقبة وامية بن خلف وعقبة بن ابي معيط ‏"‏ ‏.‏ وذكر السابع ولم احفظه فوالذي بعث محمدا صلى الله عليه وسلم بالحق لقد رايت الذين سمى صرعى يوم بدر ثم سحبوا الى القليب قليب بدر ‏.‏ قال ابو اسحاق الوليد بن عقبة غلط في هذا الحديث ‏.‏


It has been narrated on the authority of Ibn Mas'ud who said:
While the Messenger of Allah (ﷺ) was saying his prayer near the Ka'ba and Abu Jahl with his companions was sitting (near by), Abu Jahl said, referring to the she-camel that had been slaughtered the previous day: Who will rise to fetch the foetus of the she-camel of so and so, and place it between the shoulders of Muhammad when he goes down in prostration (a posture in prayer). The one most accursed among the people got up, brought the foetus and, when the Prophet (ﷺ) went down in prostration, placed it between his shoulders. Then they laughed at him and some of them leaned upon the others with laughter. And I stood looking. If I had the power, I would have thrown it away from the back of the Messenger of Allah (ﷺ). The Prophet (ﷺ) had bent down his head in prostration and did not raise it, until a man went (to his house) and informed (his daughter) Fatima, who was a young girl (at that time) (about this ugly incident). She came and removed (the filthy thing) from him. Then she turned towards them rebuking them (the mischief-mongers). When the Prophet (ﷺ) had finished his prayer, he invoked God's imprecations upon them in a loud voice. When he prayed, he prayed thrice, and when he asked for God's blessings, he asked thrice. Then he said thrice: O Allah, it is for Thee to deal with the Quraish. When they heard his voice, laughter vanished from them and they feared his malediction. Then he said: O God, it is for Thee to deal with Abu Jahl b. Hisham, 'Utba b. Rabi'a, Shaiba b. Rabi'a. Walid b. Uqba, Umayya b. Khalaf, Uqba b. Abu Mu'ait (and he mentioned the name of the seventh person. which I did not remember). By One Who sent Muhammad with truth, I saw (all) those he had named lying slain on the Day of Badr. Their dead bodies were dragged to be thrown into a pit near the battlefield. Abu Ishiq had said that the name of Walid b. 'Uqba has been wrongly mentioned in this tradition.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুঃখ-যাতনা

৪৫৪২-(১০৮/...) মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) .... ’আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদারত ছিলেন এবং তাঁর আশেপাশে কুরায়শের কিছু লোকজন জড়ো ছিল। এমন সময় উকবাহ ইবনু আবূ মুআয়ত (উটনীর নাড়ি-ভূড়িসহ) জরায়ু নিয়ে এলো এবং তা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিঠের উপর নিক্ষেপ করলো। তিনি মাথা উঠাতে পারছিলেন না। তারপর ফাতিমাহ আসলেন এবং তা তার পিঠ থেকে সরিয়ে দিলেন এবং যে ব্যক্তি তা করেছে, তাকে বদদুআ করলেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ইয়া আল্লাহ! তোমার উপরই কুরায়শ সম্প্রদায়ের আবূ জাহল ইবনু হিশাম, উতবাহ ইবনু রাবী’আহ, শাইবাহ ইবনু রাবীআ, উকবাহ ইবনু আবূ মু’আইত, উমাইয়াহ ইবনু খালাফ অথবা উবাই ইবনু খালাফ এদের চিনে নাও। তবে রাবী শু’বাহ্ (শেষের দু’ নামের) কোনটি রসূলুল্লাহ বলেছিলেন, সে ব্যাপারে) সন্দেহ করেছেন। রাবী বলেন, এরপর আমি বদরের দিন তাদের দেখেছি যে,তারা সকলে নিহত হয়েছে এবং একটি কূপে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। কেবল উমাইয়াহ্ বা উবাই এর লাশ বাদ ছিল। কেননা, তার লাশ জোড়ায় জোড়ায় কেটে ফেলা হয়েছিল বিধায় কূপে নিক্ষেপ করা হয়নি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৯৯, ইসলামিক সেন্টার ৪৫০১)

باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَاجِدٌ وَحَوْلَهُ نَاسٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِذْ جَاءَ عُقْبَةُ بْنُ أَبِي مُعَيْطٍ بِسَلاَ جَزُورٍ فَقَذَفَهُ عَلَى ظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَرْفَعْ رَأْسَهُ فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ فَأَخَذَتْهُ عَنْ ظَهْرِهِ وَدَعَتْ عَلَى مَنْ صَنَعَ ذَلِكَ فَقَالَ ‏ "‏ اللَّهُمَّ عَلَيْكَ الْمَلأَ مِنْ قُرَيْشٍ أَبَا جَهْلِ بْنَ هِشَامٍ وَعُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ وَعُقْبَةَ بْنَ أَبِي مُعَيْطٍ وَشَيْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ وَأُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ أَوْ أُبَىَّ بْنَ خَلَفٍ ‏"‏ ‏.‏ شُعْبَةُ الشَّاكُّ قَالَ فَلَقَدْ رَأَيْتُهُمْ قُتِلُوا يَوْمَ بَدْرٍ فَأُلْقُوا فِي بِئْرٍ غَيْرَ أَنَّ أُمَيَّةَ أَوْ أُبَيًّا تَقَطَّعَتْ أَوْصَالُهُ فَلَمْ يُلْقَ فِي الْبِئْرِ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، ومحمد بن بشار، - واللفظ لابن المثنى - قالا حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، قال سمعت ابا اسحاق، يحدث عن عمرو بن ميمون، عن عبد الله، قال بينما رسول الله صلى الله عليه وسلم ساجد وحوله ناس من قريش اذ جاء عقبة بن ابي معيط بسلا جزور فقذفه على ظهر رسول الله صلى الله عليه وسلم فلم يرفع راسه فجاءت فاطمة فاخذته عن ظهره ودعت على من صنع ذلك فقال ‏ "‏ اللهم عليك الملا من قريش ابا جهل بن هشام وعتبة بن ربيعة وعقبة بن ابي معيط وشيبة بن ربيعة وامية بن خلف او ابى بن خلف ‏"‏ ‏.‏ شعبة الشاك قال فلقد رايتهم قتلوا يوم بدر فالقوا في بىر غير ان امية او ابيا تقطعت اوصاله فلم يلق في البىر ‏.‏


It has been narrated by Abdullah (b. Mas'ud) who said:
When the Messenger of Allah (ﷺ) was lying postrate in prayer and around him were some people from the Quraish, 'Uqba b. Abu Mu'ait brought the foetus of a she-camel and threw it on the back of the Messenger of Allah (ﷺ). He did not raise his head until Fatima arrived, removed it from his back and cured him who had done that (ugly act). He said: O Allah, it is for Thee to deal with the chiefs of the Quraish. Abu Jahl b. Hisham, 'Utba b. Rabi'a. Uqba b. Abu Mu'ait, Shaiba b. Rabi'a, Umayya b. Khalaf or Ubayy b. Khalaf (Shu'ba, one of the narrator of this tradition is in doubt about the exact person). I saw that all were slain in the Battle of Badr and their dead bodies were thrown into a well, except that of Umayya or Ubayy which was cut into pieces and was thrown into the well.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুঃখ-যাতনা

৪৫৪৩-(১০৯/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ..... আবূ ইসহাক (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। রাবী সুফইয়ান (রহঃ) বাড়িয়ে বলেছেন, “এবং তিনি তিনবার বলা পছন্দ করতেন। তিনি বলছিলেন, ইয়া আল্লাহ! কুরায়শের (এদের) বিচারের ভার তোমার উপর ন্যস্ত। ইয়া আল্লাহ! কুরায়শদের বিচারের ভার তোমার উপর ন্যস্ত। ইয়া আল্লাহ! কুরায়শের বিচারের ভার তোমার উপরই ন্যস্ত। এভাবে তিনবার তিনি বলেন, এবং এদের মধ্যে ওয়ালীদ ইবনু উতবাহ ও উমাইয়াহ্ ইবনু খালাফের কথা তিনি উল্লেখ করেন এবং তাতে কোনরূপ সন্দেহ প্রকাশ করেননি। রাবী আবূ ইসহাক বলেন, আমি সপ্তম (অভিশপ্ত) ব্যক্তির নাম ভুলে গেছি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫০০, ইসলামিক সেন্টার ৪৫০২)

باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ ‏‏

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي، إِسْحَاقَ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَزَادَ وَكَانَ يَسْتَحِبُّ ثَلاَثًا يَقُولُ ‏ "‏ اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ ‏"‏ ‏.‏ ثَلاَثًا وَذَكَرَ فِيهِمُ الْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ وَأُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ وَلَمْ يَشُكَّ ‏.‏ قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ وَنَسِيتُ السَّابِعَ ‏.‏

وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا جعفر بن عون، اخبرنا سفيان، عن ابي، اسحاق بهذا الاسناد نحوه وزاد وكان يستحب ثلاثا يقول ‏ "‏ اللهم عليك بقريش اللهم عليك بقريش اللهم عليك بقريش ‏"‏ ‏.‏ ثلاثا وذكر فيهم الوليد بن عتبة وامية بن خلف ولم يشك ‏.‏ قال ابو اسحاق ونسيت السابع ‏.‏


Abu Ishiq has narrated a similar tradition through a different chain of transmitters and has added:
He (the Messenger of Allah) loved to repeat the supplication thrice. He was saying: O Allah, it is for Thee to deal with the Quraish (repeating these words thrice). And among the Quraish, he mentioned (the names of) al-Walid b. 'Utba and Umayya b. Khalaf. (The narrator says there is no doubt about the names of these persons but he has forgotten the name of the seventh man).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ইসহাক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুঃখ-যাতনা

৪৫৪৪-(১১০/...) সালামাহ্ ইবনু শাবীব (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা বাইতুল্লাহর দিকে মুখ করে কুরায়শের ছয় ব্যক্তির জন্য বদদু’আ করলেন। তাদের মধ্যে আবূ জাহল, উমাইয়াহ ইবনু খালাফ, উতবাহ ইবনু রাবী’আহ, শাইবাহ ইবনু রাবী’আহ উকবাহ ইবনু আবূ মুআয়ত রয়েছে। আল্লাহর কসম করে বলছি, আমি তাদের কর্তিত মৃত লাশগুলো বদরে দেখেছি। সূর্যতাপ তাদের বিকৃত করে ফেলেছিল। আর সেদিনটিও ছিল অত্যন্ত গরমের। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫০১, ইসলামিক সেন্টার ৪৫০৩)

باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ ‏‏

وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ اسْتَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْبَيْتَ فَدَعَا عَلَى سِتَّةِ نَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ ‏.‏ فِيهِمْ أَبُو جَهْلٍ وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ وَعُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ وَشَيْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ وَعُقْبَةُ بْنُ أَبِي مُعَيْطٍ فَأُقْسِمُ بِاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُهُمْ صَرْعَى عَلَى بَدْرٍ ‏.‏ قَدْ غَيَّرَتْهُمُ الشَّمْسُ وَكَانَ يَوْمًا حَارًّا ‏.‏

وحدثني سلمة بن شبيب، حدثنا الحسن بن اعين، حدثنا زهير، حدثنا ابو اسحاق، عن عمرو بن ميمون، عن عبد الله، قال استقبل رسول الله صلى الله عليه وسلم البيت فدعا على ستة نفر من قريش ‏.‏ فيهم ابو جهل وامية بن خلف وعتبة بن ربيعة وشيبة بن ربيعة وعقبة بن ابي معيط فاقسم بالله لقد رايتهم صرعى على بدر ‏.‏ قد غيرتهم الشمس وكان يوما حارا ‏.‏


It has been narrated on the authority of 'Abdullah that, the Messenger of Allah (ﷺ) turned his face towards the Ka'ba and invoked God's imprecations upon six men of the Quraish, amorig whom were Abu Jahl. Umayya b. Khalaf, Utba b. Rabi'a, Shaiba b. Rabi'a and 'Uqba b. Abu Mu'ait I swear by God that I saw them lying slain in the battlefield of Badr. It being a hot day, their complexion had changed (showing signs of decay).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুঃখ-যাতনা

৪৫৪৫-(১১১/১৭৯৫) আবূ তাহির আহমাদ ইবনু আমর ইবনু সারহ, হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়া ও আমর ইবনু সাওওয়াদ আমিরী (রহঃ) ..... নবী সহধর্মিণী আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, একদা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রসূল! আপনার জীবনে কি উহুদ দিবসের চেয়েও অধিকতর কঠিন কোন দিন এসেছে?" তিনি বললেন, তোমার সম্প্রদায়ের হাতে আকাবার দিন যে নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তা এরচেয়েও অধিকতর কঠিন ছিল। যখন আমি (আল্লাহর পানে দাওয়াত দিতে গিয়ে) ইবনু আবদে ইয়ালীল ইবনু আবদে কিলালের কাছে নিজেকে পেশ করছিলাম। কিন্তু সে আমার কাংখিত ডাকে সাড়া দেয়নি। তখন আমি অত্যন্ত বিষন্ন অবস্থায় সম্মুখের দিকে চলতে লাগলাম এবং কারনুস সা’আলিব নামক স্থানে না পৌছা পর্যন্ত আমি সম্বিৎ ফিরে পাইনি।

তারপর যখন আমি মাথা উঠালাম তখন দেখি, একখণ্ড মেঘ আমাকে ছায়াপাত করছে এবং এর মধ্যে জিবরাঈল (আঃ) কে দেখতে পেলাম। তিনি আমাকে ডাক দিয়ে বললেন, মহা মহিমান্বিত আল্লাহ আপনার প্রতি আপনার সম্প্রদায়ের উক্তি এবং আপনার বিরুদ্ধে তাদের উত্তরও শুনেছেন এবং তিনি আপনার নিকট পাহাড়ের ফেরেশতাকে পাঠিয়েছেন, যেন আপনি আপনার সম্প্রদায়ের লোকজনের ব্যাপারে যেরূপ ইচ্ছা সেরূপ আদেশ তাকে করেন। তখন পাহাড়ের ফেরেশতাও আমাকে ডাক দিলেন এবং আমাকে সালাম দিলেন। তারপর বললেন, “হে মুহাম্মাদ। আপনার প্রতি আপনার সম্প্রদায়ের লোকজনের উক্তি আল্লাহ তা’আলা শুনেছেন আর আমি হলাম পাহাড়ের (তত্ত্বাবধানকারী) ফেরেশতা। আপনার রব আপনার কাছে আমাকে এজন্যে পাঠিয়েছেন যেন আপনি আপনার ইচ্ছামত আমাকে নির্দেশ দেন।

(আপনি বললে) আমি এ পাহাড় দু’টিকে তাদের উপর চাপা দিয়ে দিব। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি বরং আশা করছি যে, আল্লাহ তা’আলা হয়তো এদের ঔরস থেকেই এমন ব্যক্তি বের করে আনবেন, যারা তার সঙ্গে কিছুকে শরীক না করে এক আল্লাহর ইবাদাত করবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫০২, ইসলামিক সেন্টার ৪৫০৪)

باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ ‏‏

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى وَعَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْعَامِرِيُّ - وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ - قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا قَالَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ أَتَى عَلَيْكَ يَوْمٌ كَانَ أَشَدَّ مِنْ يَوْمِ أُحُدٍ فَقَالَ ‏"‏ لَقَدْ لَقِيتُ مِنْ قَوْمِكِ وَكَانَ أَشَدَّ مَا لَقِيتُ مِنْهُمْ يَوْمَ الْعَقَبَةِ إِذْ عَرَضْتُ نَفْسِي عَلَى ابْنِ عَبْدِ يَالِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلاَلٍ فَلَمْ يُجِبْنِي إِلَى مَا أَرَدْتُ فَانْطَلَقْتُ وَأَنَا مَهْمُومٌ عَلَى وَجْهِي فَلَمْ أَسْتَفِقْ إِلاَّ بِقَرْنِ الثَّعَالِبِ فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَإِذَا أَنَا بِسَحَابَةٍ قَدْ أَظَلَّتْنِي فَنَظَرْتُ فَإِذَا فِيهَا جِبْرِيلُ فَنَادَانِي فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ وَقَدْ بَعَثَ إِلَيْكَ مَلَكَ الْجِبَالِ لِتَأْمُرَهُ بِمَا شِئْتَ فِيهِمْ قَالَ فَنَادَانِي مَلَكُ الْجِبَالِ وَسَلَّمَ عَلَىَّ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ اللَّهَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ وَأَنَا مَلَكُ الْجِبَالِ وَقَدْ بَعَثَنِي رَبُّكَ إِلَيْكَ لِتَأْمُرَنِي بِأَمْرِكَ فَمَا شِئْتَ إِنْ شِئْتَ أَنْ أُطْبِقَ عَلَيْهِمُ الأَخْشَبَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ بَلْ أَرْجُو أَنْ يُخْرِجَ اللَّهُ مِنْ أَصْلاَبِهِمْ مَنْ يَعْبُدُ اللَّهَ وَحْدَهُ لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا ‏"‏ ‏

وحدثني ابو الطاهر، احمد بن عمرو بن سرح وحرملة بن يحيى وعمرو بن سواد العامري - والفاظهم متقاربة - قالوا حدثنا ابن وهب، قال اخبرني يونس، عن ابن شهاب، حدثني عروة بن الزبير، ان عاىشة، زوج النبي صلى الله عليه وسلم حدثته انها قالت لرسول الله صلى الله عليه وسلم يا رسول الله هل اتى عليك يوم كان اشد من يوم احد فقال ‏"‏ لقد لقيت من قومك وكان اشد ما لقيت منهم يوم العقبة اذ عرضت نفسي على ابن عبد ياليل بن عبد كلال فلم يجبني الى ما اردت فانطلقت وانا مهموم على وجهي فلم استفق الا بقرن الثعالب فرفعت راسي فاذا انا بسحابة قد اظلتني فنظرت فاذا فيها جبريل فناداني فقال ان الله عز وجل قد سمع قول قومك لك وما ردوا عليك وقد بعث اليك ملك الجبال لتامره بما شىت فيهم قال فناداني ملك الجبال وسلم على ‏.‏ ثم قال يا محمد ان الله قد سمع قول قومك لك وانا ملك الجبال وقد بعثني ربك اليك لتامرني بامرك فما شىت ان شىت ان اطبق عليهم الاخشبين ‏"‏ ‏.‏ فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ بل ارجو ان يخرج الله من اصلابهم من يعبد الله وحده لا يشرك به شيىا ‏"‏ ‏


It has been narrated on the authority of `A'isha, the wife of the Prophet (ﷺ), who said to the Messenger of Allah (may peace he upon him):
Messenger of Allah, has there come upon you a day more terrible than the day of Uhud. He said: I have experienced from thy people and the hardest treatment I met from them was what I received from them on the day of `Aqaba. I betook myself to Ibn `Abd Yalil b. `Abd Kulal with the purpose of inviting him to Islam, but he did not respond to me as I desired. So I departed with signs of (deep) distress on my face. I did not recover until I reached Qarn al-Tha`alib. Where I raised my head, lo! near me was a cloud which had cast its shadow on me. I looked and lo! there was in it the angel Jibril who called out to me and said: God, the Honoured and Glorious, has heard what thy people have said to thee, and how they have reacted to thy call. And He has sent to thee the angel in charge of the mountains so that thou mayest order him what thou wishest (him to do) with regard to them. The angel in charge of the mountains (then) called out to me, greeted me and said: Muhammad, God has listened to what thy people have said to thee. I am the angel in charge of the mountains, and thy Lord has sent me to thee so that thou mayest order me what thou wishest. If thou wishest that I should bring together the two mountains that stand opposite to each other at the extremities of Mecca to crush them in between, (I would do that). But the Messenger of Allah (may peace he upon him) said to him: I rather hope that God will produce from their descendants such persons as will worship Allah, the One, and will not ascribe partners to Him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুঃখ-যাতনা

৪৫৪৬-(১১২/১৭৯৬) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও কুতাইবাহ্ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... জুন্দুব ইবনু সুফইয়ান (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি অঙ্গুলি কোন একটি অভিযানে রক্তাক্ত হয়। তখন তিনি (উক্ত অঙ্গুলিকে লক্ষ্য করে) বললেনঃ তুমি তো অঙ্গুলি ছাড়া কিছু নও, তুমি আহত হয়েছ এবং তুমি যে কষ্ট পেয়েছ, তা আল্লাহর পথেই গণ্য। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫০৩, ইসলামিক সেন্টার ৪৫০৫)

باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ ‏‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ سُفْيَانَ، قَالَ دَمِيَتْ إِصْبَعُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ تِلْكَ الْمَشَاهِدِ فَقَالَ ‏ "‏ هَلْ أَنْتِ إِلاَّ إِصْبَعٌ دَمِيتِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا لَقِيتِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا يحيى بن يحيى، وقتيبة بن سعيد، كلاهما عن ابي عوانة، قال يحيى اخبرنا ابو عوانة، عن الاسود بن قيس، عن جندب بن سفيان، قال دميت اصبع رسول الله صلى الله عليه وسلم في بعض تلك المشاهد فقال ‏ "‏ هل انت الا اصبع دميت وفي سبيل الله ما لقيت ‏"‏ ‏.‏


It has been narrated on the authority of Jundub b. Sufyan who said:
A finger of the Messenger of Allah (ﷺ) was wounded in one of the encounters He said: Thou art just a little finger which has bled, and what thou hast experienced is in the cause of Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুঃখ-যাতনা

৪৫৪৭-(১১৩/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহ) ...... আসওয়াদ ইবনু কায়স (রহঃ) হতে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে বর্ণনাকারী আরও বলেছেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন এক গুহায় ছিলেন, তখন তার আঙ্গুলে যখম হয়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫০৪, ইসলামিক সেন্টার ৪৫০৬)

باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ ‏‏

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَارٍ فَنُكِبَتْ إِصْبَعُهُ ‏.‏

وحدثناه ابو بكر بن ابي شيبة، واسحاق بن ابراهيم، جميعا عن ابن عيينة، عن الاسود بن قيس، بهذا الاسناد وقال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم في غار فنكبت اصبعه ‏.‏


It has been narrated on the authority of Aswad b. Qais who said:
The Messenger of Allah (ﷺ) was in a cave (or raid) when his finger was hurt.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুঃখ-যাতনা

৪৫৪৮-(১১৪/১৭৯৭) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... আসওয়াদ ইবনু কায়স হতে বর্ণিত যে, তিনি জুন্দুব (রহঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, জিবরাঈল (আঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসতে বিলম্ব করেন। এতে মুশরিকরা বলতে লাগলো, মুহাম্মাদ পরিত্যক্ত হয়েছেন। তখন আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেন, "শপথ পূর্বাহ্নের, শপথ রজনীর! যখন তা হয় নিঝুম, তোমার প্রতিপালক তোমাকে ছেড়ে দেননি এবং তোমার প্রতি নারাজও হননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫০৫, ইসলামিক সেন্টার ৪৫০৭)

باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ ‏‏

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جُنْدُبًا، يَقُولُ أَبْطَأَ جِبْرِيلُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ قَدْ وُدِّعَ مُحَمَّدٌ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ وَالضُّحَى * وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى * مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى‏)‏

حدثنا اسحاق بن ابراهيم، اخبرنا سفيان، عن الاسود بن قيس، انه سمع جندبا، يقول ابطا جبريل على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال المشركون قد ودع محمد فانزل الله عز وجل ‏(‏ والضحى * والليل اذا سجى * ما ودعك ربك وما قلى‏)‏


It has been narrated on the authority of Aswad b. Qais who heard Jundub saying that Gabriel delayed his visit to the Messenger of Allah (ﷺ) The polytheists began to say that Muhammad has been forsaken. At this Allah, the Glorious and Exalted, revealed:
" Wa'dd hd wa'l-laili iza saja, ma wadda'ka Rabbuka wa' ma qala" [By the glorious morning light, and by the night when it is still: thy Lord has not forsaken thee, nor is He displeased].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুঃখ-যাতনা

৪৫৪৯-(১১৫/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ...... আসওয়াদ ইবনু কায়স (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জুন্দুব ইবনু সুফইয়ান (রহঃ) কে বলতে শুনেছি, একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পীড়িত হন বিধায় দুই বা তিন রাত্রি জাগতে পারেননি (তাহাজ্জুদের জন্য)। তখন একটি মহিলা এসে বলল, “মুহাম্মাদ, আশা করি, এবার তোমার শাইতান তোমাকে ছেড়ে দিয়েছে। কেননা, দুই বা তিন রাত যাবৎ তোমার নিকটে তার আগমন লক্ষ্য করছি না।" তখন আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেন, “শপথ পূর্বাহ্নের, শপথ রজনীর! যখন তা হয় নিঝ্‌ঝুম, তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি অসন্তুষ্টও হননি।” (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫০৬, ইসলামিক সেন্টার ৪৫০৮)

باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ ‏‏

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ سَمِعْتُ جُنْدُبَ بْنَ سُفْيَانَ، يَقُولُ اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَقُمْ لَيْلَتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا فَجَاءَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ يَكُونَ شَيْطَانُكَ قَدْ تَرَكَكَ لَمْ أَرَهُ قَرِبَكَ مُنْذُ لَيْلَتَيْنِ أَوْ ثَلاَثٍ قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ وَالضُّحَى * وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى * مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى‏)‏

حدثنا اسحاق بن ابراهيم، ومحمد بن رافع، - واللفظ لابن رافع - قال اسحاق اخبرنا وقال ابن رافع، حدثنا يحيى بن ادم، حدثنا زهير، عن الاسود بن قيس، قال سمعت جندب بن سفيان، يقول اشتكى رسول الله صلى الله عليه وسلم فلم يقم ليلتين او ثلاثا فجاءته امراة فقالت يا محمد اني لارجو ان يكون شيطانك قد تركك لم اره قربك منذ ليلتين او ثلاث قال فانزل الله عز وجل ‏(‏ والضحى * والليل اذا سجى * ما ودعك ربك وما قلى‏)‏


It has been narrated on the authority of Aswad b. Qais who said:
I heard Jundub b. Sufyan say: The Messenger of Allah (ﷺ) fell ill and did not wake up for two or three nights (for prayers) A woman came to him and said: Muhammad, I hope that your satan has left you. I haven't seen him approach you for two or three nights. The narrator says: At this, Allah, the Glorious and Exalted, revealed:" By the Glorious......"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুঃখ-যাতনা

৪৫৫০-(.../...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ, মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) শু’বাহ (রহঃ) হতে এবং ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... সুফইয়ান (রহঃ) হতে উভয়ে উক্ত সানাদে আসওয়াদ ইবনু কায়স (রহঃ) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫০৭, ইসলামিক সেন্টার ৪৫০৯)

باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ ‏‏

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْمُلاَئِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِهِمَا ‏.‏

وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، ومحمد بن المثنى، وابن، بشار قالوا حدثنا محمد، بن جعفر عن شعبة، ح وحدثنا اسحاق بن ابراهيم، اخبرنا الملاىي، حدثنا سفيان، كلاهما عن الاسود بن قيس، بهذا الاسناد نحو حديثهما ‏.‏


This hadith has been narrated on the authority of Aswad b. Qais with the same chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে