পরিচ্ছেদঃ ৩৭. উহুদ যুদ্ধ

৪৫৩৩-(১০০/১৭৮৯) হাদ্দাব ইবনু খালিদ আযদী ..... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উহুদ যুদ্ধের দিন কেবল সাতজন আনসার ও দু’জন কুরায়শ (মুহাজির) সাথিসহ (শত্রুবাহিনী কর্তৃক) অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন এবং তা তাকে (চতুর্দিক থেকে) বেষ্টন করে ফেলে, তিনি বললেনঃ কে আমার পক্ষ থেকে শত্রুদের প্রতিহত করবে, তার জন্য রয়েছে জান্নাত। অথবা বললেনঃ সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে? তখন আনসারদের মধ্যকার এক ব্যক্তি অগ্রসর হয়ে যুদ্ধ শুরু করলেন এবং পরিশেষে শহীদ হলেন। তারপর পুনরায় তারা তাকে ঘেরাও করে ফেললো এবং অনুরূপভাবে লড়াই করতে করতে তাদের সাতজনই শহীদ হলেন। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সঙ্গীদ্বয়কে লক্ষ্য করে বললেন, আমরা (কুরায়শরা) সঙ্গীদের প্রতি সুবিচার করিনি। (আমরা বেঁচে রইলাম, অথচ আনসাররা শহীদ হলেন।) (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৯০, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৯২)

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ ‏‏

وَحَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، وَثَابِتٍ، الْبُنَانِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُفْرِدَ يَوْمَ أُحُدٍ فِي سَبْعَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَرَجُلَيْنِ مِنْ قُرَيْشٍ فَلَمَّا رَهِقُوهُ قَالَ ‏"‏ مَنْ يَرُدُّهُمْ عَنَّا وَلَهُ الْجَنَّةُ أَوْ هُوَ رَفِيقِي فِي الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ فَتَقَدَّمَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ ثُمَّ رَهِقُوهُ أَيْضًا فَقَالَ ‏"‏ مَنْ يَرُدُّهُمْ عَنَّا وَلَهُ الْجَنَّةُ أَوْ هُوَ رَفِيقِي فِي الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ فَتَقَدَّمَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ فَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى قُتِلَ السَّبْعَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِصَاحِبَيْهِ ‏"‏ مَا أَنْصَفْنَا أَصْحَابَنَا ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا هداب بن خالد الازدي، حدثنا حماد بن سلمة، عن علي بن زيد، وثابت، البناني عن انس بن مالك، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم افرد يوم احد في سبعة من الانصار ورجلين من قريش فلما رهقوه قال ‏"‏ من يردهم عنا وله الجنة او هو رفيقي في الجنة ‏"‏ ‏.‏ فتقدم رجل من الانصار فقاتل حتى قتل ثم رهقوه ايضا فقال ‏"‏ من يردهم عنا وله الجنة او هو رفيقي في الجنة ‏"‏ ‏.‏ فتقدم رجل من الانصار فقاتل حتى قتل فلم يزل كذلك حتى قتل السبعة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لصاحبيه ‏"‏ ما انصفنا اصحابنا ‏"‏ ‏.‏


It has been reported on the authority of Anas b. Malik that (when the enemy got the upper hand) on the day of the Battle of Uhud, the Messenger of Allah (ﷺ) was left with only seven men from the ansar and two men from the Quraish. When the enemy advanced towards him and overwhelmed him, he said:
Whoso turns them away from us will attain Paradise or will be my Companion in Paradise. A man from the Ansar came forward and fought (the enemy) until he was killed. The enemy advanced and overwhelmed him again and he repeated the words: Whoso turns them away, from us will attain Paradise or will be my Companion in Paradise. A man from the Arsar came forward and fought until he was killed. This state continued until the seven Ansar were killed (one after the other). Now, the Messenger of Allah (ﷺ) said to his two Companions: We have not done justice to our Companions.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. উহুদ যুদ্ধ

৪৫৩৪-(১০১/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া তামীমী (রহঃ) ..... সাহল ইবনু সা’দ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তাকে রসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উহুদ যুদ্ধের দিন আহত হওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (পবিত্র) মুখমণ্ডল যখম করা হয়, তার রুবাই* দাত ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং তার মাথায় লৌহ শিরস্ত্রাণ ভেঙ্গে ঢুকে যায়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) রক্ত ধুয়ে দিচ্ছিলেন এবং আলী ইবনু আবূ তালিব (রাযিঃ) ঢাল দিয়ে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন। ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) যখন দেখলেন যে, তাতে রক্তপড়া আরো বেশী বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন তিনি একটি মাদুর খণ্ড পোড়ালেন এবং ছাই হয়ে গেলে তা যখমের উপর চেপে ধরলেন। এতে রক্তপাত বন্ধ হয়ে গেল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৯১, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৯৩)

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ ‏‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ، يُسْأَلُ عَنْ جُرْحِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ فَقَالَ جُرِحَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ وَهُشِمَتِ الْبَيْضَةُ عَلَى رَأْسِهِ فَكَانَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَغْسِلُ الدَّمَ وَكَانَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يَسْكُبُ عَلَيْهَا بِالْمِجَنِّ فَلَمَّا رَأَتْ فَاطِمَةُ أَنَّ الْمَاءَ لاَ يَزِيدُ الدَّمَ إِلاَّ كَثْرَةً أَخَذَتْ قِطْعَةَ حَصِيرٍ فَأَحْرَقَتْهُ حَتَّى صَارَ رَمَادًا ثُمَّ أَلْصَقَتْهُ بِالْجُرْحِ فَاسْتَمْسَكَ الدَّمُ ‏.‏

حدثنا يحيى بن يحيى التميمي، حدثنا عبد العزيز بن ابي حازم، عن ابيه، انه سمع سهل بن سعد، يسال عن جرح، رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم احد فقال جرح وجه رسول الله صلى الله عليه وسلم وكسرت رباعيته وهشمت البيضة على راسه فكانت فاطمة بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم تغسل الدم وكان علي بن ابي طالب يسكب عليها بالمجن فلما رات فاطمة ان الماء لا يزيد الدم الا كثرة اخذت قطعة حصير فاحرقته حتى صار رمادا ثم الصقته بالجرح فاستمسك الدم ‏.‏


It has been narrated on the authority of Abd-ul-'Aziz b. Abu Hazim, who learnt from his father (Abu Hazim). The latter heard it from Sahl b. Sa'd who was asked about the injury which the Messenger of Allah (ﷺ) got on the day of the Battle of Uhud. He said:
The face of the Messenger of Allah (ﷺ) was injured, his front teeth were damaged and his helmet was crushed. Fatima, the daughter of the Messenger of Allah (ﷺ), was washing the blood (from his head), and 'Ali b. Abu Talib was pouring water on it from a shield. When Fatima saw that the bleeding had increased on account of (pouring) water (on the wound), she took a piece of mat and burnt it until it was reduced to ashes. She put the ashes on the wound and the bleeding stopped.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. উহুদ যুদ্ধ

৪৫৩৫-(১০২/...) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) হতে বর্ণিত। সাহল ইবনু সা’ঈদ (রাযিঃ) কে যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আহত হওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়, তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি অবশ্যই জানি, কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যখম ধুয়ে দিচ্ছিলেন, কে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন এবং কিসের দ্বারা তার চিকিৎসা করা হয়েছিল। তারপর তিনি আবদুল আযীযের মাধ্যমে বর্ণিত পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। অবশ্য তার বর্ণনায় এ পার্থক্য রয়েছেঃ “তার মুখমণ্ডল যখম করা হয় এবংهُشِمَتْ এর স্থলেكُسِرَتْ শব্দ ব্যবহার করেছেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আহত হওয়া সংক্রান্ত সাহল ইবনু সা’দ (রাযিঃ) এর এ বর্ণনাটি সামান্য শাব্দিক পরিবর্তনসহ অন্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৯২, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৯৪)

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ ‏‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ - عَنْ أَبِي حَازِمٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ، وَهُوَ يُسْأَلُ عَنْ جُرْحِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَمَ وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْرِفُ مَنْ كَانَ يَغْسِلُ جُرْحَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ كَانَ يَسْكُبُ الْمَاءَ ‏.‏ وَبِمَاذَا دُووِيَ جُرْحُهُ ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ غَيْرَ أَنَّهُ زَادَ وَجُرِحَ وَجْهُهُ وَقَالَ مَكَانَ هُشِمَتْ كُسِرَتْ ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا يعقوب، - يعني ابن عبد الرحمن القاري - عن ابي حازم، انه سمع سهل بن سعد، وهو يسال عن جرح، رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ام والله اني لاعرف من كان يغسل جرح رسول الله صلى الله عليه وسلم ومن كان يسكب الماء ‏.‏ وبماذا دووي جرحه ‏.‏ ثم ذكر نحو حديث عبد العزيز غير انه زاد وجرح وجهه وقال مكان هشمت كسرت ‏.‏


It has been reported on the authority of Abu Hazim who heard from Sahl b. Sa'd. The latter was asked about the injury of the Messenger of Allah (ﷺ). He said:
By God, I know the person who washed the wound of the Messenger of Allah (ﷺ), who poured water on it and with what the wound was treated. Then Sahl narrated the same tradition as has been narrated by 'Abd al-'Azlz except that he added the words:" And his face was injured" and replaced the word" Hushimat" by" Kusirat" (i. e. it was broken).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. উহুদ যুদ্ধ

৪৫৩৬-(১০৩/১৭৯১) আবূ বকর ইবনু আবূ শইবাহ, যুহায়র ইবনু হারব, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, ইবনু আবূ উমার সকলেই ইবনু উয়াইনাহ থেকে এবং ’আমর ইবনু সাওওয়াদ আমিরী, মুহাম্মাদ ইবনু সাহল তামীমী সকলেই আবূ হাযিম সূত্রে সাহল ইবনু সা’দ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইবনু আবূ হিলাল এর হাদীসে আছে, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখমণ্ডলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। আর মুতাররফ এর হাদীসে আছে তার মুখমণ্ডলে যখম হয়েছিল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৯৩, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৯৫)

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ ‏‏

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ، أَبِي عُمَرَ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْعَامِرِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ، وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُطَرِّفٍ - كُلُّهُمْ عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ، بْنِ سَعْدٍ ‏.‏ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فِي حَدِيثِ ابْنِ أَبِي هِلاَلٍ أُصِيبَ وَجْهُهُ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ مُطَرِّفٍ جُرِحَ وَجْهُهُ ‏.‏

وحدثناه ابو بكر بن ابي شيبة، وزهير بن حرب، واسحاق بن ابراهيم، وابن، ابي عمر جميعا عن ابن عيينة، ح وحدثنا عمرو بن سواد العامري، اخبرنا عبد الله بن، وهب اخبرني عمرو بن الحارث، عن سعيد بن ابي هلال، ح وحدثني محمد بن سهل التميمي، حدثني ابن ابي مريم، حدثنا محمد، - يعني ابن مطرف - كلهم عن ابي حازم، عن سهل، بن سعد ‏.‏ بهذا الحديث عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ في حديث ابن ابي هلال اصيب وجهه ‏.‏ وفي حديث ابن مطرف جرح وجهه ‏.‏


The same tradition has been narrated on the authority of Sahl b. Sa'd through a different chain of transmitters with a slight difference in the wording.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. উহুদ যুদ্ধ

৪৫৩৭-(১০৪/১৭৯১) আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ (রহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, ওহুদ দিবসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রুবাইয়াত দাত ভেঙ্গে দেয়া হয়, তার মাথায় আঘাত করা হয় এবং তিনি তাঁর শরীর থেকে রক্ত মুছতে মুছতে বলছিলেন, সে জাতি কিভাবে সাফল্য অর্জন করবে, যারা তাদের নবীকে আহত করলো এবং তার সম্মুখের দু’টি দাত ভেঙ্গে দিল অথচ তিনি তাদের আল্লাহর দিকে আহ্বান জানাচ্ছিলেন। তখন আল্লাহ তা’আলা আয়াত নাযিল করলেনঃ “হে রসূল! এ ব্যাপারে আপনার করণীয় কিছুই নেই”- (সূরা আ-লি ইমরানঃ ১২৮)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৯৪, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৯৬)

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ ‏‏

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ يَوْمَ أُحُدٍ وَشُجَّ فِي رَأْسِهِ فَجَعَلَ يَسْلُتُ الدَّمَ عَنْهُ وَيَقُولُ ‏"‏ كَيْفَ يُفْلِحُ قَوْمٌ شَجُّوا نَبِيَّهُمْ وَكَسَرُوا رَبَاعِيَتَهُ وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَىْءٌ‏)‏

حدثنا عبد الله بن مسلمة بن قعنب، حدثنا حماد بن سلمة، عن ثابت، عن انس، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كسرت رباعيته يوم احد وشج في راسه فجعل يسلت الدم عنه ويقول ‏"‏ كيف يفلح قوم شجوا نبيهم وكسروا رباعيته وهو يدعوهم الى الله ‏"‏ ‏.‏ فانزل الله عز وجل ‏(‏ ليس لك من الامر شىء‏)‏


It has been narrated on the authority of Anas that the Messenger of Allah (ﷺ) had his front teeth damaged on the day of the Battle of Uhud, and got a wound on his head. He was wiping the blood (from his face) and was saying:
How will these people attain salvation who have wounded their Prophet and broken his tooth while he called them towards God? At this time, God, the Exalted and Glorious, revealed the Verse:" Thou hast no authority" (iii. 127).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. উহুদ যুদ্ধ

৪৫৩৮-(১০৫/১৭৯২) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখতে পাচ্ছি যে, তিনি এমন একজন নবীর কথা কাহিনীরূপে বর্ণনা করছেন, যাকে তার সম্প্রদায়ের লোকজন আঘাত করেছে। আর তিনি তার নিজের কপাল থেকে রক্ত মুছছেন এবং বলছেন, "প্ৰভু! আমার সম্প্রদায়কে ক্ষমা কর, কেন না তারা বুঝে না।” আ’মাশ (রহঃ) থেকে সামান্য পার্থক্য সহ অন্য সূত্রেও হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৯৫, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৯৭)

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَحْكِي نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ ضَرَبَهُ قَوْمُهُ وَهُوَ يَمْسَحُ الدَّمَ عَنْ وَجْهِهِ وَيَقُولُ ‏ "‏ رَبِّ اغْفِرْ لِقَوْمِي فَإِنَّهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الله بن نمير، حدثنا وكيع، حدثنا الاعمش، عن شقيق، عن عبد الله، قال كاني انظر الى رسول الله صلى الله عليه وسلم يحكي نبيا من الانبياء ضربه قومه وهو يمسح الدم عن وجهه ويقول ‏ "‏ رب اغفر لقومي فانهم لا يعلمون ‏"‏ ‏.‏


It has been narrated on the authority of 'Abdullah who said:
It appeared to me as if I saw the Messenger of Allah (ﷺ) (and heard him) relate the story of a Prophet who had been beaten by his people, was wiping the blood from his face and was saying. My Lord, forgive my people, for they do not know.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. উহুদ যুদ্ধ

৪৫৩৯-(.../...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ ..... আ’মাশ (রহঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তার বর্ণনায় রয়েছে যে, তিনি তাঁর কপাল থেকে রক্ত মুছছিলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৯৬, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৯৮)

باب غَزْوَةِ أُحُدٍ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَهُوَ يَنْضِحُ الدَّمَ عَنْ جَبِينِهِ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا وكيع، ومحمد بن بشر، عن الاعمش، بهذا الاسناد غير انه قال فهو ينضح الدم عن جبينه ‏.‏


A version of the tradition with a slightly different wording has been narrated by another chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আ‘মাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর (كتاب الجهاد والسير) 33. The Book of Jihad and Expeditions
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে