পরিচ্ছেদঃ ১৬. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী- আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না, আমরা যা কিছু রেখে যাই সবই সদাকাহ (বাইতুল মাল)
৪৪৭১-(৫১/১৭৫৮) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকাল হলো, তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীগণ উসমান (রাযিঃ) কে আবূ বকর (রাযিঃ) এর নিকট পাঠাতে মনস্থ করলেন, যেন তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে তাদের মীরাস তলব করেন। তখন আয়িশাহ (রাযিঃ) তাদের বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি এ কথা বলে যাননি যে, আমরা (নবীগণ) সম্পত্তিতে কাউকে ওয়ারিস রেখে যাই না। আমরা যা রেখে যাই তা হবে সাদাকা্ সর্বসাধারণের জন্য। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪২৭, ইসলামিক সেন্টার ৪৪২৯)
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ "
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ إِنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرَدْنَ أَنْ يَبْعَثْنَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَيَسْأَلْنَهُ مِيرَاثَهُنَّ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ عَائِشَةُ لَهُنَّ أَلَيْسَ قَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ " .
It is narrated on the authority of 'A'isha who said:
When the Messenger of Allah (ﷺ) passed away, his wives made up their minds to send 'Uthman b. 'Affan (as their spokesman) to Abu Bakr to demand from him their share from the legacy of the Prophet (ﷺ). (At this), A'isha said to them: Hasn't the Messenger of Allah (ﷺ) said:" We (Prophets) do not have any heirs; what we leave behind is (to be given in) charity"?
পরিচ্ছেদঃ ১৬. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী- আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না, আমরা যা কিছু রেখে যাই সবই সদাকাহ (বাইতুল মাল)
৪৪৭২-(৫২/১৭৫৯) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, ফাতিমাহ বিনতু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর এর নিকট লোক পাঠালেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্পদে তার মীরাস এর দাবী করে, যা আল্লাহ তা’আলা তাকে মদীনাহ্ ও ফিদাক এর ফাই এবং খাইবারের অবশিষ্ট এক পঞ্চমাংশ থেকে প্রদান করেছেন। তখন আবূ বকর (রাযিঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গিয়েছেন- আমরা আমাদের (নবীগণের) পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে কাউকে ওয়ারিস রেখে যাই না। আমরা যা রেখে যাই তা হয় সাদাকা (বাইতুল মাল)। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিবারবর্গ তা থেকে জীবিকা গ্রহণ করবেন। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়কালে সাদাকার যে অবস্থা চালু ছিল, তা আমি পরিবর্তন করব না। আর এতে আমি নিশ্চয়ই সে কাজ করবো, যা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করে গিয়েছেন। অতএব, আবূ বকর (রাযিঃ) ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) কে তা থেকে কিছু প্রদান করতে অস্বীকার করলেন। সুতরাং ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) এতে রাগান্বিত হয়ে তাকে পরিত্যাগ করলেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কোন কথা বলেননি।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকালের পর তিনি ছয় মাস জীবিত ছিলেন। এরপর যখন তিনি ইন্তিকাল করলেন, তখন তার স্বামী আলী ইবনু আবূ তালিব (রাযিঃ) তাকে রাতে দাফন করলেন এবং ফাতিমাহ (রাযিঃ) এর মৃত্যু সংবাদ পর্যন্ত আবূ বকর (রাযিঃ) কে দেননি। আলী (রাযিঃ) তার জানাযার সালাত আদায় করলেন। ফাতিমাহ (রাযিঃ) এর জীবিতকাল পর্যন্ত আলী (রাযিঃ) এর প্রতি জনগণের বিশেষ মর্যাদাবোধ ছিল। এরপর যখন তার ইন্তিকাল হলো তখন তিনি লোকের চেহারায় অপছন্দনীয় ভাব দেখতে পেলেন। অতএব তিনি আবূ বকর (রাযিঃ) এর সঙ্গে ফায়সালা করে তার বাই’আতের প্রার্থনা করলেন। কেননা তিনি ঐ মাসগুলোতে তার বাই’আত গ্রহণ করেননি।
তারপর ’আলী (রাযিঃ) আবূ বকর (রাযিঃ) এর নিকট লোক পাঠিয়ে সংবাদ দিলেন যে, আপনি একাকী আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করুন। আপনার সাথে অন্য কাউকে আনবেন না। কেননা, তিনি উমার (রাযিঃ) এর আগমনকে অপছন্দ করছিলেন। উমার (রাযিঃ) আবূ বকরকে বললেন, আল্লাহর কসম! আপনি একাকী তাদের কাছে যাবেন না। আবূ বকর (রাযিঃ) বললেন, আমি আশংকা করিনি যে, তারা আমার সাথে কিছু করবেন। আল্লাহর কসম! আমি একাকীই যাব। পরিশেষে আবূ বকর (রাযিঃ) তাদের কাছে গেলেন। এরপর ’আলী ইবনু আবূ তালিব (রাযিঃ) তাশাহহুদ তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য বাণী পাঠ করলেন, তারপর বললেন, হে আবূ বকর! আপনার মর্যাদা এবং আল্লাহ তা’আলা আপনাকে যে সম্মান প্রদান করেছেন, তা আমরা জানি। আর আল্লাহ তা’আলা আপনাকে যে নি’আমাত প্রদান করেছেন, তাতে আমাদের কোন হিংসা নেই। কিন্তু আপনি আমাদের উপেক্ষা করে খিলাফাতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আত্মীয়তার কারণে আমরা মনে করতাম যে, আমাদেরও অধিকার আছে। আবূ বকরের সঙ্গে তিনি এভাবে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
পরিশেষে আবূ বকর (রাযিঃ) এর দু’চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হলো। এরপর যখন আবূ বকর (রাযিঃ) কথা বলতে শুরু করলেন, তখন তিনি বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ করে বলছি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আত্মীয়দের প্রতি উত্তম আচরণ করা আমার কাছে অধিক প্রিয় আমার নিজ আত্মীয়ের প্রতি ভাল আচরণের চেয়েও। তবে আমার এবং আপনাদের মধ্যে এ সম্পদ নিয়ে যে দ্বন্দ শুরু হয়েছে তাতে আমি সত্য পরিহার করব না। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এতে যা করতে দেখেছি তা আমি পরিত্যাগ করব না। এরপর ’আলী (রাযিঃ) আবূ বকর (রাযিঃ) কে বললেন যে, আমি বাই’আতের জন্য আপনাকে আজ বিকাল বেলায় কথা দিলাম। যখন আবূ বকর (রাযিঃ) যুহরের সালাত শেষ করলেন তখন তিনি মিম্বারে আরোহণ করলেন এবং তাশাহহুদ পাঠ করলেন। এরপর তিনি ’আলী (রাযিঃ) এর ঘটনা বর্ণনা করেন এবং তার বাই’আত গ্রহণে বিলম্ব ও এ বিষয়ে তার ওযর বর্ণনা করেন, যা তার কাছে বর্ণনা করা হয়েছিল।
এরপর তিনি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তারপর আলী ইবনু আবূ তালিব (রাযিঃ) তাশাহহুদ পাঠ করলেন এবং আবূ বকর (রাযিঃ) এর মহত্ত্ব বর্ণনা করলেন। আর তিনি ব্যক্ত করলেন যে, তিনি যা করেছেন, তা আবূ বকর (রাযিঃ) এর প্রতি হিংসা পোষণ করে নয়। আর না আছে আমাদের প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত কোন সম্মান ও নি’আমাতের অস্বীকৃতি। বরং আমরা মনে করতাম যে, খিলাফতের মধ্যে আমাদেরও অংশ আছে। কিন্তু আবূ বকর (রাযিঃ) আমাদের উপেক্ষা করে এ কাজের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এতে আমরা মনঃক্ষুন্ন হয়েছি। এ কথা শুনে মুসলিমগণ আনন্দিত হলেন এবং তারা বললেন যে, আপনি তা ঠিক বলেছেন। তখন তিনি কল্যাণের প্রতি ফিরে এলেন অর্থাৎ- তখন মনোমালিন্যের অবসান হলো এবং আবূ বকর (রাযিঃ) এর বাই’আত গ্রহণ করা হলো, তখন থেকে মুসলিমগণ আলী (রাযিঃ) এর সংস্পর্শে আসতে লাগলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪২৮, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৩০)
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ "
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، أَخْبَرَنَا حُجَيْنٌ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْسَلَتْ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ تَسْأَلُهُ مِيرَاثَهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ بِالْمَدِينَةِ وَفَدَكٍ وَمَا بَقِيَ مِنْ خُمْسِ خَيْبَرَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ - صلى الله عليه وسلم - فِي هَذَا الْمَالِ " . وَإِنِّي وَاللَّهِ لاَ أُغَيِّرُ شَيْئًا مِنْ صَدَقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ حَالِهَا الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهَا فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلأَعْمَلَنَّ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَبَى أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَدْفَعَ إِلَى فَاطِمَةَ شَيْئًا فَوَجَدَتْ فَاطِمَةُ عَلَى أَبِي بَكْرٍ فِي ذَلِكَ - قَالَ - فَهَجَرَتْهُ فَلَمْ تُكَلِّمْهُ حَتَّى تُوُفِّيَتْ وَعَاشَتْ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِتَّةَ أَشْهُرٍ فَلَمَّا تُوُفِّيَتْ دَفَنَهَا زَوْجُهَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ لَيْلاً وَلَمْ يُؤْذِنْ بِهَا أَبَا بَكْرٍ وَصَلَّى عَلَيْهَا عَلِيٌّ وَكَانَ لِعَلِيٍّ مِنَ النَّاسِ وِجْهَةٌ حَيَاةَ فَاطِمَةَ فَلَمَّا تُوُفِّيَتِ اسْتَنْكَرَ عَلِيٌّ وُجُوهَ النَّاسِ فَالْتَمَسَ مُصَالَحَةَ أَبِي بَكْرٍ وَمُبَايَعَتَهُ وَلَمْ يَكُنْ بَايَعَ تِلْكَ الأَشْهُرَ فَأَرْسَلَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَنِ ائْتِنَا وَلاَ يَأْتِنَا مَعَكَ أَحَدٌ - كَرَاهِيَةَ مَحْضَرِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ - فَقَالَ عُمَرُ لأَبِي بَكْرٍ وَاللَّهِ لاَ تَدْخُلْ عَلَيْهِمْ وَحْدَكَ . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَمَا عَسَاهُمْ أَنْ يَفْعَلُوا بِي إِنِّي وَاللَّهِ لآتِيَنَّهُمْ . فَدَخَلَ عَلَيْهِمْ أَبُو بَكْرٍ . فَتَشَهَّدَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ ثُمَّ قَالَ إِنَّا قَدْ عَرَفْنَا يَا أَبَا بَكْرٍ فَضِيلَتَكَ وَمَا أَعْطَاكَ اللَّهُ وَلَمْ نَنْفَسْ عَلَيْكَ خَيْرًا سَاقَهُ اللَّهُ إِلَيْكَ وَلَكِنَّكَ اسْتَبْدَدْتَ عَلَيْنَا بِالأَمْرِ وَكُنَّا نَحْنُ نَرَى لَنَا حَقًّا لِقَرَابَتِنَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَلَمْ يَزَلْ يُكَلِّمُ أَبَا بَكْرٍ حَتَّى فَاضَتْ عَيْنَا أَبِي بَكْرٍ فَلَمَّا تَكَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَرَابَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحَبُّ إِلَىَّ أَنْ أَصِلَ مِنْ قَرَابَتِي وَأَمَّا الَّذِي شَجَرَ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ مِنْ هَذِهِ الأَمْوَالِ فَإِنِّي لَمْ آلُ فِيهِ عَنِ الْحَقِّ وَلَمْ أَتْرُكْ أَمْرًا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُهُ فِيهَا إِلاَّ صَنَعْتُهُ . فَقَالَ عَلِيٌّ لأَبِي بَكْرٍ مَوْعِدُكَ الْعَشِيَّةُ لِلْبَيْعَةِ . فَلَمَّا صَلَّى أَبُو بَكْرٍ صَلاَةَ الظُّهْرِ رَقِيَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَتَشَهَّدَ وَذَكَرَ شَأْنَ عَلِيٍّ وَتَخَلُّفَهُ عَنِ الْبَيْعَةِ وَعُذْرَهُ بِالَّذِي اعْتَذَرَ إِلَيْهِ ثُمَّ اسْتَغْفَرَ وَتَشَهَّدَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَعَظَّمَ حَقَّ أَبِي بَكْرٍ وَأَنَّهُ لَمْ يَحْمِلْهُ عَلَى الَّذِي صَنَعَ نَفَاسَةً عَلَى أَبِي بَكْرٍ وَلاَ إِنْكَارًا لِلَّذِي فَضَّلَهُ اللَّهُ بِهِ وَلَكِنَّا كُنَّا نَرَى لَنَا فِي الأَمْرِ نَصِيبًا فَاسْتُبِدَّ عَلَيْنَا بِهِ فَوَجَدْنَا فِي أَنْفُسِنَا فَسُرَّ بِذَلِكَ الْمُسْلِمُونَ وَقَالُوا أَصَبْتَ . فَكَانَ الْمُسْلِمُونَ إِلَى عَلِيٍّ قَرِيبًا حِينَ رَاجَعَ الأَمْرَ الْمَعْرُوفَ .
It is narrated on the authority of Urwa b. Zubair who narrated from A'isha that she informed him that Fatima, daughter of the Messenger of Allah (ﷺ), sent someone to Abu Bakr to demand from him her share of the legacy left by the Messenger of Allah (ﷺ) from what Allah had bestowed upon him at Medina and Fadak and what was left from one-filth of the income (annually received) from Khaibar. Abu Bakr said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said:" We (prophets) do not have any heirs; what we leave behind is (to be given in) charity." The household of the Messenger of Allah (ﷺ) will live on the income from these properties, but, by Allah, I will not change the charity of the Messenger of Allah (ﷺ) from the condition in which it was in his own time. I will do the same with it as the Messenger of Allah (may peace be upun him) himself used to do. So Abu Bakr refused to hand over anything from it to Fatima who got angry with Abu Bakr for this reason. She forsook him and did not talk to him until the end of her life. She lived for six months after the death of the Messenger of Allah (ﷺ). When she died, her husband. 'Ali b. Abu Talib, buried her at night. He did not inform Abu Bakr about her death and offered the funeral prayer over her himself. During the lifetime of Fatima, 'All received (special) regard from the people. After she had died, he felt estrangement in the faces of the people towards him. So he sought to make peace with Abu Bakr and offer his allegiance to him. He had not yet owed allegiance to him as Caliph during these months. He sent a person to Abu Bakr requesting him to visit him unaccompanied by anyone (disapproving the presence of Umar). 'Umar said to Abu Bakr: BY Allah, you will not visit them alone. Abu Bakr said: What will they do to me? By Allah, I will visit them. And he did pay them a visit alone. 'All recited Tashahhud (as it is done in the beginning of a religious sermon) ; then said: We recognise your moral excellence and what Allah has bestowed upon you. We do not envy the favour (i. e. the Catiphate) which Allah nas conferred upon you; but you have done it (assumed the position of Caliph) alone (without consulting us), and we thought we had a right (to be consulted) on account of our kinship with the Messenger of Allah (ﷺ). He continued to talk to Abu Bakr (in this vein) until the latter's eyes welled up with tears. Then Abd Bakr spoke and said: By Allah, in Whose Hand is my life, the kinship of the Messenger of Allah (ﷺ) is dearer to me than the kinship of my own people. As regards the dispute that has arisen between you and me about these properties, I have not deviated from the right course and I have not given up doing about them what the Messenger of Allah (ﷺ) used to do. So 'Ali said to Abu Bakr: This aftetnoon is (fixed) for (swearing) allegiance (to you). So when Abu Bakr had finished his Zuhr prayer, he ascended the pulpit and recited Tashahhud, and described the status of 'Ali, his delay in swearing allegiance and the excuse which lie had offered to him (for this delay). (After this) he asked for God's forgiveness. Then 'Ali b. Abu Talib recited the Tashahhud. extolled the merits of Abu Bakr and (said that) his action was nott prompted by any jealousy of Abu Bakr on his part or his refusal to accept the high position which Allah had conferred upon him, (adding: ) But we were of the opinion that we should have a share in the government, but the matter had been decided without taking us into confidence, and this displeased us. (Hence the delay in offering allegiance. The Muslims were pleased with this (explanation) and they said: You have done the right thing. The Muslims were (again) favourably inclined to 'Ali since he adopted the proper course of action.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী- আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না, আমরা যা কিছু রেখে যাই সবই সদাকাহ (বাইতুল মাল)
৪৪৭৩-(৫৩/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ ও ’আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, ফাতিমাহ্ এবং আব্বাস (রাযিঃ) উভয়েই আবূ বকর (রাযিঃ) এর নিকট আগমন করলেন, তখন তারা উভয়ে ফেদাকের ভূমি ও খাইবারের প্রাপ্য অংশ দাবী করলেন। তখন আবূ বকর (রাযিঃ) উভয়কে বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি... এরপর যুহরী (রহঃ) হতে উকায়ল কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের মর্মার্থের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন। কিন্তু তিনি তাছাড়া এতে বর্ণনা করলেন যে, এরপর আলী (রাযিঃ) দাঁড়ালেন এবং আবূ বকর (রাযিঃ) এর যোগ্যতা ও মর্যাদা বর্ণনা করলেন এবং তার সর্বকাজে উল্লেখ করলেন। এরপর তিনি আবূ বকর (রাযিঃ) এর কাছে গেলেন এবং তার অগ্রগামীরা বাই’আত গ্রহণ করলেন। তারপর জনগণ আলী (রাযিঃ) এর নিকট এসে বললেন, আপনি ঠিকই করেছেন, আপনি ভালই করেছেন। যখন আলী (রাযিঃ) কল্যাণকর ব্যবস্থার নিকটবর্তী হলেন, তখন লোকজনও তার সংস্পর্শে আসতে লাগলো। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪২৯, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৩১)
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ "
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالَ ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّصلى الله عليه وسلم وَهُمَا حِينَئِذٍ يَطْلُبَانِ أَرْضَهُ مِنْ فَدَكٍ وَسَهْمَهُ مِنْ خَيْبَرَ . فَقَالَ لَهُمَا أَبُو بَكْرٍ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ مَعْنَى حَدِيثِ عُقَيْلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ثُمَّ قَامَ عَلِيٌّ فَعَظَّمَ مِنْ حَقِّ أَبِي بَكْرٍ وَذَكَرَ فَضِيلَتَهُ وَسَابِقَتَهُ ثُمَّ مَضَى إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَبَايَعَهُ فَأَقْبَلَ النَّاسُ إِلَى عَلِيٍّ فَقَالُوا أَصَبْتَ وَأَحْسَنْتَ . فَكَانَ النَّاسُ قَرِيبًا إِلَى عَلِيٍّ حِينَ قَارَبَ الأَمْرَ الْمَعْرُوفَ .
It has been narrated on the authority of 'A'isha that Fatima and 'Abbas approached Abu Bakr, soliciting transfer of the legacy of the Messenger of Allah (ﷺ) to them. At that time, they were demanding his (Holy Prophet's) lands at Fadak and his share from Khaibar. Abu Bakr said to them:
I have heard from the Messenger of Allah (ﷺ). Then he quoted the hadith having nearly the same meaning as the one which has been narrated by Uqail on the authority of al-Zuhri (and which his gone before) except that in his version he said: Then 'Ali stood up, extolled the merits of Abu Bakr mentioned his superiority, and his earlier acceptance of Islam. Then he walked to Abu Bakr and swore allegiance to him. (At this) people turned towards 'Ali and said: you have done the right thing. And they became favourably inclined to 'Ali after he had adopted the proper course of action.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী- আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না, আমরা যা কিছু রেখে যাই সবই সদাকাহ (বাইতুল মাল)
৪৪৭৪-(৫৪/...) ইবনু নুমায়র, যুহায়র ইবনু হারব ও হাসান ইবনু ’আলী হুলওয়ানী (রহঃ) ..... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা ফাতিমাহ (রাযিঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকালের পর আবূ বকর (রাযিঃ) এর নিকট রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিত্যক্ত সম্পত্তির যা আল্লাহ তাকে দিয়েছেন নিজের প্রাপ্য অংশ দাবী করেন। তখন আবূ বকর (রাযিঃ) তাকে বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা (নবীগণ) সম্পত্তিতে কাউকে উত্তরাধিকার রেখে যাই না। আমরা যা রেখে যাই তা হবে সাদাকা। আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকালের পর ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) ছয় মাস জীবিত ছিলেন।
ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) আবূ বকর (রাযিঃ) এর নিকট তার সে প্রাপ্য অংশ চেয়েছিলেন- যা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবার, ফিদাক এবং মদীনার (সাদাকা্) দান থেকে রেখে গিয়েছেন। আবূ বকর (রাযিঃ) তাকে তা প্রদান করতে অস্বীকার করলেন এবং বললেন, আমি এমন কাজ ছেড়ে দেব না যা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করতেন। কেননা আমি ভয় করি যে, যদি তার কোন কাজ পরিত্যাগ করি, তবে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবো। তবে হ্যাঁ, মদীনার (সদাকার) দানের মাল উমর (রাযিঃ) তার সময়ে আলী এবং আব্বাসকে প্রদান করেছিলেন। কিন্তু আলী (রাযিঃ) একাকীই সে সম্পদ অধিকার করে নেন। আর খাইবার এবং ফিদাকের সম্পদ উমার (রাযিঃ) নিজের দায়িত্বে রাখলেন এবং বললেন, এ ছিল রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রয়োজন মেটানোর জন্য এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যয়ের জন্য। এ দু’টাে সম্পদের দায়িত্ব থাকে মুসলিমদের আমীরের উপর। বর্ণনাকারী বলেন, এ উভয় সম্পদের বণ্টন ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত তদ্রুপই আছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৩০, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৩২)
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ "
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلَتْ أَبَا بَكْرٍ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَقْسِمَ لَهَا مِيرَاثَهَا مِمَّا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ . فَقَالَ لَهَا أَبُو بَكْرٍ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . قَالَ وَعَاشَتْ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِتَّةَ أَشْهُرٍ وَكَانَتْ فَاطِمَةُ تَسْأَلُ أَبَا بَكْرٍ نَصِيبَهَا مِمَّا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ خَيْبَرَ وَفَدَكٍ وَصَدَقَتِهِ بِالْمَدِينَةِ فَأَبَى أَبُو بَكْرٍ عَلَيْهَا ذَلِكَ وَقَالَ لَسْتُ تَارِكًا شَيْئًا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْمَلُ بِهِ إِلاَّ عَمِلْتُ بِهِ إِنِّي أَخْشَى إِنْ تَرَكْتُ شَيْئًا مِنْ أَمْرِهِ أَنْ أَزِيغَ فَأَمَّا صَدَقَتُهُ بِالْمَدِينَةِ فَدَفَعَهَا عُمَرُ إِلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ فَغَلَبَهُ عَلَيْهَا عَلِيٌّ وَأَمَّا خَيْبَرُ وَفَدَكُ فَأَمْسَكَهُمَا عُمَرُ وَقَالَ هُمَا صَدَقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَتَا لِحُقُوقِهِ الَّتِي تَعْرُوهُ وَنَوَائِبِهِ وَأَمْرُهُمَا إِلَى مَنْ وَلِيَ الأَمْرَ قَالَ فَهُمَا عَلَى ذَلِكَ إِلَى الْيَوْمِ .
It has been narrated by 'Urwa b Zubair on the authority of 'A'isha, wife of the Prophet (ﷺ), that Fatima, daughter of the Messenger of Allah (ﷺ), requested Abu Bakr, after the death of the Messenger of Allah (may peace he upon him), that he should set apart her share from what the Messenger of Allah (ﷺ) had left from the properties that God had bestowed upon him. Abu Bakr said to her:
The Messenger of Allah (ﷺ) said:" We do not have any heirs; what we leave behind is Sadaqa (charity)." The narrator said: She (Fatima) lived six months after the death of the Messenger of Allah (ﷺ) and she used to demand from Abu Bakr her share from the legacy of the Messenger of Allah (ﷺ) from Khaibar, Fadak and his charitable endowments at Medina. Abu Bakr refused to give her this, and said: I am not going to give up doing anything which the Messenger of Allah (ﷺ) used to do. I am afraid that it I go against his instructions in any matter I shall deviate from the right course. So far as the charitable endowments at Medina were concerned, 'Umar handed them over to 'Ali and Abbas, but 'Ali got the better of him (and kept the property under his exclusive possession). And as far as Khaibar and Fadak were concerned 'Umar kept them with him, and said: These are the endowments of the Messenger of Allah (ﷺ) (to the Umma). Their income was spent on the discharge of the responsibilities that devolved upon him on the emergencies he had to meet. And their management was to be in the hands of one who managed the affairs (of the Islamic State). The narrator said: They have been managed as such up to this day.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী- আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না, আমরা যা কিছু রেখে যাই সবই সদাকাহ (বাইতুল মাল)
৪৪৭৫-(৫৫/১৭৬০) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার পরিত্যক্ত সম্পদের এক দিনারও বন্টিত হবে না। আমি যা রেখে যাই তা থেকে আমার স্ত্রীগণের ব্যয় নির্বাহ এবং রাষ্ট্রীয় পরিচালকের বেতন ভাতার পর যা অবশিষ্ট থাকবে, তা হবে সাদাকা বা দান। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৩১, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৩৩)
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ "
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَقْتَسِمُ وَرَثَتِي دِيِنَارًا مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِي وَمَئُونَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ " .
It has been narrated on the authority of Abu Huraira that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
My heirs cannot share even a dinar (from my legacy) ; what I leave behind after paving maintenance allowance to my wives and remuneration to my manager is (to go in) charity.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী- আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না, আমরা যা কিছু রেখে যাই সবই সদাকাহ (বাইতুল মাল)
৪৪৭৬-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার (রহঃ) ..... আবূ যিনাদ (রহঃ) হতে এ সানাদে উল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৩২, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৩৪)
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ "
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَهُ .
A similar hadith has been narrated on the authority of Abu Zinad through a different chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী- আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না, আমরা যা কিছু রেখে যাই সবই সদাকাহ (বাইতুল মাল)
৪৪৭৭-(৫৬/১৭৬১) ইবনু আবূ খালাফ (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা কাউকে উত্তরাধিকারী করে যাই না। আমরা যা রেখে যাই তা হবে সাদাকা বা দান। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪৩৩, ইসলামিক সেন্টার ৪৪৩৫)
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ "
وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " .
It his been narrated on the authority of Abu Huraira that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
" We do not have any heirs; what we leave behind is a charitable endowment."